hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৩৯
৩৬তম অধ্যায়: রিয়া (প্রদর্শনেচ্ছা) প্রসঙ্গে শরিয়তের বিধান
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ . ( الكهف :১১০)

‘‘ [ হে মুহাম্মদ], আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট এ মর্মে ওহি পাঠানো হয় যে, তোমাদের ইলাহই একক ইলাহ।’’ (কাহাফ: ১১০)

২। আবু হুরায়রা রা. থেকে ‘মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন,

أنا أغنى الشركاء عن الشرك، من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركته وشركه . ( رواه مسلم )

ব্যাখ্যা

মানুষের কোন আমল দ্বারা লাভের আশা করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

এ কথা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার যে, এখলাসের সাথে আল্লহর জন্য কাজ করাই হচেছ দ্বীনের ভিত্তি, তাওহীদ এবং ইবাদতের প্রাণশক্তি। এর উপমা হচ্ছে একজন বান্দা তার সম্পূর্ণ কাজই আল্লাহর উদ্দেশ্যে করবে, তাঁরই সওয়াব ও করুণা ভিক্ষা করবে। অতঃপর ঈমানের ছয়টি মূল-নীতি এবং ইসলামি শরিয়তের পাঁচটি বিধান বাস্তবায়িত করবে। ইহসানের হাকিকত তথা আল্লাহর অধিকার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে। এর উদ্দেশ্য হবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের কল্যাণ অর্জন করা। লোক দেখানো, সুনাম অর্জন, নেতৃত্ব দান, দুনিয়ার স্বার্থ উদ্ধার ইত্যাদি বিষয়গুলোর কোন একটি আল্লাহর ইবাদতের দ্বারা আশা করা যাবে না। উপরোক্ত অবস্থায় পৌছলেই বান্দার ঈমান ও তাওহীদ পূর্ণতা লাভ করবে।

‘‘আমি অংশীদারদের শিরক (অর্থাৎ অংশীদারিত্ব) থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে ঐ কাজে আমার সাথে অন্য কাউকে শরিক করে, আমি [ঐ] ব্যক্তিকে এবং শিরককে [অংশীদারকে ও অংশীদারিত্বকে] প্রত্যাখ্যান কির।’’ (মুসলিম)

৩। আবু সাঈদ রা. থেকে অন্য এক ‘মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে,

ألا أخبركم بما هو أخوف عليكم عندي من المسيح الدجال؟ قالوا : بلى، قال : الشرك الخفي يقوم الرجل فيصلي فيزين صلاته، لما يرى من نظر رجل . ( رواه أحمد )

‘‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে সংবাদ দেব না? যে বিষয়টি আমার কাছে ‘মসিহ দাজ্জালের’ চেয়েও ভয়ংকর?’’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হাঁ। তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে ‘শিরকে খফী’ বা গুপ্ত শিরক। । [আর এর উদাহরণ হচ্ছে] একজন মানুষ দাঁড়িয়ে শুধু এ জন্যই তার নামাজকে খুব সুন্দরভাবে আদায় করে যে, কোন মানুষ তার নামাজ দেখছে [বলে সে মনে করছে]। (আহমাদ)

ঈমানের পূর্ণতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে, লোক দেখানো কার্যকলাপ, মানুষের প্রশংসা এবং সম্মান অর্জনের জন্য কোন আমল করা। অথবা কেবলমাত্র পার্থিব কোন স্বার্থের জন্য কাজ করা যা বান্দার খুলুসিয়াত এবং তাওহীদকে কলুষিত করে।

রিয়ার ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা- বিশেষণমূলক কথা .

বান্দা যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে এবং এ ফাসেদ উদ্দেশ্য নিয়েই তার কাজ চলতে থাকে, তাহলে তার আমল বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা এ ধরনের আমল শিরকে আসগার বা ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। সাথে সাথে এ আশঙ্কাও রয়েছে যে, এ ছোট শিরককে অবলম্বন করে বান্দা শিরকে আকবার বা বড় শিরকে উপনীত হয়ে যাবে।

বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কাজ করে তবে এর সাথে লোক দেখানোর ইচ্ছাও আছে, এমতাবস্থায় বান্দা যদি তার আমলের দ্বারা বিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছাকে পরিত্যাগ করতে না পারে, তাহলেও কুরআন ও সন্নাহ অনুযায়ী তার আমল বাতিল বলে গণ্য হবে।

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। সূরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতের তাফসীর।

২। নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক ত্রুটি হচ্ছে উক্ত নেক কাজ করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়ও অন্যকে খুশি করার নিয়ত।

৩। এর [অর্থাৎ শিরক মিশ্রিত নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার] অনিবার্য কারণ হচ্ছে, আল্লাহর কারো মুখাপেক্ষী না হওয়া। [এ জন্য গাইরুলহ মিশ্রিত কোন আমল তাঁর প্রয়োজন নেই।]

৪। আরো একটি কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার সাথে যাদেরকে শরিক করা হয়, তাদের সকলের চেয়ে আল্লাহ বহুগুণে উত্তম।

৫। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালম এর অন্তরে রিয়ার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের উপর ভয় ও আশঙ্কা।

৬। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালম রিয়ার ব্যাখ্যা এভাবে দিয়েছেন যে, একজন মানুষ মূলত নামাজ আদায় করবে আল্লহরই জন্যে। তবে নামাজকে সুন্দরভাবে আদায় করবে শুধু এজন্য যে, সে মনে করে কোন মানুষ তার নামাজ দেখছে।

বান্দা যদি একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কোন কাজ করা আরম্ভ করে, কিন্তু কর্মরত অবস্থায় রিয়ার বিষয়টি এসে যোগ হয়, এমতাবস্থায় বান্দা রিয়া পরিত্যাগ করে খুলুসিয়াতের সাথে আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে পারলে, তার কোন ক্ষতি হবে না, অর্থাৎ আমল বাতিল বলে গণ্য হবে না। কিন্তু যদি রিয়া বিষয়টি বান্দার মধ্যে স্থায়িত্ব লাভ করে এবং অন্তরে প্রশান্তি লাভ করে, তাহলে তার আমল ত্রুটিপূর্ণ হবে। সাথে সাথে বান্দার ঈমান ও ইখলাসের মধ্যে সে পরিমাণ দুর্বলতা আসবে যে পরিমাণ রিয়া তার অন্তরে বিরাজমান থাকবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন