hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শামায়েলে তিরমিযী

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন ঈসা আত তিরমিযী (রহ.)

৪১
অধ্যায়- ৩৮ : রাসূলুল্লাহ ﷺ এর রাত্রে গল্প বলা
عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَلَسَتْ اِحْدٰى عَشْرَةَ امْرَاَةً فَتَعَاهَدْنَ وَتَعَاقَدْنَ اَنْ لَا يَكْتُمْنَ مِنْ اَخْبَارِ اَزْوَاجِهِنَّ شَيْئًا : فَقَالَتِ الْأُوْلٰى : زَوْجِي لَحْمُ جَمَلٍ غَثٍّ عَلٰى رَأْسِ جَبَلٍ وَعْرٍ ، لَا سَهْلٌ فَيُرْتَقٰى ، وَلَا سَمِيْنٌ فَيُنْتَقَلُ . قَالَتِ الثَّانِيَةُ : زَوْجِي لَا اَبُثُّ خَبَرَهٗ ، اِنِّيْ اَخَافُ اَنْ لَا اَذَرَهٗ ، اِنْ اَذْكُرْهُ اَذْكُرْ عُجَرَهٗ وَبُجَرَهٗ . قَالَتِ الثَّالِثَةُ : زَوْجِي الْعَشَنَّقُ ، اِنْ اَنْطِقْ أُطَلَّقْ ، وَاِنْ اَسْكُتْ أُعَلَّقْ . قَالَتِ الرَّابِعَةُ : زَوْجِيْ كَلَيْلِ تِهَامَةَ ، لَا حَرٌّ وَلَا قُرٌّ ، وَلَا مَخَافَةَ وَلَا سَاٰمَةَ . قَالَتِ الْخَامِسَةُ : زَوْجِيْ اِنْ دَخَلَ فَهِدَ ، وَاِنْ خَرَجَ اَسِدَ ، وَلَا يَسْاَلُ عَمَّا عَهِدَ . قَالَتِ السَّادِسَةُ : زَوْجِيْ اِنْ اَكَلَ لَفَّ ، وَاِنْ شَرِبَ اشْتَفَّ ، وَاِنِ اضْطَجَعَ التَّفَّ ، وَلَا يُولِجُ الْكَفَّ لِيَعْلَمَ الْبَثَّ . قَالَتِ السَّابِعَةُ : زَوْجِيْ عَيَايَاءُ اَوْ غَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ كُلُّ دَاءٍ لَهٗ دَاءٌ ، شَجَّكِ اَوْ فَلَّكِ اَوْ جَمَعَ كُلًّا لَكِ . قَالَتِ الثَّامِنَةُ : زَوْجِيْ الْمَسُّ مَسُّ اَرْنَبٍ وَالرِّيْحُ رِيْحُ زَرْنَبٍ . قَالَتِ التَّاسِعَةُ : زَوْجِي رَفِيْعُ الْعِمَادِ طَوِيْلُ النِّجَادِ عَظِيْمُ الرَّمَادِ قَرِيْبُ الْبَيْتِ مِنَ النَّادِ . قَالَتِ الْعَاشِرَةُ : زَوْجِيْ مَالِكٌ وَمَا مَالِكٌ مَالِكٌ خَيْرٌ مِنْ ذٰلِكِ ، لَهٗ اِبِلٌ كَثِيْرَاتُ الْمَبَارِكِ ، قَلِيْلَاتُ الْمَسَارِحِ ، اِذَا سَمِعْنَ صَوْتَ الْمِزْهَرِ اَيْقَنَّ اَنَّهُنَّ هَوَالِكُ . قَالَتِ الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ : زَوْجِيْ اَبُو زَرْعٍ وَمَا اَبُو زَرْعٍ ؟ اَنَاسَ مِنْ حُلِيٍّ أُذُنَيَّ ، وَمَلَا مِنْ شَحْمٍ عَضُدَيَّ ، وَبَجَّحَنِيْ فَبَجَحَتْ اِلَيَّ نَفْسِيْ ، وَجَدَنِيزْ فِيْ اَهْلِ غُنَيْمَةٍ بِشِقٍّ فَجَعَلَنِيْ فِيْ اَهْلِ صَهِيْلٍ وَاَطِيْطٍ وَدَائِسٍ وَمُنَقٍّ ، فَعِنْدَهٗ اَقُوْلُ فَلَا أُقَبَّحُ ، وَاَرْقُدُ فَاَتَصَبَّحُ وَاَشْرَبُ فَاَتَقَمَّحُ ، أُمُّ اَبِيْ زَرْعٍ فَمَا أُمُّ اَبِيْ زَرْعٍ ، عُكُوْمُهَا رَدَاحٌ ، وَبَيْتُهَا فَسَاحٌ ، ابْنُ اَبِيْ زَرْعٍ ، فَمَا ابْنُ اَبِيْ زَرْعٍ ، مَضْجَعُهٗ كَمَسَلِّ شَطْبَةٍ ، وَتُشْبِعُهٗ ذِرَاعُ الْجَفْرَةِ ، بِنْتُ اَبِيْ زَرْعٍ ، فَمَا بِنْتُ اَبِيْ زَرْعٍ ، طَوْعُ اَبِيْهَا وَطَوْعُ أُمِّهَا ، مِلْءُ كِسَائِهَا ، وَغَيْظُ جَارَتِهَا ، جَارِيَةُ اَبِيْ زَرْعٍ ، فَمَا جَارِيَةُ اَبِيْ زَرْعٍ ، لَا تَبُثُّ حَدِيْثَنَا تَبْثِيْثًا ، وَلَا تُنَقِّثُ مِيْرَتَنَا تَنْقِيْثًا ، وَلَا تَمْلَأُ بَيْتَنَا تَعْشِيْشًا ، قَالَتْ : خَرَجَ اَبُوْ زَرْعٍ وَالْاَوْطَابُ تُمْخَضُ ، فَلَقِيَ امْرَاَةً مَعَهَا وَلَدَانِ لَهَا كَالْفَهْدَيْنِ ، يَلْعَبَانِ مِنْ تَحْتِ خَصْرِهَا بِرُمَّانَتَيْنِ ، فَطَلَّقَنِيْ وَنَكَحَهَا ، فَنَكَحْتُ بَعْدَهٗ رَجُلًا سَرِيًّا ، رَكِبَ شَرِيًّا ، وَاَخَذَ خَطِّيًّا ، وَاَرَاحَ عَلَيَّ نَعَمًا ثَرِيًّا ، وَاَعْطَانِيْ مِنْ كُلِّ رَائِحَةٍ زَوْجًا ، وَقَالَ : كُلِيْ أُمَّ زَرْعٍ ، وَمِيْرِيْ اَهْلَكِ ، فَلَوْ جَمَعْتُ كُلَّ شَيْءٍ اَعْطَانِيْهِ ، مَا بَلَغَ اَصْغَرَ اٰنِيَةِ اَبِيْ زَرْعٍ . قَالَتْ عَائِشَةُ : فَقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ  : كُنْتُ لَكِ كَاَبِيْ زَرْعٍ لِأُمِّ زَرْعٍ

১৮৮. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ১১ জন মহিলা এ মর্মে প্রতিশ্রুতিবব্ধ হলো যে, তারা তাদের নিজ নিজ স্বামী সম্পর্কে সব খুলে বলবে এবং কোন কিছুই গোপন করবে না।

প্রথম মহিলা বলল, আমার স্বামী অলস, অকর্মণ্য, দুর্বল উটের গোশততুল্য, তা আবার পর্বত চূড়ায় সংরক্ষিত; যা ধরাছোঁয়া দুঃসাধ্য। তার আচরণ রুক্ষ। ফলে তার কাছে যাওয়া যায় না। সে স্বাস্থ্যবানও নয়, আর তাকে ত্যাগও করতে পারছি না।

দ্বিতীয় মহিলা বলল, আমার স্বামী এমন যে, আমি আশংকা করছি, তার দোষত্রুটি বর্ণনা করে শেষ করতে পারব না। আর আমি যদি বর্ণনা করে দেই, তাহলে কেবল দোষত্রুটিই বর্ণনা করব।

তৃতীয় মহিলা বলল, আমার স্বামী দীর্ঘদেহ বিশিষ্ট, দেখতে কদাকার। আমি কথা বললে (উত্তরে আসে) তালাক। আর নীরব থাকলে সে তো ঝুলন্ত রশি (অর্থাৎ কিছু চাইলে বদ মেজাজের সম্মুখীন হতে হয় এবং নীরব থাকলে হতে হয় বঞ্চিত)।

চতুর্থ মহিলা বলল, আমার স্বামী তিহামার রাত্রির ন্যায়- না (প্রচন্ড) গরম, আর না (প্রচন্ড) ঠান্ডা। তার থেকে কোন ভয়-ভীতি কিংবা অস্বস্তির কারণ নেই।

পঞ্চম মহিলা বলল, আমার স্বামী ঘরে এলে মনে হয় চিতাবাঘ আর বাইরে বের হলে সে হয় সাহসী সিংহ। বাড়িতে কি ঘটল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে না।

ষষ্ঠ মহিলা বলল, আমার স্বামী যখন খায়, তৃপ্তি ভরে খায়। আর পান করলে সব সাবাড় করে দেয় এবং কোন কিছু অবশিষ্ট রাখে না। আর যখন ঘুমাতে চায়, চাদর দেহে জড়িয়ে দেয়। আমার কোন বিপদাপদ আছে কি না তা হাত বাড়িয়েও দেখে না।

সপ্তম মহিলা বলল, আমার স্বামী অক্ষম, কথা বলতে পারে না, সব ধরনের রোগে আক্রান্ত। সে আমার মস্তক চূর্ণ করতে পারে অথবা মারধোর করে হাড়গোড় সব ভেঙ্গে দিতে পারে বা উভয়টিও করতে পারে।

অষ্টম মহিলা বলল, আমার স্বামীর পরশ খরগোশের ন্যায় কোমল। (তার ব্যবহৃত সুগন্ধি) জাফরানের সুগন্ধির ন্যায়।

নবম মহিলা বলল, আমার স্বামী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ত্ব। অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ, দীর্ঘ দেহবিশিষ্ট, তার বৈঠকখানা ঘরের নিকটবর্তী।

দশম মহিলা বলল, আমার স্বামী হলো আমার মালিক। মালিকের প্রশংসা কী আর করব (উপরে বর্ণিত সকলের প্রশংসা একত্র করলেও তার গুণ গেয়ে শেষ করা যাবে না)। তার রয়েছে অসংখ্য উট, অধিকাংশ সময় সেগুলো বাধাই থাকে। খুব কমই মাঠে চরানো হয়। এসব উট যখন বাদ্যের ঝংকার শোনে, তখন তারা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, তাদেরকে যবেহ করা হবে।

একাদশ মাহিলা উম্মে যার‘আ বলল, আমার স্বামী আবু যার‘আ। আবু যার‘আর কী আর প্রশংসা করব, সে তো অলংকার দিয়ে আমার দু’কান ভর্তি করে দিয়েছে, উপাদেয় খাবার খাইয়ে দু’বাহু চর্বিযুক্ত করে দিয়েছে। আমাকে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে রেখেছে। ফলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছি। আমি ছিলাম বকরী রাখালের কন্যা, খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে হতো। আমি এখন অসংখ্য ঘোড়া, উট ও বকরী পালের মধ্যে তথা পর্যাপ্ত ধন-সম্পদের মধ্যে আছি। আমি তাকে কিছু বললেও আমাকে মন্দ বলত না। সারাক্ষণ নিদ্রায় কাটালেও কিছুই বলত না। পর্যাপ্ত খাওয়ার পরও খাবার অবশিষ্ট থাকত।

উম্মে আবু যার‘আর (একাদশ মহিলার শাশুড়ির) প্রশংসাই বা কি করব! তার বড় বড় পাত্রগুলো সর্বদা খানায় পরিপূর্ণ থাকতো। আর তার বাড়ির সীমানা সুবিশাল। ইবনে আবু যার‘আ তরবারির ন্যায় সূক্ষ্ম, বকরীর একটি উরুর গোশত তার জন্য যথেষ্ট। আবু যার‘আর কন্যা সম্পর্কেই কী বলব! পিতামাতার অনুগত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী, স্বাস্থ্যবান সতীনদের অন্তর্জ্বালার কারণ। আবু যার‘আর পরিচারিকার কথাই বা কি বলব! সে ঘরের গোপন তথ্য ফাঁস করে না। আমাদের খাবার বিনা অনুমতিতে হাত দেয় না। বাড়িতে কখনো আবর্জনা জমা করে রাখে না। সে (একাদশ মহিলা) বলল, আমি এমনই সুখ শান্তি, আদর সোহাগ সমৃদ্ধির মধ্যে দিনকাল কাটাচ্ছিলাম। এমন সময় একবার আবু যার‘আ বাইরে যান এবং দেখতে পান যে, স্বাস্থ্যবান দুটি শিশু তাদের মায়ের স্তন নিয়ে খেলা করছে। এরপর আবু যার‘আ আমাকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেন।

এরপর আমি একজন বিত্তশালী উষ্ট্রারোহী ব্যক্তিকে বিয়ে করি। সেও আমাকে পর্যাপ্ত সামগ্রী জোড়ায় জোড়ায় দিয়েছিল। সে স্বামী বলল, উম্মে যার‘আ! তৃপ্তি সহকারে খাও এবং ইচ্ছেমতো তোমার বাপের বাড়িতে পাঠাও। সে মহিলা বলল, তার দান-দক্ষিণার যাবতীয় বস্তু একত্র করলে আবু যার‘আর সামান্যও হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, আবু যার‘আ যেমন উম্মে যার‘আর জন্য, আমিও ঠিক তদ্রুপ তোমার জন্য। (কিন্তু কখনো আবু যার‘আর মতো তোমাকে তালাক দেব না।) [সহীহ বুখারী, হা/৫১৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৫৮; ইবনে হিববান, হা/৭১০৪; জামেউস সগীর, হা/১৪১।]

ব্যাখ্যা : এ হাদীস থেকে বুঝা যায়- এশার পর প্রয়োজনীয় জাগতিক কথা বলা জায়েয। বিশেষত পরিবারের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে বিশ্বাসগত সমস্যা মুক্ত গল্প ও কিচ্ছা কাহিনী বলা জায়েয। এটা পরিবারের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপনের অংশ।

হাদীসের শিক্ষা

এ হাদীস থেকে অনেক শিক্ষা লাভ হয়।

১. স্ত্রী-পরিবারের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করা।

২. আয়েশা (রাঃ) এর বিশেষ ফযীলত ও মর্যাদা স্পষ্ট হয়ে উঠে।

৩. রাতে এশার পর প্রয়োজনীয় আলোচনা করা ও পরিবারের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে ত্রুটিমুক্ত গল্প করা বৈধ।

৪. অতীত জাতীসমূহের ত্রুটিমুক্ত কিচ্ছাকাহিনী বর্ণনা করা জায়েয।

৫. কোন অনির্দিষ্ট ব্যক্তি; শ্রোতা যাকে চিনে না, তার দোষ বলা গীবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

بَابُ مَا جَاءَ فِي نَوْمِ رَسُوْلِ اللهِ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন