hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

৩৯
ষষ্ঠ অধ্যায়: ফাতওয়া: হানাফীদের আসরের ওয়াক্ত দেরিতে কেন?
-https://islamqa.info/ar/220820

السؤال : ما الفرق بين أوقات الصلوات على المذهب الحنفي وأوقاتها العادية ، ولماذا تفصل كل المساجد التي تتبع مذهب أبي حنفية بين أذان العصر وصلاته بساعة كاملة ؟

প্রশ্ন: হানাফী ও অন্যান্যদের মধ্যে সলাতের ওয়াক্তগুলোতে কি পার্থক্য রয়েছে? আবূ হানীফার মাযহাবের অনুসারী মাসজিদগুলোতে আসরের আযান ও সলাতের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা পার্থক্য কেন?

الجواب : الحمد لله، الفرق بين مذهب الإمام أبي حنيفة ومذهب الجمهور في مواقيت الصلاة يتلخص في مسألتين :

জবাব: আল-হামদুলিল্লাহ, ইমাম আবূ হানীফার মাযহাব ও জুমহুরের মাযহাবে সলাতের ওয়াক্ত নিয়ে সংক্ষেপে দুটি মাসআলাতে পার্থক্য রয়েছে।

الفرق الأول : وقت بداية العصر   فقد وقع فيه الخلاف على قولين

প্রথম পার্থক্য: আসরের সলাতের শুরুর ওয়াক্ত। এক্ষেত্রে দুটি মতামত রয়েছে:

القول الأول

أنه يبدأ إذا انتهى وقت الظهر ، وذلك عند مصير ظل كل شيء مثله ، سوى فيء الزوال ، وقد سبق شرح معنى مصير ظل كل شيء مثله في جواب السؤال رقم : ٩٩٤٠وهو قول جمهور أهل العلم من المالكية والشافعية والحنابلة ، وأبي يوسف ومحمد بن الحسن من الحنفية ، بل قال السرخسي في " المبسوط " (۱/۱٤۱) : " وهو رواية " محمد " عن أبي حنيفة رحمهما الله تعالى ، وإن لم يذكره في الكتاب نصا " انتهى ، كما هو اختيار الطحاوي من الحنفية . وأدلته عديدة صحيحة ، نذكر منها أصرحها :

الدليل الأول

حديث إمامة جبريل بالنبي ، وفيه : أَنَّه صَلَّى بِالنَّبِيِّ العَصرَ حينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيءٍ مِثلَه . رواه أبو داود ( ٣٩٣ ) والترمذي ٤٩، ۱ ٥٠ ) وقال حديث حسن صحيح ، وصححه الألباني في " صحيح أبي داود " .

প্রথম মত: যখন যোহরের ওয়াক্ত শেষ হয় এবং মধ্যাহ্নের ছায়া ব্যতীত প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান হয়, তখন আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়। আমি পূর্ববর্তী প্রশ্ন নং- ৯৯৪০-তে এক ছায়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই মতামতটি জুমহুর (অধিকাংশ) আলেমদের মধ্যে মালেকী, শাফেঈ ও হাম্বলীদের। আর হানাফীদের মধ্যে আবূ ইউসুফ (রহ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহ)-এর। বরং (হানাফী ফক্বীহ) সারাখসী (রহ) ‘মাবসূতে’(১/১৪১) বলেছেন: “মুহাম্মাদ (রহ) আবূ হানীফা (রহ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। যদিও কিতাবের সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।” অনুরূপভাবে হানাফীদের মধ্যে তাহাবীও মতামত দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বেশকিছু সহীহ বর্ণনা রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি সুস্পষ্ট দলিল উল্লেখ করছি:

প্রথম দলিল: জিবরীল (আ)-এর ইমামতির হাদীস। সেখানে এটা রয়েছে যে, জিবরীল (আ) নবী (স)-এর আসরের সলাতের ইমামতি করলেন, যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান হয়েছিল। [আবূ দাউদ হা/৩৯৩, তিরমিযী হা/১৪৯-১৫০-ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আলবানী হাদীসটিকে ‘সহীহ আবূ দাউদে’ সহীহ গণ্য করেছেন।]

الدليل الثاني عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن رسول الله ﷺ " كَانَ يُصَلِّي العَصرَ وَالشَّمسُ مُرتَفِعَةٌ حَيَّةٌ ، فَيَذهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى العَوَالِي ، فَيَأتِي العَوَالِي وَالشَّمسُ مُرتَفِعَةٌ " رواه البخاري ( ٥٥٠ ) ، ومسلم ( ٦٢ ۱) وفي رواية أخرى عندهما : " أنه يأتي مسجد قباء والشمس مرتفعة " إشارة إلى بقاء حرها وضوئها ، وأقرب العوالي مسافة ميلين ، وأبعدها مسافة ستة أميال " انظر " فتح الباري " (٢/ ٣٩ (

দ্বিতীয় দলিল: আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (স) আসরের সলাত পড়তেন যখন সূর্য উঁচুতে উজ্জ্বল থাকত, (ফলে সলাতের পর) কোনো ব্যক্তি আওয়ালী পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসতে, এমনকি তখনও সূর্য উপরে থাকত। [সহীহ বুখারী হা/৫৫০, সহীহ মুসলিম হা/৬২১] উভয় কিতাবের অপর বর্ণনাতে আছে: “তারা মাসজিদে কুবাতে পৌঁছতেন, তখনও সূর্য উঁচুতে থাকত।” যার দাবি হল, সূর্যের তেজ ও উজ্জ্বলতা বাকী থাকত। মদীনার নিকটতর আওয়ালীগুলোর দূরত্ব দুই মাইল ছিল, আর দূরবর্তী আওয়ালীগুলোর দূরত্ব ছয় মাইল পর্যন্ত ছিল।” [বিস্তারিত ফতহুল বারী ২/৩৯]

قال النووي رحمه الله : " لا يمكن أن يذهب بعد صلاة العصر ميلين وثلاثة ، والشمس بعد لم تتغير بصفرة ونحوها ، إلا إذا صلى العصر حين صار ظل الشيء مثله ، ولا يكاد يحصل هذا الا في الأيام الطويلة " انتهى من " شرح مسلم " (٥/۱ ٢٢ (

ইমাম নওয়াবী (রহ) বলেছেন: আসরের সলাত পড়ার পর দুই-তিন মাইল চলার পর সূর্যের উজ্জ্বলতা হলুদ রঙে পরিবর্তিত না হওয়াটা তখনই সম্ভব, যখন কোনো বস্তুর ছায়া সমপরিমাণ হওয়ার পর আসরের সলাত আদায় করা হয়। তা ছাড়া এটা তখনই সম্ভব যখন দিনগুলো দীর্ঘ (গরমকাল) থাকে। [শারহু মুসলিম নাওয়াবী ৫/১২২]

أما القول الثاني فيذهب إلى أن وقت العصر يبدأ عند مصير ظل كل شيء مثليه ، سوى فيء الزوال ، وهو قول الإمام أبي حنيفة رحمه الله تعالى ، وعليه معظم المتأخرين من الحنفية ،ولذلك يتأخر أذان العصر في البلاد التي تعتمد مذهب الإمام أبي حنيفة .

واستدلوا بثلاثة أدلة :

দ্বিতীয় মত: এই মতানুসারে আসরে ওয়াক্ত তখন শুরু হয়, যখন প্রত্যেক বস্তুর দ্বিগুণ হয়, মধ্যাহ্নের ছায়া ব্যতীত। এটা ইমাম আবূ হানীফা (রহ)-এর মত। পরবর্তী হানাফীদের অধিকাংশ এই মতের উপর রয়েছে। এ কারণে যে সব দেশে হানাফীদের প্রাধান্য বেশি সেখানে আসরের আযান দেরিতে দেয়া হয়। তারা তিনটি দলিল উপস্থাপন করেন:

الدليل الأول عن ابن عمر رضي الله عنه أن النبي قال : إِنَّمَا بَقَاءُكُم فِيمَا سَلَفَ قَبلَكُم مِنَ الأُمَمِ كَمَا بَينَ صَلاةِ العَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمسِ ، أُوتِيَ أَهلُ التَّورَاةِ التَّورَاةَ فَعَمِلُوا ، حَتّى إِذَا انتَصَفَ النَّهَارُ عَجَزُوا ، فَأُعطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ، ثُمَّ أُوتِيَ أَهلُ الإِنجِيلِ الإِنجِيلَ فَعَمِلُوا إِلَى صَلاةِ العَصرِ ثُمَّ عَجَزُوا ، فَأُعطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ، ثُمَّ أُوتِينَا القُرآنَ فَعَمِلنَا إِلَى غُرُوبِ الشَّمسِ ، فَأُعطِينَا قِيرَاطَينِ قِيرَاطَينِ ، فَقَالَ أَهلُ الكِتَابَينِ : أَيْ رَبَّنَا ! أَعطَيتَ هَؤُلاءِ قِيرَاطَينِ قِيرَاطَينِ ، وَأَعطَيتَنَا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ، وَنَحنُ كُنَّا أَكثَرَ عَمَلًا ؟ ! قَالَ : قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ : هَل ظَلَمتُكُم مِن أَجرِكُم مِن شَيْءٍ ؟ قَالُوا : لا ، قَالَ : فَهُوَ فَضلِي أُوتِيهِ مَن أَشَاءُ ) رواه البخاري : ٥٥٧ (.

يقول الإمام الكاساني رحمه الله وهو من كبار فقهاء الحنفية –: 

" دل الحديث على أن مدة العصر أقصر من مدة الظهر ، وإنما يكون أقصر أن لو كان الأمر على ما قاله أبو حنيفة " انتهى من " بدائع الصنائع " (۱/٣۱٥) .

প্রথম দলিল: ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: তোমাদের আগের উম্মাতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানের সময়কাল আসরের সলাত থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়। তাওরাতের অনুসারীদেরকে তাওরাত দেয়া হলে তারা সে মোতাবেক আমল করল, তবে দিনের অর্ধেক হলে তারা অপারগ হয়ে গেল। এ জন্য তাদেরকে এক এক কীরাত করে পারিশ্রমিক দেয়া হল। অতঃপর ইনজীলের অনুসারীদেরকে ইনজীল দেয়া হল, তারা সে মোতাবেক আমল করল আসরের সলাত পর্যন্ত, তারপর তারা অক্ষম হয়ে পড়লে তাদেরকে দেয়া হল এক কীরাত এক কীরাত করে। অতঃপর তোমাদেরকে কুরআন দেয়া হল। ফলে এ কুরআন মোতাবেক তোমরা আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল করেছ। এ জন্য তোমাদেরকে দু’কীরাত দু’কীরাত করে পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে। (পূর্বের) উভয় কিতাবের অনুসারীরা বলল, হে আমাদের রব! তাদের দুই কীরাত দিলেন, আর আমাদেরকে এক এক কীরাত? অথচ আমরা তাদের থেকে বেশি পরিশ্রম করেছি। নবী (স) বলেন: আল্লাহ্ তাআলা তখন বললেন: তোমাদের পারিশ্রমিকে তোমাদের উপর কোনো যুলুম করা হয়েছে কি? তারা বলল, না। তখন আল্লাহ্ বললেন, এটি হচ্ছে আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে চাই তাকে দিই।”[সহীহ বুখারী হা/৫৫৭]

হানাফীদের বড় ফক্বীহদের একজন ইমাম কাসানী (রহ) লিখেছেন: “এই হাদীসটি থেকে দলিল নেয়া হয়, আসরের সময়কাল যোহরের সময়কাল থেকে কম। আর এটা তখনই সম্ভব, যখন ইমাম আবূ হানীফা (রহ)-এর উক্তি মোতাবেক আসরের ওয়াক্ত গ্রহণ করা হয়।” [বাদাঈস সানায়ি‘ ১/৩১৫]

ولكن أجاب الحافظ ابن حجر عن هذا الاستدلال بقوله :" المعروف عند أهل العلم بالفن أن المدة التي بين الظهر والعصر أطول من المدة التي بين العصر والمغرب إذا فرعنا على أن أول وقت العصر كما قال الجمهور ، ( ويجاب ) بأنه ليس في الخبر نص على أن كلا من الطائفتين أكثر عملا ، لصدق أن كلهم مجتمعين أكثر عملا من المسلمين " انتهى من " فتح الباري " (٢/ ٥٣ )

وذكر أجوبة أخرى على استدلالهم بالحديث .

কিন্তু হাফেয ইবনু হাজার (রহ) উক্ত হাদীসটিকে দলিলগণ্য করার জবাবে লিখেছেন: “এটা বিশেষজ্ঞ আলেমদের নিকট প্রসিদ্ধ যে, জুমহুরের সিদ্ধান্ত (তথা এক ছায়া)-কে আসরের ওয়াক্ত গণ্য করলেও যোহর থেকে আসর পর্যন্ত সময় আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের থেকে বেশি হবে। (আর হানাফীদের জবাবে বলা হবে) হাদীসে এটা সুস্পষ্ট নেই যে, উভয় পক্ষের কে বেশি আমল করেছে? বরং এটা বলা সঠিক হবে যে, তারা সবাই (ইয়াহুদী ও নাসরা) মিলে মুসলিমদের থেকে বেশি আমল করেছেন।”[ফতহুল বারী ২/৫৩ পৃ:] হাফেয ইবনু হাজার (রহ) হাদীসটি দ্বারা দলিল গ্রহণে হানাফীদের জবাবে আরও আলোচনা করেছেন।

ويقول ابن حزم رحمه الله :" وقت الظهر أطول من وقت العصر أبدا في كل زمان ومكان " انتهى من " المحلى " (٢/ ٢٢٢ ) ، ثم شرح ذلك فلكيا ، لمن أحب أن يرجع إليه .

ويقول ابن القيم رحمه الله :" ويالله العجب ! أي دلالة في هذا على أنه لا يدخل وقت العصر حتى يصير الظل مثلين ، بنوع من أنواع الدلالة ، وإنما يدل على أن صلاة العصر إلى غروب الشمس أقصر من نصف النهار إلى وقت العصر ، وهذا لا ريب فيه " انتهى من " إعلام الموقعين " (٢/ ٤٠٤ ).

فلم يبق وجه للاستدلال بالحديث .

আর ইবনু হাযম (রহ) বলেছেন: “যোহরের ওয়াক্ত আসরের ওয়াক্ত থেকে সব যামানা ও স্থানে দীর্ঘ।”[মুহাল্লা ২/২২২] অতঃপর তিনি আকাশবিদ্যার আলোকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। যারা উৎসুক তারা দেখে নিতে পারেন।

আর হাফেয ইবনুল ক্বাইয়েম (রহ) লিখেছেন: “ইয়া আল্লাহ! খুব আশ্চর্যের বিষয়! হাদীসটিতে এই দলিল কোথায় আছে যে, ততক্ষণ পর্যন্ত আসরের ওয়াক্ত শুরু হয় না, যতক্ষণ ছায়া দ্বিগুণ না হয়? দলিলটি থেকে কিভাবে এটা প্রমাণিত হয়? এখানে সর্বোচ্চ এ দলিল রয়েছে যে, আসরের সলাতের শুরুর ওয়াক্ত থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টুকু যোহর ও আসরের মধ্যকার সময়টুকুর চেয়ে কম। এক্ষেত্রে কোনো সংশয় নেই।” [ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন২/৪০৪]

সুতরাং হাদীসটি দ্বারা আসরের ওয়াক্তের (দ্বিগুণ ছায়ার) দলিল নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

الدليل الثاني عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي قال : إِذَا اشتَدَّ الحَرُّ فَأَبرِدُوا بِالصَّلَاةِ ، فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِن فَيحِ جَهَنَّمَ رواه البخاري ( ٥٣٦ ) ، ومسلم (٦۱٥).

يقول الإمام الكاساني رحمه الله : " الإبراد يحصل بصيرورة ظل كل شيء مثليه ؛ فإن الحر لا يفتر ، خصوصا في بلادهم " انتهى من " بدائع الصنائع " (۱/٣۱٥).

দ্বিতীয় দলিল: আবূ হুরায়রা (রহ) থেকে বর্ণিত, নবী (স) বলেন: “যখন গরম বেশি হয়, তখন ঠাণ্ডার সময় সলাত আদায় কর। কেননা, গরমের প্রচণ্ডতা আসে জাহান্নামের উত্তাপ হতে। [সহীহ বুখারী হা/৫৩৪, সহীহ মুসলিম হা/৬১৫]

ইমাম কাসানী (রহ) বলেছেন: ঠাণ্ডা তখন হয়, যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হয়। কেননা, গরম (এক ছায়াতে) কমে না। বিশেষকরে তাদের দেশগুলোতে।” [বাদাঈস সানায়ি‘ ১/৩১৫]

وأجيب عنه بأن الإبراد يحصل بقرب مصير ظل كل شيء مثله ، وهذا الذي كان في زمن النبي ، فإن تكملة حديث أنس السابق قال فيه : ( حَتَّى سَاوَى الظِّلُّ التُّلُولَ ) البخاري ( ٦٢٩ ).

قال الحافظ ابن حجر رحمه الله :" ظاهره أنه أخرها إلى أن صار ظل كل شيء مثله " انتهى من " فتح الباري " (٢/ ٢٩ ) ، وانظر " الشرح الممتع " (٢/ ٩٨ ) .

উক্ত মন্তব্যের জবাবে বলা হয়, উদ্দিষ্ট ঠাণ্ডা প্রত্যেক বস্তুর ছায়া সমান হওয়ার নিকটবর্তী সময় থেকে শুরু হয়। কেননা, এর উপর নবী (স) -এর যামানাতেই আমল করা হয়েছে। যেহেতু পূর্ববর্তী আনাস (রা)-এর হাদীসে এটাও বর্ণিত হয়েছে যে: “এমনকি ছায়াগুলো টিলার বরাবর হয়ে যেত।” [সহীহ বুখারী হা/৬২৯]

হাফেয ইবনু হাজার (রহ) বলেছেন: “হাদীসটির বাহ্যিক অর্থ থেকে বুঝা যায়, নবী (স) যোহরের ওয়াক্ত সর্বোচ্চ এক ছায়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন।”[ফতহুল বারী ২/২৯২, অনুরূপ: শারহুল মুমতা‘২/৯৮]

الدليل الثالث يقول الإمام السرخسي :" ولأنا عرفنا دخول وقت الظهر بيقين ، ووقع الشك في خروجه إذا صار الظل قامة ، لاختلاف الآثار ، واليقين لا يزال بالشك " انتهى من " المبسوط " (۱/۱٤۱).

وهذا الدليل يمكن الجواب عنه بأن اليقين في خروج وقت الظهر متحصل بالأدلة الصحيحة الصريحة السابقة ، وهو الذي أخذ به أهل العلم .

يقول الحافظ ابن حجر رحمه الله تعالى :

" ولم ينقل عن أحد من أهل العلم مخالفة في ذلك إلا عن أبي حنيفة ، قال القرطبي : خالفه الناس كلهم في ذلك ، حتى أصحابه ، يعني الآخذين عنه ؛ وإلا فقد انتصر له جماعة ممن جاء بعدهم " انتهى من " فتح الباري " (٢/ ٣٦ ).

তৃতীয় দলিল: ইমাম সারাখসী (হানাফী) বলেছেন: আমরা যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া সম্পর্কে অবগত। কিন্তু হাদীসের ইখতিলাফের কারণে যোহরের শেষ ওয়াক্তের ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং নিশ্চিত বিষয়কে সংশয়যুক্ত বিষয় দ্বারা চূড়ান্ত করা যায় না। [আল-মাবসূত ১/১৪১]

উক্ত দলিলের জবাব এভাবে দেয়া যায় যে, যোহরের শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে আমাদের পূর্ববর্তী সহীহ ও সুস্পষ্ট (হাদীসভিত্তিক) দলিল থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। আর আলেমগণ সেটা গ্রহণ করেছেন।

হাফেয ইবনু হাজার (রহ) লিখেছেন: “আলেমদের মধ্যে আবূ হানীফা ছাড়া কারো থেকে এ সম্পর্কে বিরোধিতা নেই। ইমাম কুরতুবী (রহ) বলেছেন: “সমস্ত মানুষ (আলেমগণ) এক্ষেত্রে বিরোধিতা করেছেন, এমনকি ইমাম আবূ হানীফা (রহ)-এর শিষ্যরাও। তাদের পরে আগত লোকেরা তাঁর পক্ষ সমর্থন করেছেন।” [ফতহুল বারী ২/৩৬]

وبهذا يتبين الخلاف في المسألة ، وأن مذهب الحنفية يؤخر صلاة العصر عن مذهب الجمهور ، ووضحنا دليل كل قول وما أجاب به العلماء . يقول الشيخ ابن عثيمين رحمه الله :

" يسن في صلاة العصر تعجيلها في أول الوقت ، وذلك لما يلي :

۱. لعموم الأدلة الدالة على المبادرة إلى فعل الخير ، كما في قوله تعالى ( فَاستَبِقُوا الخَيرَاتِ ) البقرة ٤٨ .

٢. ما ثبت أن الصلاة في أول وقتها أفضل .

٣. ما ثبت عن النبي من حديث أبي برزة الأسلمي : أنه كان يصلي العصر والشمس مرتفعة . البخاري ( ٥٤٧ ) ، ومسلم ( ٦٤٧ ) " انتهى من " الشرح الممتع " (٢/۱ ٠٤ ).

ولمزيد من المصادر والمراجع ينظر : " المحلى " (٢/۱ ٩٧ ) ، " نهاية المحتاج (۱/ ٣٦٤ ) ، " فتح القدير " (۱/ ٢٢٧ ) ، و " حاشية الدسوقي " (۱/۱ ٧٧ ) ، " الموسوعة الفقهية " (٧/۱ ٧٣ ). وانظر جواب السؤال ( رقم : ۱ ٧٩٧٦٩ )…

উপরের বিশ্লেষণে মাসআলাটির মতপার্থক্য সুস্পষ্ট হয়েছে যে, হানাফী মাযহাবে জুমহুরের মাযহাবের চেয়ে দেরিতে আসরের সলাত আদায় করা হয়। এ সম্পর্কে আমরা দলিলের দাবি সুস্পষ্ট করেছি এবং আলেমদের জবাবমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। শাইখ উসায়মীন (রহ) বলেছেন: সুন্নাহ হল আসরের সলাত আওয়াল ওয়াক্তে শীঘ্রই আদায় করা। যার নিম্নোক্ত দিকগুলো রয়েছে:

১- দলিলের ‘আম দাবির ভিত্তিতে নেককাজ শীঘ্রই সম্পাদন করা। যেভাবে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “নেককাজে দ্রুত অগ্রসর হও।” [সূরা বাক্বারাহ: ১৪৮ আয়াত]

২- এটা প্রমাণিত যে, আওয়াল ওয়াক্তে সলাত আদায় সর্বোত্তম।

৩- নবী (স) থেকে প্রমাণিত যা সাহাবী আবূ বারযাহ আসলামী (রা) বর্ণনা করেছেন যে: “তিনি (স) আসরের সলাত পড়তেন সূর্য উঁচুতে থাকাবস্থায়। [সহীহ বুখারী হা/৫৪৭, সহীহ মুসলিম হা/৬৪৭ সূত্রে: আশ-শারহুল মুমাত্তা‘ ২/১০৪]

এই মাসআলা সম্পর্কে আরও জানার জন্য দেখুন: মুহাল্লা ২/১৯৭, নিহায়াতুল মুহতাজ ১/৩৬৪, ফতহুল ক্বাদীর ১/২২৭, হাশিয়াহ দাসুক্বী ১/১৭৭, আল-মাওসুআতুল ফিক্বহিয়্যাহ ৭/১৭৩। আরও দ্র: প্রশ্নোত্তর নং-১৭৯৭৬৯।…

[সূত্র: https://islamqa.info/ar/220820]

অতঃপর মাগরিব ও ঈশার সলাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কেবল সলাতুল আসরের ওয়াক্ত সম্পর্কিত আলোচনাটুকু অনুবাদ করলাম। যারা আরও জানতে আগ্রহী তারা সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট থেকে দেখে নিন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন