মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দীর্ঘ সফর করে, এলোমেলো কেশবিশিষ্ট, ধুলোয় মলিন শরীর; সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার রব! হে আমার রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারামের দ্বারা সে প্রতিপালিত হয়েছে। সুতরাং কীভাবে তার দু‘আ কবুল হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মুসনাদে ইবনে জাদ, হা/২০০৯।]
হারাম উপার্জনকারীর ইবাদাত কবুল হয় না :
যেহেতু হালাল উপার্জন করা এবং হালাল ভক্ষণ করা ইবাদাত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত। সুতরাং হারাম পন্থায় উপার্জনকারী অথবা হারাম বসত্মু ভক্ষণকারীর কোন ইবাদাত আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিস খাও এবং নেক আমল করো। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি অবগত আছি। (সূরা মু’মিনূন- ৫১)
হারাম উপার্জনের সাদাকাও কবুল হয় না :
সাদাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। এর মাধ্যমে বান্দা অনেক নেকী অর্জন করে থাকে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি হারাম পন্থায় উপার্জিত সম্পদ থেকে সাদাকা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সাদাকা কবুল করেন না। বরং এর মাধ্যমে উল্টা গুনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা এটা আল্লাহর সাথে ঠাট্টা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিষয়টি এমন যে, আল্লাহ তা‘আলা হারাম উপার্জন করতে নিষেধ করলেন, আর কেউ তাঁর অবাধ্য হয়ে সেই পন্থায় উপার্জন করে তাঁকেই উপহার দিল! হাদীসে এসেছে,
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যার মধ্যে আমানতদারী নেই তার ঈমান নেই এবং ঐ ব্যক্তির দ্বীনদারী নেই যে অঙ্গীকার পূর্ণ করে না। ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোন ব্যক্তির দ্বীন সঠিক হবে না, যতক্ষণ না সে তার জিহবাকে সঠিক করবে অর্থাৎ জবানকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আর কোন ব্যক্তির জবান সঠিক হবে না, যতক্ষণ না তার অন্তর সঠিক হবে। ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যার অত্যাচার থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। কোন বান্দা হারাম বা অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে খরচ করলে তাতে বরকত হবে না। যদি সে তা থেকে দান করে তবে তা কবুল হবে না। সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। মন্দের দ্বারা মন্দ কাটে না (অর্থাৎ হারাম মাল দান করলে গুনাহ মাফ হয় না)। কিন্তু ভালো দ্বারা মন্দ কেটে যায় (অর্থাৎ হালাল মাল দান করলে গুনাহ মাফ করা হয়)। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১০৪০১।]
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, হে কা‘ব ইবনে উজরা! সে মাংস কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যা হারাম সম্পদ দিয়ে গঠিত হয়েছে। [মুসনাদে দারেমী, হা/২৮১৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৬৪০।]
হারাম উপার্জনকারীদের জন্য জাহান্নামই উপযুক্ত স্থান :
সাঈদ ইবনে যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘আরওয়া’ নামে এক স্ত্রীলোক তার ধারণা মতে অভিযোগ আনে যে, সাঈদ জমি বিষয়ে তার হক বিনষ্ট করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীলোকটি মারওয়ানের কাছে মামলা দায়ের করে। (তা শুনে) সাঈদ বলেন, স্ত্রী লোকটির সামান্য হকও কি আমি নষ্ট করতে পারি? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে লোক (অপরের) এক বিঘত জমিনও জোর-যুলুম করে আত্মসাৎ করল, কিয়ামতের দিন সাত তবক জমিনের শিকল তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৩১৯৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪২২০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৩৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫১৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২২৪৪৮; মিশকাত, হা/২৯৩৮।]
সালিম (রাঃ) থেকে তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, যে লোক অন্যায়ভাবে সামান্য কিছু মাটিও কেড়ে নিবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক মাটির নিচ পর্যন্ত ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৫৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/২১৬৬; জামেউস সগীর, হা/১০৯২৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮৬৭; মিশকাত, হা/২৯৫৮।]
ই‘আলা ইবনে মুররা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো কোন জমি দখল করবে, তাকে এর মাটি (মাথায় করে) হাশরের মাঠে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৫৯৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২২৪৪৫; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৪২; মিশকাত, হা/২৯৫৯।]
ই‘আলা ইবনে মুররা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি দখল করে, তাকে আল্লাহ তা সাত তবকের শেষ পর্যমত্ম খুড়তে বাধ্য করবেন। অতঃপর তার গলায় এর শিকলরূপে পরিয়ে দেয়া হবে, যতক্ষণ না মানুষের বিচার শেষ হয়। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৬০৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫১৬৪; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৮১৪৬; জামেউস সগীর, হা/৪৪৮৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৪০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮৬৮; মিশকাত, হা/২৯৬০।]
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে সূর্যগ্রহণ লেগেছিল। (তখন তিনি সূর্যগ্রহণের নামায শেষ করে ভাষণ দানকালে বলেন) অবশেষে আমি জাহান্নামের মধ্যে লৌহশলাকাধারীকে দেখলাম, সে জাহান্নামের মধ্যে নিজের নাড়ীভুঁড়ি টানছে। এ ব্যক্তি নিজ লাঠি দ্বারা হজ্জ যাত্রীদের মালপত্র চুরি করত। এরপর যদি ধরা পড়ে যেত তখন বলত, আহ! আমার লাঠির সাথে লেগে গেছে। আর কেউ অসাবধান থাকলে তা নিয়ে যেত। [সহীহ মুসলিম, হা/২১৪০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৪৫৭; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৫৪৮; জামেউস সগীর, হা/১৩৮২৪; মিশকাত, হা/২৯৪২।]
হারাম পন্থায় উপার্জন করার জন্য বনী ইসরাঈলদের প্রতি আল্লাহর শাসিত্ম :
ইয়াহুদিদের বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণের কারণে এমন অনেক পবিত্র জিনিসও আমি তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলাম, যা তাদের জন্য পূর্বে হালাল ছিল। এটা এজন্য যে, এরা অনেক মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিরত রেখেছে। তারা সুদ গ্রহণ করত, অথচ তাদেরকে তা থেকে সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছিল এবং তারা অন্যের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে (ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে) গ্রাস করে নিত। সুতরাং আমি এসব কাফেরদের জন্য মর্মান্তিক শাস্তি নির্দিষ্ট করে রেখেছি। (সূরা নিসা- ১৬০, ১৬১)
সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে হারাম উপার্জনের প্রভাব :
ব্যক্তি ও সমাজের ওপর হারাম উপার্জনের প্রভাব খুবই মারাত্মক। হারাম উপার্জনের ফলে মানবজীবনের সব ধরনের বরকত ছিনিয়ে নেয়া হয়। রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। যুলুম, অন্যায়, প্রতিহিংসা ও রেষারেষির সয়লাব ঘটে। যারা হারাম খায়, পরিবার-পরিজন, ছেলে-সন্তানদের হারাম অর্থে লালনপালন করে, তারা মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়। অথচ পরিবারকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ঐ অগ্নি হতে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। (সূরা তাহরীম- ৬)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/228/41
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।