hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৩৫
৩২তম অধ্যায়: আল্লাহর ভয়
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

إِنَّمَا ذَلِكُمُ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَاءَهُ فَلَا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ ﴿آل عمران : ১৭৫﴾

‘‘এরা হলো শয়তান, যারা তোমাদেরকে তার বন্ধুদের (কাফের বেঈমান) দ্বারা ভয় দেখায়। তোমরা যদি প্রকৃত মোমেন হয়ে থাকো। তাহলে তাদেরকে [শয়তানের সহচরদেরকে] ভয় করো না বরং আমাকে ভয় করো।’’ (আল ইমরান . ১৭৫)

২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آَمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ . ( التوبة : ১৮)

‘‘আল্লাহর মসজিদগুলোকে একমাত্র তারাই আবাদ করতে পারে যারা আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত

ব্যাখ্যা

গ্রন্থকার এ অধ্যায়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুকরণ করার জন্য সন্নিবেশিত করেছেন। আর তা হচ্ছে, ভয়ের সম্পর্ক একমাত্র আল্লাহ তাআলার সাথে সম্পৃক্ত থাকা অত্যাবশ্যক। মাখলুকের সাথে এর সম্পর্ক থাকা নিষিদ্ধ। আর আল্লাহর সাথে ভয়-ভীতির সম্পর্ক ব্যতীত তাওহীদ পরিপূর্ণ হয় না।

এখানে বিষয়টির বিশদ বিবরণ ও ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিষয়টি পাঠকদের কাছে আরো সুস্পষ্ট হয় এবং এ ব্যাপারে যাবতীয় সংশয়ের নিরসন হয়।

এটা জেনে রাখা অত্যাবশ্যক যে, বিভিন্ন কারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদির পরিপ্রেক্ষিতে ভয়-ভীতি কখনো ইবাদতে পরিণত হয়, আবার কখনো তা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বলে গণ্য হয়।

আদায় করে এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না।’’

(তাওবা : ১৮)

৩। আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে এরশাদ করেছেন,

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آَمَنَّا بِاللَّهِ فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللَّهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللَّهِ

( العنكبوت : ১০)

‘‘মানুষের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। এরপর যখন আল্লাহর পথে তারা দুঃখ কষ্ট পায় তখন মানুষের চাপানো দুঃখ কষ্টের পরীক্ষাকে তারা আল্লাহর আজাবের সমতুল্য মনে করে।’’ (আনকাবূত : ১০)

৪। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে ‘মারফু’ হাদিসে বর্ণিত আছে, ঈমানের দুর্বলতা হচ্ছে আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করে মানুষকে সন্তুষ্ট করা, আল্লাহর রিজিক ভোগ করে মানুষের গুণগান করা, তোমাকে আল্লাহ যা দান করেননি তার ব্যাপারে মানুষের বদনাম করা। কোন লোভীর লোভ আল্লাহর রিজিক টেনে আনতে পারে না। আবার কোন ঘৃণা কারীর ঘৃণা আল্লাহর রিজিক বন্ধ করতে পারে না।

যাকে ভয় করা হয়, ভয়-ভীতি যদি তার ইবাদত বন্দেগি ও দাসত্ব করার জন্য হয়, তারই নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে হয়, এবং তারই আনুগত্য করা আর নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকার কারণ হয়, তাহলে এ ভয়ের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে হওয়াই ঈমানের সবচেয়ে বড় দাবি। এ সম্পর্ক গাইরুল্লাহর সাথে হওয়া শিরকে আকবার, যা আল্লাহ তাআলা [তাওবা ব্যতীত] মাফ করবেন না। কারণ এমতাবস্থায় বান্দা আল্লাহর সাথে গাইরুল্লাহর এমন একটি ইবাদতের সাথে শরিক করল, যা অন্তরের সবচেয়ে বড় দায়িত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দায়িত্ব অবহেলার কারণে কোন কোন সময় আল্লাহর ভয়ের চেয়ে গাইরুল্লাহর ভয় [বান্দার মধ্যে] প্রবল হয়ে উঠে।

যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করবে, সে ব্যক্তিই খালেস তাওহীদবাদী। আর যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহকে ভয় করল, সে ভয়-ভীতির ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে অন্যকে শরিক করল, যেমনিভাবে মুহববতের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্যকে শরিক করল। কোন কবর বাসীকে এই ভেবে ভয় করা যে, ভয় না করলে হয়তো তার কোন ক্ষতি করে ফেলবে, অথবা তার উপর কবর বাসী রাগান্বিত হয়ে তার কাছ থেকে

৫। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

من التمس رضا الله بسخط الناس، رضي الله عنه، وأرضى عنه الناس ومن التمس رضا الناس بسخط الله، سخط الله عليه، وأسخط الله عليه، وأسخط عليه الناس . ( رواه ابن حبان فى صحيحه )

‘‘যে ব্যক্তি মানুষকে নারাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়, তার উপর আল্লাহর সন্তুষ্ট থাকেন, আর মানুষকেও তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহকে নারাজ করে মানুষের সন্তুষ্টি চায়, তার উপর আল্লাহও অসন্তুষ্ট হন এবং মানুষকেও তার প্রতি অসন্তুষ্ট করে দেন। (ইবনে হিববান)

এ অধ্যায় থেকে নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলো জানা যায় :

১। সূরা আল-ইমরানের ১৭৫ নং আয়াতের তাফসীর।

২। সূরা তাওবার ১৮ নং আয়াতের তাফসীর।

৩। সূরা আনকাবুতের ১০ নং আয়াতের তাফসীর।

৪। ঈমান শক্তিশালী হওয়া আবার দুর্বল হওয়া সংক্রান্ত কথা।

কোন নেয়ামত ছিনিয়ে নিবে, এ ধরনের ভয় শিরক। কবর পূজারিদের মধ্যে মূলত: এ বিশ্বাসই বিদ্যমান রয়েছে।

ভয় যদি স্বভাবজাত এবং প্রাকৃতিক হয়, যেমন শত্রু, হিংস্র প্রাণী, সাপ ইত্যাদিকে ভয় করা, কারণ এগুলো দ্বারা বাহ্যিক অনিষ্টতা ও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে তা [প্রাকৃতিক ও স্বভাবজাত ভয়] ইবাদতের মধ্যে গণ্য নয়। এ ধরনের ভয় প্রায় সব মোমিন লোকদের মধ্যেই রয়েছে। এ ভয় ঈমানের পরিপন্থী নয়। এ ভয়ের পিছনে যদি কোন সংগত কার্যকারণ নিহিত থাকে, তাহলে এ ভয়ে কোন দোষ নেই। আর যদি এ ভয় অবাস্তব ও কাল্পনিক হয় যেমন অহেতুক ভিত্তিতে কোন ভয়, অথবা যে ভয়ের পিছনে কোন দুর্বল কারণ নিহিত রয়েছে, তাহলে এ জাতীয় ভয় খুবই দূষণীয়। যার মধ্যে এ জাতীয় ভয়ের অস্তিত্ব আছে সে কাপুরুষ বলে গণ্য। নবী করিম সাহাবী এ ধরনের ভীতি ও কাপুরুষতা থেকে আল্লাহর কাছে পানা চেয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন