hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮৫
ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব পদ্ধতি গ্রহণ করা বৈধ
ইসলাম সাধারণত ৫টি পদ্ধতিতে ব্যবসা করার অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলো হলো :

(১) বায়‘উ মুরাবাহা : লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে নগদ মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়ের একক ব্যবসা।

(২) বায়‘উ মুয়াজ্জাল : উভয় পক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট দিন বা সময় পর্যমত্ম বাকি রেখে এক সাথে মূল্য পরিশোধের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় করার মাধ্যমে ব্যবসা।

(৩) বায়‘উস সালাম : উভয় পক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট দিন বা সময়ে পণ্য হসত্মামত্মরের শর্তে নগদ মূল্য পরিশোধ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় করার মাধ্যমে ব্যবসা। হাদীসে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ الْمَدِيْنَةَ وَالنَّاسُ يُسْلِفُوْنَ فِي الثَّمَرِ الْعَامَ وَالْعَامَيْنِ ، أَوْ قَالَ عَامَيْنِ ، أَوْ ثَلَاثَةً شَكَّ إِسْمَاعِيْلُ - فَقَالَ مَنْ سَلَّفَ فِيْ تَمْرٍ فَلْيُسْلِفْ فِيْ كَيْلٍ مَعْلُوْمٍ وَوَزْنٍ مَعْلُوْمٍ

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন মদীনায় আগমন করেন তখন মদীনার লোকেরা এক-দুই বছর অথবা দুই-তিন বছর মেয়াদে খেজুর অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় করত। এ দেখে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যে ব্যক্তি খেজুরের মূল্য অগ্রিম প্রদান করে, সে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের উল্লেখ করে অগ্রিম মূল্য প্রদান করে। [সহীহ বুখারী, হা/২২৩৯; সহীহ মুসলিম, হা/৪২০২; আবু দাউদ, হা/৩৪৬৫; তিরমিযী, হা/১৩১১; নাসাঈ, হা/৪৬১৬; ইবনে মাজাহ, হা/২২৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১৪১১; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১১১০১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২২৭৪৪; মিশকাত, হা/২৮৮৩।]

(৪) বায়‘উ মুযারাবা : এক পক্ষের মূলধন এবং অপরপক্ষের শ্রমের সমন্বয়ে যৌথ ব্যবসা। [আব্দুর রহমান আল-জাযায়রী, কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আহ (বৈরুত : দারুল ইলমিয়্যাহ, তা.বি) ৩/৩৪; শাহ ওয়ালী উল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা (বৈরুত : দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, তা.বি.) ২/১১৬।] এ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ তাদের মাঝে চুক্তিহারে বণ্টিত হবে। [মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৫৩৫; দার কুতনী, হা/৩০৭৭; ইরওয়ালুল গালীল, হা/১৪৭২; ৫/২৯২ পৃঃ; বুলুগুল মারাম, হা/৮৯৫।] রাসূলুল্লাহ ﷺ খাদীজা (রাঃ) এর মূলধন দ্বারা এরূপ যৌথ ব্যবসা করেছিলেন এবং সাহাবীগণের অনেকেই এ পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। [ইমাম শামসুদ্দীন আস-সারাখসী, আল-মাবসূত (বৈরুত : দারুল মা‘রিফাহ, ১৪১৪ হিঃ/১৯৯৩ ইং), ২২/১৮ পৃঃ।]

এ প্রকার ব্যবসায় যে ব্যক্তি পুঁজির যোগান দেয় তাকে صَاحِبُ الْمَالِ (সাহেবুল মাল) বা رَبُّ الْمَالِ (রাববুল মাল) বলা হয়। আর যে ব্যক্তি শ্রম দেয় তথা ব্যবসা পরিচালনা করে, তাকে مُضَارِبٌ (মুযারিব) বা উদ্যোক্তা বলা হয়। এখানে সাহেবুল মাল এর পুঁজি হচ্ছে ব্যবসার জন্য প্রদত্ত অর্থ-সম্পদ; আর মুযারিবের পুঁজি হচ্ছে তার শ্রম।

এ প্রকার ব্যবসায় লাভ হলে ব্যবসার শুরুতে কৃত চুক্তির শর্তানুসারে সাহেবুল মাল এবং মুযারিব উভয়েই উক্ত লভ্যাংশ বণ্টন করে নিবে। পক্ষান্তরে ব্যবসায় লোকসান হলে সম্পূর্ণ লোকসান কেবল সাহেবুল মাল তথা পুঁজি বিনিয়োগকারীকেই বহন করতে হবে এবং মুযারিবের ব্যয়িত সকল প্রকার শ্রম ও সময় ব্যর্থ হিসেবে গণ্য হবে। তবে ব্যবসা পরিচালনায় মুযারিবের অবহেলা কিংবা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের কারণে লোকসান হলে সেক্ষেত্রে লোকসানের দায়ভার মুযারিবকেই বহন করতে হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে পুঁজির মালিকের কোন ভূমিকা থাকে না। [আলী আল-খাফীফ, আশ-শিরকাতু ফী ফিকহিল ইসলামী (কায়রো : দারুন নশর, ১৯৬২ ইং), ৭৪ পৃঃ।]

(৫) বায়‘উ মুশারাকা : মূলধন ও লভ্যাংশের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক অংশীদারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা। [সা‘দী আবু হাবীব, আল-কামূসুল ফিকহ (পাকিস্তান : ইদারাতুল কুরআন ওয়াল উলূমিল ইসলামিয়্যাহ, তাবি), ১৯৫ পৃঃ; মুফতী মুহাম্মাদ তাক্বী উছমানী, অনুঃ মুফতী মুহাম্মাদ জাবের হোসাইন, ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি : সমস্যা ও সমাধান, (ঢাকা : মাকতাবাতুল আশরাফ, ২০০৫ ইং), ২৭ পৃঃ।]

এ পদ্ধতিতে ব্যবসায় লাভ হলে অংশীদারগণ পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে তা ভাগ করে নিবে। আর লোকসান হলে অংশীদারগণ নিজ নিজ পুঁজির আনুপাতিক হারে তা বহন করবে। [আবু দাউদ, হা/৪৮৩৬; বুলুগুল মারাম, হা/৮৭০; নায়লুল আওতার, হা/২৩৩৪-৩৫।]

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বায়না চুক্তি করা যাবে :

ততক্ষণাৎ পণ্য গ্রহণ না করে ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য বায়না হিসেবে অগ্রিম যা কিছু দেয়া হয় তাকে বায়না চুক্তি বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যসত্ম হয়ে যাবে।

ব্যবসার ক্ষেত্রে জামানত রাখা যাবে :

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ اشْتَرٰى طَعَامًا مِنْ يَهُوْدِيٍّ إِلٰى أَجَلٍ وَرَهَنَه دِرْعًا مِنْ حَدِيْدٍ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ লৌহ নির্মিত একটি বর্ম জামানত রেখে জনৈক ইয়াহুদির নিকট থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু খাদ্য-সামগ্রী (বাকিতে) কিনেছিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২০৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪২০০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৯৩৮; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৪৪৬৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/২১৩০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১৫২১; মিশকাত, হা/২৮৮৪।]

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ تُوُفِّيَ رَسُوْلُ اللهِ وَدِرْعُه مَرْهُوْنَةٌ عِنْدَ يَهُوْدِيٍّ بِثَلَاثِيْنَ صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ইহলোক ত্যাগ করলেন, এ সময় তাঁর বর্মখানি ত্রিশ সা‘ যবের বদলে এক ইয়াহুদির নিকট বন্ধক ছিল। [সহীহ বুখারী, হা/২৯১৬; নাসাঈ, হা/৪৬৫১; ইবনে মাজাহ, হা/২৪৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪০৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৯৭৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৯৫; মিশকাত, হা/২৮৮৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন