hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

১১
৮ম অধ্যায়: ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ
১। আবু বাসীর আনসারী রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সফর সঙ্গী ছিলেন। এ সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একজন দূত পাঠালেন। এর উদ্দেশ্য ছিল কোন উটের গলায় যেন ধনুকের কোন রজ্জু লটকানো না থাকে অথবা এ জাতীয় রুজ্জু যেন কেটে ফেলা হয়। (বুখারী)

২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একথা বলতে শুনেছি,

أن الرقى والتمائم والتولة شرك . ( رواه أحمد وأبو داؤد )

‘‘ঝাড়-ফুঁক ও তাবিক- কবজ হচ্ছে শিরক’’ (আহমাদ, আবু দাউদ)

৩। আবদুল্লাহ বিন উকাইম থেকে মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে,

من تعلق شيئا وكل إليه ( رواه أحمد والترمذي )

‘‘যে ব্যক্তি কোন জিনিস [অর্থাৎ তাবিজ- কবজ] লটকায় সে উক্ত জিনিসের

ব্যাখ্যা

ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ .

তাবিজ হচ্ছে ঝুলিয়ে বা লটকিয়ে রাখার জিনিস যার সাথে এর ব্যবহারকারী ব্যক্তির অন্তর সম্পৃক্ত থাকে। এ বিষয়ের বক্তব্য পুর্বোক্ত রিং, বালা ও সূতা সম্পর্কিত বক্তব্যের অনুরূপ।

এর মধ্যে কোনটি শিরকে আকবার হিসেবে গণ্য। যেমনঃ শয়তান বা অন্য কোন মাখলুকের কাছে সাহায্য চাওয়ার মধ্যে যা শামিল তাই শিরকে আকবরের অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ যা করতে সক্ষম নয় সে ব্যাপারে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া শিরকে আকবার (বা বড় শিরক)

এর মধ্যে কোন কোনটি আবার হারাম। যেমনঃ তাবিজ-কবজে এমন নাম ব্যবহার করা যার অর্থ বোধগম্য নয়। এ জাতীয় নাম মানুষকে শিরকের দিকে ধাবিত করে।

আর ঝুলানো জিনিস অর্থাৎ তাবিজ-কবজের মধ্যে যেগুলোতে কুরআন, নবীর হাদিস অথবা ভাল ও ভক্তিমূলক দোয়া রয়েছে সেগুলো পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। কারণ ‘‘শারে’’ অর্থাৎ শরিয়তের বিধান দাতার পক্ষ থেকে এগুলোর নির্দেশ আসেনি। আরো একটি কারণ হচ্ছে তাবিজ-কবজ হারাম কাজের অছিলা [মাধ্যম] হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, এর ব্যবহারকারীই এর প্রতি কোন সম্মান দেখায় না। বরং এগুলো সাথে নিয়েই বিভিন্ন অপবিত্র স্থানে প্রবেশ করে।

দিকেই সমর্পিত হয়’’। [অর্থাৎ এর কুফল তার উপরই বর্তায়] (আহমাদ, তিরমিযী)

تمائم বা তাবিজ হচ্ছে এমন জিনিস যা চোখ লাগা বা দৃষ্টি লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সন্তানদের গায়ে ঝুলানো হয়। ঝুলন্ত জিনিসটি যদি কুরআনের অংশ হয় তাহলে সালাফে সালেহীনের কেউ কেউ এর অনুমতি দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ অনুমতি দেননি বরং এটাকে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয় বলে গণ্য করতেন। ইবনে মাসউদ রা. এ অভিমতের পক্ষে রয়েছেন। আর رقى বা ঝাড়-ফুঁককে عزائم নামে অভিহিত করা হয়। যে সব ঝাড়-ফুঁক শিরক মুক্ত তা দলিলের মাধ্যমে খাস করা হয়েছে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চোখের দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষের ব্যাপারে ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন।

تولة এমন জিনিস যা কবিরাজদের বানানো। তারা দাবি করে যে, এ জিনিস [কবজ] দ্বারা স্ত্রীর অন্তরে স্বামীর ভালোবাসা আর স্বামীর অন্তরে স্ত্রীর ভালোবাসার উদ্রেক হয়। সাহাবী রুআইফি থেকে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন, তিনি [রুআইফি] বলেছেন, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

يا رويفع، لعل الحياة تطول بك، فأخبر الناس أن من عقد لحيته، أو تقلد وترا، أو استنجى برجيع دابة أو عظم فإن محمدا بريء منه .

[যেমনঃ পায়খানা, প্রশ্রাব খানা ইত্যাদি]।

ঝাড়-ফুঁকের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা হচ্ছে এই যে, ঝাড়-ফুঁক যদি কুরআন, সুন্নাহ অথবা উত্তম কথার দ্বারা হয় তাহলে তা ফুঁক দানকারীর জন্য সওয়াবের কাজ হবে। কেননা এর মধ্যে ‘এহসান’ [অন্যের প্রতি দয়া] নিহিত আছে। তাছাড়াও এর মধ্যে নিহিত রয়েছে পরোপকার। ঝাড়-ফুঁক চাওয়া তার জন্য উচিত নয়। কারণ পূর্ণ ‘‘তাওয়াক্কুল’’ এবং ঈমানের দাবি হচ্ছে কোন মাখলুকের কাছে বান্দা কিছু চাবে না। চাই তা ঝাড়-ফুঁকই হোক বা অন্য কিছু হোক। বরং বান্দার উচিত যখন কোন ব্যক্তির কাছে সে দোয়া চাবে তখন দোয়াকারীর স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রাখা। আল্লাহর উবুদিয়্যাত প্রতিষ্ঠায় সাহায্যকারী হিসেবে তার প্রতি এহসান করা। সাথে সাথে নিজের স্বার্থ ও মঙ্গলের দিকে খেয়াল রাখা। এটাই হচ্ছে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা এবং তার প্রকৃত অর্থের গোপন রহস্য। আল্লাহর কামেল বান্দা ব্যতীত এর অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা এবং এর ভিত্তিতে আমল করা সম্ভব নয়।

‘‘হে রুআইফি, তোমার হায়াত সম্ভবত দীর্ঘ হবে। তুমি লোকজনকে জানিয়ে দিও, ‘‘যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দেবে, অথবা গলায় তাবিজ- কবজ ঝুলাবে অথবা পশুর মল কিংবা হাড় দ্বারা এস্তেঞ্জা করবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’’

সাঈদ বিন জুবাইর থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

من قطع تميمة من إنسان كان كعدل رقبة ( رواه وكيع )

‘‘যে ব্যক্তি কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলবে বা কেটে ফেলবে সে ব্যক্তি একটি গোলাম আযাদ করার মত কাজ করল।’’ (ওয়াকী)

ইবরাহীম থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, তাঁরা সব ধরনের তাবীজ- কবজ অপছন্দ করতেন, চাই তার উৎস কুরআন হোক বা অন্য কিছু হোক।

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১। ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজের ব্যাখ্যা।

২। ( تولة ) ‘‘তাওলাহ’’ এর ব্যাখ্যা।

৩। কোন ব্যাতিক্রম ছাড়াই উপরোক্ত তিনটি বিষয় শিরক এর অন্তর্ভুক্ত।

৪। সত্যবাণী তথা কুরআনের সাহায্যে [চোখের] দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষ নিরাময়ের জন্য ঝাড়-ফুঁক করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়।

৫। তাবিজ- কবজ কুরআন থেকে হলে তা শিরক হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

ঝাড়-ফুঁকে যদি গাইরুল্লাহকে ডাকা হয় আর গাইরুল্লাহর কাছে রোগমুক্তি কামনা করা হয় তাহলে এটা হবে শিরকে আকবার। কারণ এরকম করার অর্থ হবে গাইরুল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং সাহায্য চাওয়া।

এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুমি ভালবাবে উপলব্ধি করবে। ঝাড়-ফুঁকের কারণ ও উদ্দেশ্যের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকার পরও তুমি সর্বাবস্থায় এ ব্যাপারে কাউকে হুকুম করা থেকে সাবধান থাকবে।

৬। খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য পশুর রশি বা অন্য কিছু বুঝলানো শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

৭। যে ব্যক্তি ধনুকের রজ্জু গলায় ঝুলায় তার উপর কঠিন অভিসম্পাত।

৮। কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলা কিংবা কেটে ফেলার ফজিলত।

৯। ইবরাহীমের কথা পূর্বোক্ত মতভেদের বিরোধী নয়। কারণ এর দ্বারা আব্দুল্লাহর সঙ্গী- সাহাবীদেরকে বুঝানো হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন