hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১০২
খাওয়া ও পান করার সুন্নত নিয়ম
যেসকল খাদ্য ও পানীয় মুসলিমদের জন্য হালাল তা খাওয়া ও পান করার কিছু সুন্নত নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নত অনুসরণের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। নিম্নে এ সংক্রামত্ম কতিপয় আদব উল্লেখ করা হলো :

১. মেঝেতে দস্তরখানা বিছিয়ে খাওয়া।

২. খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়া।

৩. হেলান দিয়ে বসে না খাওয়া :

عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْأَقْمَرِ سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ يَقُوْلُ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : لَا اٰكُلُ مُتَّكِئًا

আলী ইবনে আবু আকমার (রহ.) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি আবু জুহায়ফা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে খাই না। [সহীহ বুখারী, হা/৫৩৯৮; আবু দাউদ, হা/৩৭৭১; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭৭৬; মুসনাদে তায়ালুসী, হা/১১৪৩।]

হেলান দিয়ে খাওয়া অহংকারীদের আচরণ। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ এটা পছন্দ করতেন না।

৪. খাওয়ার শুরুতে দু‘আ পড়া :

খাওয়ার শুরুতে বলবে, بِسْمِ اللهِ (বিসমিল্লা-হ) অর্থাৎ আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। আর শুরুতে বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে বলবে, بِسْمِ اللهِ أَوَّلَه وَاٰخِرَه  (বিসমিল্লা-হি আওওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহ) অর্থাৎ খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ - رَضِىَ اللهُ عَنْهَا - أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَذْكُرِ اسْمَ اللهِ تَعَالٰى فَإِنْ نَسِىَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللهِ تَعَالٰى فِىْ أَوَّلِه فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللهِ أَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ খাওয়া শুরু করবে তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। আর যদি শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যায়, তবে ‘‘বিসমিল্লা-হি আওওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহ’’ পাঠ করবে। [আবু দাউদ, হা/৩৭৬৯; তিরমিযী, হা/১৮৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৯৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭০৮৭; মিশকাত, হা/৪২০২]

৫. ডান হাতে খাওয়া :

عَنِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِيْنِه وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِيْنِه فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِه وَيَشْرَبُ بِشِمَالِه

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় এবং যখন কেউ পান করে, তখন সে যেন ডান হাতে পান করে। কেননা শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতেই পান করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৮৪; আবু দাউদ, হা/৩৭৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৫৩৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২২৬; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৭১২।]

৬. নিজের সামনের দিক থেকে খাওয়া :

عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِىْ سَلَمَةَ قَالَ كُنْتُ فِىْ حَجْرِ رَسُوْلِ اللهِ - وَكَانَتْ يَدِىْ تَطِيْشُ فِى الصَّحْفَةِ فَقَالَ لِىْ يَا غُلَامُ سَمِّ اللهَ وَكُلْ بِيَمِيْنِكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيْكَ

উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একজন বালক হিসেবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। আমার হাত খাওয়ার পাত্রের চতুর্দিকে পৌঁছত। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, হে বৎস! আল্লাহর নাম বলো ও ডান হাতে খাও এবং নিজের সম্মুখ হতে খাও। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হ/১৬৭০; সহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৮৮; আবু দাউদ, হা/৩৭৭৯; তিরমিযী, হা/১৮৫৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৭।]

৭. পাত্রের মাঝখান থেকে না খাওয়া :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ : اَلْبَرَكَةُ تَنْزِلُ وَسَطَ الطَّعَامِ فَكُلُوْا مِنْ حَافَتَيْهِ وَلَا تَأْكُلُوْا مِنْ وَسَطِه

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, খাবারের বরকত তার মধ্যখানে অবতীর্ণ হয়। সুতরাং তোমরা (প্লেটের) পার্শ্ব থেকে আহার (শুরু) করো এবং মধ্যস্থল থেকে আহার (শুরু) করো না। [তিরমিযী, হা/১৮০৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২৪৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫০৬৪; মুসনাদে হুমাঈদী, হা/৫৫৭।]

৮. খাবারে অন্যকে শরীক করা :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّهٗ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : طَعَامُ الْاِثْنَيْنِ كَافِي الثَّلَاثَةِ وَطَعَامُ الثَّلَاثَةِ كَافِي الْأَرْبَعَةِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/১৬৫৮; সহীহ বুখারী, হা/৫৩৯২; সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৮৮; তিরমিযী, হা/১৮২০; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩১৮।]

৯. খাবার অপছন্দনীয় হলে দোষ বর্ণনা না করা :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ مَا عَابَ النَّبِيُّ طَعَامًا قَطُّ إِنِ اشْتَهَاهُ أَكَلَهٗ وَإِلَّا تَرَكَهٗ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ কখনো খাদ্যের দোষ প্রকাশ করেননি। অবশ্য মনে চাইলে খেয়েছেন আর অপছন্দ হলে পরিত্যাগ করেছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৫৬৩; সুনানুল বায়হাকী, হা/১৪৩৯৮।]

১০. খাওয়ার মাঝে মাঝে আল্লাহর প্রশংসা করা :

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - إِنَّ اللهَ لَيَرْضٰى عَنِ الْعَبْدِ أَنْ يَأْكُلَ الْأَكْلَةَ فَيَحْمَدَهٗ عَلَيْهَا أَوْ يَشْرَبَ الشَّرْبَةَ فَيَحْمَدَهٗ عَلَيْهَا

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির উপর সমত্মুষ্ট হন, যে খাওয়া ও পান করার মাঝে মাঝে আল্লাহর প্রশংসা করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৭১০৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪৯৮৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৬৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৫; মিশকাত, হা/৪২০০।]

১১. পরিমিত খাওয়া :

عَنْ مَيْمُوْنَةَ قَالَتْ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مَعِيٍّ وَاحِدٍ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ .

মায়মূনা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি এক নাড়িতে আহার করে। আর কাফের সাত নাড়িতে আহার করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/১৬৪৭; সহীহ বুখারী, হা/৫৩৯৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৯৩; তিরমিযী, হা/১৮১৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭১৮।]

মুহাদ্দীসগণ বিভিন্নভাবে এ হাদীসের ব্যাখ্যা করেছেন। এর একটি অর্থ হচ্ছে, মুমিন ব্যক্তির খাবারের প্রতি লোভ কম থাকে। এজন্য সে অল্প খেয়েও তৃপ্তি লাভ করে। আর কাফের ব্যক্তির খাবারের প্রতি লোভ বেশি থাকে। এজন্য সে বেশি খেলেও তৃপ্ত হয় না। এর ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়েছে যে, মুমিন ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলে খায়। এজন্য তার খাবারে বরকত হয়। কিন্তু কাফের বিসমিল্লাহ বলে খায় না বিধায় তার খাবারে বরকত হয় না এবং শয়তান তার সাথে খায়। আর শয়তান তার সাথে আহার করে বিধায় তার বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়।

১২. পড়ে যাওয়া খাদ্য উঠিয়ে খাওয়া :

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - كَانَ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلَاثَ وَقَالَ إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِطْ عَنْهَا الْأَذٰى وَلْيَأْكُلْهَا وَلَا يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ وَأَمَرَنَا أَنْ نَسْلُتَ الصَّحْفَةَ وَقَالَ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِىْ فِىْ أَىِّ طَعَامِه يُبَارَكُ لَهٗ

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন খাবার খেতেন তখন তিনটি আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, যখন তোমাদের কারো কোন লোকমা পড়ে যায় তখন সে যেন তা হতে ময়লা ফেলে দেয়; অতঃপর তা খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য যেন তা রেখে না দেয়। (রাবী বলেন) আর তিনি আমাদেরকে পাত্র মুছে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, তোমাদের কেউ এটা জানে না যে, খাবারের কোন্ অংশে তার জন্য বরকত রয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৪২৬; আবু দাউদ, হা/৩৮৪৭; তিরমিযী, হা/১৮০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪১২১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৭৩২।]

১৩. আঙ্গুল চেটে খাওয়া :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلَا يَمْسَحْ يَدَهٗ حَتّٰى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ কিছু খায়, তখন সে যেন (আঙ্গুলী) চেটে খাওয়া অথবা অন্যের দ্বারা তা চাটিয়ে নেয়া পর্যন্ত হাত না মুছে ফেলে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪২৫৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫১৭৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৫০১১।]

১৪. পানীয় দ্রব্যে ফুঁ না দেয়া ও গ্লাসের মধ্যে নিশ্বাস না ছাড়া :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلَا يَتَنَفَّسْ فِي الْإِنَاءِ وَإِذَا أَتَى الْخَلَاءَ فَلَا يَمَسَّ ذَكَرَهٗ بِيَمِيْنِه وَلَا يَتَمَسَّحْ بِيَمِيْنِه

আবদুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ পান করবে, তখন সে যেন পাত্রের মধে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন তোমাদের কেউ বাথরুমে যাবে, তখন সে যেন ডান হাত দ্বারা লজ্জাস্থান স্পর্শ না করে এবং ইস্তেঞ্জা না করে। [সহীহ বুখারী, হা/১৫৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৪৩৮; তিরমিযী, হা/১৮৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৪২৭।]

১৫. পানীয়দ্রব্য তিন নিঃশ্বাসে পান করা :

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِىَّ كَانَ إِذَا شَرِبَ تَنَفَّسَ ثَلَاثًا وَقَالَ هُوَ أَهْنَأُ وَأَمْرَأُ وَأَبْرَأُ

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) নবী ﷺ যখন পান করতেন, তখন তিন নিঃশ্বাসে পান করতেন এবং বলতেন, এটা তৃপ্তিদায়ক, সহজ ও কল্যাণকর। [আবু দাউদ, হা/৩৭২৯; মুসনাদে তায়ালুসী, হা/২২৩২; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৫০৫৪।]

১৬. খাওয়ার পর দু‘আ পাঠ করা :

সাহল ইবনে মু‘আয (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি খাওয়া শেষ করে এই দু‘আটি পাঠ করে তবে তার আগের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنِيْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ।

অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ পানাহার করালেন এবং আমার সামর্থ ও উপায় না থাকা সত্ত্বেও আমাকে তা রিযিক হিসেবে দান করেছেন। [আবু দাউদ, হা/৪০২৫; তিরমিযী, হা/৩৪৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৭০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৪; জামেউস সগীর, হা/১১০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৩।]

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন দসত্মরখানা উঠাতেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন।

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ ، وَلَا مُوَدَّعٍ ، وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হি কাছীরান ত্বায়্যিবান, মুবারাকান ফীহি, গাইরা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওয়াদ্দা‘ইন ওয়ালা মুসতাগনান ‘আনহু রাববানা।

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি অধিক পবিত্র ও বরকতময়। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এ খাদ্য হতে নির্লিপ্ত হতে পারব না, তা কখনো বিদায় দিতে পারব না, আর তা হতে অমুখাপেক্ষীও হতে পারব না। [সহীহ বুখারী, হা/৫৪৫৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৮৭০; বায়হাকী, হা/১৪৪৮; মিশকাত, হা/৪১৯৯।]

১৭. কেউ দাওয়াত খাওয়ালে তার জন্য দু‘আ করা :

মিকদাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক মজলিসে খাবার শেষ করে এ দু‘আটি পাঠ করলেন।

اَللّٰهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِىْ وَاسْقِ مَنْ سَقَانِىْ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াস্ক্বি মান সাক্বা-নী।

অর্থ : হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাল তুমি তাকে আহার করাও, যে আমাকে পান করাল তুমি তাকে পান করাও। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৮৬০। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْن ]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন