hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হালাল রিযিকের সন্ধানে

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪০
হারাম থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্ব
হারাম থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর নির্দেশ :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَأْكُلُوْاۤ اَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ وَلَا تَقْتُلُوْاۤ اَنْفُسَكُمْؕ اِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, তবে তোমাদের পরস্পরের সন্তুষ্টিতে ব্যবসা করা বৈধ। আর তোমরা একে অপরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। (সূরা নিসা- ২৯)

হারাম পন্থায় অর্জিত অনেক সম্পদের চেয়ে হালাল পন্থায় অর্জিত সামান্য সম্পদও উত্তম :

﴿قُلْ لَّا يَسْتَوِى الْخَبِيْثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ اَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيْثِۚ فَاتَّقُوا اللهَ يَاۤ اُولِى الْاَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾

বলো, মন্দ ও ভালো সমান নয়, যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে। সুতরাং হে জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ! আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা মায়েদা- ১০০)

অত্র আয়াতে ভালো-মন্দ তথা হালাল-হারামকে মর্যাদার মানদন্ডে পরিমাপ করে দেখানো হয়েছে। এখানে এ কথা অনুধাবন করানো হয়েছে যে, হারাম জিনিস বা হারাম পন্থায় অর্জিত জিনিস যত বেশি চাকচিক্যময় ও আকর্ষণীয় হোক না কেন, সেটা বিন্দু পরিমাণ হালাল জিনিসের তুলনায় ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া আবর্জনার মতো। কেননা এ চাকচিক্য কেবল পার্থিব জীবনের মধ্যে সীমিত; আর আখিরাতে এর কোন স্থান নেই। কোন ব্যক্তি যদি দুনিয়াতে এক টাকাও হালাল পন্থায় উপার্জন করে, তাহলে সেটাই আখিরাতে তার জন্য কাজে লাগবে; আর যদি কোন ব্যক্তি হারাম পন্থায় উপার্জন করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে, তাহলেও কিয়ামতের দিন তার সমসত্ম সম্পদ ধুলার মতো উড়ে গিয়ে বাতাসের সাথে মিশে যাবে। এর সামান্য পরিমাণ অংশও তার কোন কাজে আসবে না।

হালাল-হারাম যাচাই-বাছাই না করা কাফেরদের কাজ :

﴿وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْاَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ﴾

আর যারা কুফরী করেছে তারা দুনিয়ায় কিছু দিনের স্বাদ ভোগ করছে ও চতুষ্পদ জন্তুদের মতো খাওয়া-দাওয়া করছে। তবে জাহান্নামই হলো তাদের ঠিকানা। (সূরা মুহাম্মাদ- ১২)

আবু বকর (রাঃ) এর সতর্কতা :

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ لِأَبِيْ بَكْرٍ غُلَامٌ يُخْرِجُ لَهُ الْخَرَاجَ وَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَأْكُلُ مِنْ خَرَاجِه فَجَاءَ يَوْمًا بِشَيْءٍ فَأَكَلَ مِنْهُ أَبُوْ بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ تَدْرِيْ مَا هٰذَا فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ وَمَا هُوَ قَالَ : كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لِإِنْسَانٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَمَا أُحْسِنُ الْكِهَانَةَ إِلَّا أَنِّيْ خَدَعْتُهٗ فَلَقِيَنِيْ فَأَعْطَانِيْ بِذٰلِكَ فَهٰذَا الَّذِيْ أَكَلْتَ مِنْهُ فَأَدْخَلَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدَهٗ فَقَاءَ كُلَّ شَيْءٍ فِيْ بَطْنِه

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) এর একটা গোলাম ছিল, যে তাঁকে কিছু কর প্রদান করত। আর আবু বকর (রাঃ) তার কর হতে খাবার গ্রহণ করতেন। একদিন গোলামটি কিছু জিনিস নিয়ে এলো; অতঃপর আবু বকর (রাঃ) তা থেকে কিছু আহার করলেন। তখন গোলামটি তাঁকে বলল, আপনি কি জানেন এটা কী (যা আপনি খেলেন)? আবু বকর (রাঃ) বললেন, সেটা কী ছিল? গোলামটি বলল, জাহেলী যুগে আমি এক লোকের ভাগ্য গণনা করেছিলাম। অথচ আমি ভালোভাবে ভাগ্য গণনা করতে জানতাম না; বরং আমি তাকে প্রতারিত করেছিলাম মাত্র। আজ সে লোকটি আমার সাথে দেখা করে আমাকে ঐ কাজের মূল্য প্রদান করল। আর এটাই হচ্ছে সে জিনিস, যা থেকে আপনি খেলেন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) নিজের হাত মুখে প্রবেশ করে বমি করে পেটের সব কিছু বের করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৮৪২; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১১৮৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৩৮; মিশকাত, হা/২৭৮৬।]

আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার শামিল :

কোন্টি হালাল এবং কোন্টি হারাম আল্লাহ তা‘আলা তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অতঃপর তিনি কেবল হালাল পথে উপার্জন করতে, হালাল বসত্মু ভক্ষণ করতে এবং হারাম বিষয়সমূহ থেকে দূরে থাকতে আদেশ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উপার্জনের ক্ষেত্রে এবং আহার করার ক্ষেত্রে হারাম পথ বেছে নিল, সে যেন আল্লাহর নির্দেশকেই অমান্য করল এবং নিজেকে শাসিত্মর যোগ্য করে নিল। এজন্য অপবিত্র ও হারাম বস্তু খাওয়ার জন্য শয়তান প্ররোচনা দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِى الْاَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًاؗ وَلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوُّ مُّبِيْنٌ﴾

হে মানবজাতি! পৃথিবীর মধ্যে যা হালাল ও পবিত্র তা হতে খাও। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাক্বারা- ১৬৮)

শেষ যমানায় মানুষ হারামের দিকে ঝুঁকে পড়বে :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : يَأْتِيْ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يُبَالِي الْمَرْءُ مَا أَخَذَ مِنْهُ أَمِنَ الْحَلَالِ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, মানুষের সামনে এমন একটি যুগ উপস্থিত হবে, যখন কোন লোক যা থেকে (সম্পদ) আয় করছে সেটা হালাল বা হারাম কি না এর পরোয়া করবে না। [সহীহ বুখারী, হা/২০৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬১৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭২৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১০৭০৫; সুনানে দারেমী, হা/২৫৩৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/২০৩৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/৫১৭৭; মুসনাদে ইবনে জাদ, হা/২৮৪১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭২২; মিশকাত, হা/২৭৬১।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন