hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

১৩
ছয়. বিনয়-নম্রতা ও শান্তভাব
চিত্তের সচেতনতা ও বিনয় ভাব প্রত্যঙ্গের শান্ত ও ভদ্র ভাব থেকে আঁচ করা যায়। কেননা যা দেখা যায় তা অভ্যন্তর বিষয়ের ঠিকানা বলে দেয়। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ উভয় বিষয়কেই একত্রিত করেছেন তাঁর হজে। তিনি সচেতনতা বিষয়ে ছিলেন খুবই যত্নবান, কেননা এ-মৌসুমে হজ্বকর্ম ব্যতীত কোনো কিছুই তাঁর হৃদয় স্পর্শ করতে পারেনি। হজে তিনি প্রতিপালকের সামনে ছিলেন সমধিক বিনম্র , বিনয়ী , ক্রন্দনকারী , অঝোর ধারায় অশ্রু বিসর্জনকারী। প্রতিপালকের সামনে বেশি বেশি মিনতি, -মোনাজাত ও প্রার্থনাকারী হাত উঠিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে। বেশ কিছু বর্ণনায় একথার সমর্থন মিলে :তোওয়াফে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে হজরত জাবের  বলেন: হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে তিনি শুরু করলেন, কান্নায় দু’নয়ন ভেসে গেলো। অতঃপর তিনি তিন চক্কর রমল করলেন, এবং চার চক্কর হেঁটে চলে শেষ করলেন, সমাপ্তির পর তিনি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন, এর ওপর দুই হাত রাখলেন , ও তা দিয়ে চেহারা মাসেহ করলেন।’’

হজরত সালেম হজরত ইবনে ওমর  থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথম জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করে সামনে এগিয়ে মন্থর-গতি হতেন , তিনি কিবলামুখী হয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতেন এবং হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন। অতঃপর তিনি দ্বিতীয় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতেন ও বামে উপত্যকার পার্শ্বের দিকে মোড় নিতেন, হাত উঠিয়ে কেবলামুখী হয়ে দোয়া করা অবস্থায় তিনি দীর্ঘসময় দাঁড়াতেন। এরপর তিনি বাতনুলওয়াদী থেকে জামরাতুল আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতেন, এখানে তিনি দাঁড়াতেন না। হজরত ইবনে ওমর  ও এরূপ করতেন এবং বলতেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এরকমই করতে দেখেছি।’’

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও বিনম্র ভাব মূর্ত ছিল। তিনি শান্ত-ভদ্র ও কোমলভাবে হেঁটে চলতেন, ও হজ্বকৃত্যসমূহ ধীরস্থির ও শান্তভাবে আদায় করতেন। হজরত জাবের  এর কথা এদিকেই ইঙ্গিত করে, তিনি বলেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ ﷺ এ অবস্থায় প্রস্থান করতেন যে শান্তভাব তাঁর অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করতো।’’ হজরত ফযল ইবনে আববাসের মন্তব্যও একই পর্যায়ের, তিনি বলেন :‘‘তিনি যখন আরাফা থেকে প্রস্থান করলেন ধীরে সুস্থে চললেন এবং মুযদালেফায় এসে পৌঁছালেন।’’ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস  এর বর্ণনাও একই সূত্রে গাঁথা, তিনি বলেন :‘‘আরাফার দিন তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে চলতে শুরু করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার পিছনে উটকে লক্ষ্য করে প্রচন্ড ধমকা-ধমকি, প্রহার ও আওয়াজ শুনতে পেলেন, তিনি চাবুক দিয়ে ইশারা করে তাদেরকে বলেন : ‘‘হে লোকসকল! শান্ত হও, কেননা দ্রুত চলায় কল্যাণ নেই।’’

অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে পরিত্রাণ নিশ্চিতকারী আদর্শ আহরণ করুন, নিজের ওপর সাকিনাত-এর চাদর চড়িয়ে নিন, গাম্ভির্যের ভূষণে নিজেকে মুড়ে নিন, সান্তচিত্তে আপনার হজকৃত্য পালন করুন, যা করছেন ও বলছেন তার অর্থ ও ভাব স্পর্শ করুন, কেননা এরকমটি আপনাকে প্রজ্ঞার দীক্ষা দেবে, আপনার ও বাতুলতার মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়াবে। হজকৃত্যের মাধ্যমে আপনি নিজের আত্মাকে শান্তির স্পর্শ পাইয়ে দিন, আর মূর্খদের কর্ম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন যাদের হজ শেষ করে ফেলা ও এ-পূণ্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো চিন্তা নেই। তাদের চলন-বলনে যেন তারা বলে যাচ্ছে : প্রতিপালক আমাদের এ থেকে নিস্তার দিন, এটা বলছে না যে ‘এর দ্বারা আমাদের প্রশান্ত করুন।’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন