hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

১১
চার. আকুতি-মিনতির প্রাবল্য
নিঃসন্দেহে দোয়া একটি অপরিসীম গুরুত্বের বিষয়। ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের হীনতা দীনতা, আল্লাহর মুখাপেক্ষিতা ও বিনয় প্রকাশের মাধ্যম হলো এ-দোয়া’। এজন্যে দোয়া ব্যতীত অন্য কিছুকে সর্বোচ্চ ইবাদত হিসেবে সাব্যস্ত করেন নি মহানবী ﷺ। তিনি বলেছেন : ‘‘ দোয়াই ইবাদত’’ অর্থাৎ এবাদতের অধিকাংশ এবং এর সব চেয়ে বড় রুকন; কেননা আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া এবং অন্য সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিই দোয়া ইঙ্গিত করে। রাসূলুল্লাহ এক বাণীতে এও বলেছেন ‘ দোয়ার চেয়ে অধিক প্রিয় আল্লাহর নিকট অন্য কিছু নেই।’ হজে রাসূলের সাথে দোয়ার ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তিনি তাওয়াফের সময় তাঁর রবকে ডেকেছেন, সাফা মারওয়ার ওপর দাঁড়িয়ে ডেকেছেন , আরাফায় উটের ওপর বসে হাত সিনা পর্যন্ত উঠিয়ে মিসকীন যেভাবে খাবার চায় সেভাবে দীর্ঘ দোয়া ও কান্নাকাটি করেছেন, আরাফার যে জায়গায় তিনি অবস্থান করেছেন সে জায়গায় স্থির হয়ে সূর্য ঢলে গেলে নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া করেছেন। মুযদালিফার মাশআরুল হারামে দীর্ঘ আকুতি মিনতি ও মুনাজাতে রত রয়েছেন সূর্যোদয়ের পূর্বে দিগন্ত উদ্ভাসিত হওয়া পর্যন্ত, তাশরীকের দিন সমূহে প্রথম দুই জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর দাঁড়িয়ে হাত উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দোয়া করেছেন, ইবনুল কাইয়েম বলেন , এ দোয়া ছিল সূরা বাকারার পরিমাণ।

এ-ছিল প্রার্থনার ক্ষেত্রে রাসূল থেকে বর্ণিত দোয়ার একাংশের বর্ণনা মাত্র। আর আল্লাহর প্রশংসাকীর্তন ও জিকির থেকে তো রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো বিরত হননি মদীনা থেকে বের হওয়ার সময় থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত। এসময়ে তিনি আল্লাহর জিকিরে সদা সিক্ত যবান ছিলেন। আল্লাহর মর্যাদার উপযোগী প্রশংসা তিনি অধিক পরিমাণে করেছেন যেমন- তালবিয়ায়, তাকবীরে , তাহলীলে, তাসবীহ ও আল্লাহর হামদ বর্ণনায়, দাঁড়িয়ে অথবা চলন্ত অবস্থায়, তথা সর্বক্ষেত্রে তিনি আল্লহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে গেছেন। হজে রাসূলুল্লাহﷺ এর বিভিন্ন অবস্থা যে ব্যক্তি পরখ করে দেখবে এ ব্যাপারটি স্পষ্টরূপে তার কাছে প্রতিভাত হবে।

স্মরণ করিয়ে দেয়া ভালো যে, হজে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দোয়া মিনতি ও তাঁর প্রভুর প্রশংসাকীর্তনের যেটুকুর বর্ণনা মিলে তা অবর্ণিত অংশের তুলনায় অতি সামান্য। কেননা দোয়া তো হলো বান্দা ও তাঁর প্রভুর মাঝে এক অপ্রকাশিত রহস্য। প্রতিটি ব্যক্তি সংগোপনে তার প্রভুর সামনে নিবিড় আকুতি মোনাজাত পেশ করে যা কিছু তার প্রয়োজন সে বিষয়ে। রাসূলু্ল্লাহ ﷺ যে অংশটুকু প্রকাশ করেছেন তা কেবলই ছিল উম্মতের জন্য আদর্শ প্রতিষ্ঠার খাতিরে যাতে তারা তাঁর অনুসরণ করতে পারে। হজরত জাবের  এর হাদিস এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেন : ‘‘ এরপর রাসূলুল্লাহ (স) পড়লেন : واتخذوا من مقام إبراهيم مصلى ‘ তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে নামাজের স্থলরূপে গ্রহণ করো ’ আর তিনি আওয়াজ উঁচু করলেন লোকদেরকে শোনানোর জন্য।’’ যিকির তো হলো হজের উদ্দেশ্য ও বড়ো মকসুদ সমূহের একটি। নিম্নবর্ণিত আয়াতে একথারই ইঙ্গিত মিলে:

ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴿১৯৯﴾ فَإِذَا قَضَيْتُمْ مَنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَذِكْرِكُمْ آَبَاءَكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الْآَخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ﴿২০০﴾ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿২০১﴾ أُولَئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ ﴿২০২﴾ وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ

‘‘ তোমরা তোমাদের হজ সম্পন্ন করলে আল্লাহকে স্মরণ করো যেমন তোমরা স্মরণ করো তোমাদের পিতাদেরকে।’’ আরো এরশাদ হয়েছে :

لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ

‘‘ যাতে তারা তাদের পক্ষে কল্যাণকর বিষয়ের স্পর্শে আসতে পারে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’’ শুধু তাই নয় বরং হজের সকল আমল, আল্লাহর জিকিরের উদ্দেশেই শরীয়তভুক্ত হয়েছে। হজরত আয়েশা ﷺ এর থেকে বর্ণিত মারফু হাদিস এদিকেই ইঙ্গিত করে, তিনি বলেন :‘‘ বায়তুল্লাহর তোয়াফ, সাফা মারওয়ার সাঈ এবং কঙ্কর নিক্ষেপ আল্লাহর যিকির আদায়ের লক্ষ্যেই রাখা হয়েছে।’’

উল্লেখ্য যে হজে রাসূলুল্লাহ যেসব দোয়া করেছেন তা ব্যাপক অর্থবোধক , যেমন য়ামানী দুই রুকনের মাঝখানে :

ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار

হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি পৃথিবীতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও এবং দোযখের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো।’

এজন্য সে-ব্যক্তি সফল যে এ-ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পদাঙ্ক অনুসরণ করল ও বেশি বেশি মিনতি, কান্নাকাটি ও নীরবে প্রার্থনা করল; আল্লাহর সামনে নিজের মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করল; প্রয়োজন দেখাল; এবং যে তার মাওলার জন্য নত হলো ও নিজেকে হীন করে উপস্থিত করল; সচেতন হৃদয়সহ জিকিরের সম্পৃক্ততায় একচিত্ত হয়ে এঁটে রইল; ব্যাপক অর্থবোধক দোয়ার মাধ্যমে তাঁর কাছে প্রার্থনা করল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন