hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৯
হালাল উপার্জনের গুরুত্ব ও ফযীলত
ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। যারা হালাল উপার্জন না করে বিভিন্ন হারাম পদ্ধতিতে উপার্জন করে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রসত্ম হবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : لَا تَسْتَبْطِئُوا الرِّزْقَ فَإِنَّه لَنْ يَمُوْتَ الْعَبْدُ حَتّٰى يَبْلُغَه اٰخِرُ رِزْقٍ هُوَ لَه ، فَأَجْمِلُوْا فِي الطَّلَبِ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা রিযিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করো না। কেননা পৃথিবীতে কোন বান্দাই তার ভাগ্যে নির্ধারিত সর্বশেষ রিযিক অর্জন না করা পর্যমত্ম মৃত্যুবরণ করবে না। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩২৩৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৭০৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২১৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬০৭।]

আল্লাহ তা‘আলা সকলের রিযিক বণ্টন করে দিয়েছেন :

﴿نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا﴾

আমিই তাদের মধ্যে তাদের পার্থিব জীবনে জীবিকা বণ্টন করি।

(সূরা যুখরুফ- ৩২)

যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা সকলের রিযিক বণ্টন করে দিয়েছেন। সুতরাং সকলেই কোন না কোনভাবে সে রিযিক প্রাপ্ত হবেই। কাজেই এ ক্ষেত্রে হারাম পন্থা অবলম্বন করা মোটেও ঠিক হবে না। বরং সর্বদা স্বাভাবিকতা অবলম্বন করে আল্লাহর নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকে হালাল পন্থায় তা উপার্জন করতে হবে।

হালাল বসত্মু হতে খাওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশ :

﴿فَكُلُوْا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللهُ حَلَالًا طَيِّبًا۪ وَاشْكُرُوْا نِعْمَتَ اللهِ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে হালাল ও পবিত্র যা কিছু রিযিক হিসেবে দান করেছেন তোমরা তা হতে আহার করো এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদাত করে থাক। (সূরা নাহল- ১১৪)

পূর্ববর্তী উম্মতের উপরও এই নির্দেশ ছিল :

﴿يَا بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ قَدْ اَنْجَيْنَاكُمْ مِّنْ عَدُوِّكُمْ وَوَاعَدْنَاكُمْ جَانِبَ الطُّوْرِ الْاَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوٰى كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا تَطْغَوْا فِيْهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِيْۚ وَمَنْ يَّحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِيْ فَقَدْ هَوٰى﴾

হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে শত্রু হতে উদ্ধার করেছিলাম এবং তূর পর্বতের দক্ষিণ পার্শ্বের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আর তোমাদের নিকট মান্না ও সালওয়া প্রেরণ করেছিলাম; (অতঃপর বলেছিলাম) তোমাদেরকে রিযিক হিসেবে যা দান করেছি তা হতে পবিত্র বস্তুসমূহ আহার করো এবং এ বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করো না, নতুবা তোমাদের ওপর আমার ক্রোধ অবধারিত হয়ে যাবে। আর যার ওপর আমার ক্রোধ অবধারিত হয়, সে ধ্বংস হয়ে যায়। (সূরা ত্বা-হা- ৮০, ৮১)

হালাল উপার্জনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ :

﴿فَانْتَشِرُوْا فِى الْاَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللهِ﴾

আর তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো।

(সূরা জুমু‘আ- ১০)

হালাল উপার্জনের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নির্দেশ :

عَنْ جَابِرِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : ... ، فَأَجْمِلُوْا فِي الطَّلَبِ : أَخَذِ الْحَلَالِ وَتَرَكِ الْحَرَامِ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। হালাল উপায় গ্রহণ করো এবং হারাম উপায় বর্জন করো। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩২৩৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৭০৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২১৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬০৭।]

হালাল ভক্ষণের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নির্দেশ :

عَنْ طَرِيْفٍ أَبِيْ تَمِيْمَةَ .... فَقَالَ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُنْتِنُ مِنَ الْإِنْسَانِ بَطْنُه فَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا يَأْكُلَ إِلَّا طَيِّبًا فَلْيَفْعَلْ وَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا يُحَالَ بَيْنَه وَبَيْنَ الْجَنَّةِ بِمِلْءِ كَفِّه مِنْ دَمٍ أَهْرَاقَه فَلْيَفْعَلْ

তারীফ আবু তামীমা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, (কবরে) সর্বপ্রথম মানুষের পেট পঁচে বা গলে যাবে। অতএব যে ব্যক্তি পবিত্র বস্তু আহার করতে সক্ষম, সে যেন তা-ই আহার করে। আর যে ব্যক্তি তার ও জান্নাতের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী রক্তপাত থেকে (মানুষ হত্যা করা থেকে) মুক্ত থাকতে সক্ষম, সে যেন তা-ই করে। [সহীহ বুখারী, হা/৭১৫২; শু‘আবুল ঈমান, হা/৫৩৬৯; মিশকাত, হা/৫৩২৭।]

কিয়ামতের দিন প্রত্যেকের উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে :

عَنْ أَبِىْ بَرْزَةَ الْأَسْلَمِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : لَا تَزُوْلُ قَدَمَا عَبْدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتّٰى يُسْأَلَ عَنْ عُمْرِه فِيْمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ عِلْمِه فِيْمَا فَعَلَ وَعَنْ مَالِه مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَه وَفِيْمَا أَنْفَقَه وَعَنْ جِسْمِه فِيْمَا أَبْلَاهُ

আবু বারযা আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন কোন বান্দার পদযুগল ততক্ষণ পর্যমত্ম সরবে না, যতক্ষণ না তাকে তার আয়ু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, সে তার আয়ু কীভাবে অতিবাহিত করেছে। আর তার ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে যে, সে তাতে কতটুকু আমল করেছে। অতঃপর তাকে তার ধনসম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে যে, সে তা কোন্ উপায়ে উপার্জন করেছেন এবং কোন্ পথে ব্যয় করেছে। আর তার দেহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে যে, সে তা কোন্ কাজে নষ্ট করেছে। [তিরমিযী, হা/২৪১৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/১৪৩৫; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৬৫৩৩; সুনানে দারেমী, হা/৫৩৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১২৬।]

হালাল উপার্জন ইবাদাত কবুলের পূর্বশর্ত :

মানুষ উপার্জনের মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অতঃপর সে ঐ উপার্জিত সম্পদ থেকেই খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং কেউ যদি হালাল পন্থায় উপার্জন করে তাহলে তার শরীর ও হৃদয় সব কিছু পবিত্র থাকে। কিন্তু কেউ যদি হারাম পন্থায় উপার্জন করে অথবা হারাম বসত্মু ভক্ষণ করে, তাহলে সে আল্লাহর একজন অবাধ্য বান্দায় পরিণত হয়। এমতাবস্থায় তওবা করা ছাড়া তার কোন ইবাদাত আল্লাহ তা‘আলা কবুল করবেন না। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - - أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِيْنَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِيْنَ فَقَالَ ﴿ يَاۤ أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًا إِنِّىْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ﴾ وَقَالَ ﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ﴾ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيْلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهٗ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهٗ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهٗ حَرَامٌ وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ فَأَنّٰى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র বসত্মু ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলদেরকে যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিসসমূহ থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি অবহিত’’- (সূরা মু’মিনূন- ৫১)। তিনি আরো বলেছেন, ‘‘হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যেসব পবিত্র জিনিস রিযিক হিসেবে দিয়েছি তা থেকে আহার করো’’- (সূরা বাক্বারা- ১৭২)। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধুসরিত মলিন কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু‘আ তিনি কী করে কবুল করবেন। [সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; তিরমিযী, হা/২৯৮৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৬২১; সুনানে দারেমী, হা/২৭১৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/২০২৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/১১১৮; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ, হা/১৯৯; মুসনাদে ইবনে জাদ, হা/২০০৯; জামেউস সগীর, হা/৫৬১০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭; মিশকাত, হা/২৭৬০।]

অতএব যারা নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, সাদাকা ইত্যাদি আমলসমূহ একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে করে এবং এসব কবুল হওয়ার আশা পোষণ করে, তাদের উচিত হলো হালাল উপার্জনের দিকে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করা। নতুবা আখিরাতে পাহাড়সম ভালো আমল নিয়ে আসলেও হালাল উপার্জনের অনুপস্থিতিতে সেগুলো একেবারেই ব্যর্থ হয়ে যাবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করে থাকেন।

হালাল উপার্জনের উপায় হচ্ছে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত :

সামান্য হলেও হালাল উপার্জন করার সুযোগ বা যোগ্যতা লাভ করা আল্লাহ তা‘আলার অন্যতম নিয়ামত। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : أَرْبَعٌ إِذَا كَانَ فِيْكَ لَا يَضُرُّكُ مَا فَاتِكَ مِنَ الدُّنْيَا : حَفْظُ أَمَانَةٍ وَصِدْقُ حَدِيْثٍ وَحُسْنُ خَلِيْقَةٍ وَعِفَّةُ طُعْمَةٍ .

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, চারটি জিনিস যখন তোমার মধ্যে পাওয়া যাবে তখন দুনিয়ার অন্য সবকিছু না হলেও কিছু যায় আসে না। তা হলো- আমানতের সংরক্ষণ, সত্য কথা বলা, সুন্দর চরিত্র, হালাল উপার্জনে খাদ্য গ্রহণ করা। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৮৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৮; মিশকাত, হা/৫২২২।]

হালাল উপার্জন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত :

আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে তাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটি শুধুমাত্র নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত প্রভৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইসলামে রয়েছে জীবন ধারণের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে নির্দেশনা। এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে হালাল উপায়ে উপার্জনের ব্যবস্থা গ্রহণও একটি ইবাদাত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوْهُ وَاشْكُرُوْا لَهٗۤ إِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ﴾

অতএব তোমরা আল্লাহর কাছে রিযিক অনুসন্ধান করো, তার ইবাদাত করো এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। তারই কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তিত করা হবে। (সূরা আনকাবূত- ১৭)

হালাল উপার্জন জান্নাত লাভের উপায় :

হালাল পন্থায় উপার্জনকারী পরকালে জান্নাত লাভ করবে। আর অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সম্পদের পাহাড় গড়লেও পরকালীন জীবনে তার জন্য ভয়াবহ আযাব ও শাসিত্ম অপেক্ষা করছে।

হালাল উপার্জনের মধ্যে বরকত হয় :

উপার্জনে বরকত লাভ করতে হলে শুধুমাত্র হালাল পন্থায় উপার্জন করতে হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কেবল বৈধ উপার্জনেই বরকত দিয়ে থাকেন এবং যাবতীয় অবৈধ উপার্জনে বরকত নষ্ট করে দেন। আর তিনিই তো একমাত্র বরকত দানের মালিক। হাদীসে এসেছে,

1472 عَنْ حَكِيْمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ : سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ سَأَلْتُه فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ سَأَلْتُه فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ قَالَ ‏ : يَا حَكِيْمُ إِنَّ هٰذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَخَذَه بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُوْرِكَ لَه فِيْهِ وَمَنْ أَخَذَه بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَه فِيْهِ وَكَانَ كَالَّذِيْ يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلٰى‏ قَالَ حَكِيْمٌ : فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتّٰى أُفَارِقَ الدُّنْيَا فَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدْعُوْ حَكِيْمًا إِلَى الْعَطَاءِ فَيَأْبٰى أَنْ يَقْبَلَه مِنْهُ ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَه فَأَبٰى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا‏ فَقَالَ ( عُمَرُ ) : إِنِّيْ أُشْهِدُكُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِيْنَ عَلٰى حَكِيْمٍ أَنِّيْ أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّه مِنْ هٰذَا الْفَىْءِ فَيَأْبٰى أَنْ يَأْخُذَه ‏ فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيْمٌ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُوْلِ اللهِ حَتّٰى تُوُفِّيَ‏

হাকীম ইবনে হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট কিছু চাইলাম, ফলে তিনি আমাকে কিছু দান করলেন। আমি আবার তাঁর কাছে কিছু চাইলাম, ফলে তিনি আবার আমাকে দিলেন। আমি আবারও তাঁর কাছে কিছু চাইলাম, তিনি (এবারও) আমাকে কিছু দান করলেন এবং বললেন- হে হাকীম! এ মাল আকর্ষণীয় ও সুমিষ্ট। যে এটা নির্লোভে নেয় সে এতে বরকত লাভ করে। কিন্তু যে এটা লোভাতুর মনে গ্রহণ করে সে এতে বরকত পায় না এবং সে ঐ লোকের মতো যে আহার করতে থাকে অথচ তৃপ্ত হয় না। উপরের (দাতার) হাত নিচের (ভিক্ষুকের) হাতের চেয়ে উত্তম। হাকীম (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ প্রভুর শপথ যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন! আমি এ পৃথিবী হতে বিদায় হওয়া পর্যন্ত আপনার পরে আর কারো কাছ থেকে কোন কিছু নেব না। পরবর্তীকালে আবু বকর (রাঃ) হাকীম (রাঃ)-কে দান নেয়ার জন্য ডাকতেন। কিন্তু তিনি তাঁর নিকট হতে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করতেন। তারপর উমর (রাঃ)-ও তাকে দান গ্রহণ করার জন্য ডাকলেন, কিন্তু তিনি তাঁর কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন উমর (রাঃ) বললেন, হে মুসলিম সমাজ! আমি হাকীমের ব্যাপারে তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, এ গনীমতের মাল হতে তার প্রাপ্য আমি তাকে দান করছি, কিন্তু সে তা নিতে অস্বীকার করছে। এভাবে হাকীম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পর মৃত্যু পর্যমত্ম কারো নিকট হতে কোন কিছু নেননি। [সহীহ বুখারী, হা/১৪২৭; সহীহ মুসলিম, হা/২৪৩৪; নাসাঈ, হা/২৫৩১।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন