hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৪৮
৪৫তম অধ্যায়: যে ব্যক্তি জমানাকে গালি দেয় সে আল্লাহকে কষ্ট দেয়
১। আল্লহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ( الجاثية : ২৪)

‘‘অবিশ্বাসীরা বলে, ‘শুধু দুনিয়ার জীবনই আমাদের জীবন। আমরা এখানেই মরি ও বাঁচি। জমানা ব্যতীত অন্য কিছুই আমাদেরকে ধ্বংস করতে পারে না।’’ (জাসিয়া : ২৪)

২। সহীহ হাদিসে আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসালম বলেছেন, আল্লহ তাআলা এরশাদ করেন,

يؤذيني ابن آدم، يسب الدهر، وأنا الدهر، أقلب الليل والنهار .

ব্যাখ্যা

যে ব্যক্তি জমানাকে গালি দেয় সে মূলত . আল্লহকেই গালি দেয়

জাহেলি যুগের লোকদের মধ্যে জমানাকে গালি দেয়ার বহুল প্রচলন ছিল। কতিপয় ফাসেক, পাগল আর আহাম্মক লোক এ বিষয়ে জাহেলদের অনুসরণ করে চলছে। এসব লোক যখনই দেখতে পেয়েছে যে, যুগ-জমানার গতি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বার্থের বিপরীতে প্রবাহিত হচ্ছে, তখনই কাল ও সময়কে তারা গালি দিতে শুরু করেছে। এমনকি তারা জমানাকে অভিশাপও দিয়েছে। দীন সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতা, অহমিকা, আর চরম মুর্খতা থেকেই এ বদভ্যাসের জন্ম হয়। জমানার কাছে কোন কার্য ক্ষমতাই নেই। জমানা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। জমানায় যা সংঘটিত হচ্ছে তার পিছনে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞানময় ও কৌশলি আল্লাহর তাআলার দক্ষ পরিচালনা কাজ করছে।

‘‘আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ, সে জমানা বা কালকে গালি দেয়। অথচ আমিই হচ্ছি জমানা। আমি [জমানার] রাত দিনকে পরিবর্তন করি।’’ অন্য বর্ণনায় আছে,

لا تسبوا الدهر، فإن الله هو الدهر .

‘‘তোমরা জমানাকে গালি দিওনা। কারণ, আল্লহই হচ্ছেন যমানা।’’

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। কাল বা জমানাকে গালি দেয়া নিষেধ।

২। জমানাকে গালি দেয়া আল্লহকে কষ্ট দেয়ারই নামান্তর।

৩। فإن الله هو الدهر ‘আল্লহই হচ্ছেন জমানা’ রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর বাণীর মধ্যে গভীর চিন্তার বিষয় নিহিত আছে।

৪। বান্দার অন্তরে আল্লহকে গালি দেয়ার ইচ্ছা না থাকলেও অসাবধনতা বশত: মনের অগোচরে তাঁকে গালি দিয়ে ফেলতে পারে।

তাই জমানাকে গালি দিলে এবং এর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে সে গালি ও দোষ-ত্রুটি প্রকৃতপক্ষে এর মহানিয়ন্ত্রক ও পরিচালকের উপর বর্তায়।

দ্বীনের ক্ষেত্রে জ্ঞানের স্বল্পতার অর্থই হচ্ছে জ্ঞান ও বুদ্ধির স্বল্পতা। এতে দুঃখ দুর্দশাই শুধু বৃদ্ধি পায়, আর অঘটন বড় আকার ধারণ করে, প্রয়োজনীয় ধৈর্যের দ্বারা বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা তাওহীদের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

মোমিন ব্যক্তি জানে যে, যাবতীয় পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে আল্লহ তা’আলার লিখন ফয়সালা [বিধি-লিপি] ও হিকমতের ইশারায়। তাই আল্লাহও তাঁর রাসূল যতক্ষণ পর্যন্ত কোন জিনিসের দোষারোপ না করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে দোষী করা যায় না। এক্ষেত্রে মোমিন ব্যক্তি আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকে; তাঁর নির্দেশকে মাথা পেতে নেয়। এভাবেই তার তাওহীদ পরিপূর্ণ হয় এবং হৃদয়ে এক অনাবিল প্রশান্তি অনুভব করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন