hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শামায়েলে তিরমিযী

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন ঈসা আত তিরমিযী (রহ.)

১১
অধ্যায়- ৮ : রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পোশাক-পরিচ্ছদ
পোশাক পরিধান করা কোন ক্ষেত্রে ফরয, কোন ক্ষেত্রে হারাম, কোন ক্ষেত্রে মুস্তাহাব, আবার কোন ক্ষেত্রে মুবাহ। ফরয পোশাক হলো এতটুকু পরিধান করা, যা দ্বারা সতর আবৃত করা যায়। মুস্তাহাব হলো যার ব্যাপারে শরীয়ত উৎসাহ দান করেছে। যেমন- দু’ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করা। মাকরূহ ঐ পোশাক, যা পরিধান করতে উৎসাহিত করা হয়নি। যেমন- ধনীদের সর্বদা ছিন্ন ও পুরাতন কাপড় পরিধান করা। হারাম ঐ পোশাক, যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। যেমন- পুরুষের জন্য ওজর ব্যতীত রেশমী কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রিয় পোষাক ছিল কামীস :

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : كَانَ اَحَبَّ الثِّيَابِ اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ الْقَمِيْصُ

৪৪. উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ পোষাক হিসেবে ‘কামীস’ বা জামা সর্বাধিক পছন্দ করতেন। [ইবনে মাজাহ, হা/৪০২৭।]

ব্যাখ্যা : বিভিন্ন হাদীসের ভিত্তিতে বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন ধরনের জামা পরিধান করতেন। তার কোনটির দৈর্ঘ্য ছিল টাখনু অবধি। কোনটি কিছুটা ছোট, যা হাঁটুর নিম্নভাগ পর্যন্ত ছিল। আবার কোনটির হাতা ছিল হাতের আঙ্গুলের প্রান্ত পর্যন্ত লম্বা। কোনটির হাতা কিছুটা ছোট, যা কব্জি পর্যন্ত ছিল।

পুরুষের পোশাক পরিধানের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বিশেষ দিক অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি পুরুষের পোশাকের নিচের অংশ পায়ের গোড়ালী থেকে উপরে রাখার আদেশ করেছেন এবং গোড়ালীর নিচে পাজামা, লুঙ্গি, জামা বা কোন পোশাক পরিধান করতে হারাম ঘোষণা করেছেন।

সর্বদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর লুঙ্গি ও জামা ‘টাখনুর’ উপরে থাকত। সাধারণত তিনি পোশাকের নিচের অংশ হাঁটু ও গোড়ালীর বরাবর বা ‘নিসফে সাক’ পর্যন্ত পরিধান করতেন। বিভিন্ন হাদীসে তিনি মুসলিম উম্মাহর পুরুষগণকে এভাবে পোশাক পরিধান করতে আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং মুসলিম পুরুষের জন্য স্বেচ্ছায় টাখনুর নিচে পোশাক পরিধান করা হারাম। আবু হুরায়রা, আবদুল্লাহ ইবনে উমর ও অন্যান্য সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি দাম্ভিকতার সাথে নিজের পোশাক ঝুলিয়ে পরিধান করবে, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। [সহীহ বুখারী, হা/৩৬৬৫; সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৭৮।]

মুসলিমের পোশাকের নীতি :

(১) পুরুষের পোশাক রেশমী হবে না।

(২) পোশাক সতর ঢাকার মতো হবে।

(৩) পুরুষের পোশাক মহিলাগণ পরবে না। আর মহিলা পুরুষের পোশাক পরবে না।

(৪) পোশাক যেন অহংকার প্রকাশার্থে না হয়।

(৫) পুরুষরা টাখনুর নিচে পোশাক পরিধান করবে না।

(৬) ইচ্ছাকৃতভাবে কাফিরদের সাদৃশ্য অবলম্বনার্থে তাদের পোশাক পরিধান করা যাবে না।

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর জামার বোতাম খোলা রাখতেন :

عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ ، عَنْ اَبِيْهِ قَالَ : اَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ فِي رَهْطٍ مِّنْ مُّزَيْنَةَ لِنُبَايِعَهٗ ، وَاِنَّ قَمِيْصَهٗ لَمُطْلَقٌ ، اَوْ قَالَ : زِرُّ قَمِيْصِهٖ مُطْلَقٌ ، قَالَ : فَاَدْخَلْتُ يَدِيْ فِي جَيْبِ قَمِيْصِهٖ فَمَسَسْتُ الْخَاتَمَ

৪৫. মু‘আবিয়া ইবনে কুররা (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মুযায়না গোত্রের একদল লোকের সাথে বায়‘আত গ্রহণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে উপস্থিত হলাম। এ সময় তাঁর জামার বোতাম খোলা ছিল। আমি তখন (বরকত লাভ করার জন্য) জামার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোহরে নবুওয়াত স্পর্শ করলাম। [আবু দাউদ, হা/৪০৮৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬১৯।]

ব্যাখ্যা : বিভিন্ন হাদীসের আলোকে মনে হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জামার বোতাম ছিল। তবে তিনি সাধারণত বোতাম লাগাতেন না। ফলে জামার ভেতর হাত প্রবেশ করিয়ে পিঠের মোহরে নবুওয়াত স্পর্শ করা সহজ ছিল।

তিনি ইয়ামেনী নকশী কাপড়ও পরিধান করতেন :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، اَنَّ النَّبِيَّ خَرَجَ وَهُوَ يَتَّكِئُ عَلٰى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَلَيْهِ ثَوْبٌ قِطْرِيٌّ قَدْ تَوَشَّحَ بِهٖ ، فَصَلّٰى بِهِمْ

৪৬. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা নবী ﷺ উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ)-এর কাঁধে ভর করে বাইরে বের হলেন। এ সময় তাঁর দেহে পরা ছিল একটি ইয়ামেনী নকশী কাপড়। তারপর তিনি লোকদের নামাযের ইমামতি করেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৭৮৭।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ অসুস্থতার কারণে উসামা (রাঃ) এর কাঁধে ভর করে এসেছিলেন।

তিনি নতুন কাপড় পরিধানকালে কাপড়ের নাম উচ্চারণ পূর্বক দু‘আ পাঠ করতেন :

عَنْ اَبِي سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ اِذَا اسْتَجَدَّ ثَوْبًا سَمَّاهُ بِاسْمِهٖ عِمَامَةً اَوْ قَمِيْصًا اَوْ رِدَاءً ، ثُمَّ يَقُوْلُ : اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا كَسَوْتَنِيْهِ ، اَسْاَلُكَ خَيْرَهٗ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهٗ ، وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهٖ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهٗ

৪৭. আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন নতুন কাপড় পরিধান করতেন তখন কাপড়ের নাম পাগড়ি অথবা কামীস অথবা চাদর ইত্যাদি উচ্চারণ করতেন। তারপর তিনি এ দু‘আ পড়তেন।

اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا كَسَوْتَنِيْهٖ ، اَسْاَلُكَ خَيْرَهٗ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهٗ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهٖ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهٗ

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। যেহেতু তুমিই আমাকে তা পরিধান করিয়েছ। আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ প্রার্থনা করছি, আরো কল্যাণ চাচ্ছি যে উদ্দেশে এটা তৈরি করা হয়েছে তার। আর আমি তোমার স্মরণাপন্ন হচ্ছি এর যাবতীয় অনিষ্ট হতে এবং যে উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট হতে। [আবু দাউদ, হা/৪০২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১২৬৬; ইবনে হিববান, হা/৪৫২০; সুনানে কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০০৬৮; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৮।]

ব্যাখ্যা : যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন নতুন জামা পরিধান করতেন, তখন আনন্দ প্রকাশার্থে তার নাম নির্ধারণ করতেন। যেমন- বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এ জামাটি বা পাগড়িটি দান করেছেন। তারপর দু‘আ পাঠ করে পরিধান করতেন।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর একটি প্রিয় পোষাক ছিল হিবারা :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ اَحَبَّ الثِّيَابِ اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ يَلْبَسُهُ الْحِبَرَةُ

৪৮. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কাপড় হলো (ইয়ামানে তৈরি চাদর) হিবারা। [সহীহ বুখারী, হা/৫৮১৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৬২; নাসাঈ, হা/৫৩১৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪১৪০; সুনানে কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৫৬৮।]

ব্যাখ্যা : সে সময়ে পোশাকের বিখ্যাত স্থান ইয়ামানের তৈরি ডোরা ও কারুকার্য সম্বলিত সূতী বা কাতান প্রকৃতির চাদরকে ‘হিবারা’ বলা হতো। এগুলো কখনো লাল, কখনো নীল, আবার কখনো সবুজ ডোরাকাটা হতো।

তিনি লাল রঙ্গের নকশী করা চাদরও পরিধান করতেন :

عَنْ اَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ : رَاَيْتُ النَّبِيَّ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ كَاَنِّي اَنْظُرُ اِلٰى بَرِيْقِ سَاقَيْهِ

৪৯. আবু জুহাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ -কে লাল নকশী চাদর পরা অবস্থায় দেখেছি। আজও যেন আমি তাঁর উভয় গোড়ালীর ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি। [সহীহ মুসলিম, হা/১১৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭৮১।]

তিনি লাল হুল্লা কাপড়ও পরিধান করতেন :

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : مَا رَاَيْتُ اَحَدًا مِّنَ النَّاسِ اَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ ، اِنْ كَانَتْ جُمَّتُهٗ لَتَضْرِبُ قَرِيْبًا مِّنْ مَّنْكِبَيْهِ

৫০. বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘লাল হুল্লা’ পরিহিত কাউকে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চেয়ে অধিক সুদর্শন দেখিনি। আর তাঁর কেশ (জুম্মা) উভয় কাঁধ স্পর্শ করছিল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৯০১; নাসাঈ, হা/৫০৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬৩৬; সুনানে কুবরা, হা/৯২৭৫।]

ব্যাখ্যা : এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে সেলাই ছাড়া লুঙ্গি ও চাদর। এগুলো তৎকালীন আরব দেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত পোশাক ছিল। এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ সর্বাধিক ব্যবহার করতেন। কেউ কেউ বলেছেন, চাদর ও লুঙ্গি একই প্রকারের একই রংয়ের প্রস্তুত হলে তাকে حُلَّةٌ বলে।

তিনি সবুজ চাদরও পরিধান করতেন :

عَنْ اَبِي رِمْثَةَ قَالَ : رَاَيْتُ النَّبِيَّ وَعَلَيْهِ بُرْدَانِ اَخْضَرَانِ

৫১. আবু রিমছা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ কে দুটি সবুজ চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। [নাসাঈ, হা/১৫৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/ ৭১১৭; সানানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১৭৯৪।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ তৎকালীন সময়ে প্রচলিত বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরিধান করেছেন। বিভিন্ন হাদীসের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, তার মধ্যে সবুজ, সাদা ও মিশ্রিত রং তিনি পছন্দ করতেন।

তিনি সাহাবীদেরকে সাদা রঙের কাপড় পরিধান করতে উপদেশ দিয়েছেন :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : عَلَيْكُمْ بِالْبَيَاضِ مِنَ الثِّيَابِ لِيَلْبِسْهَا اَحْيَاؤُكُمْ ، وَكَفِّنُوْا فِيْهَا مَوْتَاكُمْ ، فَاِنَّهَا مِنْ خَيْرِ ثِيَابِكُمْ

৫২. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের কাপড় পরিধান করবে। তোমাদের জীবিতরা যেন সাদা কাপড় পরিধান করে এবং মৃতদেরকে সাদা কাপড় দিয়ে দাফন দেয়। কেননা, সাদা কাপড় তোমাদের সর্বোত্তম পোশাক। [নাসাঈ, হা/৫৩২৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৫৬৬।]

عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : اَلْبَسُوا الْبَيَاضَ ؛ فَاِنَّهَا اَطْهَرُ وَاَطْيَبُ ، وَكَفِّنُوْا فِيْهَا مَوْتَاكُمْ

৫৩. সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো। কারণ, তা সর্বাধিক পবিত্র ও উত্তম। আর তা দিয়েই তোমরা মৃতদের কাফন দাও। [মু‘জামুল কাবীর, হা/৯৬৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০২৭।]

তিনি কালো রঙের পশমী চাদরও পরিধান করতেন :

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ : خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ ذَاتَ غَدَاةٍ وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مِنْ شَعَرٍ اَسْوَدَ

৫৪. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যুষে বাইরে বের হন। তখন তাঁর দেহে কালো পশমের একটি চাদর শোভা পাচ্ছিল। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৬৬; আবু দাউদ, হা/৪০৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৩৩৪; সুনানের কুবরা লিল বাইহাকী, হা/৪৩৫৩; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৪৭০৭।]

তিনি আঁটসাঁট অস্তিন বিশিষ্ট রুমী জুববা পরিধান করেছিলেন :

عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ، اَنَّ النَّبِيَّ لَبِسَ جُبَّةً رُومِيَّةً ضَيِّقَةَ الْكُمَّيْنِ

৫৫. মুগীরা ইবনে শু‘বা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ আঁটসাঁট আস্তিন বিশিষ্ট একটি রুমী জুববা পরিধান করেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮২৬৫।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন যে পোশাক পেয়েছেন তাই ব্যবহার করেছেন। তিনি সুতি, পশমী ও কাতানের তৈরি প্রভৃতি পোশাক ব্যবহার করেছেন। সবুজ, লাল, হলুদ, সাদা, কালো ও মিশ্রিত যখন যে রংয়ের পোশাক পেয়েছেন পরিধান করেছেন। কারণ আরবে কোন পোশাক তৈরি হতো না। এগুলো মক্কা-মদিনার বাইরে সিরিয়া, ইয়ামান প্রভৃতি দেশে তৈরি হতো। তাই ব্যবসায়ীগণ যে পোশাক আনতেন তাই সাধ্যমতো ক্রয় করে বা উপহার হিসেবে যা পেতেন তাই ব্যবহার করতেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي عَيْشِ رَسُوْلِ اللهِ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন