hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৬৪
৬১তম অধ্যায়: ছবি অঙ্কনকারী বা চিত্র শিল্পীদের পরিণাম
১। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এরশাদ করেছেন,

قال الله تعالى : ومن أظلم ممن ذهب يخلق كخلقى فليخلقوا ذرة، أو ليخلقوا حبة، أو ليخلقوا شعيرة . ( أخرجاه )

‘‘আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার চেয়ে বড় জালিম আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আমার সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করতে চায়। তাদের শক্তি থাকলে তারা একটা অনু সৃষ্টি করুক অথবা একটি খাদ্যের দানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি গমের দানা তৈরি করুক।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

২। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এরশাদ করেছেন,

أشد الناس عذابا يوما القيامة الذين يضاهئون بخلق الله . ( البخارى و مسلم )

‘‘কেয়ামতের দিন সবচেয়ে শাস্তি পাবে তারাই যারা আল্লাহ তাআলার

ব্যাখ্যা

এ আলোচনাটি মূলত, পূর্বোক্ত অধ্যায়ের একটি শাখা বিশেষ। নিয়ত, কথা ও কাজের মধ্যে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করা জায়েজ নেই। নিদ্দ ( ند ) অর্থ হচ্ছে সাদৃশ্য। এ সাদৃশ্য যত প্রকারেরই হোক না কেন, ফলাফলে কোন পার্থক্য নেই। তাই প্রাণীর ছবি অঙ্কন করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর সাথে সাদৃশ্য করণ, তাঁর সৃষ্টি কৌশলের উপর মিথ্যাচারিতা, প্রতারণা ও জালিয়াতি। এ কারণেই শরীয়ত প্রণেতা এটাকে নিষেধ করেছেন।

সৃষ্টির মতো ছবি বা চিত্র অঙ্কন করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

৩। ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লমকে বলতে শুনেছি,

كل مصـور فى النـار، يجعل له بكل صورة صورها نفـس يعذب بـها فى جهنم . ( رواه مسلم )

‘‘প্রত্যেক চিত্র অঙ্কনকারীই জাহান্নামী। চিত্রকর যতটি [প্রাণীর] চিত্র এঁকেছে ততটি প্রাণ তাকে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে তাকে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে।’’ (মুসলিম)

৪& ইবনে আববাস রা. থেকে ‘মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে,

من صور صورة فى الدنيا كلف أن ينفخ فيها الروح وليس ب نافخ . ( رواه البخارى ومسلم )

‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন [প্রাণীর] চিত্র অঙ্কন করবে, কিয়ামতের দিন তাকে ঐ চিত্রে আত্মা দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে আত্মা দিতে সক্ষম হবে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

৫। আবুল হাইয়াজ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আলী রা. আমাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে এমন কাজে পাঠাবোনা, যে কাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? সে কাজটি হচ্ছে, ‘তুমি কোন চিত্রকে ধ্বংস না করে ছাড়বে না। আর কোন উঁচু কবরকে [মাটির] সমান না করে ছাড়বে না।, (মুসলিম)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। চিত্রকরদের ব্যাপারে খুব কঠোরতা অবলম্বন।

২। কঠোরতা অবলম্বনের কারণ সম্পর্কে মানুষকে সাবধান করে দেয়া। এখানে কঠোরতা অবলম্বনের কারণ হচ্ছে, আল্লাহর সাথে আদব রক্ষা না করা। এর প্রমাণ আল্লাহ বাণী :

ومن أظلم ممن ذهب يخلق كخلقى

৩। সৃষ্টি করার ব্যাপারে আল্লাহর কুদরত বা সৃজনশীল ক্ষমতা। অপরদিকে সৃষ্টির ব্যাপারে বান্দার অক্ষমতা। তাই আল্লাহ চিত্রকরদেরকে বলেছেন, ‘তোমাদের ক্ষমতা থাকলে তোমরা একটা অনু অথবা একটা দানা কিং গমের দানা তৈরি করে নিয়ে এসো।’

৪। চিত্রকরের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা।

৫। চিত্রকর যতটা [প্রাণীর] ছবি আকবে, শাস্তি ভোগ করার জন্য ততটা প্রাণ তাকে দেয়া হবে। এবং এর দ্বারাই জাহান্নামে তাঁকে শাস্তি দেয়া হবে।

৬। অঙ্কিত ছবিতে রুহ বা আত্মা দেয়ার জন্য চিত্রকরকে বাধ্য করা হবে।

৭। [প্রাণীর] ছবি পাওয়া গেলেই তা ধ্বংস করার নির্দেশ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন