hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৪১
৩৮তম অধ্যায়: যে ব্যক্তি আল্লাহর হালালকৃত জিনিস হারাম এবং হারামকৃত জিনিসকে হালাল করার ব্যাপারে [অন্ধভাবে], আলেম, বুজুর্গ ও নেতাদের আনুগত্য করল, সে মূলত তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করল
১। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন,

يوشك أن تنــزل عليكم حجارة من السماء، أقول : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وتقولون : قال أبوبكر وعمر .

‘‘তোমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষিত হওয়ার সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। কারণ, আমি বলছি, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালম বলেছেন।’’ অথচ তোমরা বলছ, ‘‘আবুবকর এবং ওমর রা. বলেছেন।’’

ব্যাখ্যা

যে ব্যক্তি আল্লহর হালালকৃত জিনিস হারাম এবং হারামকৃত জিনিসকে হালাল করার ব্যাপারে আলেম বুজুর্গ ও নেতাদের আনুগত্য করল, সে মূলত: তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করে নিলা

আল্লাহ তা’আলার বাণী . أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آَمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ

‘‘আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যারা আপনার উপর যা নাজিল করা হয়েছে, তা তারা বিশ্বাস করে বলে দাবি করে?’’

গ্রন্থকার এখানে যা উলেখ করেছেন তার উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট। একমাত্র রব এবং ইলাহই হচ্ছেন ‘কাদারী’, [তাকদীর] ‘শরয়ী’ [শরীয়ত] এবং ‘জাযায়ী] [শাস্তি] সংক্রান্ত বিষয়ে হুকুম দানের মালিক। একমাত্র তাঁরই ইবাদত করতে হবে। তিনি একক ও লা- শরিক। নিরঙ্কুশ আনুগত্য তাঁরই প্রাপ্য। তাই তাঁর নাফরমানি করা যাবে না। এর ফলে সমস্ত আনুগত্যই তাঁর আনুগত্যের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হবে।

২। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রা. বলেছেন, ‘‘ঐ সব লোকদের ব্যাপারে আমার কাছে খুবই অবাক লাগে, যারা হাদিসের সনদ ও ‘সিহহাত’ [বিশুদ্ধতা] অর্থাৎ হাদিসের পরস্পরা ও সহীহ হওয়ার বিষয়টি জানার পরও সুফইয়ান সওরীর মতামতকে গ্রহণ করে। অথচ আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴿النور :৬৩﴾

‘‘যারা তাঁর নির্দেশের বিরোধিতা করে, তাদের এ ভয় করা উচিত যে, তাদের উপর কোন কঠিন পরীক্ষা কিংবা কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি এসে পড়ে।’’ (নূর . ৮৩)

তুমি কি জানো ফিতনা কি? ফিতনা হচ্ছে শিরক। সম্ভবত তাঁর কোন কথা অন্তরে বক্রতার সৃষ্টি করলে এর ফলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।

৩। আদী বিন হাতেম রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূল

বান্দা যদি উপরোল্লিখিত আনুগত্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে আলেম, বুজুর্গ এবং নেতাগণকে গ্রহণ করে এবং তাদের আনুগত্যকে আসল মনে করে, আর আল্লহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যকে তাদের আনুগত্যের অধীন মনে করে, তাহলে সে আল্লাহর পরিবর্তে তাদেরকেই [আলেম, বুজুর্গ ও নেতাগণকে] রব হিসেবে মেনে নিলা, তাদের ইবাদত করল, তাদেরকে ফায়সালাদানকারী হিসেবে গ্রহণ করল এবং তাদের ফয়সালাকে আল্লহ ও তাঁর রাসূলের ফয়সালার উপরে অগ্রাধিকার দিল। আর এটাই হচ্ছে নির্ঘাত কুফরি। কেননা হুকুমদানের একচ্ছত্র অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লহ তাআলা। [এমনিভাবে তিনিই ইবাদতের পূর্ণ হকদার]

তাই প্রতিটি মানুষের কর্তব্য হচ্ছে গাইরুলহকে হুকুম কর্তা হিসেবে গ্রহণ না করা। বিতর্কিত বিষয়ের ফয়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম তথা কুরআন ও সুন্নাহকে মেনে নেয়া। এর দ্বারাই বান্দার দীন ও তাওহীদ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পূর্ণতা অর্জন করবে।

যে ব্যক্তি আল্লহ ও তাঁর রাসূলের বিধান ব্যতীত অন্য কোন [মানব রচিত] বিধান

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালমকে আয়াত পড়তে শুনেছেন,

اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ( التوبة : ৩১)

‘‘তারা [ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান জাতির লোকেরা] আল্লাহর পরিবর্তে তাদের ধর্মীয় নেতা ও পুরোহিতদেরকে রব হিসেবে বরণ করে নিয়েছিল।’’ (তাওবা . ৩১) তখন আমি নবিজিকে বললাম, ‘আমরাতো তাদের ইবাদত করি না।’ তিন বললেন, ‘আচ্ছা আল্লাহর হালাল ঘোষিত জিনিসকে তারা হারাম বললে, তোমরা কি তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করো না? আবার আল্লাহর হারাম ঘোষিত জিনিসকে তারা হালাল বললেন, তোমরা কি তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করো না? তখন আমি বললাম, হ্যা, তিনি তখন বললেন, ‘এটাই তাদের ইবাদত (করার মধ্যে গণ্য।)’ (আহমাদ ও তিরমিযী)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। সূরা নূরের ৬৩ নং আয়াতের তাফসীর।

২। সূরা তাওবার ৩১ নং আয়াতের তাফসীর।

মতে বিচার ফয়সালা গ্রহণ করল, সেই তাগুতকে মেনে নিলা। এরপরও যদি সে দাবি করে যে, সে একজন মু’মিন, তাহলে সে চরম মিথ্যাবাদী।

দ্বীনের মৌলিক এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে আল্লহ ও তাঁর রাসূলের ফয়সালা মেনে নেয়া ব্যতীত বান্দার ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। গ্রন্থকারের আলোচিত অপর একটি অধ্যায়ের মর্মানুযায়ী প্রতিটি হক বা অধিকারের ক্ষেত্রে এ হুকুম [অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফয়সালা মেনে নেয়া ] প্রযোজ্য।

অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর রাসূল ব্যতীত অন্য কারো ফয়সালা মেনে নিলা, সে মূলত, গাইরুলহকে রব হিসেবে এবং তাগুতকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নিলা।

৩। আদী বিন হাতেম ইবাদতের যে অর্থ অস্বীকার করেছেন, সে ব্যাপারে সতর্কীকরণ।

৪। ইবনে আববাস রা. কর্তৃক আবু বকর এবং ওমর রা. এর দৃষ্টান্ত আর ইমাম আহমাদ রা. কর্তৃক সুফইয়ান সওরীর দৃষ্টান্ত পেশ করা।

৫। অবস্থার পরিবর্তন মানুষকে এমন [গোমরাহীর] পর্যায়ে উপনীত করে, যার ফলে পন্ডিত ও পীর বুজুর্গের পূজা করাটাই তাদের কাছে সর্বোত্তম ইবাদতে পরিণত হয়। আর এরই নাম দেয়া হয় ‘‘বেলায়াত।’’ ‘আহবার’ তথা পন্ডিত ব্যক্তিদের ইবাদত হচ্ছে, তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা। অতঃপর অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হয়ে এমন পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি গাইরুলহর ইবাদত করল, সে সালেহ বা পুণ্যবান হিসেবে গণ্য হচ্ছে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় অর্থে যে ইবাদত করল অর্থাৎ আল্লাহর জন্য ইবাদত করল, সেই জাহেল বা মূর্খ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন