মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
২৮৪. সিমাক ইবনে হার্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নু‘মান ইবনে বশীর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কি তোমাদের চাহিদামতো খাওয়া-দাওয়ায় তৃপ্ত নও? অথচ নবী ﷺ কে দেখেছি যে, পেটভরে খাওয়ার মতো খারাপ খেজুরও তাঁর ঘরে থাকত না। [সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৫০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৩৪০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৫৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৭৫; মিশকাত, হা/৪১৯৫।]
কখনো কখনো তাঁর পরিবারের চুলায় ১ মাসের অধিক সময় পর্যন্তও আগুন জ্বালানো হতো না :
২৮৫. আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আমাদের নবীর পরিবারে কখনো এমন হতো যে, এক মাসের অধিক সময় পর্যন্ত আগুন জ্বালানো হতো না; শুধু পানি ও খেজুর খেয়ে কাটাতাম। [সহীহ বুখারী, হা/৬৪৫৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৭৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৩৬১।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ ও কয়েকজন সাহাবীর ক্ষুধাকালীন এক সময়ের ঘটনা :
২৮৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী ﷺ এমন সময় ঘর থেকে বের হলেন, যখন সচরাচর তিনি বের হন না। কেউ সাক্ষাৎ করতেও আসে না। এমন সময় আবু বকর (রাঃ) তাঁর কাছে আসলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ হে আবু বকর! বললেন, আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, তাঁর চেহারা দেখতে ও সালাম জানাতে এসেছি। কিছুক্ষণ পর উমর (রাঃ) আসলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ উমর? বললেন, ক্ষুধার তাড়নায় হে আল্লাহর রাসূল! রাসূলুল্লাহ বললেন, আমিও তা-ই অনুভব করছি।
অতঃপর তারা তিনজনই আবুল হায়সাম ইবনে তায়্যিহান আল আনসারীর বাড়ি গেলেন। তাঁর অনেক খেজুর বাগান, ফল বাগান ও ছাগলের পাল। কিন্তু কোন খাদেম ছিল না। তাঁরা তার দেখা পেলেন না। ফলে তাঁরা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার স্বামী কোথায় গিয়েছেন? বলল, আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরই আবুল হায়ছাম পানির পাত্র নিয়ে ফিরে আসলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর পিতামাতাকে উৎসর্গ করতে থাকেন।
তারপর তাদেরকে নিয়ে বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য বিছানা বিছিয়ে দিলেন। খেজুর বাগান হতে এক ছড়া খেজুর এনে দেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমাদের জন্য তাজা খেজুর বেছে আনলে না কেন? (পূর্ণ একটি ছড়া আনার কি প্রয়োজন ছিল)। আবুল হায়ছাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি চাই আপনি তা হতে কাঁচা ও পাকা খেজুর বেছে নিন। অতঃপর তারা সকলেই খেজুর খেলেন এবং পানি পান করলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, এসবও সেসব নিয়ামতের মধ্যে গণ্য, কিয়ামতের দিন যেগুলোর হিসাব নেয়া হবে। তা হলো, শীতল ছায়া, তরতাজা খেজুর ও ঠান্ডা পানি।
অতঃপর আবুল হায়সাম তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমাদের জন্য যেন দুগ্ধবতী ছাগী যবেহ করা না হয়। অতঃপর তাঁদের জন্য একটি বাচ্চা ছাগল যবেহ করা হলো এবং যথাশ্রীঘ্র খাবার হাযির করা হলো এবং তাঁরা আহার করলেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, তোমার কোন খাদেম আছে কি? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমাদের যখন কোন গোলাম আসবে, তখন আমাকে মনে করিয়ে দিও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে ২ জন গোলাম আসল। তাদের সঙ্গে তৃতীয় কেউ ছিল না। এমন সময় আবুল হায়সাম সেখানে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, এ ২ জনের মধ্য হতে একজনকে বেছে নাও। বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনিই বেছে দিন। নবী ﷺ বললেন, পরামর্শদাতা বিশ্বস্ত হয়। অতএব তুমি একে নাও। কারণ, আমি তাকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর আমি তোমাকে তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জন্য অসিয়ত করছি।
অতঃপর আবুল হায়সাম স্ত্রীর কাছে ফিরে গেলেন এবং তাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অসিয়তের কথা শুনালেন। তাঁর স্ত্রী বললেন, আপনার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কথা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে। অতএব আপনি গোলামকে আযাদ করে দিন। তাতে আবুল হায়ছাম গোলামটিকে আযাদ করে দেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রত্যেক নবী ও খলীফার জন্য ২ জন গোপন পরামর্শদাতা সৃষ্টি করে দেন। একজন সৎপরামর্শ দেয় এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখে। অপরজন ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে ইতস্তত করে না। যে ব্যক্তিকে তার মন্দ স্বভাব থেকে নিরাপদ রাখা হয়েছে, তাকে সকল অন্যায় হতে নিরাপদ রাখা হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৩৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭১৭৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৯৬; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৫৮৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬১২; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪২৮২।]
শিয়াবে তালিবের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ কে গাছের চামড়া ও পাতা খেয়ে জীবনপাত করতে হয়েছিল :
২৮৭. সা‘দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইসলামের প্রথম ব্যক্তি, যে কাফিরদের রক্ত প্রবাহিত করেছে। আমি প্রথম ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করেছে। আমরা মুহাম্মাদ ﷺ এর সাহাবীরা এমন অবস্থায় যুদ্ধ করেছি যে, গাছের বাকল ও পাতা ছাড়া কিছুই খেতে পেতাম না। এসব খাওয়ার ফলে আমাদের মুখে ঘা হয়ে যেত। এমনকি উট ও বকরীর মলের ন্যায় চর্বিযুক্ত মল পড়ত। তা সত্ত্বেও বনূ আসাদের লোকেরা দীন সম্পর্কে আমাকে অভিযুক্ত করেছে। দীন সম্পর্কে যদি আমি অজ্ঞই হই, তবে তো আমার সকল আমলই বরবাদ হয়ে গেল। [সহীহ বুখারী, হা/৩৭২৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৯২৩।]
ব্যাখ্যা : ইমাম তিরমিযী (রহঃ) এর এ হাদীস বর্ণনার উদ্দেশ্য হলো, ইসলামের প্রথম যুগের মুসলমানদের চেষ্টা এবং কষ্ট-ক্লেশের কথা বর্ণনা করা। তাই তিনি হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ৩০ রাত পর্যন্তও সামান্য আহারেই কাটিয়ে ছিলেন :
২৮৮. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাকে আল্লাহর পথে এমন ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, যখন আর কাউকে ভয় প্রদর্শন করা হয়নি। আমাকে আল্লাহর পথে এমনভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে, যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। আমাদের ৩০টি রাত এমনভাবে অতিবাহিত হয়েছে, যখন বিলালের বগলের নিচে লুকিয়ে রাখা সামান্য খাদ্য ছাড়া আমার ও বিলালের আহারের মতো কিছুই ছিল না। [ইবনে মাজাহ, হা/১৫১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪০৮৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৮০; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩২০৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৫৬০; মুসানণাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৭৭২১।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে কখনো রুটি ও গোশত একত্রিত হতো না :
২৮৯. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। দিনের খাবারই হোক কিংবা রাতের খাবার, কোন সময়ই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে রুটি-গোশত একত্রিত হতো না। তবে মেহমানদারীর জন্য দস্তরখানায় তা থাকত। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৮৮৬; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৩১০৮; ইবনে হিববান, হা/৬৩৫৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৮৯।]
আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেন, ضَفَفٍ -এর অর্থ হলো অনেক হাত একত্রিত হওয়া।
ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন মেহমান ছাড়া একা খেতেন, তখন রুটি বা গোশত যাই থাকত, খেয়ে নিতেন। অন্যটার অপেক্ষা করতেন না। আর মেহমানের আপ্যায়নের উদ্দেশে রুটি ও গেশত সাধ্যমতো উভয়টির ব্যবস্থা করতেন। তখন এক সাথে উভয়টি খাওয়ার সুযোগ হতো।
- بَابُ : مَا جَاءَ فِي سِنِّ رَسُوْلِ اللهِ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/357/55
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।