মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১৬৮. আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৭৫০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৩৫০; শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৬৮৭।]
ব্যাখ্যা : পূর্বের অধ্যায়ের এক হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে- রাসূলুল্লাহ ﷺ সর্বদা চিন্তিত থাকতেন। আর এ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বেশি বেশি মুচকি হাসতেন। এ দু’হাদীসের সমন্বয় হলো রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অন্তর সর্বদা চিন্তিত থাকত। কিন্তু লোকদের তিনি বুঝতে দিতেন না তাই তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন। এটা ছিল তাঁর উন্নত চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
১৭০. আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আমি সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিকে ভালোভাবে জানি। আর যে ব্যক্তি সর্বশেষ জাহান্নাম হতে নাজাত পাবে, তাকেও জানি। কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে (আল্লাহর নিকট উপস্থিত করে) বলা হবে, এর সগীরা গুনাহগুলো উপস্থাপন করো এবং কবীরা গুনাহগুলো গোপন করে রাখো। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি অমুক অমুক দিনে এই এই গুনাহ করেছ। তখন সে ব্যক্তি সবগুলো স্বীকার করবে এবং একটিও অস্বীকার করবে না। এরপর সে তার কবীরা গুনাহসমূহ সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তখন ঘোষণা দেয়া হবে যে, তার প্রতিটি মন্দ কাজের বিনিময়ে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করো। এরপর সে বলবে, নিশ্চয় এখনও আমার অনেক গুনাহ বাকী আছে, যা দেখতে পাচ্ছি না। আবু যর (রাঃ) বলেন, তখন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ মুচকি হাসছেন; এমনকি তাঁর সাদা দাঁতগুলো দেখা যাচ্ছিল। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৪৩০; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩৯৮৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪৩৬০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩০৫২।]
১৭১. জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ইসলাম গ্রহণের পর হতে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে (তাঁর কাছে আসতে) বাধা দেননি। আর আমাকে দেখা মাত্রই তিনি হাসতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩০৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬৫১৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৯৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭২০০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৩৪৯।]
১৭২. আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সর্বশেষে জাহান্নাম হতে নাজাত পেয়ে বের হয়ে আসবে, আমি তাঁকে চিনি। সে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম হতে বের হয়ে আসবে। এরপর তাকে বলা হবে, এসো। জান্নাতে প্রবেশ করো। ঘোষণা মুতাবিক সে (জান্নাতের দিকে) যাবে এবং সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবে কোথাও ঠাঁই নাই। লোকেরা সকল স্থান অধিকার করে আছে। অতঃপর সে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! লোকেরা তো সব স্থানই দখল করে আছে। তখন তাকে বলা হবে, তোমার সে কালের (দুনিয়ার) কথা স্মরণ আছে কি, যেখানে তুমি অবস্থান করেছিলে? সে বলবে, জি-হ্যাঁ। সবই আমার মনে পড়ে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তাকে বলা হবে, তোমার মনে যা চায়, তা আকাঙ্ক্ষা করো। তিনি বলেন, তখন সে আকাঙ্ক্ষা করবে। এরপর তাকে বলা হবে, তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করলে তাই তোমার জন্য মঞ্জুর করা হলো এবং তোমাকে দশ দুনিয়ার সমান দেয়া হবে। তিনি বলেন, তখন সে বলবে, আপনি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি আমার মালিক সারা জাহানের সম্রাট! তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এমতাবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মুচকি হাসি দিতে দেখলাম, এমনকি তাঁর দাঁত দেখা যাচ্ছিল। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৮০; ইবনে হিববান, হা/৭৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৫৯৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪৩৫৬।]
১৭৩. আলী ইবনে রবী‘আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আলী (রাঃ) এর সামনে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে একটি জানোয়ারকে আরোহণের জন্য আনা হলো। যখন তিনি সে পশুটির পাদানীতে পা রাখলেন এবং বললেন, ‘‘বিসমিল্লা-হ’’। অতঃপর জানোয়ারের পিঠে যখন সোজা হয়ে বসলেন তখন বললেন, ‘‘আলহাম্দু লিল্লা-হ’’ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) অতঃপর বললেন :
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মহান সত্তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করেছেন। আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম নই। বস্তুত আমরা তার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি। [সূরা যুখরুফ- ১৪।]
এরপর তিনি ৩ বার ‘‘আলহাম্দু লিল্লা-হ’’ এবং ৩ বার ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ পাঠ করলেন। এরপর এ দু‘আ পড়লেন :
অর্থাৎ আল্লাহ পবিত্র! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর সীমালঙ্ঘন করেছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই।
এরপর তিনি হাসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার হাসি পেল? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে এমনভাবে দেখেছি যেভাবে আমি এইমাত্র কথা ও কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপর তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন জিনিস আপনাকে হাসাল? তিনি বললেন, তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দার এ কথা খুবই পছন্দ করেন যখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও, এ বিশ্বাস রেখে যে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৩; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/১৩৪; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/৮৭৪৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৪৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৯৮।]
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।