মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
স্বপ্ন এমন কিছু কল্পনা, যা আল্লাহ তা‘আলা ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের অন্তরে সৃষ্টি করে দেন। অথবা ফেরেশতার মাধ্যমে কল্পনার উদ্রেক করান। আবার কখনো শয়তানের মাধ্যমে কল্পনার উদ্রেক হয় তাকে স্বপ্ন বলে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, স্বপ্ন তিন প্রকার- ১. ভালো স্বপ্ন তা আল্লাহর পক্ষ থেকে শুভ সংবাদ। ২. ভীতিকর স্বপ্ন যা শয়তানের প্রভাবে মানুষ দেখে। ৩. ঐ সমস্ত ধারণা, যা মানুষ জাগ্রত অবস্থায় করে থাকে ঘুমের ঘোরে তার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
৩১৩. আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। [সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৯০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১৯৩; দারেমী, হা/২১৮৫; জামেউস সগীর, হা/১১২০২।]
ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ জাগ্রত অবস্থায় যেমন শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত, তেমনিভাবে ঘুমন্ত অবস্থাতেও তিনি শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত। এমনকি তাঁর সুরতও শয়তানের প্রভাব থেকে সংরক্ষিত।
৩১৪. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার স্বরূপ ধারণ করতে পারে না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩০৫।]
৩১৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।
(আসিম বর্ণনা করেন) আমার পিতা কুলায়ব বলেন, আমি এ হাদীস ইবনে আববাস (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম এবং বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে স্বপ্নে দেখেছি। তখন হাসান ইবনে আলী (রাঃ) এর কথা আমার স্মরণ হলে আমি বললাম, স্বপ্নের আকৃতিকে হাসানের আকৃতির সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ পেলাম। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সাদৃশই ছিলেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৮৯; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮১৮৬; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/২৬১।]
৩১৬. ইয়াযীদ আল ফারিসী থেকে বর্ণিত। ইয়াযীদ, যিনি কুরআন লিখতেন। তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ কে স্বপ্নে দেখলাম। ইবনে আববাস (রাঃ) তখনও জীবিত ছিলেন। আমি ইবনে আববাস (রাঃ)-কে বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে স্বপ্নে দেখেছি। ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। যে আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে প্রকৃতপক্ষে আমাকেই দেখে। [ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন], তুমি যাকে স্বপ্নে দেখেছ তাঁর কিছু বিবরণ দিতে পার? আমি বললাম, হ্যাঁ। তাঁর দেহাকৃতি মধ্যম আকারের, গায়ের রং গৌর, তাতে সাদা অংশ বেশি। সুরমা মাখা চোখ, প্রফুল্ল মুখ, হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, মুখভর্তি দাড়ি যা বুক পর্যন্ত পরিপূর্ণ ছিল। ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন, তুমি যদি জাগ্রত অবস্থায় তাঁকে দেখতে, তাহলেও এর চেয়ে বেশি বলতে সক্ষম হতে না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪১০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩২৪৬৯।]
৩১৮. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি ঘুমের অবস্থায় আমাকে দেখল, সে আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, মুমিনের সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতের ৪৬ ভাগের ১ ভাগ। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১৩; সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৪৬; আবু দাউদ, হা/৫০২০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৭৪; জামেউস সগীর, হা/৫৮৩৯।]
ব্যাখ্যা : এখানে স্বপ্ন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নেক্কার মুমিন-মুমিনার স্বপ্ন। সুতরাং কাফির ও ফাসিকের স্বপ্ন নবুওয়াতের অংশ নয়। নবুওয়াতের অংশ বলতে ইলমে নবুওয়াতের অংশ বুঝানো হয়েছে।
৩১৯. মুহাম্মাদ ইবনে আলী বলেন, আমি আমার আববাকে বলতে শুনেছি, তোমাকে যখন বিচারকের পদে অভিষিক্ত করা হয়, তখন রিওয়ায়াতের অনুসরণ করার চেষ্টা করো। [আল মাজালিসাতু ওয়া জাওয়াহিরুল ইলম, হা/৩২৬।]
ব্যাখ্যা : যেকোন বিষয়ের সমাধানের জন্য যথাসম্ভব কুরআন হাদীস থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনদের বাণী ও জীবনাদর্শ থেকে সমাধা খুঁজতে হবে এবং তার অনুসরণ করতে হবে।
৩২০. ইবনে সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীস শিক্ষা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তা শিক্ষার আগে একটি বিচার্য বিষয় হলো, তুমি দেখে নাও যে, কার কাছ থেকে এ দীন শিক্ষা করছ। [সহীহ মুসলিম, হা/২৬; দারেমী, হা/৪২৪।]
ব্যাখ্যা : দ্বীনের কোন কিছু গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কার থেকে এই দীনী বিষয় গ্রহণ করা হচ্ছে। ফাসেক ফুজ্জার বা বিদআতীর কাছ থেকে দ্বীনের নামে বদ দ্বীনী যেন গ্রহণ করা না হয়।
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বিখ্যাত দু’জন মুহাদ্দিসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তির দ্বারা কিতাব সমাপ্ত করেছেন।
প্রথম উক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহঃ) এর। ইবনুল মুবারাক বলেন, বিচার ও ফায়সালার ক্ষেত্রে নিজের রায় ও মতের উপর নির্ভর করবে না; হাদীস, সাহাবী বরং তাবিয়ীদের উক্তির অনুসরণ করবে। এটি একটি সাধারণ উপদেশ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। আবার স্বপ্নের অনুচ্ছেদের সাথেও একে সম্পৃক্ততাও করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্বপ্নের ব্যাখ্যাও এক ধরনের বিচার। তাই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা মন চায়, তা বলে দেয়া ঠিক হবে না; বরং পূর্বসূরীদের ব্যাখ্যার আলোকে ব্যাখ্যা করা উচিত।
মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রহঃ) ছিলেন একজন বিখ্যাত তাবিয়ী এবং তা‘বীর শাস্ত্র তথা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ। তার এ উক্তির উদ্দেশ্য হলো, ইলমে হাদীস দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। আর দ্বীন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এর উপর মানুষের নীতি-আদর্শ নির্ভর করে। কারো দীন সঠিক না হলে তার পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএব, দীন গ্রহণ করার পূর্বে লক্ষ্য করতে হবে, যার নিকট থেকে দীন গ্রহণ করা হচ্ছে, তিনি মুত্তাকী এবং হক্বপন্থী কি না? যে কারো থেকে দীন গ্রহণ করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ উস্তাদের আক্বীদা, আমল ও আখলাকের প্রভাব ছাত্রের উপর পড়াটা স্বাভাবিক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/357/59
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।