hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৬
হালাল উপার্জনের মূলনীতি ও শর্তাবলি
১. উপার্জনে কম বা বেশি হওয়াকে পরীক্ষা হিসেবে মনে করতে হবে :

কারো উপার্জন কম অথবা বেশি হওয়া আল্লাহর পক্ষ হতে বান্দার জন্য একটি পরীক্ষা। যারা এটাকে বিশ্বাস করে না, তারা অহংকারী হয়ে যায় এবং আল্লাহর নাফরমান বান্দাতে পরিণত হয়। এদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَأَمَّا الْإِنْسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّه فَأَكْرَمَه وَنَعَّمَه فَيَقُوْلُ رَبِّيْۤ أَكْرَمَنِ وَأَمَّاۤ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَه فَيَقُوْلُ رَبِّيْۤ أَهَانَنِ﴾

আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিযিক সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেন। (সূরা ফাজর- ১৫, ১৬)

২. সম্পদ অর্জন কারাকে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম মনে করা যাবে না :

উপার্জন করতে গিয়ে এটা মনে করা যাবে না যে, কেবল সম্পদ অর্জন করার মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ অথবা সম্পদ অর্জন করাটাই আল্লাহর নৈকট্য লাভের একমাত্র মাধ্যম। বরং এটাও মনে করতে হবে যে, কখনো কখনো সম্পদ অর্জন করাটা আল্লাহর নৈকট্য লাভে বাধা হয়েও দাঁড়াতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَاۤ أَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ أَوْلَادُكُمْ بِالَّتِيْ تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفٰۤى إِلَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُولٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوْا وَهُمْ فِي الْغُرُفَاتِ اٰمِنُوْنَ﴾

আর তোমাদের ধনসম্পদ ও সমত্মানসমত্মতি এমন বসত্মু নয়, যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। (সূরা সাবা- ৩৭)

৩. উপার্জন আল্লাহর বিধান পালনে প্রতিবন্ধক হতে পারবে না :

উপার্জন হচ্ছে আমাদের জীবন নির্বাহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে উপার্জন করার সময় এ বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে, তা যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল না করে এবং ফরয ইবাদাত থেকে বিরত না রাখে। যদি এমনটি করে তাহলে সে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সমত্মানসমত্মতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। আর যারা এরূপ করবে তারাই তো ক্ষতিগ্রসত্ম। (সূরা মুনাফিকূন- ৯)

৪. রিযিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করতে হবে :

প্রতিটি মুসলিমের জন্য রিযিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করা আবশ্যক। প্রত্যেকটি বান্দার ভাগ্যে আল্লাহ তা‘আলা যে রিযিক লিখে রেখেছেন সেটা তার নিকট আসবেই। সুতরাং রিযিক আসতে দেরি হলে কখনো ধৈর্যচ্যুত হয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা যাবে না। হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : أَيُّهَا النَّاسُ , اِتَّقُوا اللهَ وَأَجْمِلُوْا فِي الطَّلَبِ ، فَإِنَّ نَفْسًا لَنْ تَمُوْتَ حَتّٰى تَسْتَوْفِيَ رِزْقَهَا , وَإِنْ أَبْطَأَ عَنْهَا

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কোন আত্মাই তার ভাগ্যে নির্ধারিত সর্বশেষ রিযিক অর্জন না করা পর্যমত্ম মৃত্যুবরণ করবে না। [ইবনে মাজাহ, হা/২১৪৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯৮।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ ، عَنِ النَّبِيِّ أَنَّه قَالَ : وَإِنَّ الرُّوْحَ الْأَمِيْنَ نَفَثَ فِيْ رُوْعِيْ أَنَّه لَيْسَ مِنْ نَفْسٍ تَمُوْتُ حَتّٰى تَسْتَوْفِيَ رِزْقَهَا ، فَاتَّقُوا اللهَ ، وَأَجْمِلُوْا فِي الطَّلَبِ ، وَلَا يَحْمِلَنَّكُمُ اسْتِبْطَاءُ الرِّزْقِ أَنْ تَطْلُبُوْهُ بِمَعَاصِي اللهِ ، فَإِنَّه لَا يُدْرَكُ مَا عِنْدَ اللهِ إِلَّا بِطَاعَتِه

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, নিশ্চয় রুহুল আমীন আমার অমত্মরে এ কথা ঢেলে দিয়েছেন যে, কোন জীব তার রিযিক পরিপূর্ণভাবে ভোগ না করা পর্যমত্ম মৃত্যুবরণ করবে না। সাবধান! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং ধনসম্পদ উপার্জনে উত্তম নীতি অবলম্বন করো। আর রিযিক পৌঁছানোর বিলম্বতা যেন তোমাদেরকে আল্লাহর নাফরমানীর পথে উদ্বুদ্ধ না করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা আছে তা তাঁর আনুগত্য ছাড়া অর্জন করা যায় না। [শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১১১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৮৬৬; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৫৪৭৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/৯৮৯১; মিশকাত, হা/৫৩০০।]

৫. সততা বজায় রাখতে হবে :

সততা হচ্ছে সকল স্থায়ীত্বের মূল। কোন ব্যক্তির মাঝে সততা না থাকলে সে কখনো কোথাও টিকে থাকতে পারে না। চাই সেটা সামাজিক দিক থেকেই হোক, চাকুরির ক্ষেত্রেই হোক অথবা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক। এজন্য ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখতে হবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ رِفَاعَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - إِنَّ التُّجَّا رَ يُحْشَرُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فُجَّارًا إِلَّا مَنِ اتَّقٰى وَبَرَّ وَصَدَقَ

রিফা‘আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা পাপী অবস্থায় উঠবে। তবে যারা মুত্তাকী, নেককার এবং সত্যবাদী তারা ব্যতীত। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৪৪১১; ইবনে মাজাহ, হা/২১৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৯১০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৭১৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২১৪৪; সুনানে দারেমী, হা/২৫৩৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৫০৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৫৮; মিশকাত, হা/২৭৯৯।]

৬. আমানতদারিতা বজায় রাখতে হবে :

উপার্জন হালাল হওয়ার মধ্যে আমানতদারিতার গুণ থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে আমানতদারিতা রক্ষার আদেশ দিয়ে বলেন,

﴿فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ الَّذِي اؤْتُمِنَ أَمَانَتَه وَلْيَتَّقِ اللهَ رَبَّه ﴾

আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বসত্ম মনে কর, তবে যাকে বিশ্বসত্ম মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং তার রব আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বন করে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৩)

৭. অঙ্গীকার পালন করতে হবে :

যথাযথভাবে অঙ্গীকার পালন করা হচ্ছে সততা ও আমানতদারিতার আলামত। সুতরাং চাকুরি, ব্যবসা, ঋণ ইত্যাদি সকল ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে মৌখিক বা লিখিতভাবে যেসব অঙ্গীকার প্রদান করা হয়, সেগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿بَلٰى مَنْ أَوْفٰى بِعَهْدِه وَاتَّقٰى فَإِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ﴾

হ্যাঁ- অবশ্যই যে নিজ প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আলে ইমরান- ৭৬)

৮. সচ্ছতা বজায় রাখতে হবে :

সচ্ছতা হচ্ছে হালাল উপার্জনের অন্যতম নিদর্শন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।

(সূরা আহযাব- ৭০)

৯. ইলম অর্জন করতে হবে :

যদি কোন বিষয়ে ইলম না থাকে, তাহলে তার পক্ষে উক্ত বিষয়ে সঠিক সিদ্ধামত্ম নেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারো যদি হালাল-হারাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে, তাহলে তার পক্ষে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধামত্ম নেয়া অসম্ভব। আর যেসব দেশে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালু নেই সেসব দেশে তো আরো কঠিন। এজন্য কোন কিছু করার আগে তা হালাল না হারাম জেনে নিতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন