hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শামায়েলে তিরমিযী

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন ঈসা আত তিরমিযী (রহ.)

৩৭
অধ্যায়- ৩৪ : রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাচনভঙ্গি
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কথা ছিল সুস্পষ্ট :

عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَسْرُدُ سرْدَكُمْ هٰذَا ، وَلٰكِنَّهٗ كَانَ بَيِّنٍ فَصْلٍ ، يَحْفَظُهٗ مَنْ جَلَسَ اِلَيْهِ

১৬৫. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তোমাদের ন্যায় চটপটে তথা অস্পষ্টভাবে তাড়াতাড়ি কথা বলতেন না, বরং তাঁর প্রতিটি কথা ছিল সুস্পষ্ট। আর শ্রোতারা খুব সহজেই তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারত। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬২৫২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬৯৬।]

রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন কোন কথা তিনবার বলতেন :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يُعِيْدُ الْكَلِمَةَ ثَلَاثًا لِتُعْقَلَ عَنْهُ

১৬৬. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন কথা তিনবার বলতেন, যাতে (শ্রোতারা) ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। [মুজামুল ইসমাঈলী, হা/১০৫; মু‘জামুস সগীর, হা/৯১২১।]

ব্যাখ্যা : সহজে বোধগম্য নয় এমন বিষয় হলে বা শ্রোতা অধিক থাকলে তিন দিকে ফিরে তিনবার বলতেন। যাতে উপস্থিত সকলে ভালোভাবে বুঝে নিতে পারে। তাছাড়া কোন বিষয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদানের জন্যও কোন কোন কথা তিনবার বলতেন।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে হিন্দ ইবনে আবু হালা (রাঃ) এর বর্ণনা :

عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ : سَاَلْتُ خَالِي هِنْدُ بْنُ اَبِيْ هَالَةَ ، وَكَانَ وَصَّافًا ، فَقُلْتُ : صِفْ لِيْ مَنْطِقَ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ مُتَوَاصِلَ الْاَحْزَانِ دَائِمَ الْفِكْرَةِ لَيْسَتْ لَهٗ رَاحَةٌ ، طَوِيْلُ السَّكْتِ ، لَا يَتَكَلَّمُ فِي غَيْرِ حَاجَةٍ ، يَفْتَتِحُ الْكَلَامَ وَيَخْتِمُهٗ بِاسْمِ اللهِ تَعَالٰى ، وَيَتَكَلَّمُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ ، كَلَامُهٗ فَصْلٌ ، لَا فُضُوْلَ وَلَا تَقْصِيْرَ ، لَيْسَ بِالْجَافِي وَلَا الْمُهِيْنِ ، يُعَظِّمُ النِّعْمَةَ ، وَاِنْ دَقَّتْ لَا يَذُمُّ مِنْهَا شَيْئًا غَيْرَ اَنَّهٗ لَمْ يَكُنْ يَذُمُّ ذَوَّاقًا وَلَا يَمْدَحُهٗ ، وَلَا تُغْضِبُهُ الدُّنْيَا ، وَلَا مَا كَانَ لَهَا ، فَاِذَا تُعُدِّيَ الْحَقُّ لَمْ يَقُمْ لِغَضَبِهٖ شَيْءٌ حَتّٰى يَنْتَصِرَ لَهٗ ، وَلَا يَغْضَبُ لِنَفْسِهٖ ، وَلَا يَنْتَصِرُ لَهَا ، اِذَا اَشَارَ اَشَارَ بِكَفِّهٖ كُلِّهَا ، وَاِذَا تَعَجَّبَ قَلَبَهَا ، وَاِذَا تَحَدَّثَ اِتَّصَلَ بِهَا ، وَضَرَبَ بِرَاحَتِهِ الْيُمْنٰى بَطْنَ اِبْهَامِهِ الْيُسْرٰى ، وَاِذَا غَضِبَ اَعْرَضَ وَاَشَاحَ ، وَاِذَا فَرِحَ غَضَّ طَرْفَهٗ ، جُلُّ ضَحِكِهِ التَّبَسُّمُ ، يَفْتَرُّ عَنْ مِثْلِ حَبِّ الْغَمَامِ

১৬৭. হাসান ইবনে আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (আমার) মামা হিন্দ ইবনে আবু হালা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অবয়ব ও আখলাক সম্পর্কে সুন্দররূপে বর্ণনা করতেন। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সর্বদা আখিরাতে উম্মতের মুক্তির চিন্তায় বিভোর থাকতেন। এ কারণে তাঁর কোন স্বস্তি ছিল না। তিনি অধিকাংশ সময় নীরব থাকতেন। বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করতেন। তাঁর কথা ছিল একটি থেকে অপরটি পৃথক। তাঁর কথাবার্তা অধিক বিস্তারিত ছিল না কিংবা অতি সংক্ষিপ্তও ছিল না। অর্থাৎ তাঁর কথার মর্মার্থ অনুধাবনে কোন প্রকার অসুবিধা হতো না। তাঁর কথায় কঠোরতার ছাপ ছিল না, থাকত না তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাব। আল্লাহর নিয়ামত যত সামান্যই হতো তাকে তিনি অনেক বড় মনে করতেন। এতে তিনি কোন দোষত্রুটি খুঁজতেন না। তিনি অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর ত্রুটি খতিয়ে দেখতেন না এবং উচ্ছ্বাসিত প্রশংসাও করতেন না। পার্থিব কোন বিষয় বা কাজের উপর ক্রোধ প্রকাশ করতেন না এবং তার জন্য আক্ষেপও করতেন না। অবশ্য যখন কেউ দীনি কোন বিষয়ে সীমলঙ্ঘন করত তখন তাঁর রাগের সীমা থাকত না। এমনকি তখন কেউ তাঁকে বশে রাখতে পারত না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কারণে ক্রোধান্বিত হতেন না এবং এজন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করতেন না। কোন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলে সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা করতেন। তিনি কোন বিস্ময় প্রকাশ করলে হাত উল্টাতেন। যখন কথাবার্তা বলতেন তখন ডান হাতের তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলের আভ্যন্তরীণ ভাগ দ্বারা আঘাত করতেন। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং অমনোযোগী হতেন। যখন তিনি আনন্দ-উৎফুল্ল হতেন তখন তাঁর চোখের কিনারা নিম্নমুখী করতেন। অধিকাংশ সময় তিনি মুচকি হাসতেন। তখন তাঁর দাঁতগুলো বরফের ন্যায় উজ্জ্বল সাদারূপে শোভা পেত। [শু‘আবুল ঈমান, হা/১৩৬২।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন খাদ্যের ত্রুটি ধরতেন না। কারণ, এটা আল্লাহর নিয়ামত। আবার অতিরিক্ত প্রশংসাও করতেন না। তবে কখনো আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা বা কারো সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোন খাদ্যের সাধারণ প্রশংসাও করেছেন। দুনিয়ার সাথে সম্পর্কিত কোন কিছুই তাঁকে রাগান্বিত করত না।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ضَحِكِ رَسُوْلِ اللهِ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন