hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

১৮
১৫তম অধ্যায়: তাওহীদের মর্মকথা
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

أَيُشْرِكُونَ مَا لَا يَخْلُقُ شَيْئًا وَهُمْ يُخْلَقُونَ ﴿১৯১﴾ وَلَا يَسْتَطِيعُونَ لَهُمْ نَصْرًا وَلَا أَنْفُسَهُمْ يَنْصُرُونَ ﴿১৯২﴾ ( الأعراف )

‘‘তারা কি আল্লাহর সাথে এমন সব বস্ত্তকে শরিক করে যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না। বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট হয়। আর তারা তাদেরকে [মুশরিকদেরকে] কোন রকম সাহায্য করতে পারে না।’’

(আরাফ: ১৯১-১৯২)

২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,

وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِنْ قِطْمِيرٍ ﴿فاطر : ১৩﴾

‘‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে [উপকার সাধন অথবা মুসীবত দূর করার জন্য] ডাকো তারা কোন কিছুরই মালিক নয়।’’ (ফাতের : ১৩)

৩। সহীহ বুখারীতে আনাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আঘাত প্রাপ্ত হলেন এবং তাঁর সামনের দাঁত ভেঙ্গে গেলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুঃখ করে বললেন,

كيف يفلح قوم شجوا نبيهم فنـزلت :

لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ ﴿১২৮﴾( آل عمران )

ব্যাখ্যা

আল্লাহর বাণী . أيشركون ما لا يخلق شيئا وهم يخلقون

‘‘তারা কি আল্লাহর সাথে এমন জিনিসকে শরিক করে যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি হয়’’। আল্লাহ তাআলার এ বাণী তাওহীদের দলিল ও প্রমাণাদির ক্ষেত্রে সূচনা মাত্র। তাওহীদের জন্য এত বেশি নকলী [কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক] এবং আকলি [জ্ঞানী ও বুদ্ধিবৃত্তিক] দলিল প্রমাণাদি রয়েছে যা অন্য বিষয়ের জন্য নেই।

ইতিপূর্বে আলোচিত দু’রকমের তাওহীদ অর্থাৎ রুববিয়্যাতের তাওহীদ এবং আসমা ও সিফাতের তাওহীদ হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদের সবচেয়ে বড় দলিল ও প্রমাণ।

‘‘সে জাতি কেমন করে কল্যাণ লাভ করবে, যারা তাদের নবীকে আঘাত দেয়’’। তখন لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ এ আয়াত নাজিল হলো। যার অর্থ হচ্ছে, [আল্লাহর] এ [ফয়সালার] ব্যাপারে আপনার কোন হাত নেই।’

৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ফজরের নামাজের শেষ রাকাতে রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد বলার পর এ কথা বলতে শুনেছেন اللهم العن فلانا وفلانا ‘‘আল্লাহ তুমি অমুক, অমুক, [নাম উল্লেখ করে] ব্যক্তির উপর তোমার লানত নাজিল করো।’’ তখন এ আয়াত নাজিল হয় لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ অর্থাৎ ‘‘এ বিষয়ে তোমার কোন এখতিয়ার নেই।’’ আরেক বর্ণনায় আছে, যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফওয়ান ইবনে উমাইয়্যা এবং সোহাইল বিন আমর আল-হারিছ বিন হিশামের উপর বদদোয়া করেন তখন এ আয়াত নাজিল হয়েছে। لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ

৫। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যখন وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ ﴿২১৪﴾ নাজিল হলো তখন আমাদেরকে কিছু বলার জন্য দাঁড়ালেন। অতঃপর তিনি বললেন,

يا معشر قريش ـ أو كلمة نحوها ـ اشتروا أنفسكم لا أغني غنكم من الله شيئا، يا عباس ابن عبد المطلب لا أغني عنك من الله شيئا، يا صفية عمة رسول الله صلى الله عليه وسلم لا أغني عنك من الله شيئا، ويا فاطمة بنت محمد سليني من مالي ما شئت، لا أغني عنك من الله شيئا .

অতএব, সৃষ্টি ও বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যিনি এক, এবং সর্ব বিষয়ে যিনি ‘‘কামালে মুতলাক’’ [অর্থাৎ নিরঙ্কুশ পূর্ণতার অধিকারী, তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের হকদার নয়।

এমনিভাবে তাওহীদের আরো প্রমাণ হচ্ছে, মাখলুকের গুণাগুণ এবং কে ইবাদতের মধ্যে শিরক করছে সে সম্পর্কিত জ্ঞান। কেননা আল্লাহ ছাড়া ফিরিস্তা মানুষ, গাছ, পাথর, এবং অন্য যারই ইবাদত করা হোক না কেন সবই আল্লাহর মুখাপেক্ষী, এবং তাঁর কাছে ক্ষমতাহীন। বিন্দুমাত্র উপকার সাধনের কোন ক্ষমতা তাদের নেই। কোন কিছুই তারা সৃষ্টি করতে পারেনা। বরং নিজেরাই [ আল্লাহর] সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত। ক্ষতি, কল্যাণ, মৃত্যু, জীবন, পুনরুত্থান ইত্যাদির উপর তাদের কোন ইখতেয়ার নেই।

‘‘হে কুরাইশ বংশের লোকেরা [অথবা এ ধরণেরই কোন কথা বলেছেন] তোমরা তোমাদের জীবনকে খরিদ করে নাও। [শিরকের পথ পরিত্যাগ করতঃ তাওহীদের পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে জাহান্নামের শাস্তি থেকে নিজেদেরকে বাঁচাও] আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে আমি তোমাদের কোন উপকারে আসব না। হে আববাস বিন আবদুল মোত্তালিব আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে আমি আপনার জন্য কোন উপকার করতে সক্ষম নই। হে রাসূলুল্লাহর ফুফু সাফিয়্যাহ, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে আমি আপনার কোন উপকার করতে সক্ষম নই। হে মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমা, আমার সম্পদ থেকে যা খুশী চাও। কিন্তু আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে তোমার কোন উপকার করার ক্ষমতা আমার নেই।’’

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ-

১। এ অধ্যায়ে উল্লেখিত দু’টি আয়াতের তাফসীর।

২। উহুদ যুদ্ধের কাহিনী।

৩। নামাজে সাইয়্যেদুল মুরসালীন তথা বিশ্বনবী কর্তৃক ‘‘দোয়াতে কনুত’’ পাঠ করা এবং নেতৃস্থানীয় সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক আমীন বলা।

একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সকল সৃষ্টির স্রষ্টা। রিজিক গ্রহণকারী প্রতিটি জীবের জন্যই তিনি কল্যাণ ও অকল্যানের একচ্ছত্র অধিপতি। তিনি কিছু দেয়া বা না দেয়ার একমাত্র মালিক। সবকিছুর মালিকানা তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। সব কিছুই তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী। তিনিই সকল কামনা ও সাধনার আধার। সবকিছুই তাঁর করতলগত।

আল্লাহ তাআলা তাঁর মহাগ্রন্থের বহু জায়গায় এবং তাঁর রাসূলের পবিত্র জবানে [তাওহীদের উপর] যে দলিল-প্রমাণ পেশ করেছেন তার চেয়ে উত্তম দলিল আর কি হতে পারে? আল্লাহর ওহয়াদানিয়্যাত যে অত্যাবশ্যক ও হক, আর শিরক যে বাতিল, এ মহা

৪। যাদের উপর বদ দোয়া করা হয়েছে তারা কাফের।

৫। অধিকাংশ কাফেররা অতীতে যা করেছিলো তারাও তাই করেছে।

যেমন, নবীদেরকে আঘাত করা, তাঁদেরকে হত্যা করতে চাওয়া এবং একই বংশের লোক হওয়া সত্ত্বেও মৃত ব্যক্তির নাক, কান কাটা।

৬। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর

لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ নাজিল হওয়া।

৭। ﴿১২৮﴾( آل عمران ) أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ এরপর তারা তাওবা করল।

আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করলেন, আর তারাও আল্লাহর উপর ঈমান আনলো।

৮। বালা-মুসীবতের সময় দোয়া-কুনুত পড়া।

৯। যাদের উপর বদ দোয়া করা হয়, নামাজের মধ্যে তাদের নাম এবং তাদের পিতার নাম উল্লেখ করে বদ দোয়া করা।

১০। ‘‘কুনুতে নাযেলায়’’ নির্দিষ্ট করে অভিসম্পাত করা।

১১। وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ নাজিল হওয়ার পর নবী জীবনের ঘটনা।

১২। ইসলামের দাওয়াত প্রচারের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অক্লান্ত

সত্যের জন্য বর্ণিত অধ্যায়ে যেমন রয়েছে স্বাভাবিক বুদ্ধি ভিত্তিক প্রমাণ তেমনি রয়েছে যুক্তি ভিত্তিক বর্ণিত প্রমাণ।

আশরাফুল খালক [সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি] মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই যদি তাঁর নিকটতম লোকদের কল্যাণ সাধনে অক্ষম হন যিনি সৃষ্টির মধ্যে দয়া ও করুণার প্রকৃষ্ট প্রমাণ, তাহলে অন্যের জন্য তা কি করে সম্ভব? অতএব ধ্বংস ঐ ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর সাথে শরিক করে এবং কোন সৃষ্টিকে তাঁর সমকক্ষ মনে করে। এমতাবস্থায় তার দ্বীনি চেতনা বিলুপ্তির সাথে সাথে বুদ্ধি-বিবেক ও লোপ পায়। আল্লাহ তাআলার অসংখ্য গুণাগুণ, মহত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং একক ভাবে ‘‘কামালে মুতলাক’’ [অর্থাৎ নিরঙ্কুশ পূর্ণতা] এর অধিকারী হওয়াটাই, তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের হকদার নয়’ এর সবচেয়ে বড় দলিল ও প্রমাণ। এমনিভাবে মাখলুকের যাবতীয় [অপূর্ণাঙ্গ] গুণাবলি তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতাকে বাতিল করার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

সংগ্রাম ও সাধনার কথা। এমনকি এ মহৎ কাজের জন্য তাঁকে পাগল পর্যন্ত বলা হয়েছে। কোন মুসলিম যদি আজও সে ধরনের দাওয়াতী কাজ করে তবে সেও উক্ত অবস্থার শিকার হবে।

১৩। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দূরবর্তী এবং নিকটাত্মীয়-স্বজনদের ব্যাপারে বলেছেন لا أغني عنك من الله شيئا [আল্লাহর কাছে জবাব দিহি করার ব্যাপারে আমি তোমার সাহায্য করতে পারব না’’] এমনকি তিনি ফাতেমা রা.কেও লক্ষ্য করে বলেছিলেন,

يا فاطمة لا أغني عنك من الله شيئا

‘‘হে ফাতেমা, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে তোমার কোন উপকার আমি করতে সক্ষম হবো না’’।] তিনি সমস্ত নবীগণের নেতা হওয়া সত্ত্বেও নারীকুল শিরোমণির জন্য কোন উপকার করতে না পারার ঘোষণা দিয়েছেন। আর মানুষ যখন এটা বিশ্বাস করে যে, তিনি সত্য ছাড়া কিছুই বলেন না, তখন সে যদি বর্তমান যুগের কতিপয় খাস ব্যক্তিদের অন্তরে সুপারিশের মাধ্যমে অন্যকে বাঁচানোর ব্যাপারে যে ধ্যান-ধারণার সৃষ্টি হয়েছে তার দিকে দৃষ্টিপাত করে, তাহলে তার কাছে তাওহীদের মর্মকর্থা এবং দ্বীন সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতার কথা সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়বে।

কেননা তার সকল গুণাবলীতেই রয়েছে অপূর্ণাঙ্গতা। প্রতিটি বিষয়েই সে তার রবের মুখাপেক্ষী। তার কোন সিফাতে কামাল [পূর্ণগুণ] নেই। তার রব তাকে যতটুকু গুণের অধিকারী করেন ততটুকু গুনের অধিকারী সে হতে পারে। আর এটাই হচ্ছে তার [মাখলুকের] মধ্যে সামান্যতম উলুহিয়্যাতের অস্তিত্ব না থাকার প্রমাণ।

অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্টিকে চিনতে পেরেছে সে তার এ জ্ঞানকে এক ও লা-শরিক আল্লাহর ইবাদতের কাজে লাগিয়েছে। সাথে সাথে দ্বীনকে তাঁরই জন্য একনিষ্ঠ করেছে এবং তাঁরই প্রশংসা করেছে। স্বীয় জবান, অন্তর এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে তাঁরই গুণ গেয়েছে এবং শুকরিয়া আদায় করেছে। আল্লাহর ভয়, তাঁর প্রতি আশা- আকাংখাকে অবলম্বন করে মাখলুকের সাথে তার সম্পর্ককে ছিন্ন করেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন