hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

২৬
২৩তম অধ্যায়: মুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মূর্তি পুজা করবে
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ ( النساء : ৫১)

‘‘আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে? তারা ‘জিবত’ এবং ‘তাগুত্কে বিশ্বাস করে। (নিসাঃ৫১)

২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,

قُلْ هَلْ أُنَبِّئُكُمْ بِشَرٍّ مِنْ ذَلِكَ مَثُوبَةً عِنْدَ اللَّهِ مَنْ لَعَنَهُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ وَعَبَدَ الطَّاغُوتَ ( ألمائدة : ৬০)

‘‘বলো, [হে মুহাম্মদ] আমি কি সে সব লোকদের কথা জানিয়ে দেবো? যাদের পরিণতি আল্লাহর কাছে [ফাসেক লোকদের পরিণতি] এর চেয়ে খারাপ। তারা এমন লোক যাদেরকে আল্লাহ লানত করেছেন এবং যাদের উপর আল্লাহর গজব নিপতিত হয়েছে। যাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে তিনি বানর ও শুকর বানিয়ে দিয়েছেন। তারা তাগুতের পূজা করেছে।

(মায়েদাঃ ৬০)

৩। আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে এরশাদ করেছেন,

ব্যাখ্যা

মুসলিম উম্মহার কিছু সংখ্যক লোক মূর্তিপূজা করবে

এ অধ্যায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিরকের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং শিরককে ভয় করে চলা। উম্মতে মুসলিমা শিরকে পতিত হওয়ার বিষয়টি বাস্তব ও

قَالَ الَّذِينَ غَلَبُوا عَلَى أَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِمْ مَسْجِدًا ﴿ألكهف :২১﴾

‘‘যারা তাঁদের ব্যাপারে বিজয়ী হলো তারা বলল, আমরা অবশ্যই তাদের উপর [অর্থাৎ কবরস্থানে] মসজিদ তৈরী করব’’ (কাহাফ: ২১)

৪। সাহাবী আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,

لتتبعنّ سنن من كان قبلكم، حذوة القذة بالقذة، حتى لو دخلوا جحر ضب لدخلتموه، قالوا يا رسول الله : اليهود والنصارى؟ قال فمن؟ ( أخرجاه )

‘‘আমি আশঙ্কা করছি ‘‘তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের রীতি-নীতি অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করবে [যা আদৌ করা উচিত নয়] এমনকি তারা যদি গুঁই সাপের গর্তেও ঢুকে যায়, তোমরাও তাতে ঢুকবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ, তারা কি ইহুদি ও খ্রিস্টান?’ জবাবে তিনি বললেন, তারা ছাড়া আর কে? (বুখারী ও মুসলিম)

৫। মুসলিম শরীফে সাহাবী ছাওবান রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,

أن الله زوى لي الأرض فرأيت مشارقها ومغاربها، وإن أمتي سيبلغ ملكها ما زوي لي منها وأعطيت الكنزين : الأحمر الأبيض، وإني سألت ربي لأمّتي أن لا يهلكها بسنة بعامة، وأن لا يسلّط عليهم عدوا من سوى أنفسهم، فيستبيح بيضتهم، وأن ربي قال : يا محمد إني إذا قضيت قضاء فإنه لا يرد، وإني أعطيتك لأمتك أن لا أهلكهم بسنة بعامة، وأن لا أسلط عليهم عدوا من سوى أنفسهم فيستبيح بيضتهم، ولو اجتمع عليهم من بأقطارها، حتى يكون بعضهم يهلك بعضا، ويسبي بعضهم بعضا .

অবধারিত। এর আরো একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ ব্যক্তির জবাব দেয়া, যে এ কথা দাবি করে যে, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে মুসলিম নাম ধারণ করল সে ইসলামের পরিপন্থী কাজ করেও ইসলামের উপর টিকে থাকতে পারে। ইসলাম পরিপন্থী উক্ত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কবরবাসীদের কাছে সাহায্য চাওয়া, তাদের কাছে দোয়া করা

‘‘আল্লাহ তাআলা গোটা যমীনকে একত্রিত করে আমার সামনে পেশ করলেন। তখন আমি জমিনের পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত দেখে নিলাম। পৃথিবীর ততটুকু স্থান আমাকে দেখানো হয়েছে আমার উম্মতের শাসন বা রাজত্ব যতটুকু স্থান পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে। লাল ও সাদা দুটি ধন ভান্ডার আমাকে দেয়া হলো আমি আমার রবের কাছে আমার উম্মতের জন্য এ আরজ করলাম, তিনি যেন আমার উম্মতকে গণ দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে ধ্বংস না করেন এবং তাদের নিজেদেরকে ব্যতীত অন্য কোন শত্রুকে তাদের উপর বিজয়ী বা ক্ষমতাসীন করে না দেন যার ফলে সে (শত্রু) তাদের সম্পদকে হালাল মনে করবে [লুটে নিবে]। আমার রব আমাকে বললেন, হে মুহাম্মদ আমি যখন কোন বিষয়ে ফয়সালা নিয়ে ফেলি, তখন তার কোন ব্যতিক্রম হয় না। আমি তোমাকে তোমার উম্মতের জন্য এ অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি তাদের গণ দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে ধ্বংস করব না এবং তাদের নিজেদেরকে ছাড়া যদি সারা বিশ্ব ও তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয় তবুও এমন কোন শত্রুকে তাদের উপর ক্ষমতাবান করব না যা তাদের সম্পদকে বৈধ মনে করে লুন্ঠন করে নিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না তারা একে অপরকে ধ্বংস করবে আর একে অপরকে বন্দী করবে।

এবং এটাকে ইবাদতের পরিবর্তে অসীলা নামে অবিহিত করা। তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ বাতিল।

‘‘ওয়াছান ( وثن ) অর্থাৎ মূর্তি এমন ব্যাপক অর্থবোধক নাম যা দ্বারা আল্লাহ ব্যতীত যাবতীয় উপাস্যকে বুঝানো হয়। এ ক্ষেত্রে গাছ, পাথর, বাড়ি-ঘর, এবং আম্বিয়া, আউলিয়া, নেককার ও বদকারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। [অর্থাৎ গাইরুল্লাহ, নেককার, বদকার কিংবা গাছ-পাথর যাই হোক না কেন তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া আর দোয়া করা সর্বাবস্থাতেই] এটা তাদের ইবাদত করার শামিল যা কেবলমাত্র একক

বারকানী তাঁর সহীহ হাদিস গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে উক্ত বর্ণনায় নিম্নোক্ত কথাগুলো অতিরিক্ত এসেছে,

وإنما أخاف على أمتي الأئمة المضلين، وإذا وقع عليهم السيف لم يرفع إلى يوم القيامة، ولا تقوم الساعة حتى يلحق حيّ من أمتي بالمشركين، وحتى تعبد فئام من أمتي الأوثان، وإنه سيكون فى أمتي كذابون ثلاثون، كلهم يزعم أنه نبي، وأنا خاتم النبيين، لانبي بعدي، ولا تزال طائفة من أمتي على الحق منصورة، لا يضرهم من خذلهم حتى يأتي أمر الله تبارك وتعالى .

‘‘আমি আমার উম্মতের জন্য পথভ্রষ্ট শাসকদের ব্যাপারে বেশি আশঙ্কা বোধ করছি। একবার যদি তাদের উপর তলোয়ার উঠে তবে সে তলোয়ার কেয়ামত পর্যন্ত আর নামবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না আমার একদল উম্মত মুশরিকদের সাথে মিলিত হবে এবং যতক্ষণ না আমার উম্মতের একটি শ্রেণী মূর্তি পূজা করবে। আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী অর্থাৎ ভন্ড নবীর আবির্ভাব হবে। প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবি করবে। অথচ আমিই হচ্ছি সর্বশেষ নবী। আমার পর কোন নবীর আগমন ঘটবে না। কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি সাহায্য প্রাপ্ত দলের অস্তিত্ব থাকবে যাদেরকে কোন অপমানকারীর অপমান ক্ষতি করতে পারবে না। [অর্থাৎ সত্য পথ থেকে বিরত রাখতে পারবে না]

আল্লাহর প্রাপ্য। যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর কাছে দোয়া করল অথবা তার ইবাদত করল সে ব্যক্তি তাকে [গাইরুল্লাহকে] وثن অর্থাৎ উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করল। এবং সাথে সাথে গাইরুল্লাহর ইবাদতের কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেলো। ইসলামের সাথে এমতাবস্থায় তার সম্পর্কের কোন মূল্যই হবে না। এমন বহু মুশরিক মুলহিদ, কাফির এবং মুনাফেকের সম্পর্কই তো ইসলামের সাথে ছিল। এখানে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে দ্বীনের মূল শিক্ষা এবং তার মর্মার্থ। অর্থহীন নাম আর শব্দ এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১। সূরা নিসার ৫১নং আয়াতের তাফসীর।

২। সূরা মায়েদার ৬০ নং আয়াতের তাফসীর।

৩। সূরা কাহাফের ২১ নং আয়াতের তাফসীর।

৪। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। [আর তা হচ্ছে] এখানে ‘জিবত] এবং ‘তাগুতের] প্রতি ঈমানের অর্থ কি? এটা কি শুধু অন্তরের বিশ্বাসের নাম? নাকি জিবত ও তাগুতের প্রতি ঘৃণা, ক্ষোভ এবং বাতিল বলে জানা সত্বেও এর পূজারীদের সাথে ঐকমত্য পোষণ করা বুঝায়?

৫। তাগুত পূজারীদের কথা হচ্ছে, কাফেররা তাদের কুফরি সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও তারা মোমিনদের চেয়ে অধিক সত্য পথের অধিকারী।

৬। আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে যে ধরনের লোকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে ধরনের বহু সংখ্যক লোক এ উম্মতের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। [যারা ইহুদি খৃষ্টানদের হুবহু অনুসারী]।

৭। এ রকম সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুস্পষ্ট ঘোষণা। অর্থাৎ এ উম্মতে মুসলিমার মধ্যে বহু মূর্তি পূজারী লোক পাওয়া যাবে।

৮। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ‘‘মুখতারের’’ মত মিথ্যা এবং ভন্ড নবীর আবির্ভাব। মুখতার নামক এ ভন্ডনবী আল্লাহর একত্ববাদ ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রিসালতকে স্বীকার করতো। সে নিজেকে উম্মতে মুহাম্মদীর অন্তর্ভূক্ত বলেও ঘোষণা করতো সে আরো ঘোষণা দিতো, রাসূল সত্য, কুরআন সত্য এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ নবী হিসেবে স্বীকৃত। এগুলোর স্বীকৃতি প্রদান সত্বেও তার মধ্যে উপরোক্ত স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বিপরীত ও পরিপন্থী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ভন্ড মুর্খও সাহাবায়ে কেরামের শেষ যুগে আবির্ভূত হয়েছিল এবং বেশ কিছু লোক তার অনুসারীও হয়েছিল।

৯। সু-সংবাদত হচ্ছে এই যে, অতীতের মতো হক সম্পূর্ণরূপে কখনো বিলুপ্ত হবে না বরং একটি দল হকের উপর চিরদিনই প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

১০। এর সবচেয়ে বড় নিদর্শন হচ্ছে, তারা [হক পন্থীরা] সংখ্যায় কম হলেও কোন অপমানকারী ও বিরোধীতাকারী তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

১১। কেয়ামত পর্যন্ত উক্ত শর্ত কার্যকর থাকবে।

১২। এ অধ্যায়ে কতগুলো বড় নিদর্শনের উল্লেখ রয়েছে।

যথাঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সংবাদ পরিবেশন যে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের সবকিছুই একত্রিত করে দেখিয়েছেন। এ সংবাদ দ্বারা যে অর্থ বুঝিয়েছেন বাস্তবে ঠিক তাই সংঘটিত হয়েছে, যা উত্তর ও দক্ষিণের ব্যাপারে ঘটেনি। তাঁকে দু’টি ধন-ভান্ডার প্রদান করা হয়েছে এ সংবাদও তিনি দিয়েছেন।

তাঁর উম্মতের ব্যাপারে মাত্র দুটি দোয়া কবুল হওয়ার সংবাদ তিনি দিয়েছেন এবং তৃতীয় দোয়া কবুল না হওয়ার খবরও তিনি জানিয়েছেন।

তিনি এ খবরও জানিয়েছেন যে, এ উম্মতের উপরে একবার তলোয়ার উঠলে তা আর খাপে প্রবেশ করবে না। [অর্থাৎ সংঘাত শুরু হলে তা আর থামবে না]।

তিনি আরো জানিয়েছেন যে, উম্মতের লোকেরা একে অপরকে ধ্বংস করবে, একে অপরকে বন্দী করবে। উম্মতের জন্য তিনি ভ্রান্ত শাসকদের ব্যাপারে শতর্কবাণী উচ্ছারণ করেছেন।

এ উম্মতের মধ্য থেকে মিথ্যা ও ভন্ড নবী আবির্ভাবের কথা তিনি জানিয়েছেন। সাহায্য প্রাপ্ত একটি হক পন্থীদল সব সময়ই বিদ্যমান থাকার সংবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখিত সব বিষয়ই পরিবেশিত খবর অনুযায়ী হুবহু সংঘটিত হয়েছে। অথচ এমনটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারটি যুক্তি ও বুদ্ধির আওতাধীন নয়।

১৩। একমাত্র পথভ্রষ্ট নেতাদের ব্যাপারেই তিনি শংকিত ছিলেন।

১৪। মূর্তি পূজার মর্মার্থের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শতর্কবাণী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন