hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৪র্থ অধ্যায়: শিরক সম্পর্কীয় ভীতি
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ ( النساء : ৪৮)

‘‘আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করা গুনাহ মাফ করবেন না। শিরক ছাড়া অন্যান্য যে সব গুনাহ রয়েছে সেগুলো যাকে ইচ্ছা মাফ করে দিবেন।’’ (নিসাঃ৪৮)

২। ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার কাছে এ দোয়া করেছিলেন,

وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ ( إبراهيم : ৩৫)

‘‘আমাকে এবং আমার সন্তানদের মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা কর’’

(ইবরাহীম . ৩৫)

ব্যাখ্যা

শিরকের প্রতি ভয়:

তাওহীদুল উলুহিয়্যা ওয়াল ইবাদা অর্থাৎ উলুহিয়্যাত এবং ইবাদতের তাওহীদের মধ্যে শিরকের উপস্থিতি তাওহীদকে সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করে দেয়।

শিরক দু’রকমের।

১। শিরকে আকবার জলি (প্রকাশ্য বড় শিরক)

২। শিরকে আসগার খফী (অপ্রকাশ্য ছোট শিরক)

শিরকে আকবার :

শিরকে আকবার হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার বানানো। আল্লাহকে ডাকার মত অন্যকে ডাকা। আল্লাহকে ভয় করার মত অন্যকে ভয় করা। তাঁর কাছে যা কামনা করা হয় অন্যের কাছে তা কামনা করা। তাঁর ভালোবাসারমত অন্যকেও ভালোবাসা। আল্লাহর সাথে যাকে অংশীদার করা হয় যে কোন ধরনের ইবাদত তার জন্য নির্দিষ্ট করা। এ ধরনের শিরকে লিপ্ত ব্যক্তির মধ্যে বিন্দুমাত্র তাওহীদও অবশিষ্ট থাকে না। তাই এ ধরনের মুশরিকদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত হারাম করে

৩। এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,

. أخوف ما أخاف عليكم، الشرك الأصغر فسئل عنه فقال : الرياء

‘‘ আমি তোমাদের জন্য সে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ভয় করি তা হচ্ছে শিরকে আসগার অর্থাৎ ছোট শিরক। তাকে শিরকে আসগার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, (ছোট শিরক হচ্ছে) ‘‘রিয়া’’।

৪। ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

من مات وهو يدعومن دون الله ندا دخل النار . ( رواه البخاري )

‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে। সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (বুখারী)

৫। সাহাবী জাবের রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে মৃত্যু বরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কাউকে শরিক করে মৃত্যু বরণ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (মুসলিম)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। শিরককে ভয় করা।

২। রিয়া শিরকের মধ্যে শামিল।

৩। রিয়া হল ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

দিয়েছেন। জাহান্নামই হচ্ছে তাদের শেষ ঠিকানা। গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদতকে ইবাদত, ওয়াসীলা, অথবা অন্য যে কোন নামে আখ্যায়িত করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ এর সবগুলোই হচ্ছে শিরকে আকবার বা বড় শিরক। এক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হচ্ছে জিনিসের হাকিকত বা প্রকৃত পরিচয় এবং তার অর্থ। শব্দ ও বাক্য এ ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় নয়।

শিরকে আসগার:

যে সব কথা ও কাজের মাধ্যমে মানুষ শিরকের দিকে ধাবিত হয়, সেসব কথা ও কাজই শিরকে আসগার বা ছোট শিরক হিসেবে গণ্য। যেমন : মাখলুকের ব্যাপারে এমনভাবে সীমা লঙ্ঘন করা যা ইবাদতের পর্যায়ে পৌঁছে না। [ইবাদতের পর্যায়ে পৌঁছোলে তা শিরকে আকবারে পরিণত হবে] যেমন গাইরুল্লাহর নামে কসম করা, রিয়া বা লোক দেখানো কাজ করা ইত্যাদি।

৪। নেককার লোকদের জন্য সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে শিরকে আসগর (ছোট শিরক)

৫। জান্নাত ও জাহান্নাম কাছাকাছি হওয়া।

৬। জান্নাত ও জাহান্নাম নিকটবর্তী হওয়ার বিষয়টি একই হাদিসে বর্ণিত হওয়া।

৭। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক বানিয়ে মৃত্যু বরণ করলে মৃত ব্যক্তি যত বড় আবেদই হোক না কেন সে জাহান্নামে যাবে।

৮। ইবরাহীম খলিল আ. এর দোয়ার প্রধান বিষয় হচ্ছে, তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা তথা শিরক থেকে রক্ষা করা।

৯। رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ ‘‘হে আমার রব, এ মূর্তিগুলো বহু লোককে গুমরাহ করেছে’’ এ কথা দ্বারা ইবরাহীম আ. বহু লোকের অবস্থা থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করেছেন।

১০। এখানে লা-ইলাহি ইল্লাল্লাহর তাফসীর রয়েছে যা ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন।

১১। শিরক মুক্ত ব্যক্তির মর্যাদা।

শিরকে আকবার তাওহীদকে অস্বীকার করে। চিরস্থায়ী জাহান্নামকে ওয়াজিব করে। আর জান্নাতকে হারাম করে। এ শিরক থেকে মুক্ত হওয়া ব্যতীত শান্তি লাভ করা অসম্ভব। অবস্থা যদি এই হয় তাহলে বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে এ শিরককে অর্থাৎ শিরকে আকবারকে সবচেয়ে বেশি ভয় করা। শিরকে আকবারের পথ, পদ্ধতি, মাধ্যম এবং যাবতীয় উপায়- উপকরণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা। এ শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যেভাবে দোয়া করেছেন আম্বিয়ায়ে কেরাম, নেককার বুজুর্গ এবং সৃষ্টির সেরা বান্দাহগণ।

প্রত্যেক বান্দার উচিত তার অন্তরে ইখলাসের উন্নতি সাধন ও শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা সাধনা করা।

আর এ চেষ্টা চালাতে হবে উলুহিয়্যাত, ইনাবত, ভয়, ভীতি, আশা- আকাঙ্ক্ষা ও কামনা- বাসনায় আল্লাহর সাথে পূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বান্দার জাহেরী ও বাতেনী যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পন্ন করা কিংবা পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও সওয়াব অর্জন করা। ইখলাসের ধর্মই হচ্ছে শিরকে আকবার ও আসগার তথা ছোট বড় সব ধরনের শিরককে মিটিয়ে দেয়া। যেকোনো ধরনের শিরকে লিপ্ত হওয়ার কারণ হচ্ছে বান্দার ইখলাসের দুর্বলতা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন