মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
৪- অনুসরণের দীক্ষা এবং দ্বীন গ্রহণের উৎসের অভিন্নতার প্রতি তাগিদ :
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/163/21
ইসলাম এক-আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর একচ্ছত্র দাসত্বে নিজেকে সঁপে দেয়ার নাম। রাসূল যা এনেছেন তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশের নাম - কেননা ইসলামের বলয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ দৃঢ়তা পায় না, প্রত্যাদিষ্ট টেক্স্ট সবটুকু মেনে নিতে যতক্ষণ না সে প্রত্যয়ী হয়। অভ্যন্তর ও বাহির-কে- কোনো প্রশ্ন না করেই- তার সাথে মিশ্রিত করে দেয়। এ-দিকে ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে এসেছে :
‘‘কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের বিবাদ-বিসংবাদের বিচার ভার তোমার ওপর অর্পণ করবে, এবং তোমার সিদ্ধান্ত সর্বান্তঃকরনে মেনে নেবে সে বিষয়ে তাদের হৃদয়ে কোনোরূপ দ্বিধা অনুভব না করে।’’ এ সম্পর্কে এক-হাদীসে এসেছে :‘‘ তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমি যা এনেছি তার অনুগত হয়।’’ ইমাম শাফেয়ী (র) বলেছেন :‘মুসলমানগণ ইজমা করেছেন যে, যার সামনে রাসূলুল্লাহর সুন্নত প্রকাশ পাবে - অন্য কারো কথার নির্ভরতায় - তা উপেক্ষা করা বৈধ হবে না।’
হজ্ব আনুগত্য প্রকাশের এক পবিত্র নিদর্শন। আত্মসমর্পণ ও বিনয় প্রকাশের বিদ্যালয়। নবী , তিনি-ই যে একমাত্র অনুসরণের পাত্র, এ-দীক্ষা লাভের এক নির্মল শিক্ষাগার। যেখানে রাসূল তাঁর সাহাবাদেরকে শিখিয়েছেন কীভাবে তাঁকে অনুসরণ করতে হবে একনিষ্ঠ হয়ে। তাদের হৃদয়ে অঙ্কিত করেছেন তাঁকে অনুসরণ ও ইকতিদা করার প্রেরণা। জাবের (রা) এ-ধরনের অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন : ‘‘রাসূলুল্লাহ r আমাদের মাঝে। তাঁর ওপর কোরান নাযিল হচ্ছে- আর এর ব্যাখ্যা তিনি জানেন-। তিনি যা কিছু করেছেন আমরাও তা করেছি।’’ রাসূলের এই গুরুত্বপূর্ণ দীক্ষার তরতাজা দৃষ্টান্ত হলো :
ক. ওমর ফারুক (রা) যিনি হাজরে আসওয়াদের সংস্পর্শে এলেন, চুম্বন করলেন ও বললেন : ‘‘আমি নিশ্চয়ই জানি তুমি কেবলই একটি পাথর। উপকার অথবা অনুপকার কোনোটিরই ক্ষমতা তোমার নেই । রাসূলুল্লাহ r কে চুম্বন করতে না দেখলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।’’ তিনি অন্য-একদিন বললেন : ‘‘আজ রমল ও স্কন্ধ নিরাবরণ কেন? ইসলামকে তো আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন, এবং কুফর ও কাফেরদের দমন করেছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো বিষয়কে আমরা বাদ দিব না যা রাসূলুল্লাহ r এর যুগে করতাম ’’ অন্য-এক বর্ণনায় ‘‘ আল্লাহর কসম , আমরা এমন বিষয়কে ছেড়ে দিব না যা রাসূলুল্লাহর যুগে করতাম...।’’
খ. আলী ইবনে আবু তালিব (রা) তামাত্তু তামাত্তু হজ্ব বিষয়ে যিনি হযরত উসমানের (রা) সাথে মতানৈক্য করলেন - উসমান (রা) তখন খলিফা ছিলেন এবং তামাত্তু পদ্ধতিতে হজ্ব পালন থেকে বারণ করতেন, তা সত্ত্বেও হযরত আলী হজ্ব ও ওমরা একসাথে তামাত্তু হিসেবে আদায়ের নিয়ত করে বললেন :‘‘ لبيك بحجة وعمرة معا শুনে হযরত উসমান বললেন : আমি নিষেধ করা সত্ত্বেও তুমি এটা করছ? উত্তরে আলী (রা) বললেন :‘‘ কোনো মানুষের কথা মানতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ r এর সুন্নত ছেড়ে দিতে পারি না।’’
গ. আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) যিনি তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের সময় বলতেন : ‘‘হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি বিশ্বাস রেখে, তোমার কিতাবকে সত্য জেনে , এবং তোমার রাসূলের সুন্নতের অনুসরণ কল্পে।’’ তিনি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা, ও রুকনে য়ামানী স্পর্শ করা কখনো পরিত্যাগ করতেন না-কঠিন অথবা সহজ কোনো অবস্থাতেই না- যখন থেকে রাসূলুল্লহকে r তা করতে দেখেছেন। মুজাহিদ বলেন :‘‘আমি তাঁকে একবার দেখলাম ভিরে ঠেলাঠেলি করতে, এমনকী তাঁর নাসিকা আঘাতপ্রাপ্ত হলো এবং নাসা রন্ধ্র বেয়ে রক্ত ঝরতে লাগল। যখন এক ব্যক্তি তাঁকে হাজরে অসওয়াদ স্পর্শ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন তিনি বললেন ‘‘আমি রাসূলুল্লাহকে r স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে দেখেছি , লোকটি বললেন : যদি ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যাই, যদি পরাহত হই? তিনি বললেন : তা সত্ত্বেও। অরপর এক ব্যক্তি যখন তামাত্তুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন. তিনি বললেন : ওটা বৈধ, লোকটি বলল , আপনার বাবা তো বারণ করতেন । তিনি বললেন : দেখুন! আমার বাবা যদি নিষেধ করে থাকেন আর রাসূলুল্লাহ r করতে বলে থাকেন, তাহলে আমার বাবার নির্দেশ মানা হবে, না রাসূলুল্লাহর r ? লোকটি বললেন, বরং রাসূলুল্লাহ r এর নিদেশই মানতে হবে। তিনি বললেন : রাসূলূল্লাহ r তা করেছেন।’’ অন্য আর-এক ব্যক্তি যখন বললেন : ইবনে আববাস তো বলেন : আরাফায় আসার আগে বায়তুল্লাহর তোয়াফ করো না, ইবনে ওমর বললেন : ‘‘ রাসূলুল্লাহ r হজ্ব করেছেন, তিনি আরাফায় যাওয়ার পূর্বেও বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন । তাহলে রাসূলুল্লাহ r এর কথা মানব না ইবনে আববাসের (রা) কথা, আপনি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন।’’
ঘ. এ-উম্মতের আলেম আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা) যিনি হযরত মায়াবিয়া (রা) কে পবিত্র কাবার চতুষ্কোণ স্পর্শ করতে দেখে বলেছেন - আপনি কেন এই কোণদ্বয় স্পর্শ করছেন, রাসূল্লাহ r তো এ-দুটো স্পর্শ করেননি । উত্তরে হযরত মায়াবিয়া বললেন : কাবার কোনো অংশই পরিত্যক্ত নয়। ইবনে আববাস (রা) বললেন,
‘‘ لقد كان لكم في رسول الله أسوة حسنة ’’
(রাসূলুল্লাহর জীবনীতে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে)। হযরত মায়াবিয়া বললেন : তুমি সত্যই বলেছ। তিনি হজে-তামাত্তু বৈধ মনে করতেন, তাঁকে বলা হতো, আবুবকর ও ওমর ( রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তো তা করতেন না। উত্তরে তিনি বলতেন : ‘‘ আল্লাহর কসম আমার তো মনে হয় আল্লাহ আপনাদেরকে শাস্তি দিবেন, আমি রাসূলুল্লাহ r থেকে হাদীসের উদ্বৃত্ত দিচ্ছি আর আপনারা আবুবকর ও ওমরের কথা বলছেন।’’
হজ্বে রাসূলুল্লাহর আদর্শ অনুকরণ ও কেবল ওহির উৎস থেকে অনুশাসন গ্রহণের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়ার দৃষ্টান্ত বহু, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
ক. হজ্বমৌসুমে বিভিন্ন স্থানে হাজ্বীদেরকে রাসূলুল্লাহ r তাঁর আদর্শ অনুকরণ করতে বলেছেন। তাদেরকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন এ আশংকায় যে হতে পারে এটাই তাঁর শেষ হজ্ব। তিনি বার বার বলেছেন : ‘‘ আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্বকর্মসমূহ জেনে নাও, কারণ হয়তো এ হজ্বের পর আমার আর হজ্ব করা হবে না।’’
খ.আরাফার খুতবায় তিনি আল্লাহর গ্রন্থ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন, কেননা ইহাই পথভ্রষ্টতা ও গোমরাহী থেকে বাঁচার উপায়, বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ r বলেছেন: আমি তোমাদের কাছে ছেড়ে গিয়েছি এমন বিষয় যা ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, আর তাহলো আল্লাহর কিতাব।’’
গ. রাসূলুল্লাহ r তাঁর উম্মতকে প্রবৃত্তির অনুসরণ এবং ধর্মে নতুন কিছু সংযোজন থেকে হুঁশিয়ার করেছেন, তিনি আরাফায় অবস্থানের সময় বলেছেন : ‘‘আমি হাউজে তোমাদের পূর্বেই চলে যাব, এবং তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের ওপর গর্ব করব, অতঃপর আমার চেহারা কালিমাবৃত করো না, -----অতঃপর আমি বলব হে প্রতিপালক ! আমার সাথিরা! তিনি বলবেন : তুমি জানো না তোমার পর ওরা কি করেছে।’’
ঘ. রাসূলুল্লাহ r সাহাবাদেরকে (রা) হজ্বের বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পর্কে বাস্তব প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ও এ সবে বাড়াবাড়ি থেকে হুঁশিয়ার করেছেন, হযরত ইবনে আববাস (রা) থেকে এক বর্ণনায় এসেছে: ‘‘রাসূলুল্লাহ r আকাবার দিবসের সকালে বলেছেন- তিনি তখন উটের ওপর ছিলেন : আমার জন্য কঙ্কর কুড়াও, ইবনে আববাস (রা) বললেন : আমি রাসূলুল্লাহ r এর জন্য, আঙুল দিয়ে নিক্ষেপ করা যায়, এমন সাতটি কঙ্কর কুড়ালাম। তিনি তাঁর হাতে সেগুলো ঝাড়তে শুরু করলেন এবং বললেন : এগুলোর মতো নিক্ষেপ করো। এরপর তিনি বললেন : ‘‘হে লোকসকল ! ধর্মে বাড়াবাড়ি ও প্রান্তিকতা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা ধর্মে বাড়াবাড়ি তোমাদের পূর্বের লোকদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’’
ঙ. হজ্বের পবিত্রস্থানসমূহে গমনাগমনের সময় তিনি হযরত উসামা ইবনে যায়েদ ও তাঁর চাচাতো ভাই ফযল ইবনে আববাস (রা)- যাদের তিনি সমীহ করতেন- তাঁর উটে সহ-আরোহী করে নেন, যাতে তারা তাঁর অনুসরণ করতে পারেন এবং পথিমধ্যে যা দেখেন ও শোনেন সে-বিষয়ে মানুষদেরকে, পরবর্তীতে, বলতে পারেন। এজন্য হযরত উসামাকে আরাফা থেকে মুযদালিফা পর্যন্ত সহ-আরোহী বানালেন, মানুষেরা বলল ‘আমাদের এই সঙ্গী -রাসূলুল্লাহ r কী করলেন- সে বিষয়ে বলবে’ একইভাবে যখন মুযদালিফা থেকে মিনা পর্যন্ত ফযল ইবনে আববাসকে (রা) সহ আরোহী করলেন মানুষেরা বলল : ‘আমাদের এই সঙ্গী রাসূলুল্লাহ r যা করলেন সে সম্পর্কে জানাবে।’
সাহাবীদের দীক্ষাদানের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ r এর যে বিষয়টি সবচেয়ে বড়ো বলে আমার কাছে মনে হয় তাহলো আদর্শ গ্রহণের উৎসের অভিন্নতার প্রতি তাগিদ : যারা কোরবানির পশু সঙ্গে আনেনি- রাসূলুল্লাহর সঙ্গে-আসা অধিকাংশ এই পর্যায়ের ছিলেন- তাদেরকে ইহরাম ছেড়ে হালাল হতে বাধ্য করলেন যখন তিনি কোন-এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন : ‘‘অতঃপর আরাফায় এ অবস্থায় যাব যে আমাদের শিশ্ন বেয়ে তখনো রেত স্খলিত হচ্ছে।’’ ঘটনাটি এরকম যে, রাসূলুল্লাহ r মানুষদেরকে বললেন, যারা হাদীর পশু সঙ্গে করে আনেনি তারা হালাল হয়ে যেতে পারে এবং স্ত্রীদের সংসর্গে যেতে পারে। এই মর্মে ইবনে আববাস (রা) থেকে মারফু হাদীসে এসেছে : ‘‘তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ r ফজরের নামাজ আদায়ের পর বললেন : যে ব্যক্তি এটাকে ওমরায় রূপান্তরিত করতে চায় সে যেন এটাকে ওমরায় রূপান্তরিত করে ফেলে।’’ জাবের (রা) এর হাদীসে একই বিষয় ব্যক্ত হয়েছে : তিনি বলেন, ‘‘ রাসূলুল্লাহ r তাঁর সাহাবাদের হজ্বযাত্রাকে ওমরায় রূপান্তরিত করার অনুমতি দেন, তাঁরা বায়তুল্লাহর তোওয়াফ করবে ও চুল কর্তন করে হালাল হয়ে যাবে, কেবল যার সাথে কোরবানির পশু রয়েছে সে ব্যতীত।’’ এক্ষেত্রে জাবের (রা) এর মন্তব্য হলো, ‘‘ রাসূলুল্লহ r এ-বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেন নি, বরং কেবল অনুমতি দিয়েছেন ’’, এর পর তিনি r শুনলেন এমন কথা যাতে বক্তার ‘হজ্বের মাসসমূহে ওমরা বৈধ নয়’ বলে মুশরিকদের যে আচার ছিল তাতে প্রভাবিত হওয়ার গন্ধ রয়েছে, মুশরিকরা এ-জিনিসটিকে জঘন্যতম কাজ বলে মনে করতো, এটা একপ্রকার আদর্শ গ্রহণ বৈকি। তাই রাসূলুল্লাহ r এ বিষয়ে উৎসের অভিন্নতার ওপর তাগিদ করে, সাহবাদেরকে হালাল হতে বাধ্য করলেন, যাতে আদর্শ গ্রহণ শুধুমাত্র রাসূল থেকেই হয়। সাহাবাগণ সাড়া দিলেন ও আনুগত্য করলেন।
বর্তমানে মানুষের হাল-অবস্থায় দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে, বিদআত তার শেকড় ছড়িয়ে রেখেছে সর্বত্র। গোমরাহীর উত্তাল তরঙ্গ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হজ্বকৃত্যপালনকারী অনেককেই। আর এই অনাকাঙ্ক্ষিত গহবর ভরাট করা, ও ত্রুটি থেকে উত্তরণ ঘটানো রাসূলুল্লাহকে একক উৎস হিসেবে মেনে নেয়ার মাধ্যমেই সম্ভব। ওলামা ও দোয়াতদের কাজ হবে উম্মতকে এ বিষয়ে দীক্ষিত করে তোলা। আর হজ্ব এক সুবর্ণ সুযোগ যেখানে মনকে বাধ্য করা যায় কেবল রাসূলুল্লাহর কাছ থেকেই আদর্শ গ্রহণ করতে, এবং অন্য যেকোনো উৎসকে বর্জন করতে।
তাই আপনি যদি পরিত্রাণ প্রাপ্তিতে আকাঙ্ক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে আদর্শপুরুষদের পথে চলুন। নিজেকে দিয়েই প্রথমে শুরু করুন। রাসূলুল্লাহr এর অনুসরণের গন্ডিতে নিজেকে বেঁধে ফেলুন। হজ্ব থেকেই শুরু হোক আপনার শুভ যাত্রা। কেননা এটাইতো আপনার সকল ধর্মব্রত বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার মূল ভিত্তি, বেহেশতে প্রবেশের পূর্বশর্ত। হাদীসে এসেছে : ‘‘আমাদের অনুমোদন নেই এমন কাজ করলে তা হবে প্রত্যাখ্যাত।’’ হাদীসে আরো এসেছে :‘‘আমার গোটা উম্মতই বেহেশতে প্রবেশ করবে কেবল অস্বীকারকারী ব্যতীত। জিজ্ঞাসা করা হলো: কে অস্বীকারকরী হে আল্লাহর রাসূল ? তিনি বললেন : যে আমার আনুগত্য করল সে বেহেশতে প্রবেশ করল আর যে অবাধ্য হলো সেই অস্বীকার করল।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/163/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।