মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে বাঁচিয়ে দিন সে দিনের আযাব থেকে যেদিন আপনার বান্দাদের পুনরুত্থিত করা হবে। [আবু দাউদ, হা/৫০৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬৫৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩১০; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৩৮৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৫৪।]
ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ কর্তৃক নিষ্পাপ হওয়া অবগত সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলার দাসত্ব ও বিনয় প্রকাশ এবং উম্মতকে শিক্ষা দান করার নিমিত্তে এসব দু‘আ করতেন।
নিদ্রায় যাওয়া এবং নিদ্রা থেকে উঠার সময় এ দু‘আ পাঠ করতেন :
অর্থাৎ সকল প্রশংসা আল্লাহর! যিনি মৃত্যুর পর জীবন দিয়েছেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; আবু দাউদ, হা/৫০৫১; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩১৯; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৩৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩৯।]
নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করতেন :
১৯১. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন শোয়ার জন্য বিছানায় যেতেন তখন দু’হাত মিলিয়ে সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করতেন। তারপর ফুঁ দিয়ে যথাসম্ভব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীরে তিনবার হাত বুলিয়ে দিতেন। তারপর মুখমন্ডল ও শরীরের সামনের অংশেও অনুরূপ বুলাতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫০১৭; আবু দাউদ, হা/৫০৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৯৭।]
১৯২. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ নিদ্রায় গেলেন এমনকি তাঁর নাক ডাকতে আরম্ভ করে। আর যখন তিনি নিদ্রা যেতেন তখন নাক ডাকতেন। অতঃপর বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সালাতের প্রস্তুতি গ্রহণের অনুরোধ জানান। তারপর তিনি দাঁড়ালেন এবং সালাত আদায় করলেন; কিন্তু ওযূ করলেন না। হাদীসে আরো ঘটনা রয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩১৯৪; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৩৬; বায়হাকী, হা/১৩১৬৩।]
ব্যাখ্যা : এতে বুঝা গেল যে, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ গভীর ঘুমে যেতেন তখন গলা থেকে আওয়াজ বের হতো। আর নবীগণের বৈশিষ্ট্য হলো, ঘুমের কারণেও তাঁদের ওযূ নষ্ট হয় না। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুম থেকে উঠে ওযূ না করেই নামায আদায় করেছেন। এর কারণ হিসেবে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নবীদের চোখ ঘুমায়, অন্তর ঘুমায় না। [মুয়াত্তা মালেক, হা/২৬৩; সহীহ বুখারী, হা/১১৪৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৭৫৭।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ শয্যা গ্রহণকালে এ দু‘আটিও পাঠ করতেন :
অর্থাৎ সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের আহার করান ও পান করান। তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই নিদ্রা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের কোন যথেষ্টকারী নেই এবং কোন আশ্রয়দাতাও নেই। [সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬৯; আবু দাউদ, হা/৫০৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৫৭৪; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৪০।]
২৯৪. আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ (সফরে) যখন রাতে বিশ্রাম নিতেন তখন ডান কাতে বিশ্রাম নিতেন। আর যদি ভোর হওয়ার উপক্রম হতো তাহলে ডান হাত দাঁড় করে হাতের তালুর উপর মাথা রাখতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৬৮৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৬৩১; বায়হাকী, হা/১০১২৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৩৫৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/২৫৫৮।]
ব্যাখ্যা : রাত্রিকালীন সফরে কোথাও যাত্রা বিরতি করলে, সময় বেশি থাকলে শুয়ে ঘুমাতেন। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অভ্যাস ছিল, তিনি ডান কাতে শুতেন। সময় কম থাকলে কনুই খাড়া করে হাতের তালুতে মাথা রেখে অল্প কিছুক্ষণ আরাম করে নিতেন।
- بَابُ مَا جَاءَ فِي عِبَادَةِ رَسُوْلِ اللهِ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/357/42
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।