hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

২০
অনুচ্ছেদ-১৮: আসরের সলাতের পর তিন, চার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার পরও সূর্য তাপবিশিষ্ট ও উপরে থাকবে।
হাদীস-২২: আনাস (রা) বলেন:

كَانَ رَسُولُ اللهِ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ وَبَعْضُ الْعَوَالِي مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَمْيَالٍ أَوْ نَحْوِهِ .

“আল্লাহর রসূল (স) ‘আসরের সলাত আদায় করতেন, আর সূর্য তখনও যথেষ্ট উপরে উজ্জ্বল অবস্থায় বিরাজমান থাকত। সলাতের পর কোনো গমনকারী ‘আওয়ালী’র দিকে রওয়ানা হয়ে তাদের নিকট পৌঁছে যেত, আর তখনও সূর্য উপরে থাকত। আওয়ালীর কোনো কোনো অংশ ছিল মদিনা হতে চার মাইল বা তার কাছাকাছি দূরত্বে।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৫০। ইমাম আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন: আওয়ালীর দূরত্ব মদীনাহ থেকে দুই অথবা তিন মাইল। যুহরী (রহ) বলেছেন: চার মাইল। [আবূ দাউদ হা/৪০৫]]

অন্য বর্ণনায় আছে, আনাস (রা) বলেন:

كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ مِنَّا إِلَى قُبَاءٍ فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ .

“আমরা ‘আসরের সলাত আদায় করতাম, অতঃপর আমাদের কোনো গমনকারী কুবার দিকে যেত এবং সূর্য যথেষ্ট উপরে থাকতেই সে তাদের নিকট পৌঁছে যেত।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৫১।]

মদীনা থেকে কুবা মাসজিদের দুরত্ব ৫ কি.মি./৩.১০ মাইল।

অন্য বর্ণনায় আছে, আনাস (রা) বলেন:

أَنَّ رَسُولُ اللهِ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ وَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ‏ .

“রসূলুল্লাহ (স) আসরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যখন সূর্য উঁচুতে তাপবিশিষ্ট অবস্থায় থাকত। সলাতের পর লোকজন ‘আওয়ালী (মদীনার পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম) পর্যন্ত যেত। অথচ সূর্য তখনো উঁচুতেই থাকত।” [. আবূ দাউদ হা/৪০৪। খায়সামা (রহ) বলেন:  حَيَاتُهَا أَنْ تَجِدَ، حَرَّهَا “সূর্যের জীবন্ত হওয়ার অর্থ হলো, তার তাপ অবশিষ্ট থাকা বা অনুভূত হওয়া।” [আবূ দাউদ হা/৪০৬]]

হাদীস-২৩: সাহাবী আবূ বারযা (রা) থেকে বর্ণিত:

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ قَالَ كَانَ يُصَلِّي الْهَجِيرَ وَهْىَ الَّتِي تَدْعُونَهَا الأُولَى حِينَ تَدْحَضُ الشَّمْسُ، وَيُصَلِّي الْعَصْرَ، ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى أَهْلِهِ فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ .

“রসূলুল্লাহ্ (স)- যোহরের সলাত যাকে তোমরা প্রথম সলাত বলে থাকো, সূর্য ঢলে পড়লে আদায় করতেন। আর তিনি ‘আসরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যে, আমাদের কেউ সূর্য তাপদাহ থাকতেই মদিনার শেষ প্রান্তে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে আসতে পারত।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৯৯।]

আসরের সলাতের পর (উটে) আরোহী দ্রুত চললে সূর্যাস্তের পূর্বে ছয় মাইল (৯.৬৫ কি/মি) অতিক্রম করা সম্ভব।

হাদীস-২৪: সাহাবী ইবুন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত:

سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ يَقُولُ ‏ " ‏ نَزَلَ جِبْرِيلُ صلي الله عليه وسلم فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلَاةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ‏ " ‏ ‏ . ‏ يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلَاةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ .

“আমি রসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি: জিবরীল (আ) অবতরণ করে আমাকে সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমি তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি, অতঃপর আবার তাঁর সাথে সলাত আদায় করেছি। এভাবে তিনি আঙ্গুলে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত গণনা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (স)-কে সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথেই যোহরের সলাত আদায় করতে দেখেছি। প্রচণ্ড গরমের দিনে তিনি কখনো দেরি করেও আদায় করেছেন। আমি তাঁকে ঐ সময় ‘আসরের সলাত আদায় করতে দেখেছি যখন সূর্য উঁচুতে উজ্জ্বল বর্ণ অবস্থায় থাকত, তখনো তাতে হলুদ রং আসেনি। কোনো ব্যক্তি ‘আসরের সলাত আদায় করে সূর্য ডুবার পূর্বেই যুলহুলায়ফাহ্ নামক স্থানে পৌঁছে যেত।” [. আবূ দাউদ হা/৩৯৪; হাসান-আলবানী।]

উক্ত বর্ণনাটি তাবারানী ‘আওসাতে’ এভাবে বর্ণিত হয়েছে:

وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ، يَسِيرُ الرَّجُلُ حِينَ يَنْصَرِفُ مِنْهَا إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ سِتَّةَ أَمْيَالٍ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ .

“আসর পড়তেন যখন সূর্য উজ্জ্বল ও উঁচুতে থাকত। কেউ আসরের সলাত থেকে অবসর নিয়ে ছয় মাইল দূরে যুলহুলায়ফাতে সূর্যাস্তের পূর্বে পৌঁছাতে পারত।” [. তাবারানী ‘আওসাত’ হা/৮৬৯৪- গরীব। বাস্তবেও স্থানটি ছয় মাইল দূরে অবস্থিত-সূত্র: ইন্টারনেট।]

হাফেয ইবুন হাজার (রহ) অনুরূপ মর্মে বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে লিখেছেন:

فِي الْحَدِيثِ الْمُبَادَرَةُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ أَنْ يَذْهَبَ بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ مِيلَيْنِ أَوْ أَكْثَرَ وَالشَّمْسُ لَمْ تَتَغَيَّرْ فَفِيهِ دَلِيلٌ لِلْجُمْهُورِ فِي أَنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعَصْرِ مَصِيرُ ظِلِّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ خِلَافًا لِأَبِي حَنِيفَةَ

“হাদীসটি দ্বারা আসরের সলাত প্রথম ওয়াক্তে আদায়ের দাবি করে। অন্যথায়, আসরের সলাতের পরে এটা অসম্ভব যে, দুই মাইল বা তার থেকে বেশি চলার পরেও সূর্যের (রঙ) পরিবর্তন হবে না। এ থেকেই জুমহুরের (অধিকাংশ ইমাম ও মুহাদ্দিসগণের) দলিল রয়েছে যে, আসরের সলাতের ওয়াক্ত হল, প্রত্যেক বস্তুর ছায়া সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে কেবল আবূ হানীফার বিরোধিতা আছে।” [. ফতহুল বারী ২/২৯ পৃ:, হা/৫৫১-এর ব্যাখ্যা।]

ইমাম নওয়াবী (নববী রহ.) লিখেছেন:

لِأَنَّهُ لَا يُمْكِن أَنْ يَذْهَب بَعْد صَلَاة الْعَصْر مِيلَيْنِ وَثَلَاثَة وَالشَّمْس بَعْدُ لَمْ تَتَغَيَّر بِصُفْرَةٍ وَنَحْوهَا إِلَّا إِذَا صَلَّى الْعَصْر حِين صَارَ ظِلّ الشَّيْء مِثْله

“এটা অসম্ভব যে, আসরের সলাতের পর দুই বা তিন মাইল চলার পর সূর্যের (রঙ) হলুদ হয়ে পরিবর্তিত হবে না, তবে যদি আসরের সলাত তখন পড়া হয় যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান হয়।” [. শারহু মুসলিম নওয়াবী ২/৪১১ পৃ:, হা/৯৮৪-এর ব্যাখ্যা।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন