hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১০০
ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের বিধান
ঋণী ব্যক্তিকে কিছু অবকাশ দেয়া উচিত :

عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ أُصِيْبَ رَجُلٌ فِىْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ - - فِىْ ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا فَكَثُرَ دَيْنُهٗ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - تَصَدَّقُوْا عَلَيْهِ فَتَصَدَّقَ النَّاسُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَبْلُغْ ذٰلِكَ وَفَاءَ دَيْنِه فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - لِغُرَمَائِه خُذُوْا مَا وَجَدْتُمْ وَلَيْسَ لَكُمْ إِلَّا ذٰلِكَ

আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ে এক ব্যক্তির ক্রয় করা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি অনেক ঋণী হয়ে পড়েন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তাকে সাহায্য করো। লোকজন তাকে সাহায্য করল, কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হলো না। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তার পাওনাদারদের বললেন, যা তোমরা পেয়েছ তা গ্রহণ করো; এর অতিরিক্ত আর পাবে না। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৬৪; আবু দাউদ, হা/৩৪৭১; তিরমিযী, হা/৬৫৫; নাসাঈ, হা/৪৫৩০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৫৬৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৯৩৫; মিশকাত, হা/২৯০০।]

ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তিকে ক্ষমা করার উপকারিতা :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : كَانَ الرَّجُلُ يُدَايِنُ النَّاسَ فَكَانَ يَقُوْلُ لِفَتَاهُ إِذَا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ لَعَلَّ اللهُ أَنْ يَتَجَاوَزَ عَنَّا قَالَ فَلَقِيَ اللهَ فَتَجَاوَزَ عَنْهُ .

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, পূর্বের যুগে একজন লোক ছিল। সে মানুষকে ঋণ দিত এবং আপন কর্মচারীকে বলে দিত; যখন তুমি ঋণ আদায়ে (তাগাদার জন্য) কোন গরীবের নিকট যাবে, তখন তাকে মাফ করে দিবে। সম্ভবত (এর ফলে) আল্লাহও আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। নবী ﷺ বলেন, অতঃপর লোকটি (মৃত্যুর পর) আল্লাহর দেখা পেল। তখন আল্লাহ তাকে মাফ করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৪৮০; সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮১; নাসাঈ, হা/৪৬৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৬৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৫৮২; মিশকাত, হা/২৯০১।]

عَنْ أَبِىْ قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ طَلَبَ غَرِيْمًا لَهٗ فَتَوَارٰى عَنْهُ ثُمَّ وَجَدَهٗ فَقَالَ إِنِّىْ مُعْسِرٌ . فَقَالَ اللهِ قَالَ اللهِ قَالَ فَإِنِّىْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ - - يَقُوْلُ مَنْ سَرَّهٗ أَنْ يُنْجِيَهُ اللهُ مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلْيُنَفِّسْ عَنْ مُعْسِرٍ أَوْ يَضَعْ عَنْهُ

আবদুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আবু কাতাদা (রাঃ) একবার তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারী একজনকে খোঁজ করেন। সে তার থেকে লুকিয়েছিল। পরে তিনি তাকে পেয়ে যান। তখন সে লোকটি বলল, আমি অভাবগ্রস্ত। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! সে বলল, আল্লাহর শপথ। তারপর তিনি বললেন, তাহলে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এটা চায় যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামত দিবসের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দান করুন, সে যেন ঋণগ্রস্ত অক্ষম লোকের সহজ ব্যবস্থা করে কিংবা ঋণ মওকূফ করে দেয়। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮৩; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৯৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯০৩; মিশকাত, হা/২৯০২।]

ঋণ পরিশোধ করার সময় উত্তম পন্থা অবলম্বন করা উচিত :

عَنْ أَبِىْ رَافِعٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - اسْتَسْلَفَ مِنْ رَجُلٍ بَكْرًا فَقَدِمَتْ عَلَيْهِ إِبِلٌ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ فَأَمَرَ أَبَا رَافِعٍ أَنْ يَقْضِىَ الرَّجُلَ بَكْرَهٗ فَرَجَعَ إِلَيْهِ أَبُوْ رَافِعٍ فَقَالَ لَمْ أَجِدْ فِيْهَا إِلَّا خِيَارًا رَبَاعِيًا . فَقَالَ أَعْطِه إِيَّاهُ إِنَّ خِيَارَ النَّاسِ أَحْسَنُهُمْ قَضَاءً

আবু রাফি‘ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি উটের বাচ্চা ধার নেন। এরপর তাঁর নিকট সাদাকার উট আসে। তিনি আবু রাফি‘কে সে ব্যক্তির উটের ধার শোধ করার আদেশ করেন। আবু রাফি‘ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট ফিরে এসে জানালেন যে, সাদাকার উটের মধ্যে আমি সেরূপ দেখছি না, তবে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট উট আছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ওটাই তাকে দাও। সে ব্যক্তিই উত্তম যে ধার পরিশোধে উত্তম। [সহীহ মুসলিম, হা/৪১৯২; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৩৫৯; আবু দাউদ, হা/৩৩৪৮; তিরমিযী, হা/১৩১৮; নাসাঈ, হা/৪৬১৭; ইবনে মাজাহ, হা/২২৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭২২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৫৩; মিশকাত, হা/২৯০৫।]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلًا تَقَاضٰى رَسُوْلَ اللهِ فَأَغْلَظَ لَهٗ فَهَمَّ أَصْحَابُهٗ فَقَالَ دَعُوْهُ فَإِنَّ لِصَاحِبِ الْحَقِّ مَقَالًا وَاشْتَرُوْا لَهٗ بَعِيْرًا فَأَعْطُوْهُ إِيَّاهُ وَقَالُوْا لَا نَجِدُ إِلَّا أَفْضَلَ مِنْ سِنِّه قَالَ اشْتَرُوْهُ فَأَعْطُوْهُ إِيَّاهُ فَإِنَّ خَيْرَكُمْ أَحْسَنُكُمْ قَضَاءً

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে তার পাওনার কড়া তাগাদা করল। সাহাবীরা তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলে তিনি বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা পাওনাদারের কথা বলার অধিকার রয়েছে। তোমরা বরং একটি উট কিনে তাকে দিয়ে দাও। তাঁরা বললেন, আমরা তার উটের চেয়ে উত্তম বয়সের উট ব্যতীত উটের সন্ধান পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটিই কিনে তাকে দিয়ে দাও। কারণ তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তি উত্তম যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে। [সহীহ বুখারী, হা/২৩৯০; সহীহ মুসলিম, হা/৪১৯৪; তিরমিযী, হা/১৩১৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৮৮১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৫৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৫২; মিশকাত, হা/২৯০৬।]

সক্ষম ব্যক্তির পক্ষে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা যুলুমের অমত্মর্ভুক্ত :

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ . أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ مَطْلُ الْغَنِىِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُتْبِعَ أَحَدُكُمْ عَلٰى مَلِىءٍ فَلْيَتْبَعْ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সক্ষম ব্যক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা অত্যাচারের শামিল। তোমাদের কারো প্রতি ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব দিলে সে যেন তা গ্রহণ করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮৫; আবু দাউদ, হা/৩৩৪৭; নাসাঈ, হা/৪৬৯১; ইবনে মাজাহ, হা/২৪০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৩২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৪; জামেউস সগীর, হা/১০৮১৫; মিশকাত, হা/২৯০৭।]

অক্ষম ব্যক্তিকে ঋণের বোঝা হালকা করে দেয়া উত্তম :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ أَخْبَرَهٗ أَنَّهٗ تَقَاضَى ابْنَ أَبِيْ حَدْرَدٍ دَيْنًا لَهٗ عَلَيْهِ فِيْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ فِي الْمَسْجِدِ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتّٰى سَمِعَهَا رَسُوْلُ اللهِ وَهُوَ فِيْ بَيْتِه فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا رَسُوْلُ اللهِ حَتّٰى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِه وَنَادٰى يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ يَا كَعْبُ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَأَشَارَ بِيَدِه أَنْ ضَعِ الشَّطْرَ مِنْ دَيْنِكَ قَالَ كَعْبٌ قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ قُمْ فَاقْضِه

কা‘ব ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ে মসজিদে নববীতে ইবনে আবী হাদরাদ (মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা) এর নিকট পাওনার ব্যাপারে তাগিদ দিলেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে উভয়ের স্বর উচ্চ হয়ে গেল, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বীয় ঘর থেকেই শুনতে পেলেন। অতঃপর তিনি ঘর থেকে বের হয়ে ডাকলেন, হে কা‘ব! তখন কা‘ব বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত। তিনি তাঁর হাতের ইশারায় বললেন, তোমার ঋণ অর্ধেক কমিয়ে দাও। তখন কা‘ব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কমিয়ে দিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ (অপর ব্যক্তিকে) বললেন- যাও, তুমি এখন (তার কাছে বাকিটা প্রদান করে) ঋণ পরিশোধ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৬৭; আবু দাউদ, হা/৩৫৯৭; নাসাঈ, হা/৫৪০৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৪২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭২২১; মিশকাত, হা/২৯০৮।]

রাসূলুল্লাহ ﷺ ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তির জানাযা আদায় করতেন না :

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ : كُنَّا جُلُوْسًا عِنْدَ النَّبِيِّ إِذْ أُتِيَ بِجَنَازَةٍ ، فَقَالُوْا : صَلِّ عَلَيْهَا ، فَقَالَ : هَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ ؟ قَالُوْا : لَا قَالَ : فَهَلْ تَرَكَ شَيْئًا ؟ قَالُوْا : لَا فَصَلّٰى عَلَيْهِ ، ثُمَّ أُتِيَ بِجَنَازَةٍ أُخْرٰى ، فَقَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اللهِ ، صَلِّ عَلَيْهَا ، قَالَ : هَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ ؟ قِيْلَ : نَعَمْ ، قَالَ : فَهَلْ تَرَكَ شَيْئًا ؟ قَالُوْا : ثَلَاثَةَ دَنَانِيْرَ ، فَصَلّٰى عَلَيْهَا ، ثُمَّ أُتِيَ بِالثَّالِثَةِ ، فَقَالُوْا : صَلِّ عَلَيْهَا قَالَ : هَلْ تَرَك شَيْئًا ؟ قَالُوْا : لَا ، قَالَ : فَهَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ ؟ قَالُوْا : ثَلَاثَةُ دَنَانِيْرَ ، قَالَ : صَلُّوْا عَلٰى صَاحِبِكُمْ قَالَ أَبُوْ قَتَادَةَ : صَلِّ عَلَيْهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلَيَّ دَيْنُهٗ فَصَلّٰى عَلَيْهِ

সালামা ইবনে আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা নবী ﷺ এর নিকট বসেছিলাম, এমন সময় একটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? তারা বলল, না। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল, না। তখন তিনি তার জানাযা পড়লেন। তারপর আরেকটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? বলা হলো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল, তিনটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) রেখে গেছে। তখন তিনি তার (জানাযার) নামায পড়লেন। তারপর তৃতীয় একটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল না। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? তারা বলল, তিন দীনার ঋণ আছে। তিনি বললেন, তোমাদের এ সঙ্গীটির জানাযার নামায তোমরাই পড়ো। আবু কাতাদা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তার দেনার দায় আমার উপর। তখন তিনি তার নামায পড়লেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২৮৯; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৬১৬৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/২১৫৩; মিশকাত, হা/২৯০৯।]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُؤْتٰى بِالرَّجُلِ الْمُتَوَفّٰى عَلَيْهِ الدَّيْنُ فَيَسْأَلُ هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِه فَضْلًا فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهٗ تَرَكَ لِدَيْنِه وَفَاءً صَلّٰى وَإِلَّا قَالَ لِلْمُسْلِمِيْنَ صَلُّوْا عَلٰى صَاحِبِكُمْ فَلَمَّا فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ الْفُتُوْحَ قَالَ أَنَا أَوْلٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ فَتَرَكَ دَيْنًا فَعَلَيَّ قَضَاؤُهٗ وَمَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِوَرَثَتِه

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে কোন ঋণী ব্যক্তির লাশ আনা হলে প্রথমে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, সে ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত কিছু মালামাল রেখে গেছে কি? যদি বলা হতো, সে ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু রেখে গেছে, তাহলে তিনি তার জানাযার নামায পড়াতেন। তা না হলে বলতেন, তোমাদের সাথির জানাযার নামায তোমরাই পড়ো। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁকে বিজয় দান করলেন তখন তিনি বললেন, মুমিনদের নিজেদের চাইতে আমিই তাদের অধিক নিকটবর্তী। অতএব মুমিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঋণ রেখে মারা যাবে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে তা তার উত্তরাধিকারীদের। [সহীহ বুখারী, হা/২২৯৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪২৪২; তিরমিযী, হা/১০৭০; নাসাঈ, হা/১৯৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১৫; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৭২৭; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৪৫৪২; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৪৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৩; মিশকাত, হা/২৯১৩।]

উপরোল্লেখিত হাদীসগুলো দ্বারা ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা বিধানের ব্যবস্থা করা না হলে সমাজ-কল্যাণের একটি বৃহত্তম শাখার দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে। কর্জে-হাসানা তথা সৌজন্যমূলক ঋণ সমাজ-কল্যাণের একটি বৃহত্তম শাখা, তাই ইসলামে এর অত্যাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এমনকি এর জন্য দানের চেয়ে অধিক সওয়াব রয়েছে। তাই তা পরিশোধের জন্য নবী ﷺ এতো অধিক গুরুত্ব দান করেছেন যে, ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা না করে এবং না রেখে মারা গেলেও ঐ ঋণ বাতিল সাব্যসত্ম হবে না; বরং রাষ্ট্রকে উক্ত ঋণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না :

عَنْ أَبِىْ قَتَادَةَ أَنَّهٗ سَمِعَهٗ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ - - أَنَّهٗ قَامَ فِيْهِمْ فَذَكَرَ لَهُمْ أَنَّ الْجِهَادَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ وَالْإِيْمَانَ بِاللهِ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ تُكَفَّرُ عَنِّىْ خَطَايَاىَ فَقَالَ لَهٗ رَسُوْلُ اللهِ - - نَعَمْ إِنْ قُتِلْتَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - كَيْفَ قُلْتَ قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ أَتُكَفَّرُ عَنِّىْ خَطَايَاىَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - نَعَمْ وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ إِلَّا الدَّيْنَ فَإِنَّ جِبْرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لِىْ ذٰلِكَ

আবু কাতাদা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ) একদা তাদের মধ্যে দাঁড়ালেন এবং তাদের কাছে বর্ণনা করলেন যে, আল্লাহর পথে জিহাদ এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনা হচ্ছে সর্বোত্তম আমল। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই তাহলে কি আমার সকল পাপ মোচন হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন- হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন না করে (শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায়) আল্লাহর রাস্তায় নিহত হও। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি কী বললে? তখন সে ব্যক্তি (আবার) বলল, আপনি কি মনে করেন- আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই তাহলে কি আমার সকল গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হ্যাঁ, তুমি যদি ধৈর্যধারণকারী, সওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় নিহত হও, অবশ্য ঋণের কথা আলাদা। কেননা জিবরাঈল (আঃ) আমাকে এ কথা বলেছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৯৮৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৯৮৬; তিরমিযী, হা/১৯১২; নাসাঈ, হা/৩১৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৫৯৫; মিশকাত, হা/৩৮০৫।]

শহীদদের ঋণও ক্ষমা করা হবে না :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ يُغْفَرُ لِلشَّهِيْدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ঋণ ব্যতীত শহীদের সকল গুনাহই ক্ষমা করে দেয়া হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৯৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭০৫১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৫৫৪; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৫৯৩৬; জামেউস সগীর, হা/১৪০৭৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৩৫৫; মিশকাত, হা/২৯১২।]

মুমিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কেবল ঋণের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় :

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِه حَتّٰى يُقْضٰى عَنْهُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি (মৃত্যুর পর তার মর্যাদালাভে) বাধা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ঋণের দ্বারা- যতক্ষণ না তা তার পক্ষ হতে পরিশোধ করা হয়। [তিরমিযী, হা/১০৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০১৫৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০৬১; জামেউস সগীর, হা/১১৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১১; মুসনাদে শাফেঈ, হা/১৬৮৯; মিশকাত, হা/২৯১৫।]

ঋণ থেকে মুক্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে :

عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ مَاتَ وَهُوَ بَرِىْءٌ مِنْ ثَلَاثٍ اَلْكِبْرِ وَالْغُلُوْلِ وَالدَّيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ

সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ হতে মুক্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিযী, হা/১৫৭২; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৪৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৮৬৭২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২২১৮; মুসনাদে দারেমী, হা/২৬৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৩৫১; মিশকাত, হা/২৯২১।]

সক্ষম ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করলে তাকে শাসিত্ম দেয়া যাবে :

عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيْدِ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ - - قَالَ لَىُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهٗ وَعُقُوْبَتَهٗ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ يُحِلُّ عِرْضَهٗ يُغَلَّظُ لَهٗ وَعُقُوْبَتَهٗ يُحْبَسُ لَهٗ

আমর ইবনে শারীদ (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, (&ঋণ পরিশোধে) সক্ষম ব্যক্তি টালবাহানা করলে তাকে লজ্জিত করা এবং শাসিত্ম প্রদান করা যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) বলেছেন, লজ্জিত করা অর্থ, তার প্রতি কঠোর বাক্য প্রয়োগ করা; আর শাসিত্ম প্রদান করা অর্থ (আইনের মাধ্যমে) তাকে হাজতে রাখা। [আবু দাউদ, হা/৩৬৩০; নাসাঈ, হা/৪৬৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/২৪২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৯৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫০৮৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৫; মিশকাত, হা/২৯১৯।]

ঋণ পরিশোধের সময় দু‘আ :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ رَبِيْعَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّه قَالَ : اِسْتَقْرَضَ مِنِّي النَّبِيُّ أَرْبَعِيْنَ أَلْفًا فَجَاءَهٗ مَالٌ فَدَفَعَهٗ إِلَيَّ وَقَالَ : بَارَكَ اللهُ لَكَ فِيْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالْأَدَاءُ

আবদুল্লাহ ইবনে আবু রাবী‘আ (রহ.) তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী ﷺ (বাইতুল মালের প্রয়োজনে) আমার নিকট হতে ৪০ হাজার দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন। যখন (বাইতুল মালে) অর্থ সঞ্চয় হলো, তখন তিনি আমার প্রাপ্য পরিশোধ করলেন এবং আমার জন্য দু‘আ করলেন- আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে ধনসম্পদ ও পরিবার-পরিজনের মধ্যে বরকত দান করুন। আর বললেন, ঋণ দেয়ার প্রতিদান ঋণদাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং ঋণ পরিশোধ করা। [নাসাঈ, হা/৪৬৮৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/১০৭৪৬; মিশকাত, হা/২৯২৬।]

মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে আগে তার ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক :

عَنْ سَعْدِ بْنِ الْأَطْوَلِ قَالَ : مَاتَ أَخِيْ وَتَرَكَ ثَلَاثَ مِئَةِ دِيْنَارٍ وَتَرَكَ وَلَدًا صِغَارًا فَأَرَدْتُ أَنْ أُنْفِقَ عَلَيْهِمْ ، فَقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ  : إِنَّ أَخَاكَ مَحْبُوْسٌ بِدَيْنِه فَاذْهَبْ فَاقْضِ عَنْهُ قَالَ : فَذَهَبْتُ فَقَضَيْتُ عَنْهُ ثُمَّ جِئْتُ فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ قَدْ قَضَيْتُ عَنْهُ وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا امْرَأَةً تَدَّعِيْ دِيْنَارَيْنِ وَلَيْسَتْ لَهَا بَيِّنَةٌ قَالَ : أَعْطِهَا فَإِنَّهَا صَادِقَةٌ

সাদ ইবনে আতওয়াল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ভাই মৃত্যুবরণ করার সময় ৩০০ দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) রেখে গেলেন এবং নাবালক সমত্মান রেখে গেলেন। আমার ইচ্ছা হলো যে, তার দীনারগুলো তার শিশুদের জন্য ব্যয় করব। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, তোমার ভাই ঋণের দায়ে আবদ্ধ রয়েছে। তার ঋণ পরিশোধ করো। তিনি (সাদ) বললেন, অতঃপর আমি ঋণ পরিশোধ করলাম এবং পুনরায় এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সব ঋণই পরিশোধ করেছি; কেবল একজন মহিলা অবশিষ্ট রয়েছে। সে দুই দীনার পাওয়ার দাবি করছে, কিন্তু তার কোন সাক্ষী নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাকেও দিয়ে দাও, সে সত্যবাদিনী। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৬৬; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১৫১০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০০৩; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৫৩৩৩; মিশকাত, হা/২৯২৮।]

ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে খুবই কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে :

عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ : كُنَّا جُلُوْسًا عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ فَرَفَعَ رَأْسَهٗ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ وَضَعَ رَاحَتَهٗ عَلٰى جَبْهَتِه ثُمَّ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ مَاذَا نُزِّلَ مِنَ التَّشْدِيْدِ فَسَكَتْنَا وَفَزِعْنَا فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ سَأَلْتُهٗ : يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا هٰذَا التَّشْدِيْدُ الَّذِيْ نُزِّلَ؟ فَقَالَ : وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِه لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيِيَ ثُمَّ قُتِلَ ثُمَّ أُحْيِيَ ثُمَّ قُتِلَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتّٰى يُقْضٰى عَنْهُ دَيْنُهٗ

মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট মসজিদের সম্মুখস্থ খোলা জায়গায় বসা ছিলাম। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মাথা উঠালেন অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করে কপালের উপর হাত রাখলেন এবং বললেন, সুবহা-নাল্লাহ! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হলো! বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এদিন চুপ রইলাম এবং ভয় পেলাম। পরবর্তী দিন ভোর হলে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেন, (ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে।) ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর রাসত্মায় শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে এবং আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে, অতঃপর আবার শহীদ হয় এবং তার উপর ঋণ থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়। [নাসাঈ, হা/৪৬৮৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৮২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২২১২; মিশকাত, হা/২৯২৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন