hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩
নিরামিষ জাতীয় খাবারের হুকুম
ইসলাম এ জাতীয় খাবারের ব্যাপারে বৈধতা দিয়েছে। তবে কিছু কিছু ব্যাপারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। যেমন-

ক্ষতিকর জিনিস খাওয়া যাবে না :

যেসব জিনিস খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো খাওয়া যাবে না।

ভালো খাদ্যকে ক্ষতিকর খাবার বানিয়ে খাওয়া যাবে না :

অনেক হালাল খাবার রয়েছে যা দ্বারা হারাম বা ক্ষতিকর খাবার তৈরি করে তা খাওয়া বা পান করা হয়। এগুলো খাওয়া বা পান করাও হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمِنْ ثَمَرَاتِ النَّخِيْلِ وَالْاَعْنَابِ تَتَّخِذُوْنَ مِنْهُ سَكَرًا وَّرِزْقًا حَسَنًا اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ﴾

তোমরা খেজুর বৃক্ষের ফল ও আঙ্গুর হতে মাদক ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করে থাক; এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (সূরা নাহল- ৬৭)

ফলের রসে এমন উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য খাদ্যে পরিণত হতে পারে; আবার এমন উপাদানও আছে, যা পরে মাদক দ্রব্যে পরিণত হয়। এখন অনেক মানুষ এ উৎসটি থেকে হালাল খাদ্য গ্রহণ করার পরিবর্তে বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তি বিনষ্টকারী মদ বা অন্য উপায়ে হারাম খাদ্যে পরিণত করে তারপর তা খায় বা পান করে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّاۤ أَنْزَلَ اللهُ لَكُمْ مِّنْ رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَامًا وَّحَلَالًا قُلِ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُوْنَ﴾

বলো, তোমরা কি ভেবে দেখেছ সে সম্পর্কে যে- আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছেন তার মধ্য থেকে তোমরা কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বলো, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এটার অনুমতি দিয়েছেন, না তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ? (সূরা ইউনুস- ৫৯)

নেশা সৃষ্টিকারী বসত্মু খাওয়া যাবে না :

ইসলামে সর্বপ্রকার নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম করা হয়েছে, তা যে কোন নামেই হোক না কেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ الله عَنْهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ - - يَقُوْلُ : كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَا أَسْكَرَ مِنْهُ الْفَرْقُ فَمِلْءُ الْكَفِّ مِنْهُ حَرَامٌ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, সর্বপ্রকার নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম। আর যে জিনিস এক ফারাক পরিমাণ ব্যবহার করলে নেশা সৃষ্টি করে, তা হাতের অঞ্জলি পরিমাণ ব্যবহার করাও হারাম। [আবু দাউদ, হা/৩৬৮৯; তিরমিযী, হা/১৮৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৪৭৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৩৮৩; মিশকাত, হা/৩৬৪৬।]

اَلْفَرْقُ (ফারাক) মদীনার একটি পরিমাপ বিশেষ, যার পরিমাণ ৩ সা‘ এর সমান। এক সা‘ আমাদের দেশীয় হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন সের। তবে এখানে ফারাক দ্বারা অনেক বেশি পরিমাণ উদ্দেশ্য।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ نَبِىَّ اللهِ - - نَهٰى عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَالْكُوْبَةِ وَالْغُبَيْرَاءِ وَقَالَ : كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মদ, জুয়া, কূবা ও গোবায়রা প্রভৃতিকে নিষেধ করেছেন এবং তিনি বলেছেন, নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিসই হারাম। [আবু দাউদ, হা/৩৬৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬২৫; বায়হাকী, হা/২০৭৮১; মিশকাত, হা/৩৬৫২।]

কূবা বলা হয় দাবা খেলা অথবা তবলা বাজানোকে। আর গোবায়রা হচ্ছে, এক প্রকার মদ। হাবশার লোকেরা গম হতে তা প্রসত্মুত করত।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ : سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ عَنِ الْبِتْعِ وَهُوَ شَرَابُ الْعَسَلِ، وَكَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَشْرَبُوْنَه فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : ‏ كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বিত‘ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো। আর এটি হলো মধু থেকে তৈরি এক প্রকার মদ, যা ইয়ামানবাসীরা পান করত। রাসূলুল্লাহ ﷺ উত্তর দিলেন, নেশা সৃষ্টিকারী যে কোন পানীয় হারাম। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৫৪০; সহীহ বুখারী, হা/৫৫৮৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৩০; আবু দাউদ, হা/৩৬৮৩; তিরমিযী, হা/১৮৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৮৬।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন