hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

২৭
অনুচ্ছেদ-২৫: আসরের সলাতের সময় সূর্যের আলো ঘরের মেঝেতে থাকবে ঘরের মেঝে সূর্যের আলোহীন হবে না বা ছায়া পড়বে না, অথবা সূর্যের আলো দেওয়ালে লাগবে না বা বাইরে যাবে না।
হাদীস-৩৭: আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন:

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرْ الْفَيْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا .

“আল্লাহর রসূল (স) এমন সময় আসরের সলাত আদায় করেছেন যে, সূর্যরশ্মি তখনো তাঁর ঘরের মধ্যে ছিল, আর ছায়া তখনো তাঁর ঘর হতে বেরিয়ে পড়েনি।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৪৫।]

অন্য বর্ণনায় আছে:

كَانَ النَّبِيُّ يُصَلِّي صَلاَةَ الْعَصْرِ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي لَمْ يَظْهَرْ الْفَيْءُ بَعْدُ وَقَالَ مَالِكٌ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَشُعَيْبٌ وَابْنُ أَبِي حَفْصَةَ وَالشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ .

“নবী (স) ‘আসরের সলাত আদায় করতেন, আর সূর্যকিরণ তখনো আমার ঘরে থাকতো। সলাত আদায় করার পরও ছায়া (ঘরে) দৃষ্টিগোচর হতো না। আবু ‘আবদুল্লাহ্ [ইমাম বুখারী (রহ)] বলেন, ইমাম মালিক, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা‘ঈদ, শুআইব ও ইবনু আবূ হাফস্ (রহ) উক্ত সনদে এ হাদীসটির বর্ণনায়, ‘সূর্যরশ্মি আমার ঘরের ভিতরে থাকত, ঘরের মেঝেতে ছায়া নেমে আসেনি’ এমন বলেছেন।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৪৬।]

অন্য বর্ণনায় আছে:

انَّ رَسُولُ اللهِ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ ‏ .‏ 

“রসূলুল্লাহ (স) ‘আসরের সলাত এমন সময় আদায় করতেন যখন রোদ তার ঘরের মধ্যে থাকত এবং দেয়ালে রোদ প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই এরূপ হত।” [. আবূ দাউদ হা/৪০৭।]

হাফেয ইবনু হাজার (রহ) ‘ফতহুল বারী’-তে হাদীসগুলোর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে লিখেছেন:

وَالْمُسْتَفَادُ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ تَعْجِيلُ صَلَاةِ الْعَصْرِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا وَهَذَا هُوَ الَّذِي فَهِمَتْهُ عَائِشَةُ وَكَذَا الرَّاوِي عَنْهَا عُرْوَةُ وَاحْتَجَّ بِهِ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي تَأْخِيرِهِ صَلَاةَ الْعَصْرِ كَمَا تَقَدَّمَ .

“এই হাদীস থেকে অর্জিত ফায়দা হল, আসরের সলাত শীঘ্র শীঘ্র এর প্রথম ওয়াক্তের মধ্যে আদায় করতে হয়। আর এটাই আয়েশা (রা)-এর বুঝ এবং বর্ণনাকারী উরওয়াহ (রহ)-এর বুঝও এটাই। আর এ কারণেই তিনি (রহ) উমার বিন আব্দুল আযীয (রহ) আসরের (সলাত) দেরি করাতে এ দ্বারা হুজ্জাত (দলিল) নিয়েছেন যেভাবে পূর্বে [. সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হা/৫২১ ও ৫২২। ৫২২ নং টি স্বতন্ত্র সনদসহ বর্ণিত হাদীস নয় বরং সনদসহ বর্ণিত ৫২১ নং এর শেষাংশ। পরবর্তী কালে যারা সহীহ বুখারীতে নম্বর যুক্ত করেছেন তারা হাদীসটি ৫২২ নং-এর অংশটি স্বতন্ত্রভাবে নম্বর দিয়েছেন। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সহীহ বুখারী হা/৪৯৭-এ বর্ণনাটি একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। [দ্র: সহীহ বুখারী (ইফা) ২য় খণ্ড প্রথম হাদীস]] হাদীসে এসেছে।” [. ফতহুল বারী ২/২৫ পৃ: ৫৪৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্র:।]

অতঃপর হাফেয ইবনু হাজার (রহ) লিখেছেন:

وَشَذَّ الطَّحَاوِيّ فَقَالَ لَا دَلَالَةَ فِيهِ عَلَى التَّعْجِيلِ لِاحْتِمَالِ أَنَّ الْحُجْرَةَ كَانَتْ قَصِيرَةَ الْجِدَارِ فَلَمْ تَكُنِ الشَّمْسُ تَحْتَجِبُ عَنْهَا إِلَّا بِقُرْبِ غُرُوبِهَا فَيَدُلُّ عَلَى التَّأْخِيرِ لَا عَلَى التَّعْجِيلِ وَتُعُقِّبَ بِأَنَّ الَّذِي ذَكَرَهُ مِنَ الِاحْتِمَالِ إِنَّمَا يُتَصَوَّرُ مَعَ اتِّسَاعِ الْحُجْرَةِ وَقَدْ عُرِفَ بِالِاسْتِفَاضَةِ وَالْمُشَاهَدَةِ أَنَّ حُجَرَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ لَمْ تَكُنْ مُتَّسِعَةً وَلَا يَكُونُ ضَوْءُ الشَّمْسِ بَاقِيًا فِي قَعْرِ الْحُجْرَةِ الصَّغِيرَةِ إِلَّا وَالشَّمْسُ قَائِمَةٌ مُرْتَفِعَةٌ وَإِلَّا مَتَى مَالَتْ جِدًّا ارْتَفَعَ ضَوْؤُهَا عَنْ قَاعِ الْحُجْرَةِ وَلَوْ كَانَتِ الْجُدُرُ قَصِيرَةً قَالَ النَّوَوِيُّ كَانَتِ الْحُجْرَةُ ضَيِّقَةَ الْعَرْصَةِ قَصِيرَةَ الْجِدَارِ بِحَيْثُ كَانَ طُولُ جِدَارِهَا أَقَلَّ مِنْ مَسَافَةِ الْعَرْصَةِ بِشَيْءٍ يَسِيرٍ فَإِذَا صَارَ ظِلُّ الْجِدَارِ مِثْلَهُ كَانَتِ الشَّمْسُ بَعْدُ فِي أَوَاخِرِ الْعَرْصَةِ اه وَكَأَنَّ الْمُؤَلِّفَ لَمَّا لَمْ يَقَعْ لَهُ حَدِيثٌ عَلَى شَرْطِهِ فِي تَعْيِينِ أَوَّلِ وَقْتِ الْعَصْرِ وَهُوَ مَصِيرُ ظِلِّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ اسْتَغْنَى بِهَذَا الْحَدِيثِ الدَّالِّ عَلَى ذَلِكَ بِطَرِيقِ الِاسْتِنْبَاطِ وَقَدْ أَخْرَجَ مُسْلِمٌ عِدَّةَ أَحَادِيثَ مُصَرَّحَةً بِالْمَقْصُودِ وَلَمْ يُنْقَلْ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مُخَالَفَةٌ فِي ذَلِكَ إِلَّا عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ فَالْمَشْهُورُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ أَوَّلُ وَقْتِ الْعَصْرِ مَصِيرُ ظِلِّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ بِالتَّثْنِيَةِ قَالَ الْقُرْطُبِيُّ خَالَفَهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ فِي ذَلِكَ حَتَّى أَصْحَابُهُ يَعْنِي الْآخِذِينَ عَنْهُ وَإِلَّا فَقَدِ انْتَصَرَ لَهُ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ جَاءَ بَعْدَهُمْ فَقَالُوا ثَبَتَ الْأَمْرُ بِالْإِبْرَادِ وَلَا يَحْصُلُ إِلَّا بَعْدَ ذَهَابِ اشْتِدَادِ الْحَرِّ وَلَا يَذْهَبُ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَصِيرَ ظِلُّ الشَّيْءِ مِثْلَيْهِ فَيَكُونُ أَوَّلُ وَقْتِ الْعَصْرِ مَصِيرَ الظِّلِّ مِثْلَيْهِ وَحِكَايَةُ مِثْلِ هَذَا تُغْنِي عَنْ رده .

“কিন্তু তাহাবী’র (হানাফী) দুর্বল উক্তি হল, তিনি বলেছেন: ‘আয়েশা (রা)-এর হাদীস দ্বারা আসরের সলাত শীঘ্রই আদায় করার দলিল নেই। কেননা কক্ষের দরজা খুবই নিচু ছিল। ফলে সূর্য (আলো) তখনই ঘর থেকে বের হতো না যতক্ষণ না তার প্রখরতা কমে গিয়ে সূর্যাস্তের নিকটবর্তী হতো। এ থেকে দলিল পাওয়া গেল যে, (নবী স.) আসরের সলাত দেরিতে পড়তেন এবং শীঘ্র ও (ওয়াক্ত হওয়ার) পরপর পড়তেন না।’ [. তাহাবী (ইফা) হা/১০৫৮-এর পরবর্তী মন্তব্য।] এর জবাব হল, তাহাবীর দাবিরর সম্ভবনাটা তখন হতে পারে, যখন সূর্যের আলো ঘরের মেঝেতে প্রশস্তভাবে পতিত হতো। অথচ আমরা পরিপূরক দলিল ও সাক্ষ্য থেকে জানতে পারি যে, নবী (স)-এর স্ত্রীর ঘরটি প্রশস্ত ছিল না, বরং সংকীর্ণ ও ছোট ছিল। ফলে ছোট ঘরে ততক্ষণ পর্যন্ত আলো থাকবে যতক্ষণ সূর্য খুব উঁচুতে অবস্থান করে। আর যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার নিকটবর্তী হয় তখন আলো ঘরের মেঝেতে থাকবে না, যদিওবা ঘরের দরজা ছোট হোক না কেন? ইমাম নওয়াবী (নববী রহ.) লিখেছেন: ঘরের চত্বরের পরিধি ছিল সংকীর্ণ, দেওয়াল ছিল নিকটবর্তী, উচ্চতার দিক থেকে দরজাটি মেঝের প্রশস্ততার থেকে কিছু কম ছিল। ফলে যখন ছায়া দেওয়ালের সমান হতো তখন সূর্যের আলো মেঝের শেষাংশে চলে যেত। এর ফলে যখন ইমাম বুখারী (রহ) নিজের সহীহ’র শর্তানুযায়ী এক ছায়া পরিমানের পরবর্তী সময় সম্পর্কিত আসরের প্রথম ওয়াক্তের হাদীস পেলেন না, তখন কেবল আয়েশা (রা)-এর হাদীস গ্রহণ করলেন এবং তা দ্বারা প্রথম ওয়াক্তে আসরের সলাত আদায়ের সিদ্ধান্ত দিলেন। আর সহীহ মুসলিমের এ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট অনেক হাদীস রয়েছে যে, এক ছায়ার পরে আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। কোনো আলেম থেকে এর বিরোধী বক্তব্য নেই, কেবল ইমাম আবূ হানীফা (রহ) থেকে রয়েছে। তাঁর প্রসিদ্ধ উক্তি রয়েছে যে, আসরের ওয়াক্ত ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর শুরু হয়। ইমাম কুরতুবী (রহ) বলেছেন: সমস্ত মানুষ (আলেমগণ) এর বিরোধিতা করেছেন, অর্থাৎ তাঁদের নিকট আসরের ওয়াক্ত এক ছায়া থেকে শুরু হয়ে যায়। এমনকি ইমাম আবূ হানীফা (রহ)-এর দুই শিষ্যও তাঁর বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু ইমাম সাহেবের পরবর্তী অনুসারীরা ‘ইবরাদ’(বা সূর্যের তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার) হাদীস দ্বারা দলিল নিয়ে যোহরের ওয়াক্ত দুই ছায়া পর্যন্ত রেখেছেন। কিন্তু তাদের এই দলিল গ্রহণ ঠিক নয় যা তারা ‘ইবরাদ’-হাদীস থেকে দ্বিগুণ ছায়ার অর্থ নিয়েছেন। অথচ ঐ ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা দ্বারা আসরের সলাত এক ছায়া থেকে প্রথম ওয়াক্ত প্রমাণিত হয়, যা দ্বারা তাদের উপস্থাপনা খণ্ডন হয়।” [. ফতহুল বারী ২/২৫ পৃ: ৫৪৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্র:।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন