মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ে এক ব্যক্তির ক্রয় করা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি অনেক ঋণী হয়ে পড়েন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তাকে সাহায্য করো। লোকজন তাকে সাহায্য করল, কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হলো না। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তার পাওনাদারদের বললেন, যা তোমরা পেয়েছ তা গ্রহণ করো; এর অতিরিক্ত আর পাবে না। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৬৪; আবু দাউদ, হা/৩৪৭১; তিরমিযী, হা/৬৫৫; নাসাঈ, হা/৪৫৩০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৫৬৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৯৩৫; মিশকাত, হা/২৯০০।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, পূর্বের যুগে একজন লোক ছিল। সে মানুষকে ঋণ দিত এবং আপন কর্মচারীকে বলে দিত; যখন তুমি ঋণ আদায়ে (তাগাদার জন্য) কোন গরীবের নিকট যাবে, তখন তাকে মাফ করে দিবে। সম্ভবত (এর ফলে) আল্লাহও আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। নবী ﷺ বলেন, অতঃপর লোকটি (মৃত্যুর পর) আল্লাহর দেখা পেল। তখন আল্লাহ তাকে মাফ করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৪৮০; সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮১; নাসাঈ, হা/৪৬৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৬৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৫৮২; মিশকাত, হা/২৯০১।]
আবদুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আবু কাতাদা (রাঃ) একবার তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারী একজনকে খোঁজ করেন। সে তার থেকে লুকিয়েছিল। পরে তিনি তাকে পেয়ে যান। তখন সে লোকটি বলল, আমি অভাবগ্রস্ত। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! সে বলল, আল্লাহর শপথ। তারপর তিনি বললেন, তাহলে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এটা চায় যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামত দিবসের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দান করুন, সে যেন ঋণগ্রস্ত অক্ষম লোকের সহজ ব্যবস্থা করে কিংবা ঋণ মওকূফ করে দেয়। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮৩; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৯৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯০৩; মিশকাত, হা/২৯০২।]
আবু রাফি‘ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি উটের বাচ্চা ধার নেন। এরপর তাঁর নিকট সাদাকার উট আসে। তিনি আবু রাফি‘কে সে ব্যক্তির উটের ধার শোধ করার আদেশ করেন। আবু রাফি‘ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট ফিরে এসে জানালেন যে, সাদাকার উটের মধ্যে আমি সেরূপ দেখছি না, তবে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট উট আছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ওটাই তাকে দাও। সে ব্যক্তিই উত্তম যে ধার পরিশোধে উত্তম। [সহীহ মুসলিম, হা/৪১৯২; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৩৫৯; আবু দাউদ, হা/৩৩৪৮; তিরমিযী, হা/১৩১৮; নাসাঈ, হা/৪৬১৭; ইবনে মাজাহ, হা/২২৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭২২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৫৩; মিশকাত, হা/২৯০৫।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে তার পাওনার কড়া তাগাদা করল। সাহাবীরা তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলে তিনি বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা পাওনাদারের কথা বলার অধিকার রয়েছে। তোমরা বরং একটি উট কিনে তাকে দিয়ে দাও। তাঁরা বললেন, আমরা তার উটের চেয়ে উত্তম বয়সের উট ব্যতীত উটের সন্ধান পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটিই কিনে তাকে দিয়ে দাও। কারণ তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তি উত্তম যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে। [সহীহ বুখারী, হা/২৩৯০; সহীহ মুসলিম, হা/৪১৯৪; তিরমিযী, হা/১৩১৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৮৮১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৫৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৫২; মিশকাত, হা/২৯০৬।]
সক্ষম ব্যক্তির পক্ষে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা যুলুমের অমত্মর্ভুক্ত :
কা‘ব ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ে মসজিদে নববীতে ইবনে আবী হাদরাদ (মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা) এর নিকট পাওনার ব্যাপারে তাগিদ দিলেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে উভয়ের স্বর উচ্চ হয়ে গেল, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বীয় ঘর থেকেই শুনতে পেলেন। অতঃপর তিনি ঘর থেকে বের হয়ে ডাকলেন, হে কা‘ব! তখন কা‘ব বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত। তিনি তাঁর হাতের ইশারায় বললেন, তোমার ঋণ অর্ধেক কমিয়ে দাও। তখন কা‘ব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কমিয়ে দিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ (অপর ব্যক্তিকে) বললেন- যাও, তুমি এখন (তার কাছে বাকিটা প্রদান করে) ঋণ পরিশোধ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৬৭; আবু দাউদ, হা/৩৫৯৭; নাসাঈ, হা/৫৪০৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৪২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭২২১; মিশকাত, হা/২৯০৮।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তির জানাযা আদায় করতেন না :
সালামা ইবনে আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা নবী ﷺ এর নিকট বসেছিলাম, এমন সময় একটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? তারা বলল, না। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল, না। তখন তিনি তার জানাযা পড়লেন। তারপর আরেকটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? বলা হলো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল, তিনটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) রেখে গেছে। তখন তিনি তার (জানাযার) নামায পড়লেন। তারপর তৃতীয় একটি মৃতদেহ আনা হলো। লোকেরা বলল, এর জানাযার নামায পড়ুন। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল না। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ রয়েছে? তারা বলল, তিন দীনার ঋণ আছে। তিনি বললেন, তোমাদের এ সঙ্গীটির জানাযার নামায তোমরাই পড়ো। আবু কাতাদা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তার দেনার দায় আমার উপর। তখন তিনি তার নামায পড়লেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২৮৯; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৬১৬৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/২১৫৩; মিশকাত, হা/২৯০৯।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে কোন ঋণী ব্যক্তির লাশ আনা হলে প্রথমে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, সে ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত কিছু মালামাল রেখে গেছে কি? যদি বলা হতো, সে ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু রেখে গেছে, তাহলে তিনি তার জানাযার নামায পড়াতেন। তা না হলে বলতেন, তোমাদের সাথির জানাযার নামায তোমরাই পড়ো। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁকে বিজয় দান করলেন তখন তিনি বললেন, মুমিনদের নিজেদের চাইতে আমিই তাদের অধিক নিকটবর্তী। অতএব মুমিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঋণ রেখে মারা যাবে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে তা তার উত্তরাধিকারীদের। [সহীহ বুখারী, হা/২২৯৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪২৪২; তিরমিযী, হা/১০৭০; নাসাঈ, হা/১৯৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১৫; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৭২৭; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৪৫৪২; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৪৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৩; মিশকাত, হা/২৯১৩।]
উপরোল্লেখিত হাদীসগুলো দ্বারা ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা বিধানের ব্যবস্থা করা না হলে সমাজ-কল্যাণের একটি বৃহত্তম শাখার দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে। কর্জে-হাসানা তথা সৌজন্যমূলক ঋণ সমাজ-কল্যাণের একটি বৃহত্তম শাখা, তাই ইসলামে এর অত্যাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এমনকি এর জন্য দানের চেয়ে অধিক সওয়াব রয়েছে। তাই তা পরিশোধের জন্য নবী ﷺ এতো অধিক গুরুত্ব দান করেছেন যে, ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা না করে এবং না রেখে মারা গেলেও ঐ ঋণ বাতিল সাব্যসত্ম হবে না; বরং রাষ্ট্রকে উক্ত ঋণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না :
আবু কাতাদা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ) একদা তাদের মধ্যে দাঁড়ালেন এবং তাদের কাছে বর্ণনা করলেন যে, আল্লাহর পথে জিহাদ এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনা হচ্ছে সর্বোত্তম আমল। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই তাহলে কি আমার সকল পাপ মোচন হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন- হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন না করে (শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায়) আল্লাহর রাস্তায় নিহত হও। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি কী বললে? তখন সে ব্যক্তি (আবার) বলল, আপনি কি মনে করেন- আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই তাহলে কি আমার সকল গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হ্যাঁ, তুমি যদি ধৈর্যধারণকারী, সওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় নিহত হও, অবশ্য ঋণের কথা আলাদা। কেননা জিবরাঈল (আঃ) আমাকে এ কথা বলেছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৯৮৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৯৮৬; তিরমিযী, হা/১৯১২; নাসাঈ, হা/৩১৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৫৯৫; মিশকাত, হা/৩৮০৫।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি (মৃত্যুর পর তার মর্যাদালাভে) বাধা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ঋণের দ্বারা- যতক্ষণ না তা তার পক্ষ হতে পরিশোধ করা হয়। [তিরমিযী, হা/১০৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০১৫৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০৬১; জামেউস সগীর, হা/১১৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১১; মুসনাদে শাফেঈ, হা/১৬৮৯; মিশকাত, হা/২৯১৫।]
আমর ইবনে শারীদ (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, (&ঋণ পরিশোধে) সক্ষম ব্যক্তি টালবাহানা করলে তাকে লজ্জিত করা এবং শাসিত্ম প্রদান করা যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) বলেছেন, লজ্জিত করা অর্থ, তার প্রতি কঠোর বাক্য প্রয়োগ করা; আর শাসিত্ম প্রদান করা অর্থ (আইনের মাধ্যমে) তাকে হাজতে রাখা। [আবু দাউদ, হা/৩৬৩০; নাসাঈ, হা/৪৬৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/২৪২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৯৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫০৮৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৫; মিশকাত, হা/২৯১৯।]
আবদুল্লাহ ইবনে আবু রাবী‘আ (রহ.) তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী ﷺ (বাইতুল মালের প্রয়োজনে) আমার নিকট হতে ৪০ হাজার দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন। যখন (বাইতুল মালে) অর্থ সঞ্চয় হলো, তখন তিনি আমার প্রাপ্য পরিশোধ করলেন এবং আমার জন্য দু‘আ করলেন- আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে ধনসম্পদ ও পরিবার-পরিজনের মধ্যে বরকত দান করুন। আর বললেন, ঋণ দেয়ার প্রতিদান ঋণদাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং ঋণ পরিশোধ করা। [নাসাঈ, হা/৪৬৮৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/১০৭৪৬; মিশকাত, হা/২৯২৬।]
মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে আগে তার ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক :
সাদ ইবনে আতওয়াল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ভাই মৃত্যুবরণ করার সময় ৩০০ দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) রেখে গেলেন এবং নাবালক সমত্মান রেখে গেলেন। আমার ইচ্ছা হলো যে, তার দীনারগুলো তার শিশুদের জন্য ব্যয় করব। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, তোমার ভাই ঋণের দায়ে আবদ্ধ রয়েছে। তার ঋণ পরিশোধ করো। তিনি (সাদ) বললেন, অতঃপর আমি ঋণ পরিশোধ করলাম এবং পুনরায় এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সব ঋণই পরিশোধ করেছি; কেবল একজন মহিলা অবশিষ্ট রয়েছে। সে দুই দীনার পাওয়ার দাবি করছে, কিন্তু তার কোন সাক্ষী নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাকেও দিয়ে দাও, সে সত্যবাদিনী। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৬৬; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১৫১০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০০৩; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৫৩৩৩; মিশকাত, হা/২৯২৮।]
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট মসজিদের সম্মুখস্থ খোলা জায়গায় বসা ছিলাম। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মাথা উঠালেন অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করে কপালের উপর হাত রাখলেন এবং বললেন, সুবহা-নাল্লাহ! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হলো! বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এদিন চুপ রইলাম এবং ভয় পেলাম। পরবর্তী দিন ভোর হলে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেন, (ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে।) ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর রাসত্মায় শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে এবং আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে, অতঃপর আবার শহীদ হয় এবং তার উপর ঋণ থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়। [নাসাঈ, হা/৪৬৮৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১২৮২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২২১২; মিশকাত, হা/২৯২৯।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/228/100
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।