hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আসরের সলাতের সঠিক ওয়াক্ত

লেখকঃ কামাল আহমাদ

৩৭
চতুর্থ অধ্যায়: আসরের ওয়াক্ত সম্পর্কিত যঈফ হাদীস
হাদীস-৫৭: আলী ইবনু শায়বান (রা)-এর বর্ণনা:

قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ الْمَدِينَةَ فَكَانَ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ مَا دَامَتِ الشَّمْسُ بَيْضَاءَ نَقِيَّةً

“আমরা মদীনাতে রসূলূল্লাহ (স)-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি আসরের সলাতকে বিলম্বিত করলেন- যতক্ষণ না সূর্য স্বচ্ছ সাদা হয়।” [. আবূ দাউদ হা/৪০৮।]

শাইখ আলবানী (রহ) হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। [. তাহক্বীক্ব আবূ দাউদ হা/৪০৮।]

শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) বলেন: সনদটিতে ইবনু ইয়াযীদ আল-ইয়ামামী ও তার শাইখ (ইয়যীদ বিন আব্দুর রহমান বিন আলী বিন শায়বান) উভয়েই মাজহুল- যেভাবে ‘তাক্বরীব’ প্রভৃতিতে বর্ণিত হয়েছে। [. তাহক্বীক্ব উর্দু আবূ দাউদ হা/৪০৮।]

হাদীস-৫৮: আব্দুল ওয়াহিদ বিন নাফি‘ (রহ) বর্ণনা করেন:

دَخَلْتُ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بِالْعَصْرِ , قَالَ : وَشَيْخٌ جَالِسٌ فَلَامَهُ , وَقَالَ : إِنَّ أَبِي أَخْبَرَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ بِتَأْخِيرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ , قَالَ : فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقَالُوا : هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجِ بْنِ رَافِعٍ .

“আমি মদীনার মাসজিদে প্রবেশ করলাম। মুয়াযযিন আসরের আযান দিলেন। তিনি বলেন: একজন প্রবীণ ব্যক্তি মাসজিদে বসা ছিলেন। তিনি তাকে তিরষ্কার করলেন এবং বললেন: আমার পিতা আমাকে অবহিত করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (স) এই সলাত বিলম্ব করে পড়ার নির্দেশ দিতেন। তিনি বলেন: আমি তার সম্পর্কে লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। তারা বলল: তিনি রাফি‘ বিন খাদীজ (রা)-এর পুত্র আব্দুল্লাহ।” [. দারা কুতনী (ইফা) হা/৯৬৫।]

ইমাম দারা কুতনী (রহ) বলেন: هَذَا لَيْسَ بِقَوِيٍّ ‘হাদীসটি শক্তিশালী নয়।’

সুনানু দারা কুতনীর মুহাক্কিক্ব লিখেছেন:

وهذا الحديث ذكره الجوزقاني في " الموضوعات " كما في " لسان الميزان " (٤/ ٨٠ ). والحديث ذكره الزيلعي في " نصب الراية " (۱/ ٢٤٥ ) ، وقال : قال ابن القطان في " كتابه " عبد الواحد بن نافع أبو الرماح، مجهول الحال، مختلف في حديثه . اهـ

“হাদীসটি যাওযাক্বানী (রহ) তাঁর ‘আল-মাওযুআতে’ উল্লেখ করেছেন, যেভাবে ‘লিসানুল মীযানে’ (৪/৮০) বর্ণিত হয়েছে। যায়লাঈ (রহ) তাঁর ‘নাসবুর রায়াহ’ (১/২৪৫)-এ উল্লেখ করে বলেন: ইবনুল ক্বত্তান (রহ) তাঁর কিতাবে বলেন: আব্দুল ওয়াহিদ বিন নাফে‘ আবূ রিমাহ ‘মাজহুল হাল’, তার হাদীসে বর্ণনার ভিন্নতা থাকত।” [. তাহক্বীক্ব দারা কুতনী (বৈরুত: দারুল মা‘রিফাহ, ১৪২২/২০১১) ১/৫৫৯-৬০ পৃ:, হা/৯৭৭-এর টীকা ।]

কিছুটা ভিন্নভাবে বর্ণিত পরবর্তী হাদীসে (ইফা. হা/৯৬৬) ইমাম দারাকুতনী উক্ত রাবী সম্পর্কে লিখেছেন:

وَهَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الْإِسْنَادِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْوَاحِدِ هَذَا , لِأَنَّهُ لَمْ يَرْوِهِ عَنِ ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ غَيْرُهُ , وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِ ابْنِ رَافِعٍ هَذَا وَلَا يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ رَافِعٍ وَلَا عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ , وَالصَّحِيحُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ضِدُّ هَذَا , وَهُوَ التَّعْجِيلُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ وَالتَّبْكِيرِ بِهَا فَأَمَّا الرِّوَايَةُ الصَّحِيحَةُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ .

“এই হাদীসের সনদ আব্দুল ওয়াহিদের কারণে যঈফ। কেননা, তিনি এই হাদীস রাফি‘ বিন খাদীজ ব্যতীত অন্যদের থেকে বর্ণনা করেননি। আর এই ইবনু রাফি‘-এর নাম সম্পর্কে মতভেদ আছে। এই হাদীস রাফি‘ বিন খাদীজ (রা) এবং অন্য সাহাবীদের সূত্রে সহীহ নয়। এর বিপরীতে সাহাবী রাফি‘ বিন খাদীজ (রা) ও নবী (রা)-এর একাধিক সাহাবী (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, আসরের সলাত শীঘ্রই পড়তে হবে এবং তাকবীরও (আযান) শীঘ্র দিবে। আর রাফি‘ বিন খাদীজ (রা) বর্ণিত হাদীসটি সহীহ।” (দ্র: এই পুস্তিকার ৩৬ নং হাদীস)

অর্থাৎ হাদীসটি যঈফ হওয়ার সাথে সাথে রাফি‘বিন খাদীজ বর্ণিত সহীহ হাদীসের বিরোধী হওয়ায় হাদীসটি মুনকার কিংবা মাওযু‘ (জাল) হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।

হাদীস-৫৯: ইবনু জুরায়জ (রহ) বর্ণনা করেন:

عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ أَخْرَجَ مَالاً يَقْسِمُهُ يُبَادِرُ بِهِ اللَّيْلَ .

“তাবেঈ ইবনু মুলায়কাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে: রসূলুল্লাহ (স) আসরের সলাত আদায় করতেন, অতঃপর মাল বণ্টন করতে করতে রাত নেমে আসত।” [. মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৪০।]

হাদীসটির সনদে ইবনু জুরায়জ (রহ) মুদাল্লিস এবং তিনি ‘আন দ্বারা বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন। ফলে হাদীসটির সনদ তাদলীসের ত্রুটি কারণে যঈফ।

তা ছাড়া হাদীসটি মুরসাল। কেননা, তাবেঈ ইবনু মুলায়কাহ (রহ) নবী (স) থেকে সরাসরি হাদীসটি শোনেনি।

সুতরাং হাদীসটি যঈফ। তা ছাড়া হাদীসটি থেকে আসরের সালাতের শুরুর সময় সম্পর্কে অবিহত হওয়া যায় না।

হাদীস-৬০: ইবনু উমার (রা) বর্ণনা করেন:

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «الوَقْتُ الأَوَّلُ مِنَ الصَّلَاةِ رِضْوَانُ اللَّهِ، وَالوَقْتُ الآخِرُ عَفْوُ اللَّهِ»

“রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: সলাতের প্রথম ওয়াক্তে আছে আল্লাহ সন্তুষ্টি, আর শেষ ওয়াক্তে আছে আল্লাহর ক্ষমা।” [. তিরমিযী হা/১৭২।]

(১) ইমাম তিরমিযী (রহ) হাদীসটি বর্ণনার পর বলেন:

حَدِيثُ أُمِّ فَرْوَةَ لَا يُرْوَى إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ العُمَرِيِّ، وَلَيْسَ هُوَ بِالقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الحَدِيثِ، وَاضْطَرَبُوا فِي هَذَا الحَدِيثِ، وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .

“উম্মু ফারওয়াহ (রহ)-এর হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার আল-উমারী ছাড়া আর কেউ বর্ণনা করেননি। অথচ হাদীস বিশারদদের কাছে তিনি শক্তিশালী নন, যদিও তিনি সত্যবাদী। তাদের মতে তিনি এ হাদীসের সনদে গোলমাল করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ তার স্মরণশক্তির সমালোচনা করেছেন।”

(২) শাইখ আলবানী (রহ) ইমাম তিরমিযী (রহ)-এর বিশ্লেষণ থেকে হাদীসটিকে ‘যঈফ’ সাব্যস্ত করার পর বলেন:

وقال البيهقي : " هذا حديث يعرف بيعقوب بن الوليد المدني وهو منكر الحديث ضعفه يحيى بن معين وكذبه أحمد وقال ابن عدي : الحديث بهذا الإسناد باطل ".

“বায়হাক্বী (রহ) বলেন: হাদীসটি ইয়া‘কুব বিন ওয়ালীদ মাদানীর মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছে, তিনি মুনকারুল হাদীস। তাকে যঈফ বলেছেন ইয়াহইয়া বিন মাঈন আর মিথ্যুক বলেছেন আহমাদ …। ইবনু আদী (রহ) বলেন: হাদীসটির এই সনদ বাতিল।” [. ইরওয়াউল গালীল ১/২৮৮ পৃ: হা/২৫৯-এর বিশ্লেষণ।]

উক্ত মর্মে জারীর বিন আব্দুল্লাহ (রহ)-এর [. দারা কুতনী (ইফা) হা/৯৬১, বায়হাক্বী কুবরা হা/২০৪৯।] হাদীসটির সনদের হুসাইন বিন হুমায়দকে ইবনুল মাতীন ‘মিথ্যুক’ এবং উবায়দ বিন ক্বাসেমকে ইবনু মাঈন মাতরুক (পরিত্যাজ্য) বলেছেন। [. ইরওয়াউল গালীল- ঐ।]

অপর একটি বর্ণনাতে অতিরিক্ত হয়েছে: وَوَسَطُ الْوَقْتِ رَحْمَةُ اللَّهِ “আর ওয়াক্তের মাঝামাঝিতে আছে আল্লাহর রহমত।” [. দারা কুতনী (ইফা) হা/৯৬০।]

ইবনুল জাওযী (রহ) বলেন: সনদে ইবরাহীম বিন যাকারিয়া আছে। আবূ হাতিম রাযী (রহ) বলেন: সে মাজহুল। বায়হাক্বী (রহ)-ও আপত্তি করেছেন। [. ইরওয়াউল গালীল ১/২৮৮ পৃ: হা/২৫৯-এর বিশ্লেষণ।]

হাদীস-৬১: সাওরী (রহ) বর্ণনা করেন:

عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ : «كَانَ أَصْحَابُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يُعَجِّلُونَ الظُّهْرَ، وَيُؤَخِّرُونَ الْعَصْرَ، وَيُعَجِّلُونَ الْمَغْرِبَ، وَيُؤَخِّرُونَ الْعِشَاءَ»

“আ‘মাশ বলেন: সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রহ)-এর সাথীগণ যোহর শীঘ্র আদায় করতেন, আসর দেরিতে আদায় করতেন, মাগরিব শীঘ্র আদায় করতেন, আবার ঈশা দেরিতে আদায় করতেন।” [. মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক্ব হা/২০৪৩।]

সনদে (সুফিয়ান) সাওরী ও আ‘মাশ উভয়েই ব্যাপক তাদলীসকারী। ফলে সনদটি যঈফ।

তাবেঈদের বর্ণনা থেকে এটা প্রমাণিত হয় না যে, সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা)-এর সাথীগণ ছায়া দ্বিগুণ বা সূর্য হলদে রঙ বা তাপহীন হওয়ার পর আসরের সলাত আদায় করতেন। বরং সাহাবী ইবনু মাসউদ (রা) থেকে এটাই প্রমাণিত যে, তিনি নবী (স)-কে সূর্য হলুদ ও তেজহীন হওয়ার পূর্বে সলাত আদায় করতে দেখেছেন (হাদীস নং-২৪)। ইবনু মাসউদ (রা) সলাতকে যথাসময়ে আদায় না করা শাসকের পিছনে সলাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (হাদীস নং-৪০)।

এ পর্যায়ে তাবেঈদের থেকে উক্ত হাদীসে বর্ণিত আসরের সলাত সম্পর্কে হানাফী ব্যাখ্যা ও দাবি প্রত্যাখ্যাত।

অনুরূপ ইবনু মাসউদ (রা) সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে: كَانَ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ “তিনি আসরের সলাত দেরি করতেন।” [. মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক্ব হা/২০৮৯।]

এর সনদেও ইবনু ইসহাক্ব ও (সুফিয়ান) সওরী মুদাল্লিস। বাদ বাকী ব্যাখ্যা পূর্বের মতো।

হাদীস-৬২: যিয়াদ বিন আব্দুল্লাহ নাখঈ (রহ) থেকে বর্ণিত হয়েছে:

كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَعْظَمِ , وَالْكُوفَةُ يَوْمَئِذٍ أَخْصَاصٌ , فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَقَالَ : الصَّلَاةُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لِلْعَصْرِ , فَقَالَ : «اجْلِسْ» , فَجَلَسَ ثُمَّ عَادَ فَقَالَ ذَلِكَ , فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : «هَذَا الْكَلْبُ يُعَلِّمُنَا بِالسُّنَّةِ» , فَقَامَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَصَلَّى بِنَا الْعَصْرَ , ثُمَّ انْصَرَفْنَا فَرَجَعْنَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي كُنَّا فِيهِ جُلُوسًا فَجَثَوْنَا لِلرُّكَبِ لِنُزِولِ الشَّمْسِ لِلْمَغِيبِ نَتَرَآهَا .

“আমরা আলী (রা)-এর সাথে বড় মাসজিদে বসা ছিলাম। তখন কূফা ছিল বিশেষজ্ঞদের বাসস্থান। তার নিকট মুয়াযযিন এসে বললেন: ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! আসরের সলাতের ওয়াক্ত হয়েছে। তিনি বললেন: তুমি বস! অতএব সে বসল। তারপর পুনরায় সলাতের কথা বলল। তখন আলী (রা) বললেন: এই কুকুর আমাদের সুন্নাত শিক্ষা দিচ্ছে। তারপর আলী (রা) দাঁড়ান এবং আমাদেরকে নিয়ে আসরের সলাত পড়ালেন। অতঃপর আমরা যেখানে বসা ছিলাম সেখানে ফিরে এলাম। আমরা হাঁটুতে ভর দিয়ে বসলাম সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষায়।” [. দারা কুতনী হা/৯৮৮।]

ইমাম দারা কুতনী (রহ) হাদীসটি বর্ণনার পর লিখেছেন:

زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيُّ مَجْهُولٌ لَمْ يَرْوِ عَنْهُ غَيْرُ الْعَبَّاسِ بْنِ ذَرِيحٍ

“(হাদীসটির সনদে) যিয়াদ বিন আব্দিল্লাহ নাখঈ মাজহুল। তার থেকে আব্বাস বিন যুরায়হ ছাড়া কেউ হাদীস বর্ণনা করেননি।”

সুনানু দারা কুতনী’র মুহাক্কিক্ব লিখেছেন: “হাকিম ও যাহাবী উভয়েই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন- যা তাদের ভুল।” [. তাহক্বীক্ব দারা কুতনী (বৈরুত: দারুল মা‘রিফাহ, ১৪২২/২০১১) ১/৫৫৯-৬০ পৃ:, হা/৯৭৬-এর টীকা ।]

হাফেয ইবনু হাজার (রহ) লিখেছেন: وغلط الحاكم فزعم ان الشيخين اخرجا له

“হাকিম (রহ) ভুল করেছেন এবং ধারণা করেছেন ইমাম বুখারী (রহ) ও ইমাম মুসলিম (রহ) যিয়াদ বিন আব্দিল্লাহ নাখঈ থেকে বর্ণনা করেছেন।” [. লিসানুল মীযান: ১৯৮১ নং।]

আবূ আউন বর্ণনা করেন:

أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ عَلَى الْحِيطَانِ .

“নিশ্চয় আলী (রা) আসরের সলাতে দেরি করতেন, এমনকি সূর্যের আলো প্রাচীরের উপরে উঠে যেত।” [. মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩২৭।]

ইবনু আবী শায়বাহ’র মুহাক্কিক্ব ড. সা’দ বিন নাসির লিখেছেন:

منقطع، أبوعون وهو محمد بن عبد الله الثقفي لم يسمع من علي .

“বর্ণনাটি মুনক্বাতে‘, আবূ আউন হলেন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ সাক্বাফী- তিনি আলী (রা) থেকে শোনেননি।” [. তাহক্বীক্ব মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ (রিয়াদ: দারু কানুয, ১৪৩৬/২০১৫) ৩/২১৭ পৃ:, হা/৩৩৪১-এর টীকা।]

অপর মুহাক্কিক্ব আবূ মুহাম্মাদ উসামাহ বলেছেন: আবূ আউন ও আবূ আসিম উভয়েই মাজহুল। [. তাহক্বীক্ব মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ (কায়রো: আল-ফারুক আল-হাদীসিয়্যাহ, ১৪২৯/২০০৮) ২/২০৭ পৃ:, হা/৩৩৩১-এর টীকা।]

হাদীস-৬৩: উমার বিন মুনাব্বিহ বর্ণনা করেছেন, সাওওয়ার বিন শাবীব থেকে তিনি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে:

أَنَّهُ كَانَ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ حَتَّى أَقُولَ : قد اصْفَرَّتِ الشَّمْسُ .

“তিনি আসরের সলাত দেরিতে আদায় করতেন, এমনকি বলা হতো: সূর্য হলুদ হয়ে গেছে।” [. মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩২৮।]

মুহাক্কিক্ব আবূ মুহাম্মাদ উসামাহ বলেছেন:

في اسناده عمر بن منبه، وهو عمر بن يزيد بن منبه السعدي كما في (( الجرح )): (٤/ ٢٧٠ ) ، وهو مجهول الحال .

সনদটিতে উমার বিন মুনাব্বিহ আছেন। তিনি হলেন, উমার বিন ইয়াযীদ বিন মুনাব্বিহ আস-সা‘দী। (আল-জারাহ ওয়াত তা‘দিল ৪/২৭০) তিনি মাজহুল হাল। [. তাহক্বীক্ব মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ (কায়রো: আল-ফারুক আল-হাদীসিয়্যাহ, ১৪২৯/২০০৮) ২/২০৭ পৃ:, হা/৩৩৩২-এর টীকা।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন