১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
ভূমিকা
৩
প্রথম অধ্যায়: সলাতের ওয়াক্তসমূহের হেফাযত এবং এক্ষেত্রে আসরের সলাতের বিশেষত্ব
অনুচ্ছেদ-১: সলাতের ওয়াক্ত এবং এর সীমানা নির্ধারিত।
৪
অনুচ্ছেদ-২: আল্লাহ তাআলা সলাত হেফাযতের সাথে সাথে ‘সলাতুল উসতা’ বা মধ্যবর্তী সলাতকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে হেফাযত করতে বলেছেন।
৫
অনুচ্ছেদ-৩: নবী (স)-এর ক্বওলী হাদীস অনুযায়ী ‘সলাতুর উসতা’ বা মধ্যবর্তী সলাতটি হল, আসরের সলাত।
৬
অনুচ্ছেদ-৪: রসূলুল্লাহ (স)-এর হাদীসে সলাত হেফাযত বলতে- আল্লাহ তাআলা‘র ভয়-ভীতিসহ ওয়াক্ত মোতাবেক সলাত আদায়ের সাথে সাথে ওযু, রুকু, সাজদা প্রভৃতি সঠিকভাবে আদায় করার অর্থ নেয়া হয়েছে।
৭
অনুচ্ছেদ-৫: আসরের সলাতকে বলা হয়েছে ‘সলাতুল উসতা’ বা মধ্যবর্তী সলাত, আর উম্মাতে মুহাম্মাদী (স)-কে সম্বোধন করা হয়েছে ‘উম্মাতে ওয়াসাত’ বা মধ্যপন্থী উম্মাত হিসেবে।
৮
অনুচ্ছেদ-৬: পূর্ববর্তী উম্মাতের সাথে উম্মাতে মুহাম্মাদী (স)-কে আসরের সলাতের মেয়াদে দ্বিগুণ ফযিলত দ্বারা তুলনা করা হয়েছে।
৯
অনুচ্ছেদ-৭: পূর্ববর্তী উম্মাত আসরের সলাতকে মর্যাদা দিতে পারেনি। তা-ই যে ব্যক্তি এই সলাত যথাযথভাবে আদায় করবে, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।
১০
অনুচ্ছেদ-৮: আসরের সলাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, তখন মালাকগণ আল্লাহ তাআলা‘র কাছে সলাতরত থাকার সংবাদ নিয়ে যান। এ বৈশিষ্ট্যটি ফজরের সলাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বাকী তিন ওয়াক্তের সলাতের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।– যা সঠিক ওয়াক্তে ফজর ও আসরের সলাত আদায়ের গুরুত্বকে বৃদ্ধি করে।
১১
অনুচ্ছেদ-৯: সূর্যের তাপ বেশি হলে যোহরের সলাতকে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরিতে আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [. সাহাবী আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত:قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَبْرِدُوا بِالظُّهْرِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ “রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: যোহরের সলাত গরম কমলে আদায় কর। কেননা, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে।”[সহীহ বুখারী হা/৫৩৮]]তেমনি ফযিলতের উদ্দেশ্যে ঈশার সলাতকে পিছিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। [. সাহাবী মুআয বিন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত:قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَعْتِمُوا بِهَذِهِ الصَّلَاةِ فَإِنَّكُمْ قَدْ فُضِّلْتُمْ بِهَا عَلَى سَائِرِ الْأُمَمِ وَلَمْ تُصَلِّهَا أُمَّةٌ قَبْلَكُمْ.“রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: তোমরা এই (ঈশার) সলাতকে দেরি করে পড়বে। কেননা, এই সলাত দ্বারা তোমাদেরকে অন্য উম্মাতের উপর ফযিলত দেয়া হয়েছে। তোমাদের পূর্বে কোনো উম্মাত কখনো এই সলাত পড়েনি।”[আবূ দাউদ হা/৪২১, মিশকাত হা/৬১২; সহীহ- আলবানী, যুবায়ের আলী যাঈ]] পক্ষান্তরে আসরের সলাত শীঘ্রই আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। যার মধ্যে ধমকি ও ক্ষতির বিবরণ রয়েছে।
১২
অনুচ্ছেদ-১০: সূর্যের তাপ বেশি হওয়ার কারণে যোহরের সলাত এক ছায়া তথা আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার বৈধতা।
১৩
অনুচ্ছেদ-১১: মাগরিবের সলাত আদায়ে দেরি না করার প্রতি এভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে যে, এর মধ্যে উম্মাতের কল্যাণ রয়েছে। কিন্তু ধমকি বা ক্ষতির বিবরণ নেই।
১৪
অনুচ্ছেদ-১২: ইফতারের জন্য মাগরিবের জামাআতের শরীক হওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে, [. সাহাবী আনাস (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন:إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَأَحَدُكُمْ صَائِمٌ فَلْيَبْدَأْ بِالْعَشَاءِ قَبْلَ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ وَلَا تعجلوا عن عشائكم““যখন সলাত দাঁড়ায় (ইক্বামাত দেয়া হয়) আর তোমাদের কেউ সায়িম (রোযাদার), তা হলে সে যেন মাগরিবের সলাতের পূর্বে তার সন্ধ্যার খাবার খেয়ে নেয়। আর সে যেন সন্ধ্যার খাবার গ্রহণে তাড়াহুড়া না করে। [সহীহ ইবনু হিব্বান হা/২০৬৮- আলবানী ও শুআয়েব আরনাউত হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (স্ব স্ব তাহক্বীক্ব ইবনু হিব্বান হা/২০৬৮)]] কিন্তু আসরের সলাতে ক্ষেত্রে শুরুর ওয়াক্তের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সুযোগ পেলে দেরিতে হওয়া আসরের জামাআতে শরীক হওয়া যাবে।
১৫
অনুচ্ছেদ-১৩: কম লোক উপস্থিত হলে ঈশার জামাআত দেরিতে শুরু করা সুন্নাত। [. তাবেঈ আমর বিন হাসান বিন আলী (রহ) বর্ণনা করেন:سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ صَلَاةِ النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ كَانَ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتْ وَالْعِشَاءَ إِذَا كَثُرَ النَّاسُ عَجَّلَ وَإِذَا قَلُّوا أَخَّرَ وَالصُّبْح بِغَلَس“আমরা সাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহকে নবী (স) -এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি (স) বললেন: নবী (স) যোহর পড়তেন মধ্যাহ্ন গড়ালেই, আসর পড়তেন সূর্য জীবন্ত থাকতেই, মাগরিব পড়তেন সূর্য ডুবলেই। ঈশার ক্ষেত্রে লোক বেশি হলে শীঘ্র পড়তেন আর লোক কম হলে দেরি করতেন এবং ফজর পড়তেন অন্ধকারে।” [সহীহ বুখারী হা/৫৬৫, সহীহ মুসলিম হা/১৩৪৬ (২৩৩/৬৪৬) মিশকাত হা/৫৮৮]] পক্ষান্তরে আসরের জামাআত দেরিতে আদায় হলে একাকী সঠিক সময়ে আদায় করাটা নবী (স)-এর নির্দেশ।
১৬
অনুচ্ছেদ-১৪: নবী (স) সফরে আসরের সলাত যোহরের ওয়াক্তে আদায় করতেন। আবার যোহরের ওয়াক্ত আসরের প্রথম ওয়াক্ত পর্যন্তও বিলম্ব করতেন, কিন্তু আসরের ওয়াক্ত আসা মাত্রই পড়তেন।– এ থেকে আসরের সলাত এবং এর ওয়াক্তের গুরুত্ব সুস্পষ্ট হয়।
১৭
অনুচ্ছেদ-১৫: যোহর ও আসরের সলাত ঘনিষ্ঠ বা খুব কাছাকাছি সময়ে আদায় করা যায়।
১৮
অনুচ্ছেদ-১৬: ফজর ও ঈশার সলাতের জামাআত মুনাফিক্বদের জন্য কঠিন। পক্ষান্তরে আসরের সলাতের ক্ষেত্রে মুনাফিক্বরা সূর্য হলুদ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
১৯
দ্বিতীয় অধ্যায়: সলাতুল আসরের ওয়াক্ত
অনুচ্ছেদ-১৭: সলাতুল আসরের ওয়াক্তের সীমানা- বস্তুর ছায়া তার সমান হওয়া থেকে ছায়া দ্বীগুণ হওয়া পর্যন্ত। (সূর্য ঢলে যাবার পর যে ছায়া পরে তা ব্যতীত) [. সূর্য মধ্য রেখায় থাকলে কোনো খোলা জায়গায় একটি সরল কাঠি বা শলাকা সোজাভাবে গাড়লে যখন তার ছায়া তার দেহে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর পূর্ব দিকে পড়ে লম্বা হতে লাগবে তখনই হবে যোহরের সময়। এইভাবে তার ছায়া তার সমপরিমাণ হলে যোহরের সময় শেষ হয়ে যাবে। অনথা সূর্য মধ্যরেখায় না থাকলে, কোনো গোলার্ধে থাকার ফলে যে অতিরিক্ত ছায়া পড়ে, তা বাদ দিয়ে মাপতে হবে। কাঠির ছায়া কমতে কমতে ঠিক মধ্যাহ্নকালে আবার বাড়তে শুরু করবে। ঐ বাড়া অংশটি মাপলে যোহর ও আসরের সময় নির্ণয় করা যায়। [আব্দুল হামীদ ফাইযী, সলাতে মুবাশশির- সলাতের ওয়াক্ত দ্র:]]
২০
অনুচ্ছেদ-১৮: আসরের সলাতের পর তিন, চার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার পরও সূর্য তাপবিশিষ্ট ও উপরে থাকবে।
২১
অনুচ্ছেদ-১৯: আসরের সলাতের গুরুত্বপ্রাপ্ত ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত সময় হল সূর্য হলুদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত
২২
অনুচ্ছেদ-২০: আসরের সলাতের ছাড়প্রাপ্ত ওয়াক্ত [জামাআত ক্বায়েমের জন্য নয়, ব্যক্তির বিশেষ অসুবিধায় প্রযোজ্য]
২৩
অনুচ্ছেদ-২১: ওজর থাকা ও ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে নবী (স) -এর নির্দেশনা
২৪
অনুচ্ছেদ-২২: ইচ্ছাকৃতভাবে সূর্য হলুদ হওয়া পর্যন্ত বা ছাড়প্রাপ্ত ওয়াক্তে আসরের সলাত আদায়কারী মুনাফেক্ব
২৫
অনুচ্ছেদ-২৩: জিবরীল (আ) সলাতের যে ওয়াক্ত দেখিয়েছেন সে অনুযায়ী সলাত আদায়ের প্রতি নির্দেশ প্রদান এবং সেটা না পালন করাতে সাহাবীগণের উদ্বীগ্ন হওয়া।
২৬
অনুচ্ছেদ-২৪: আসরের সলাতের পর এতটা সময় থাকতো যে, একটি উট যবাহ করে দশ ভাগে বণ্টন করার পর রান্না করে সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ গোশত খাওয়া হতো
২৭
অনুচ্ছেদ-২৫: আসরের সলাতের সময় সূর্যের আলো ঘরের মেঝেতে থাকবে ঘরের মেঝে সূর্যের আলোহীন হবে না বা ছায়া পড়বে না, অথবা সূর্যের আলো দেওয়ালে লাগবে না বা বাইরে যাবে না।
২৮
অনুচ্ছেদ-২৬: শাসক বা দায়িত্বশীলগণ যখন আসরের সলাত পিছিয়ে দেবে তখন একাকী সঠিক সময়ে আদায় করা জরুরি। সম্ভব হলে পরে জামাআতে শরীক হওয়া যাবে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। এভাবে একাকী সলাত আদায় করলে- সেটাকে সলাতের হেফাযত করা গণ্য করা হয়েছে।
২৯
অনুচ্ছেদ-২৭: শাসক সলাতের সময় পিছালে সঠিক ওয়াক্তে সলাত আদায়কারী এটা বলবে না যে: ‘আমি সলাত আদায় করে নিয়েছি তাই এখন আমি সলাত আদায় করব না।’
৩০
অনুচ্ছেদ-২৮: সলাতের ওয়াক্ত পিছিয়ে দেয়া ইমাম বা শাসক বিদআতী হলে তার অনুসরণ করা নিষিদ্ধ।
৩১
অনুচ্ছেদ-২৯: সলাতের ওয়াক্ত পিছিয়ে দেয়া ইমাম বা শাসকের অধীনে যেসব চাকুরী নিষিদ্ধ।
৩২
তৃতীয় অধ্যায়: সহীহ হাদীসের অপপ্রয়োগ
অনুচ্ছেদ-৩০: ব্যাপকভাবে বর্ণিত শাব্দিক ও ব্যবহারিক বর্ণনার মোকাবেলায় একক বা বিচ্ছিন্নভাবে বর্ণিত হাদীসের শাব্দিক বিশ্লেষণ দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অসারতা।
৩৩
অনুচ্ছেদ-৩১: পূর্বের উম্মাতের সাথে এই উম্মাতকে আসরের সলাতের সাথে তুলনা সম্পর্কিত হাদীসের অপপ্রয়োগ।
৩৪
অনুচ্ছেদ-৩২: ‘আসরের ওয়াক্ত সূর্য হলুদ হওয়া পর্যন্ত’ - মর্মে বর্ণিত হাদীসের অপপ্রয়োগ। কেননা, উক্ত বাক্যটি আসরের শেষ সময়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরেও হানাফীগণ হাদীসের বাক্যের সংক্ষিপ্ত অর্থ গ্রহণ করে জিবরীল (আ)-এর হাদীস মানসুখ বিবেচনা করেন।
৩৫
অনুচ্ছেদ-৩৩: ‘যখন তাপ প্রখর হবে, তখন তোমরা সলাতকে তাপ কমে গেলে আদায় করবে’- মর্মে বর্ণিত হাদীসের অপপ্রয়োগ। যার সম্পর্ক প্রচণ্ড গরম ও সফরের সাথে। কিন্তু হানাফী মাযহাবে এই হাদীসটির আলোকে জিবরীল (আ)-এর হাদীস মানসুখ বিবেচনা করা হয় এবং যোহরের স্থায়ী সময় নির্ধারণ করা হয় দুই ছায়া পর্যন্ত। যা হানাফী গবেষক আলেমগণও বাতিল করেছেন।
৩৬
অনুচ্ছেদ-৩৪: বিস্তারিত হাদীস ত্যাগ করে সংক্ষিপ্ত হাদীসকে দলীয় স্বার্থে দলিল বানানো।
৩৭
চতুর্থ অধ্যায়: আসরের ওয়াক্ত সম্পর্কিত যঈফ হাদীস
৩৮
পঞ্চম অধ্যায়: আসরের সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে কয়েকজন হানাফী বিশেষজ্ঞ আলেমের সিদ্ধান্ত
৩৯
ষষ্ঠ অধ্যায়: ফাতওয়া: হানাফীদের আসরের ওয়াক্ত দেরিতে কেন?
৪০
সপ্তম অধ্যায়: জামাআতের গুরুত্ব ও যেসব কারণে সলাতের জামাআত ত্যাগ করা যায়
অনুচ্ছেদ-৩৫: আল্লাহ তাআলা সময়মতো সলাত আদায় করা ফরয করেছেন। আর জামাআতবদ্ধ সলাত আদায় রসূলুল্লাহ (স)-এর নির্দেশ ও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
৪১
অনুচ্ছেদ-৩৬: জামাআতের ফযিলত এবং জামাআত ত্যাগকারীকে যেসব ধমকি দেয়া হয়েছে তার সার-সংক্ষেপ।
৪২
অনুচ্ছেদ-৩৭: জন-মানবহীন এলাকায় সলাত পড়লে জামাআতের সলাতের থেকে দ্বিগুণ সওয়াব।
৪৩
অনুচ্ছেদ-৩৮: ঝড়, বৃষ্টি ও কাদা-পানিতে জামাআত ও জুমুআ ত্যাগ করার অনুমতি।
৪৪
অনুচ্ছেদ-৩৯: খাবার উপস্থিত হলে জামাআতে শরিক না হয়ে খাবার গ্রহণের অনুমতি।
৪৫
অনুচ্ছেদ-৪০: প্রয়োজন মতো ইফতার গ্রহণের জন্য মাগরিবের জামাআতে শরীক হওয়া থেকে বিরত থাকার অনুমোদন।
৪৬
অনুচ্ছেদ-৪১: পেশাব-পায়খানার ন্যায় মানবিক প্রয়োজন পূরণের কারণে জামাআত ত্যাগের অনুমতি।
৪৭
অনুচ্ছেদ-৪২: অন্যান্য মানবিক ওজর বা প্রয়োজনে উক্ত দাবি পূরণ।
৪৮
অনুচ্ছেদ-৪৩: ইমাম বা শাসক জামাআত দেরিতে ক্বায়েম করলে একাকি সময়মতো সলাত আদায় করতে হবে। যা সলাতের হেফাযত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। [. দ্র. হা/৩৮।] সম্ভব হলে দেরিতে আদায়কৃত জামাআতে শরীক হয়ে নফল সলাতের সওয়াব নিতে হবে- যা বাধ্যতামূলক নয়। [. দ্র. হা/৩৯।] কিন্তু মাসজিদে উপস্থিত থাকলে এটা বলবে না যে, আমি সলাত আদায় করব না। [. দ্র. হা/৪১।] বিদআতী ইমাম বা শাসক হলে তাকে ত্যাগ করতে হবে। [. দ্র. হা/৪২।] যা পূর্বের শর্তগুলোর মতো জামাআত ত্যাগের একটি শর্ত।
৪৯
অনুচ্ছেদ-৪৪: জামাআত ত্যাগে দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষতি রয়েছে- যা হেফাযত করার মধ্যে বান্দার হক্বও রয়েছে।
৫০
অনুচ্ছেদ-৪৫: একাকি হলেও দেরিতে আদায়কৃত জামাআতে শরীক না হয়ে একাকি সলাত আদায়কে ‘সলাত হেফাযত’ বলা হয়েছে। [. দ্র. হা/৩৮।] কেননা, ওয়াক্তমতো সলাত আদায় করা আল্লাহ হক্ব বা তাঁরই নির্দেশ। পক্ষান্তরে মানবিক প্রয়োজন, যেমন- খাবার, পেশাব-পায়খানা, ঝড়-বৃষ্টি, ঠান্ডা প্রভৃতি কারণে জামাআতে শরীক না হওয়াটা বান্দার হক্ব। যদি বান্দার হক্ব আদায়ে জামাআত ত্যাগ করা যায়- তা হলে আল্লাহর হক্ব আদায়ে জামাআত ত্যাগ করা আরও বেশি প্রাধান্য পাবার যোগ্য। যেভাবে ঋণ বান্দার হক্ব, আর ক্বাযা সিয়াম আল্লাহর ঋণ। নবী (স) এক্ষেত্রে আল্লাহর হক্ব অগ্রাধিকার পাওয়ার সুন্দর উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন।
৫১
অনুচ্ছেদ-৪৬: সাহাবীগণ (রা)-ও এক্ষেত্রে আল্লাহর হক্বকে প্রাধান্য দিয়ে শাসকের অপেক্ষায় বসে না থেকে সলাত পড়ে ফেলতেন। কখনই শাসকের হক্বকে প্রাধান্য দেননি।
৫২
অনুচ্ছেদ-৪৭: শাসকের আনুগত্য তার হক্ব, যা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ ও আনুগত্যের মোকাবেলায় শাসকের আনুগত্য নেই।
৫৩
অনুচ্ছেদ-৪৮: আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নির্দেশ থাকার পাশাপাশি ছাড় বা বিশেষ নির্দেশ দিয়ে থাকলে, ঐ ছাড় বা বিশেষ নির্দেশটি পালন করা ক্ষেত্রবিশেষে প্রাধান্য ও বেশি ফযিলতপূর্ণ হয়। যেমন- জন-মানবহীন এলাকায় একাকী সলাত আদায় করা জামাআতবদ্ধভাবে সলাত আদায়ের থেকে বেশি ফযিলতপূর্ণ। তেমনি ইমাম বা শাসক জামাআত পিছিয়ে দিলে বা দেরিতে পড়লে- সময়মতো সলাত আদায় করাকে ‘সলাত হেফাযত করা হল’ মর্মে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
৫৪
পরিশিষ্ট
সৌদিপ্রবাসী ফেসবুক ও ইউটিউব খ্যাত হানাফী বক্তার আলোচনার জবাব
৫৫
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১:
৫৬
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-২:
৫৭
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৩:
৫৮
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৪:
৫৯
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৫:
৬০
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৬:
৬১
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৭:
৬২
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৮:
৬৩
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-৯:
৬৪
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১০:
৬৫
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১১:
৬৬
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১২:
৬৭
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১৩:
৬৮
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১৪:
৬৯
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১৫:
৭০
সৌদি প্রবাসী হানাফী আলেম-১৬: