hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

৬৪
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১০:
আর নবী (স)-এর হাদীসে যে একাকি সলাত আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং জামাআতকে ঐচ্ছিক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, সেটিতো হলো তখন- যখন يُؤخِّرونَ الصلاةَ عن وقتِها ‘সলাতকে তার ওয়াক্ত থেকে বিলম্ব করে ফেলবে।’ এখানে তো সলাতকে তার গ্রহণযোগ্য ওয়াক্তের ভেতরেই আদায় করা হচ্ছে। তা হলে কীসের ভিত্তিতে আপনি-আমি সাধারণ মানুষকে এটা বলার দুঃসাহস দেখায় যে, আপনারা যার যার বাসায় একাকি সলাত আদায় করে ফেলবেন!

পর্যালোচনা-১০: এখানে সৌদি প্রবাসী আলেম শব্দ ও বাক্যের আপেক্ষিক প্রয়োগকে নিজের চিন্তার পক্ষে প্রয়োগ করেছেন। আমরা কিছু পূর্বে ‘পর্যালোচনা-৭’-এ ইমাম নাওয়াবী (নববী রহ.) থেকে জেনেছি يُؤخِّرونَ الصلاةَ عن وقتِها ‘সলাতকে তার ওয়াক্ত থেকে বিলম্ব করে ফেলবে’-এর অর্থ, মুখতার (বাছাইকৃত, পছন্দনীয়) ওয়াক্ত থেকে বিলম্ব করা। কখনই ইচ্ছাকৃতভাবে সূর্য হলুদ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা নয়। সেটাতো হাদীস অনুযায়ী মুনাফিক্বের সলাত।

সাহাবী ও তাবেঈদের যামানাতে আসরের সলাত তাড়াতাড়ি পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হতো, যা ছিল যোহরের খুব নিকটবর্তী সময় (এক ছায়া)। যদি তার থেকে দেরি করা হতো- তখন মুনফিক্বের সলাতের উদাহরণ পেশ করা হতো (দ্র. হা/১৫, ৩৫)। এভাবে আসরের সলাত আদায় করাতে আনাস (রা)-কে যখন বলা হলো, আপনি তাড়াতাড়ি আসরের সলাত আদায় করে ফেলেছেন। তখন আনাস (রা) বলেছিলেন:

إِنَّمَا أُصَلِّي كَمَا رَأَيْتُ أَصْحَابِي يُصَلُّونَ .

‘‘আমি ঐভাবেই সলাত আদায় করি যেভাবে আমার সাথীদেরকে (নবী স.-এর সাহাবীদেরকে) আদায় করতে দেখেছি।’’ [. নাসাঈ হা/৫১০। আলবানী (রহ) হাসান বলেছেন।]

অন্যত্র শীঘ্রই আসরের সলাত আদায় করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আনাস (রা)-কে বলেছিলেন:

الْعَصْرَ، وَهَذِهِ صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ الَّتِي كُنَّا نُصَلِّي .

‘‘এটা আসরের সলাত এবং এটাই রসূলুল্লাহ (স)-এর সলাত যা আমরা (সাহাবীগণ) আদায় করতাম।’’ [. নাসাঈ হা/৫০৯। আলবানী (রহ) সহীহ বলেছেন।]

আবার কখনো সাহাবীগণ (রা) জিবরীল (আ)-এর হাদীসের উদাহরণ দিতেন (দ্র. অনুচ্ছেদ-২৩)। আর জিবরীল (আ)-এর হাদীস অনুযায়ী আসরের ওয়াক্ত হলো এক ছায়া ও দুই ছায়ার মাঝের সময়টুকু। এ পর্যায়ে হাদীসগুলো পরস্পরের ব্যাখ্যা ধরলে, ‘সূর্য হলুদ হওয়া’র অর্থ হবে- দুই ছায়ার পর আসরকে পিছিয়ে দেয়া। কেননা, এটা নবী (স) ও সাহাবীদের থেকে প্রাপ্ত ব্যবহারিক আমল। পক্ষান্তরে প্রবাসী-বক্তা ‘সলাতের ওয়াক্ত পিছিয়ে’ দেয়ার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা কেবলই শাব্দিক অর্থ। এ পর্যায়ে প্রমাণিত ব্যবহারিক ব্যাখ্যার মোকাবেলায় আপেক্ষিক শাব্দিক অর্থ শরিআত নয়।

উল্লেখ্য হানাফী ফাতওয়া হলো, দেরিতে আসরের সলাত পড়াটা মুস্তাহাব। যা দুই ছায়ার পর সূর্য হলুদ হওয়ার পূর্বে হয়ে থাকে। এ থেকে বুঝা যায়, হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া অনুযায়ী তারা আসরের ওয়াক্তকে এর মূল ওয়াক্ত থেকে স্থায়ীভাবে পিছিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন