hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

৩৩
অনুচ্ছেদ-৩১: পূর্বের উম্মাতের সাথে এই উম্মাতকে আসরের সলাতের সাথে তুলনা সম্পর্কিত হাদীসের অপপ্রয়োগ।
হাদীস-৪৫: ইমাম বুখারী (রহ) বর্ণনা করেন:

عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ يَقُولُ إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَا سَلَفَ قَبْلَكُمْ مِنَ الْأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ أُوتِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ فَعَمِلُوا حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِيَ أَهْلُ الْإِنْجِيلِ الْإِنْجِيلَ فَعَمِلُوا إِلَى صَلاَةِ الْعَصْرِ ثُمَّ عَجَزُوا فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا ثُمَّ أُوتِينَا الْقُرْآنَ فَعَمِلْنَا إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ فَأُعْطِينَا قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ فَقَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ أَيْ رَبَّنَا أَعْطَيْتَ هَؤُلَاءِ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ وَأَعْطَيْتَنَا قِيرَاطًا قِيرَاطًا وَنَحْنُ كُنَّا أَكْثَرَ عَمَلاً قَالَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ أَجْرِكُمْ مِنْ شَيْءٍ قَالُوا لاَ قَالَ فَهُوَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ .

“সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছেন, আগেকার উম্মাতের স্থায়িত্বের তুলনায় তোমাদের স্থায়িত্ব হলো আসরের সলাত হতে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের ন্যায়। তাওরাত অনুসারীদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল। তারা তদনুযায়ী কাজ করতে লাগল; যখন দুপুর হলো, তখন তারা অপারগ হয়ে পড়ল। তাদের এক এক ‘কীরাত’ করে পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। আর ইনজীল অনুসারীদেরকে ইনজীল দেয়া হলো। তারা আসরের সলাত পর্যন্ত কাজ করে অপরাগ হয়ে পড়ল। তাদেরকে এক এক ‘কীরাত’ করে পারিশ্রমিক দেয়া হলো। অতঃপর আমাদেরকে কুরআন দেয়া হলো। আমরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাজ করলাম। আমাদের দু’ দু’ ‘কীরাত’ করে দেয়া হলো। এতে উভয় কিতাবী সম্প্রদায় বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের দু’ দু’ ‘কীরাত’ করে দান করেছেন, আর আমাদের দিয়েছেন এক এক কীরাত করে; অথচ আমলের দিক দিয়ে আমরাই বেশি। আল্লাহ্ তাআলা বললেন: তোমাদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি কি তোমাদের প্রতি কোনোরূপ যুলুম করেছি? তারা বললো, না। তখন আল্লাহ তাআলা বললেন: এ হলো, আমার অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তাকে দেই।” [. সহীহ বুখারী হা/৫৫৭।]

আলাউদ্দীন আবূ বাকার বিন মাসউদ আল-কাসানী আল-হানাফী তাঁর ফিক্বহ গ্রন্থ ‘বাদায়িস সানাঈ’-এ লিখেছেন:

فدل الحديث على أن مدة العصر أقصر من مدة الظهر ، وإنما يكون أقصر أن لو كان الأمر على ما قاله أبو حنيفة

“হাদীসটিতে দলিল রয়েছে যে, আসরের সময়কাল যোহরের সময়ের চেয়ে অনেক কম। আর এটা তখনই কম হবে যখন ইমাম আবূ হানীফার উক্তি মোতাবেক বিধানটি মূল্যায়ন করা হবে।” [. বাদায়িস সানাঈ ১/৩১৫ পৃ:।]

হানাফীরা হাদীসের যে অংশ থেকে দলিল নিয়েছেন তা হল:

فَقَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ أَيْ رَبَّنَا أَعْطَيْتَ هَؤُلَاءِ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ وَأَعْطَيْتَنَا قِيرَاطًا قِيرَاطًا وَنَحْنُ كُنَّا أَكْثَرَ عَمَلاً

“উভয় কিতাবী সম্প্রদায় বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের দু’ দু’ ‘কীরাত’ করে দান করেছেন, আর আমাদের দিয়েছেন এক এক কীরাত করে; অথচ আমলের দিক দিয়ে আমরাই বেশি।”

বুঝা যাচ্ছে, ইয়াহুদী ও নাসারা সম্প্রদায় একত্রে তাদের আমলের কথা বলেছিল। স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের আমলের কথা বলেনি। তা ছাড়া হাদীসটির আলোকে নাসারা সম্প্রদায়ের আমল বন্ধ হওয়ার পর এই উম্মাতে মুহাম্মাদী (স)-এর আমল শুরু হয়েছে। অথচ ৫৭০ ঈশাব্দের পর মুহাম্মাদ (স)-এর আগমন করেন। তারপর থেকে আজ অবধি ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় উম্মাতে মুহাম্মাদী (স)-এর আমল অব্যাহত আছে। যা নাসারাদের উক্ত সময়ের প্রায় দুইগুণেরও বেশি এবং এখনো অব্যাহত আছে। এ কারণেও উক্ত উক্তিটি ইয়াহুদী ও নাসারাদের যৌথভাবে ছিল, এককভাবে নাসারাদের ছিল না। অন্যথায় নাসারাদের সময়কাল উম্মাতের মুহাম্মাদী (স) থেকে বেশি গণ্য করলে সেটা ঐতিহাসিকভাবে ও বাস্তবতার বিরোধী হয়। কেননা, মুহাম্মাদ (স)-এর পরে নাসারাদের আমলকে গ্রহণযোগ্য আমল বলা হবে না, তথা তাদের আমল বন্ধ হয়েছে।

আবার ইয়াহুদীদের পক্ষ থেকে নাসারাদের থেকে বেশি কাজ করাতে সমান মুজরি পাওয়ায় কোনো আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। যা থেকে বুঝা যায়, কাজ বেশি করার কারণে তাদের আপত্তি ছিল না, বরং দ্বিগুণ মজুরি দেয়াতে আপত্তি ছিল। যেমন: ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে:

قَالَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ رَبَّنَا هَؤُلاَءِ أَقَلُّ عَمَلاً وَأَكْثَرُ أَجْرًا .

“তাওরাতের অনুসারীরা বলল, হে আমাদের রব! তারাতো আমলে সবচেয়ে কম আবার পারিশ্রমিকে সবচেয়ে অধিক।” [. সহীহ বুখারী হা/৭৪৬৭; অনুরূপ: সহীহ বুখারী হা/২২৬৮, ৩৪৫৯, ৫০২১, ৭৫৩৩ ।]

এ থেকে বুঝা যায়, কতটা সময় আমল করেছে সেটার থেকে পারিশ্রমিক বেশি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করার বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে।

তা ছাড়া নাসারাদের সময়কাল বাস্তবতার দৃষ্টিতে উম্মাতে মুহাম্মাদী (স)-এর থেকে কম। কেননা, মুহাম্মাদ (স) ৬১০ ঈশাব্দে নবুওয়াতী লাভের পর থেকে উক্ত হাদীস অনুযায়ী নাসারাদের আমল ঐ সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। পক্ষান্তরে উম্মাতে মুহাম্মাদী (স) ১৪০০ হিজরে পার করে ১৫০০ শতাব্দী পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উদাহরণটি উক্ত তিনটি সম্প্রদায়ের সময়কালকে ধারাবাহিকতা বুঝানোই মূখ্য। তা ছাড়া বাস্তব দাবির ভিত্তিতেও আসরের ওয়াক্ত এক ছায়া পরিমাণের পরের থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধরলে, তা যোহরের শুরু থেকে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত সময়ের থেকে কম হয়ে থাকে। যদিও ব্যতিক্রম বছরের অল্প কিছু সময় আসরের ওয়াক্তের ব্যবধানটি বেশি হয়। এ সময়টি খুব কম বিধায় উদাহরণ হিসেবে বছরের বেশিরভাগ আসরের ওয়াক্তের সময়টি প্রযোজ্য।

ইমাম মালেকী (রহ), ইমাম শাফেঈ (রহ) ও ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ)-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসরের ওয়াক্ত এক ছায়া থেকে শুরু। উম্মুল কুরা’র পঞ্জিকা অনুযায়ী এই তিনি ইমামের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের যোহর থেকে আসর এবং আসর থেকে মাগরিবের সময়ের ব্যবধান উল্লেখ করছি:

তারিখ - যোহর শুরু - যোহর শেষ, আসর শুরু - যোহর থেকে, আসরের ব্যবধান - মাগরিব শুরু - আসর থেকে, মাগরিবের ব্যবধান।

১লা জানু: - ১২:০২ - ০৩:০৩ - ০৩ ঘণ্টা ০১ মি: - ০৫:২৩ - ০২ ঘণ্টা ২০ মি:

১লা ফেব্রু: - ১২:১২ - ০৩:২২ - ০৩ ঘণ্টা ১০ মি: - ০৫:৪৫ - ০২ ঘণ্টা ২৩ মি:

১লা মার্চ - ১২:১১ - ০৩:৩১ - ০৩ ঘণ্টা ২০ মি: - ০৬:০১ - ০২ ঘণ্টা ৩০ মি:

১লা এপ্রিল - ১২:০২ - ০৩:৩০ - ০৩ ঘণ্টা ২৮ মি: - ০৬:১৪ - ০২ ঘণ্টা ৪৪ মি:

১লা মে - ১১:৫৬ - ০৩:২১ - ০৩ ঘণ্টা ২৫ মি: - ০৬:২৭ - ০৩ ঘণ্টা ০৬ মি:

১লা জুন - ১১:৫৬ - ০৩:১৬ - ০৩ ঘণ্টা ২২ মি: - ০৬:৪১ - ০৩ ঘণ্টা ২৫ মি:

১লা জুলাই - ১২:০২ - ০৩:২১ - ০৩ ঘণ্টা ১৯ মি: - ০৬:৪৯ - ০৩ ঘণ্টা ২৮ মি:

১লা অগাষ্ট - ১২:০৫ - ০৩:২৯ - ০৩ ঘণ্টা ২৬ মি: - ০৬:৪১ - ০৩ ঘণ্টা ১২ মি:

১লা সেপ্টে: - ১১:৫৮ - ০৩:২৬ - ০৩ ঘণ্টা ২৮ মি: - ০৬:১৭ - ০২ ঘণ্টা ৫১ মি:

১লা অক্টো: - ১১:৪৮ - ০৩:১২ - ০৩ ঘণ্টা ২৪ মি: - ০৫:৪৬ - ০২ ঘণ্টা ২২ মি:

১লা নভে: - ১১:৪২ - ০২:৫৫ - ০৩ ঘণ্টা ১৩ মি: - ০৫:২০ - ০২ ঘণ্টা ২৫ মি:

১লা ডিসে: - ১১:৪৭ - ০২:৫০ - ০৩ ঘণ্টা ০৩ মি: - ০৫:১১ - ০২ ঘণ্টা ১১ মি:

উপরে দেখা যাচ্ছে ১লা জুন ও ১লা জুলাই যোহরের ওয়াক্তের স্থায়ীত্ব আসরের ওয়াক্তের স্থায়ীত্বের থেকে যথাক্রমে তিন মিনিট ও নয় মিনিট বেশি। পক্ষান্তরে বাকী দশটি মাস যোহরের ওয়াক্তের সময়সীমা থেকে আসরের ওয়াক্তের সময়সীমার ব্যবধান অনেক অনেক কম।

তা ছাড়া যদি জিবরীল (আ) কর্তৃক দেখানো প্রথম ওয়াক্ত তথা এক ছায়া থেকে আসরের শেষ ওয়াক্ত তথা দুই ছায়ার মূল ওয়াক্তকে হিসেবে করি, তবে অবশ্যই আসরের সলাতের সময় যোহরের থেকে সবসময় কমই হয়। তেমনি আবার যদি জিবরীল (আ)-এর হাদীস অনুযায়ী এক ছায়া ও দুই ছায়ার মাঝামাঝি সময়কে আসরের জামাআত হিসেবে নির্ধারণ করি, তা হলে সবসময়ের জন্য সারাবছর যোহরের তুলনায় আসরের ওয়াক্ত কম থাকে। কেননা, আসরের সলাত ওয়াক্ত এক ছায়া পরিমাণ হওয়ার সাথে সাথে পড়া হয় না। বরং অযু, আযান ও জামাআতের জন্য কিছু সময় অতিবাহিত হয়েই থাকে।

এ কারণে হানাফীদের জবাবে হাফেয ইবনু হাজার (রহ) লিখেছেন:

وَذَلِكَ مَعْرُوفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ بِهَذَا الْفَنِّ وَهُوَ أَنَّ الْمُدَّةَ الَّتِي بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ أَطْوَلُ مِنَ الْمُدَّةِ الَّتِي بَيْنَ الْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَأَمَّا مَا نَقَلَهُ بَعْضُ الْحَنَابِلَةِ مِنَ الْإِجْمَاعِ عَلَى أَنَّ وَقْتَ الْعَصْرِ رُبْعُ النَّهَار فَمَحْمُول على التَّقْرِيب إِذا فرعنا عَلَى أَنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعَصْرِ مَصِيرُ الظِّلِّ مِثْلَهُ كَمَا قَالَ الْجُمْهُورُ وَأَمَّا عَلَى قَوْلِ الْحَنَفِيَّةِ فَالَّذِي مِنَ الظُّهْرِ إِلَى الْعَصْرِ أَطْوَلُ قَطْعًا .

“এই বিষয়টি বিশেষজ্ঞ আলেমদের কাছে প্রসিদ্ধ যে, যোহর ও আসরের মধ্যকার মেয়াদ আসর ও মাগরিবের মধ্যের মেয়াদকালের চেয়ে বেশি। আর কিছু হাম্বলী যে ইজমা‘র কথা উল্লেখ করেছেন যে, আসর দিনের চতুর্থাংশ। এটা কাছাকাছি অনুমান, আর সেটা তখনই হয় যখন আসরের প্রথম ওয়াক্ত ছায়া সমপরিমাণ থেকে হিসাব করা হয়, যেভাবে জুমহুরের বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু হানাফীদের বক্তব্য হল, যোহর থেকে আসরের সময়কালই দীর্ঘ।” [. ফতহুল বারী ২/৪০ পৃ:।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন