hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

৫৯
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৫:
আর আমাদের দেশের পরিস্থিতিটা হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন, আমাদের দেশে আসরের সলাতে অন্যান্য উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে এক ঘণ্টা বা পৌনে এক ঘণ্টা পরে শুরু হচ্ছে- এটি হলো উলামায়ে কেরামের গবেষণাগত মতপার্থক্যের কারণে। গবেষণাগত মতপার্থক্যের কারণে যদি দেরি করা হয় সেটি, আর উদাসীনতার কারণে যে দেরি করা হয়- রাজা-বাদশাহরা যে দেরি করেন, সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ও ব্যতিক্রম বিষয়। দুটির সাথে আসমান ও যমীনের মধ্যে পার্থক্য।

পর্যালোচনা-৫: এই ইজতিহাদটির ক্ষেত্রে সহীহ মুতাওয়াতির হাদীসের বিরোধিতা করা হয়েছে। যেমন- কাযী সানাউল্লাহ পানীপথী হানাফী (রহ) লিখেছেন:

وامّا اخر وقت الظهر فلم يوجد فى حديث صحيح ولا ضعيف انه يبقى بعد مصير ظل كل شىء مثله ولذا خالف أبا حنيفة فى هذه المسألة صاحباه ووافقا الجمهور .

‘‘যোহরের সলাতের শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে কোনো সহীহ বা যঈফ হাদীসে এভাবে উল্লেখ হয়নি যে, সেটা প্রত্যেক বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত বাকী থাকে। এ কারণেই এ বিষয়ে ইমাম আবূ হানীফা (রহ)-এর দুই শিষ্য ইমাম আবূ ইউসুফ (রহ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহ)-এর মতও এর পরিপন্থি এবং দুজনের অবস্থান জুমহুরের (অধিকাংশ ইমাম ও মুহা্দ্দিসগণের) অনুরূপ।’’ [. তাফসীরে মাযহারী (ইফা) ৩/৩৫২ পৃ., সূরা নিসার ১০৩ নং আয়াতের তাফসীর।]

অনুরূপ নিমাবী হানাফী (রহ)-এর বক্তব্যও পূর্বে উল্লেখ করেছি যে, দুই ছায়া থেকে আসর শুরু মর্মে কোনো সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি। অথচ এক ছায়ার হাদীসগুলো মুতাওয়াতির এবং জুমহুর আলেমগণ এর অনুসারী। এ পর্যায়ে নবী (স)-এর নিচের হাদীসটি স্মরণযোগ্য:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ‏ " ‏ مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ  .

‘‘আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: যে ব্যক্তিকে প্রমাণ ছাড়া কোনো ফাতওয়া দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে তার (আমলটির) গোনাহ ফাতওয়াদাতার উপর পড়বে।’’ [. ইবনু মাজাহ হা/৫৩, আলবানী (রহ) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন ।]

হানাফীদের আসরের ওয়াক্ত হওয়ার আরেকটি শর্ত হল, সূর্যের রং বিবর্ণ তথা হলুদ হওয়ার সূচনাতে। এ মর্মে ‘ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে’ উল্লিখিত হয়েছে:

وَيُسْتَحَبُّ تَأْخِيرُ الْعَصْرِ فِيْ كُلِّ زَمَانٍ مَا لَمْ تَتَغَيَّرْ الشَّمْسُ وَالْعِبْرَةُ لِتَغَيُّرِ الْقُرْصِ لَا لِتَغَيُّرِ الضَّوْءِ فَمَتَى صَارَ الْقُرْصُ بِحَيْثُ لَا تَحَارُ فِيهِ الْعَيْنُ فَقَدْ تَغَيَّرَتْ وَإِلَّا لَا .

‘‘... সবসময় আসরের সলাত বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব, যতক্ষণ না সূর্যের রং বিবর্ণ হয়। সূর্যের গোলকের পরিবর্তন মূলত ধর্তব্য। আলো বিবর্ণ হওয়া ধর্তব্য নয়। যখন সূর্যের গোলক এমন হয়ে যায় যে, এর প্রতি নজর করলে চোখ ধাঁধিয়ে না যায়, তখন মনে করতে হবে যে, সূর্যের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এমন না হলে মনে করতে হবে যে, সূর্যের মধ্যে পরিবর্তন হয়নি।’’ [. ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী (ইফা) ১/১৪৫ পৃ.। অনুরূপ হানাফী ফিক্বহ ‘আল-হিদায়া’ (ইফা) ১/৬১ পৃ., আশরাফুল হিদায়া ১/২৭৪ পৃ.।]

অর্থাৎ হানাফী মাযহাব অনুযায়ী দুই ছায়া ও সূর্যের রং বিবর্ণ হওয়া উভয়টি শর্ত। এই শর্তও সহীহ হাদীসের বিরোধী। এ পর্যায়ে কাযী সানাউল্লাহ পানীপথী হানাফী (রহ) লিখেছেন:

ثبت عنه والعصر الى اصفرار الشمس مكروه تحريما وأشدّ كراهة تأخير العصر الى الاصفرار لورود النهى عن الصّلوة فى ذلك الوقت وكونه منسوبا الى الشيطان .

‘‘নবী (স) থেকে প্রমাণিত- সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত আসরের সলাতে বিলম্ব করা অতিশয় মাকরুহ। কেননা, ঐ সময় সলাত আদায় করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং তাকে শয়তানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে।’’ [. তাফসীরে মাযহারী (ইফা) ঐ।]

স্পষ্ট দলিল-প্রমাণ থাকার পরও ইজতিহাদ বা গবেষণার নামে ভিন্ন মত প্রদান শরিআতে বৈধ নয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِن بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ   ج وَأُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ .

‘‘তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা স্পষ্ট দলিল-প্রমাণ আসার পর ফিরক্বা বা দলাদলি করে ও ইখতিলাফ বা মতবিরোধ করে, তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক আযাব।’’ [. সূরা আলে-ইমরান: ১০৫ আয়াত।]

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ   ۗ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا .

‘‘আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর সে বিষয়ে তাদের কোনো (সিদ্ধান্তের) এখতিয়ার নেই। আর যে আল্লাহ তাঁর রসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।’’ [সূরা আহযাব: ৩৬]

এ মাসআলাটির ক্ষেত্রে রসূলুল্লাহ (স) থেকে স্পষ্ট দলিল-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ইজতিহাদের নামে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিলে- পূর্বোক্ত আয়াত দুটি অর্থহীন হয়ে যায়। সেটাকে গণতন্ত্র বলা যেতে পারে, কিন্তু কখনই সেটা ইসলাম নয়।

এ পর্যায়ে সৌদিপ্রবাসী বক্তাকে বিনয়ের সাথে বলছি, আপনি সহীহ হাদীসের আলোকে প্রমাণ করুন: ‘‘দুই ছায়া পর্যন্ত যোহরে ওয়াক্ত এবং দুই ছায়ার পর থেকে আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া’’- কীভাবে ইজতিহাদী সিদ্ধান্ত হল? অথচ এটাই হানাফী মাযহাবের প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আমল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন