hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শামায়েলে তিরমিযী

লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন ঈসা আত তিরমিযী (রহ.)

১৫
অধ্যায়- ১২ : রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আংটির বিবরণ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আংটিতে আবিসিনীয় পাথর বসানো ছিল :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ مِنْ وَّرِقٍ ، وَكَانَ فَصُّهٗ حَبَشِيًّا

৬৯. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ রূপার আংটি ব্যবহার করতেন। আর তাঁর আংটিতে আবিসিনীয় পাথর বসানো ছিল। [আবু দাউদ, হা/৪২১৮]

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে একটি রৌপ্যের আংটি ছিল :

عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، اَنَّ النَّبِيَّ اِتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ ، فَكَانَ يَخْتِمُ بِهٖ وَلَا يَلْبَسُهٗ

৭০. ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ একটি রৌপ্যের আংটি তৈরি করেছিলেন। তিনি তা দ্বারা (চিঠিপত্রে) সীল মারতেন, তবে তিনি (সচরাচর) তা পরিধান করতেন না। [নাসাঈ, হা/৫২১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৩৬৬।]

রাসূলুল্লাহ ﷺ সীল মারার জন্য আংটিটি তৈরি করেছিলেন :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : لَمَّا اَرَادَ رَسُوْلُ اللهِ اَنْ يَكْتُبَ اِلَى الْعَجَمِ قِيْلَ لَهٗ : اِنَّ الْعَجَمَ لَا يَقْبَلُوْنَ اِلَّا كِتَابًا عَلَيْهِ خَاتَمٌ ، فَاصْطَنَعَ خَاتَمًا فَكَاَنِّيْ اَنْظُرُ اِلٰى بَيَاضِهٖ فِي كَفِّهٖ

৭১. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অনারব রাজা-বাদশাহদের কাছে দাওয়াতপত্র প্রেরণের সংকল্প (ইচ্ছা) করেন তখন তাঁকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, তারা সীল ছাড়া চিঠি গ্রহণ করে না। তাই তিনি একটি আংটি তৈরি করান। তাঁর হাতের নিচে রাখা আংটিটির ঔজ্জ্বল্য যেন আজও আমার চোখের সামনে ভাসছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৬০২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৩০৭৫।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথমত কোন আংটি তৈরি করেননি। কিন্তু যখন অবগত হলেন বিভিন্ন রাজা-বাদশাহগণ সীল-মোহর ছাড়া চিঠিপত্রের মূল্যায়ন করেন না, তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ দীনের দাওয়াত দিয়ে চিঠি প্রেরণের জন্য আংটি তৈরি করেন।

হাদীস থেকে প্রতিয়মান হয় যে, চিঠিপত্রের মাধ্যমে দীনের দাওয়াত দেয়াও সুন্নত। সুলায়মান (আঃ) সর্বপ্রথম চিঠির মাধ্যমে সাবার রাণী বিলকীসকে দাওয়াত দিয়েছিলেন।

আংটিটিতে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অংকিত ছিল :

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ رَسُوْلِ اللهِ  : مُحَمَّدٌ سَطْرٌ ، وَرَسُوْلٌ سَطْرٌ ، وَاللهُ سَطْرٌ

৭২. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আংটিতে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অংকিত ছিল। ‘মুহাম্মাদ’ এক লাইনে, ‘রাসূল’ এক লাইনে এবং ‘আল্লাহ’ এক লাইনে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৮৭৮; ইবনে হিববান, হা/১৪১৪।]

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، اَنَّ النَّبِيَّ كَتَبَ اِلٰى كِسْرٰى وَقَيْصَرَ وَالنَّجَاشِيِّ ، فَقِيْلَ لَهٗ : اِنَّهُمْ لَا يَقْبَلُوْنَ كِتَابًا اِلَّا بِخَاتَمٍ فَصَاغَ رَسُوْلُ اللهِ خَاتَمًا حَلْقَتُهٗ فِضَّةٌ ، وَنُقِشَ فِيْهِ : مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ

৭৩. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ পারস্য সম্রাট কিসরা, রোম সম্রাট কায়সার এবং আবিসিনীয় বাদশাহ নাজ্জাশীর নিকট (ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে) চিঠি লেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। তখন তাঁকে জানানো হলো যে, তারা সীল-মোহর ছাড়া চিঠি গ্রহণ করেন না। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি আংটি তৈরি করান, যার বৃত্তটি ছিল রৌপ্যের। আর তিনি ঐ আংটিতে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অংকিত করান। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৬০৩।]

ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ ﷺ যেসব বাদশাহর নামে চিঠি পাঠিয়েছেন :

রাসূলুল্লাহ ﷺ যেসব রাজা-বাদশাহ ও শাসকদের নামে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন তাদের কয়েকজনের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো :

১. রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াস : সাহাবী দিহইয়া কালবী (রাঃ) তার কাছে চিঠি নিয়ে যান। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নবুওয়াতের প্রতি তার বিশ্বাস থাকার পরও তিনি ঈমান আনেননি। তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চিঠির কোন অবমাননাও করেননি।

২. পারস্যের সম্রাট পারভেজ : আবদুল্লাহ ইবনে হুযাফা আস-সাহমী (রাঃ) তার কাছে চিঠি নিয়ে যান। পাপী পারভেজ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চিঠি ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেলে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বদ দু‘আর ফলে তার রাজ্যও ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যায়।

৩. আবিসিনিয়ার অধিপতি নাজ্জাশী : এ চিঠির বাহক সাহাবী আমর ইবনে উমাইয়া (রাঃ)। যে নাজ্জাশী হাবশায় মুসলমানদেরকে স্থান দিয়েছিলেন তাঁর নাম আমবাসা। ষষ্ঠ হিজরী সনে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নবম হিজরী সনে মারা যান। মদিনায় রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর গায়েবানা জানাযা আদায় করেন।

৪. মিশরের রাজা মুকাওকিস : তার কাছে চিঠি নিয়ে যান হাতিব ইবনে আবী বালতা‘আ। তিনি ইসলাম কবুল করেননি। তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট হাদিয়া প্রেরণ করেন।

৫. বাহরাইনের রাজা মুনযির ইবনে সাদী : আলা ইবনে হাযরাম (রাঃ) তার কাছে চিঠি নিয়ে যান। তিনি ইসলাম কবুল করেন এবং ইসলামী খিলাফাতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।

৬. আম্মানের রাজা : সে সময় আম্মানে ছিল দু’জন বাদশাহ। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমর ইবনে আস (রাঃ) এর মাধ্যমে তাদের কাছে চিঠি প্রেরণ করেন। চিঠি পেয়ে তাঁরা উভয়েই ইসলাম গ্রহণ করেন।

আংটিটি পর্যায়ক্রমে খলীফাগণ ব্যবহার করেন এবং উসমান (রাঃ) এর হাত থেকে তা একটি কূপে পড়ে যায় :

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : اِتَّخَذَ رَسُوْلُ اللهِ خَاتَمًا مِنْ وَّرِقٍ ، فَكَانَ فِي يَدِهٖ ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ اَبِي بَكْرٍ ، وَيَدِ عُمَرَ ، ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ عُثْمَانَ ، حَتّٰى وَقَعَ فِي بِئْرِ اَرِيْسٍ نَقْشُهٗ : مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ

৭৪. ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি রূপার আংটি তৈরি করান। সর্বদা তা তাঁর হাতে থাকত। তারপর তা পালাক্রমে আবু বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) এর হাতে আসে। এরপর উসমান (রাঃ) এর হাত থেকে (মু‘আয়কিবের সাথে লেনদেনের সময়) তা আরীস নামক কূপে পড়ে যায়। তাতে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অংকিত ছিল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৮৭৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৩৪; সুনানে কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৮১৪।]

ব্যাখ্যা : এ কূপটি মসজিদে কুবার নিকটস্থ একটি খেজুর বাগানে অবস্থিত ছিল। সিরীয় ভাষাতে ‘আরীস’ অর্থ কৃষক। আরীস নামক একজন ইয়াহুদির নাম অনুপাতে ঐ কূপের নামকরণ করা হয়েছিল ‘বি‘রে আরীস’ বা আরীসের কূপ।

- بَابُ مَا جَاءَ فِي اَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَتَخَتَّمُ فِي يَمِيْنِهٖ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন