hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৬৩
৬০তম অধ্যায়: তাকদীর অস্বীকারকারীদের পরিণতি
১। ইবনে ওমর রা. বলেছেন,

والذى نفس ابن عمر بيده، لوكان لأحدهم مثل أحد ذهبا، ثم أنفقه فى سبيل الله ما قبله الله منه، حتى يؤمن بالقدر .

‘‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে ইবনে ওমরের জীবন, তাদের (তাকদীর অস্বীকারদের) কারো কাছে যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও থাকে, অতঃপর তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা উক্ত দান কবুল করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাকদীরের প্রতি ঈমান আনে’’। অতঃপর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী দ্বারা নিজ বক্তব্যের পক্ষে দলিল পেশ করেন,

الإيمان أن تؤمن بالله وملائكته وكتبه و رسله واليوم الأخر، وتؤمن بالقدر خيره وشره . ( رواه مسلم )

‘‘ঈমান হচ্ছে এই যে, তুমি আল্লাহ তাআলা, তাঁর সমুদয় ফিরিস্তা, তাঁর যাবতীয় [আসমানি] কিতাব, তাঁর সমস্ত রাসূল এবং আখেরাতের প্রতি

ব্যাখ্যা

তাকদীর অস্বীকারকারীদের পরিণতি

কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তাকদীরের প্রতি বিশবাস রাখা ঈমানের একটি রুকন বা স্তম্ভ। তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস রাখার অর্থ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তাআলা যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। আর যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না।’ যে ব্যক্তি এ কথা বিশ্বাস করে না, সে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে পারেনি। আমাদের উচিত তাকদীরের সকল স্তরের উপরই ঈমান আনয়ন করা। তাই আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ তাআলা সবকিছুই জানেন। এ যাবৎ যা কিছু সংঘটিত হয়েছে, আর কেয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে তার সবকিছুই তিনি লৌহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। সবকিছুই তাঁর সৃষ্টি। সবই তাঁর কুদরত, তার কর্মকৌশল ও

ঈমান আনয়ন করবে সাথে সাথে তাকদীর এবং এর ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনয়ন করবে।’’ (মুসলিম)

২। উবাদা বিন সামেত রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি তার ছেলেকে বললেন, ‘‘হে বৎস, তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানের স্বাদ অনুভব করতে পারবে না, যতক্ষণ না তুমি এ কথা বিশ্বাস করবে, ‘তোমার জীবনে যা ঘটেছে তা ঘটারই ছিল। আর তোমার জীবনে যা ঘটেনি তা কোনদিন তোমার জীবনে ঘটার ছিলোনা।’’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লমকে আমি এ কথা বলতে শুনেছি,

إن أول ما خلق الله القلم، فقال له اكتب، فقال : رب ماذا أكتب؟ قال : اكتب مقادير كل شيء حتى تقوم الساعة .

‘‘সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলা যা সৃষ্টি করেন তা হচ্ছে ‘কলম’। সৃষ্টির পরই তিনি কলমকে বললেন, ‘‘লিখ’’। কলম বলল, ‘হে আমার রব, ‘আমি কি লিখব?’ তিনি বললেন, ‘কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত সব জিনিসের তাকদীর লিপিবদ্ধ করো।’’ হে বৎস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি,

من مات على غير هذا فليس منى .

‘‘যে ব্যক্তি [তাকদীরের উপর] বিশ্বাস ব্যতীত মৃত্যু বরণ করল, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য নয়।’’

অন্য একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে,

إن أول ما خلق الله تعالى القلم، فقال له : اكتب، فجرى فى تلك الساعة بما هو كائن إلى يوم القيامة .

পরিচালন ক্ষমতাই ইঙ্গিতেই চলছে।

তাকদীরের উপর পূর্ণাঙ্গ ঈমানের দাবি হচ্ছে, এ কথা বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বাধা করেন না। বরং তাঁর আনুগত্য এবং নাফরমানি করার ব্যাপারে বান্দাদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।

‘‘আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম যা সৃষ্টি করলেন তা হচ্ছে ‘কলম’। এরপরই তিনি কলমকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘লিখ’। কেয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে, সে মুহূর্তে থেকে কলম তা লিখতে শুরু করে দিল।

(আহমদ)

৩। ইবনে ওয়াহাবের একটি বর্ণনা মতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এরশাদ করেছেন,

فمن لم يؤمن بالقدر خيره وشره أحرقه الله بالنار .

‘‘যে ব্যক্তি তাকদীর এবং তাকদীরের ভাল- মন্দ বিশ্বাস করে না, তাকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের আগুনে জ্বালাবেন করবেন।’’

ইবনুদ্দাইলামী থেকে বর্ণিত আছে, কাতাদাহ রা. বলেন, ‘আমি ইবনে কা’ব এর কাছে আসলাম। তারপর বললাম, ‘তাকদীরের ব্যাপারে আমার মনে কিছু কথা আছে। আপনি আমাকে তাকদীর সম্পর্কে কিছু উপদেশমূলক কথা বলুন। এর ফলে হয়তো আল্লাহ তাআলা আমার অন্তর থেকে উক্ত জমাট বাধা কাদা দূর করে দেবেন। তখন তিনি বললেন, ‘তুমি যদি উহুদ [পাহাড়] পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর রাস্তায় দান করো, আল্লাহ তোমার এ দান ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করবেন না, যতক্ষণ না তুমি তাকদীরকে বিশ্বাস করবে। আর এ কথা জেনে রাখো, তোমার জীবনে যা ঘটেছে তা ঘটতে কখনো ব্যতিক্রম হতো না। আর তোমার জীবনে যা সম্পর্কিত এ বিশ্বাস পোষণ না করে মৃত্যু বরণ করো, তা হলে অবশ্যই জাহান্নামী হবে’। তিনি বলেন, অতঃপর আমি আবদুলহ ইবনে মাসউদ, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান এবং যায়েদ বিন ছাবিত রা. এর নিকট গেলাম। তাঁদের প্রত্যেকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এরকম হাদিসই বর্ণনা করেছেন।’’ ( হাকিম)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো জানা যায় .

১। তাকদীরের প্রতি ঈমান আনা ফরজ এর বর্ণনা।

২। তাকদীরের প্রতি কীভাবে ঈমান আনতে হবে, এর বর্ণনা।

৩। তাকদীরের প্রতি যার ঈমান নেই তার আমল বাতিল।

৪। যে ব্যক্তি তাকদীরের প্রতি ঈমান আনে না সে ঈমানের স্বাদ অনুধাবন করতে অক্ষম।

৫। সর্বাগ্রে যা সৃষ্টি হয়েছে তার উল্লেখ।

৬। কেয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে, সৃষ্টির পর থেকেই কলম তা লিখতে শুরু করেছে।

৭। যে ব্যক্তি তাকদীর বিশ্বাস করে না তার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম দায়িত্বমুক্ত।

৮। সালাফে সালেহীনের রীতি ছিল, কোন বিষয়ের সংশয় নিরসনের জন্য জ্ঞানী ও বিজ্ঞজনকে প্রশ্ন করা।

৯। উলামায়ে কেরাম এমন ভাবে প্রশ্ন কারীকে জবাব দিতেন যা দ্বারা সুন্দেহ দূর হয়ে যেতো। জবাবের নিয়ম এই যে, তাঁরা নিজেদের কথাকে শুধুমাত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর [কথা ও কাজের] দিকে সম্পৃক্ত করতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন