মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তাওহীদ- প্রধান বিষয়সমূহের একটি যা রাসূলুল্লাহর জীবনে সবচেয়ে বেশি যত্ন পেয়েছে।
وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ
‘‘ তোমরা হজ ও ওমরাহ আল্লাহর জন্য সম্পন্ন করো।’’ আল্লাহর এ-নির্দেশ হজ পালনে ঐকান্তিকতার তাগিদ করছে। এ-নির্দেশের বাস্তবায়নেই রাসূলুল্লাহ ﷺ তাওহীদকে তাঁর জীবনের মধ্যমণি বানিয়েছেন ও এর জন্যই সর্বস্ব উৎসর্গ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। পবিত্র হজ পালনে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কর্মধারা ও আমল একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে এ বিষয়টি মূর্ত হয়ে উঠে। নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে তাওহীদের প্রতি এ-গুরুত্বই প্রকাশ পেয়েছে অত্যন্ত উজ্জ্বলভাবে ।
১.তালবিয়া: তালবিয়া, হজের স্লোগান ইবাদত-আরাধনা, জীবন-মরণ সবকিছু একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশেই নিবেদিত- তালবিয়ার শব্দমালা এ কথারই ঘোষণা। হজরত জাবের (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :‘‘ তাওহীদ অবলম্বনে তিনি ﷺ তালবিয়া শুরু করলেন ও বললেন : আমি হাজির, হে আল্লাহ ! আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। নিশ্চয়ই প্রশংসা ও নেয়ামত তোমার এবং রাজত্বও , তোমার কোনো শরিক নেই।’’ হজরত ইবনে ওমর বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ এ-শব্দমালায় আর কিছু বাড়াতেন না’ হজরত আবু হুরায়রার (র) বর্ণনা মতে তালবিয়ায় রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: لبيك إله الحق لبيك ‘আমি হাজির সত্য ইলাহ আমি হাজির’। তালবিয়ার শব্দমালায় এক আল্লাহর সান্নিধ্যে হাজিরা দেয়া, ও তার লা-শরিক হওয়ার ঘোষণা বার বার অনুরণিত হয় , আলোড়িত হয় একত্ববাদ অবিচল দৃঢ়তায়। তালবিয়া যেন সকল পৌত্তলিকতা, প্রতিমা-পূজা, অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন সত্তার সমীপে হীনতা দীনতা প্রকাশের বিরুদ্ধে এক অমোঘ ঘোষণা যা নবী-রাসূল পাঠানোর পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত। যে ঘোষণার সার্থক রূপায়ণ ঘটতে দেখা যায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শিরক ও মুশরিকদের সকল কর্মকান্ড থেকে দায়-মুক্তি ও তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা পড়ে শোনানোর মাধ্যমে।
২. ধর্মকর্ম পালনে ইখলাস-ঐকান্তিকতা যেন অর্জিত হয়, রিয়া ও লোক-দেখানো থেকে যেন দূরে থাকা যায় সে জন্য প্রতিপালকের কাছে আকুতি প্রকাশও তাওহীদ কেন্দ্রিকতার একটি আলামত। হজরত আনাস থেকে এক মারফু হাদিসে এসেছে : ‘ হে আল্লাহ ! এমন হজ চাই যা হবে লোক-দেখানো ও রিয়া থেকে মুক্ত।’’
৩. তাওয়াফ শেষে যে দু’রাকাত নামাজ আদায় করতে হয় সেখানে ‘সূরা ইখলাস’ ও ‘সূরা আল-কাফিরুন’ পাঠের নিয়ম, তাওহীদের প্রতি গুরুত্বেরই বহিঃপ্রকাশ। হজরত জাবের বলেন : ‘‘ তিনি ﷺ এ-দু’রাকাতে তওহিদভিত্তিক সূরা ও ‘কুল য়্যা আইয়ুহাল কাফিরুন ’ তিলাওয়াত করলেন।’’ অন্য এক বর্ণনায় তিনি ইখলাসের দুই সূরা‘ ‘কুল য়্যা আইয়ুহাল কাফিরুন’ ও ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ , তিলাওয়াত করেন।’’
৪. সাফা ও মারওয়ায় তাওহীদনির্ভর দোয়া একত্ববাদের সাথে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অচ্ছেদ্য সম্পর্ককে নির্দেশ করে। হজরত জাবেরের (র) এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন:‘‘ অতঃপর তিনি ﷺ সাফায় আরোহণ করলেন, কাবা দৃষ্টিগ্রাহ্য হলো, তিনি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর একত্বের কথা বললেন , তাঁর বড়োত্বের ঘোষণা দিলেন। তিনি বললেন : لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، لا إله إلا الله وحده ---- ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক , তাঁর কোনো শরিক নেই । রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।’ মারওয়াতে গিয়েও তিনি অনুরূপ করলেন।
৫. আরাফার দোয়া ও জিকিরসমূহেও তাওহীদের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। হাদিসে এসেছে , ‘ উত্তম দোয়া আরাফা দিবসের দোয়া, আর আমি ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের সর্বোত্তম কথাটি হলো : لا إله إلا الله وحده لا شريك له ، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير ‘ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই , তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই । প্রশংসাও তাঁর । তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।
আমর ইবনে শুয়াইবের বর্ণনা মতে : আরাফার দিন রাসূলুল্লাহ যে দোয়াটি পড়েছেন তা ছিল : لا إله إلا الله ---- ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই-----’ অন্য এক বর্ণনা মতে তিনি بيده الخير ‘তাঁরই হাতে কল্যাণ’ অংশটি বাড়িয়ে দেন।
হজকারীদের - এমন কি ব্যাপকার্থে - মুসলমানদের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে বিচিত্র ধরনের বেদআত, কুসংস্কার ও শিরকের ধূম্রজালে জড়িয়ে রয়েছে অনেকেই। এইজন্য ওলামা ও আল্লাহর পথে আহবায়কদের উচিত মানুষদেরকে ধর্মের মৌল বিষয়সমূহ ও তাওহীদের হাকীকত সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, শিরক ও বিপথগামিতা থেকে হুঁশিয়ার করা। তাওহীদ সম্পর্কে গুরুত্ব অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বকেও ছাপিয়ে যাবে এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ । তিনি যখন হজরত মায়াযকে ইয়েমেনে পাঠালেন , বললেন : আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল , এ-সাক্ষীর প্রতি তাদেরকে আহবান করবে। তারা এক্ষেত্রে আনুগত্য প্রকাশ করলে জানিয়ে দেবে - আল্লাহ তাদের ওপর , রাত ও দিনে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। এক্ষেত্রে আনুগত্য প্রকাশ করলে জানিয়ে দেবে - আল্লাহ তাদের সম্পদে সাদকাহ ফরজ করেছেন যা ধনীদের থেকে নেয়া হবে ও গরিবদেরকে দেয়া হবে।’’
হজে পালনীয় প্রতিটি কর্মেই তাওহীদের অমোঘ ভাব বহুধা ধারায় প্রবাহিত, ও রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক একনিষ্ঠভাবে চর্চিত। তাই হজ পালনকারী প্রতিটি ব্যক্তিরই প্রয়োজন হৃদয়ের প্রতিটি ভাঁজে তাওহীদের ভাব প্রসারিত করে দেয়া। তাওহীদের ধারক ও বাহক বনে যাওয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/163/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।