hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২১
কিছু খাদ্য ও পানীয় হারাম হওয়ার কারণ
শরীয়তে কিছু খাদ্য ও পানীয়কে হারাম করে দেয়া হয়েছে। এগুলো হারাম করার অনেক কারণ রয়েছে, যা আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ বান্দার কল্যাণ কিসে এবং অকল্যাণ কিসে তা আল্লাহর চেয়ে বেশি আর কেউ জানতে পারে না। তবে কিছু খাদ্য ও পানীয়কে হারাম করার কারণ যতটুকু জানা যায় তা হলো :

১. মানুষের জ্ঞান অথবা শরীরের ক্ষতির কারণ হওয়া :

মানুষের শরীর ও জ্ঞান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ নিয়ামত। এর হেফাযত করা বান্দার দায়িত্ব। তাই যেসব কাজ করলে বা যেসব খাদ্য খেলে মানুষের শরীরের ও জ্ঞানের ক্ষতি সাধিত হয়, তা ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تَقْتُلُوْاۤ اَنْفُسَكُمْؕ اِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا﴾

আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। (সূরা নিসা- ২৯)

২. নেশা সৃষ্টি হওয়া :

যেসব জিনিস খেলে বা পান করলে নেশা সৃষ্টি হয় তা হারাম করা হয়েছে। কেননা নেশা মানুষের জ্ঞানকে বিকৃত করে দেয়। হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : مَا أَسْكَرَ كَثِيْرُه فَقَلِيْلُه حَرَامٌ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে জিনিস অধিক পরিমাণ ব্যবহার করলে নেশা সৃষ্টি করে তার সামান্য পরিমাণও হারাম। [আবু দাউদ, হা/৩৬৮৩; তিরমিযী, হা/১৮৬৫; নাসাঈ, হা/৬৫০৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৯৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৫।]

৩. অপবিত্র হওয়া :

কিছু কিছু জিনিস অপবিত্র ও নাপাক হওয়ার কারণে হারাম করা হয়েছে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদের জন্য কেবল পাক-পবিত্র জিনিসই হালাল করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ ﴾

তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহকে হালাল করে দিয়েছেন আর অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৭)

৪. উপার্জনের পদ্ধতি হারাম হওয়া :

কোন হালাল জিনিস হারাম পন্থায় উপার্জন করার কারণে তা হারাম হয়ে যায়। যেমন- সুদ, ঘুষ, জুয়া, ধোঁকা, প্রতারণা, চোরাচালান, ওজন ও পরিমাপে কম দেয়া, মালে ভেজাল মেশানো, জবরদখল, লুণ্ঠণ, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আত্মসাৎ ও খিয়ানত ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَأْكُلُوْاۤ اَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ ﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, তবে তোমাদের পরস্পরের সন্তুষ্টিতে ব্যবসা করা বৈধ। (সূরা নিসা- ২৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন