hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৩২
২৯তম অধ্যায়: জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কীয় শরীয়তের বিধান
ইমাম বুখারী রহ.) তাঁর সহীহ গ্রন্থে বলেছেন, কাতাদাহ রা. বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা এসব নক্ষত্ররাজিকে তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, আকাশের সৌন্দর্যের জন্য, আঘাতের মাধ্যমে শয়তান বিতাড়নের জন্য এবং [দিক ভ্রান্ত পথিকদের] নিদর্শন হিসেবে পথের দিশা পাওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি এ উদ্দেশ্য ছাড়া এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দেবে সে ভুল করবে এবং তার ভাগ্য নষ্ট করবে। আর এমন জটিল কাজ তার ঘাড়ে নিবে যে সম্পর্কে তার কোন জ্ঞানই থাকবে না।’’

কাতাদাহ রা. চাঁদের কক্ষ সংক্রান্ত বিদ্যার্জন অর্থাৎ জ্যোতির্বিদ্যা অপছন্দ করতেন। আর উ’য়াইনা এ বিদ্যার্জনের অনুমতি দেননি। উভয়ের কাছ থেকে হারব রহ.) একথা বর্ণনা করেছেন।

ইমাম আহমদ এবং ইসহাক রহ.) [চাদের] কক্ষপথ জানার অনুমতি দিয়েছেন।

আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

ব্যাখ্যা

জ্যোতির্বিদ্যা দু’প্রকারঃ এক প্রকার জ্যোতির্বিদ্যাকে বলা হয় علم التاثير [ইলমুত্তাছীর]। আর তা হচ্ছে, আকাশের বিভিন্ন অবস্থা থেকে জাগতিক ঘটনাবলীর প্রমান বা ফয়সালা গ্রহণ করা। এটা সম্পূর্ণ বাতিল। সাথে সাথে যে ‘ইলমে গায়েবের’ একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ, এ জ্ঞান দ্বারা তাঁরাই অংশীদারিত্বের দাবি করা হয় অথবা উক্ত জ্ঞানের দাবীদারকে সত্য বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ জ্ঞানের মধ্যে মিথ্যা দাবি, গাইরুল্লাহর সাথে অন্তরের সম্পর্ক এবং মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির বিপর্যয় থাকার কারণে এটা [জ্যোতির্বিদ্যা] তাওহীদের পরিপন্থী। কেননা বাতিল পথ অবলম্বন করা এবং তা সমর্থন করা মানুষের বুদ্ধি-বিবেক ও ধর্মীয় বিপর্যয়ের শামিল। দ্বিতীয় প্রকার জ্যোতির্বিদ্যা হচ্ছে علم التسيير [ইলমুত্তাসয়ীর] আর ‘ইলমুত্তাসয়ীর হচ্ছে চন্দ্র,

ثلاثة لا يدخلون الجنة : مدمن الخمر، وقاطع الرحم، ومصدق بالسحر . ( رواه أحمد وابن حبان فى صحيحه )

তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না,

১। মাদকাসক্ত ব্যক্তি ২। আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী এবং ৩। ঐাদুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী। (আহমাদ, ইবনু হিববান)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়:

১। নক্ষত্র সৃষ্টির রহস্য।

২। নক্ষত্র সৃষ্টির ভিন্ন উদ্দেশ্য বর্ণনাকারীর সমুচিত জবাব প্রদান।

৩। কক্ষ সংক্রান্ত বিদ্যার্জনের ব্যাপারে মতভেদের উল্লেখ।

৪। ঐাদবাতিল জানা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি ঐাদুর অন্তর্ভুক্ত সামান্য জিনিসেও বিশ্বাস করবে, তার প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি।

সূর্য ও নক্ষত্রের সাহায্যে কেবলা, সময় এবং দিক নির্ণয়ের ব্যাপারে প্রমাণ গ্রহণ করা। এ ধরনের বিদ্যা কোন দোষের নয় বরং এর অধিকাংশই উপকারী।

এ ধরনের বিদ্যা যদি ইবাদতের সময় জানা অথবা দিক নির্ণয়ের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে ‘‘শারে’’ অর্থাৎ শরিয়তের বিধানদাতা এতে উৎসাহ প্রদান করেছেন।

অতএব, ‘শারে’ এ বিদ্যার কোনটি নিষেধ করেছেন আর কোনটি হারাম ঘোষণা করেছেন, আবার কোনটিকে মুবাহ, মোস্তাহাব অথবা ওয়াজিব করে দিয়েছেন; এগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় অত্যাবশ্যক। উল্লেখিত প্রথম প্রকারের জ্যোতির্বিদ্যা তাওহীদের পরিপন্থী। দ্বিতীয় প্রকারের জ্যোতির্বিদ্যা তাওহীদের পরিপন্থী নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন