hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

২৯
২৬তম অধ্যায়: গনক
১। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক স্ত্রী থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

من أتى عرّافا فسأله عن شيئ فصدّقه لم تقبل له صلاة أربعين يوما .

‘‘যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসল, তারপর তাকে [ভাগ্য সম্পর্কে] কিছু জিজ্ঞাসা করল, অতঃপর গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবে না। (মুসলিম)

২। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

من أتى كاهنا فصدقه بما يقول فقدكفر بما أنزل على محمد . ( رواه ابو داود )

‘‘যে ব্যাক্তি গণকের কাছে আসলো, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল, সে মূলত: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যা নাজিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। (সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক হাদীসটি সহীহ। আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ইবনে মাজা ও হাকিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)।

আবু ইয়ালা ইবনে মাসউদ থেকে অনুরূপ মাউকুফ হাদিস বর্ণনা করেছেন।

ব্যাখ্যা

যদি কেউ কোন পন্থায় গায়েবের এলেম বা অদৃশ্য জ্ঞান সম্পর্কে অবগত আছে বলে দাবি করে তবে সে ব্যক্তিই গণকের মধ্যে শামিল। অদৃশ্য জ্ঞান বা এলমুল গায়েবের একচ্ছত্র অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা। অতএব যে ব্যক্তি গণনা কিংবা ভবিষ্যদ্বানীর মাধ্যমে আল্লাহর জ্ঞানের মধ্যে অংশীদারীত্বের দাবি করে অথবা এর দাবীদারকে সত্য বলে বিশ্বাস করে সে মূলত: এমন বিষয়ে আল্লাহর সাথে [সৃষ্টিকে]

৩। ইমরান বিন হুসাইন থেকে মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে,

ليس منا من تطير أو تطير له، أوتكهن أو تكهن له، أو سحر أو سحرله، ومن أتى كاهنا فصدقه بما يقول فقد كفر بما أنزل على محمد صلى الله عليه وسلم . ( رواه البزار بإسناد جيد )

‘‘যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করল, অথবা যার ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি উড়ানো হল, অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করল, অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হলো, অথবা যে ব্যক্তি ঐাদকরল অথবা যার জন্য ঐাদকরা হলো অথবা যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসলো অতঃপর সে [গণক] যা বলল তা বিশ্বাস করল সে ব্যক্তি মূলত: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যা নাজিল করা হয়েছে তা [কুরআন] অস্বীকার করল। (বায্যার)

[ইমাম তাবারানীও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ومن أتى থেকে হাদিসের শেষ পর্যন্ত ইমাম তাবারানী কর্তৃক বর্ণিত ইবনে আববাসের হাদিসে উল্লেখ নেই।

ইমাম বাগাবী রহ.) বলেন عراف [গণক] ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যে ব্যক্তি চুরি যাওয়া জিনিস এবং কোন জিনিস হারিয়ে যাওয়ার স্থান ইত্যাদি বিষয় অবগত আছে বলে দাবি করে। এক বর্ণনায় আছে যে, এ ধরনের লোককেই গণক বলা হয়। মূলত: গণক বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যে ভবিষ্যতের গায়েবী বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দেয় [অর্থাৎ যে ভবিষ্যদ্বানী করে]। আবার কারো মতে যে ব্যক্তি ভবিষ্যতের গোপন খবর বলে দেয়ার দাবি করে তাকেই গণক বলা হয়।

শরিক বানায় যা একমাত্র আল্লাহর বৈশিষ্ট্য হিসেবেই গণ্য। সাথে সাথে এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার শামিল।

শয়তানের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক গণনাই শিরক থেকে মুক্ত নয়। [অর্থাৎ শিরক মিশ্রিত] এবং এতে এমন সব পদ্ধতি বা উপায় অবলম্বন করা হয় যার মাধ্যমে এলমে গায়েব জানার ব্যাপারে সাহায্য চাওয়া হয়।

কারো মতে যে ব্যক্তি দিলের (গোপন) খবর দেয়ার দাবি করে, সেই গণক।

আবুল আববাস ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেছেন كاهن [গণক], منجم [জ্যোতির্বিদ], এবং رمال [বালির উপর রেখা টেনে ভাগ্য গণনাকারী] এবং এ জাতীয় পদ্ধতিতে যারাই গায়েব সম্পর্কে কিছু জানার দাবি করে তাদেরকেই আররাফ [ عراف ] বলে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেছেন, এক কওমের কিছু লোক আরবী أباجاد লিখে নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টি দেয় এবং তা দ্বারা ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করে। পরকালে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কোন ভাল ফল আছে বলে আমি মনে করি না।

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় :

১। গণনাকারীকে সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং কুরআনের প্রতি ঈমান রাখা, এ দুটি বিষয় একই ব্যক্তির অন্তরে এক সাথে অবস্থান করতে পারে না।

২। ভাগ্য গণনা করা কুফরি হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা।

৩। যার জন্য গণনা করা হয়, তার উল্লেখ।

৪। পাখি উড়িয়ে ভাগ্য পরীক্ষাকারীর উল্লেখ।

৫। যার জন্য ঐাদকরা হয়, তার উল্লেখ।

৬। ভাগ্য গণনা করার ব্যাপারে যে ব্যক্তি ‘‘আবাজাদ’’ শিক্ষা করেছে তার উল্লেখ্য।

৭। ‘কাহেন, [ كاهن ] এবং ‘আররাফ’ [ عراف ] এ মধ্যে পার্থক্য।

তাই বিষয়টি যেহেতু একমাত্র আল্লাহর সাথে খাস এবং তাঁর এলেমের মধ্যে অংশীদারিত্বের দাবি রাখে সেহেতু বিষয়টি শিরকের অন্তর্ভূক্ত।

এটা শিরক হওয়ার আরো একটি দিক হচ্ছে এই যে, এতে গাইরুল্লাহর নৈকট্য লাভের বিষয় সম্পৃক্ত রয়েছে।

এতে শারে’ অর্থাৎ বিধানদাতা যাবতীয় কুসংস্কার এবং দ্বীন ও বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানের জন্য ক্ষতিকর জিনিস থেকে মানুষকে বাঁচাতে চেয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন