মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আত্তাওহীদ : এ শিরোনামই বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি উদ্দেশ্য প্রণীত হয়েছে তারই প্রমাণ পেশ করছে। এ কারণেই বইটির লেখক কোন ভূমিকা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। এ বইটিতে ‘‘তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ ওয়াল ইবাদা’’ অর্থাৎ উলুহিয়্যাত এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওহীদের বিস্তারিত বর্ণনাসহ তার হুকুম সীমা, শর্ত, মর্যাদা, প্রমাণ, মূলনীতি, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, কারণ, ফলাফল, দাবি, কিসে তা বৃদ্ধি পায়, কিসে তা শক্তিশালী হয় অথবা কিসে তা দুর্বল হয়, ক্ষীণ হয়, আবার কিসে তার সমাপ্তি ঘটে বা পূর্ণতা অর্জিত হয় ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। তাওহীদে মুতলাক বা নিরঙ্কুশ তাওহীদ হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলাকে সিফাতে কামাল বা পূর্ণাঙ্গ গুণাবলিতে একক বলে জানা এবং মানা। আজমত, জালালত, শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের গুণে তিনি যে একক, দৃঢ়তার সাথে তার ঘোষণা দেয়া এবং ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর একত্বের প্রমাণ দান।
তাওহীদ তিন প্রকার .
১। তাওহীদুল আসমা ওয়াস্ সিফাত [অর্থাৎ আল্লাহর নাম ও গুণাবলির তাওহীদ] আল্লাহ তা‘আলা শ্রেষ্ঠত্ব মহত্ত্ব ও সৌন্দর্যের যাবতীয় গুণাবলিতে এক, একক এবং
৩। ‘‘তোমার রব এ নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁকে ছাড়া তোমরা আর কারো ইবাদত করো না। আর মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো’’। (ইসরা: ২৩)
৪। সূরা নিসাতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ( النساء : ৩৬)
‘‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। আর তাঁর সাথে কাউকে শরিক করো না।’’ (নিসা: ৩৬)
‘‘হে মুহাম্মদ বলো, [হে আহলে কিতাব] তোমরা এসো তোমাদের রব তোমাদের জন্য যা হারাম করে দিয়েছেন তা পড়ে শুনাই। আর তা হচ্ছে এই, ‘‘তোমরা তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না।’’ (আনআম: ‘১৫১)
৬। ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন,
من أراد ان ينظر إلى وصية محمد صلى الله عليه وسلم التى عليها خاتمه فليقرأ قوله تعالى قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ..... وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا ﴿153﴾
নিরঙ্কুশভাবে পূর্ণতার অধিকারী। এ ক্ষেত্রে কোনক্রমেই কেউ তাঁর অংশীদার হতে পারে না। উপরোক্ত আক্বীদা পোষণ করার নামই হচ্ছে আসমা ও সিফাতের তাওহীদ। আল্লাহ তা‘আলার আজমত এবং জালালতের সাথে শোভনীয় ও সামঞ্জস্যশীল অনেক ইসম ও সিফাত, [নাম ও গুণাবলি] এর অর্থ এবং হুকুম আহকাম কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে আল্লাহ তাঁর নিজ সত্তার জন্য এবং রাসূল সাহাবী তাঁর [আল্লাহর] জন্য যেগুলোকে ইতিবাচক বলে ঘোষণা দিয়েছেন, সেগুলোকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এর কোন একটিকেও অস্বীকার করা যাবে না, নিরর্থক বা অকার্যকর বলা যাবে না, পরিবর্তন করা যাবে না এবং আকার আকৃতিও দেয়া যাবে না। সাথে সাথে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আল্লাহর কামালিয়াতের ক্ষেত্রে যেসব দোষ-ত্রুটিকে নেতিবাচক হিসেবে ঘোষণা করেছেন সেগুলোকে নেতিবাচক হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে।
‘‘যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মোহরাঙ্কিত অসিয়ত দেখতে চায়, সে যেন আল্লাহ তাআলার এ বাণী পড়ে নেয়, ‘‘হে মুহাম্মদ বলো, তোমাদের রব তোমাদের উপর যা হারাম করেছেন তা পড়ে শুনাই। আর তা হলো, তোমরা তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না . . . . আর এটাই হচ্ছে আমার সরল, সোজা পথ’’।
৭। সাহাবী মুআয বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে একটি গাধার পিঠে বসে ছিলাম। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেন,’’
يا معاذ أتدري ما حق الله على العباد، وما حق العباد على الله؟ قلت الله ورسوله أعلم، قال : حق الله على العباد أن يعبدوه ولا يشركوا به شيئا،ً وحق العباد على الله أن لا يعذب من لا يشرك به شيئا، قلت يا رسول الله أفلا أبشر الناس؟ قال : لا تبشرهم فيتكلوا ( أخرجاه في الصحيحين )
‘‘হে মুআয, তুমি কি জানো, বান্দার উপর আল্লাহর কি হক রয়েছে? আর আল্লাহর উপর বান্দার কি হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হচ্ছে তারা তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হচ্ছে ‘‘যারা তার সাথে
২। রুবুবিয়্যাতের তাওহীদ ( توحيد الربوبية )
সৃষ্টি করা, রিজিক দান, এবং [সমগ্র সৃষ্টি জগৎ] নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলাই হচ্ছেন এক ও অভিন্ন রব বা প্রতিপালক। যিনি অফুরন্ত নেয়ামতের মাধ্যমে গোটা সৃষ্টি জগৎকে প্রতিপালন করছেন। তাঁর বিশেষ সৃষ্টি তথা আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং তাঁদের অনুসারীগনকে সহীহ আক্বীদা, উত্তম চরিত্র, কল্যাণমূলক জ্ঞান এবং নেক আমলের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও দীক্ষিত করেছেন। ইহকালীন ও পরকালীন সুখ শান্তি লাভের ক্ষেত্রে সৃজনশীল মন ও আত্মার জন্য এটাই হচ্ছে কল্যাণময় শিক্ষা। বান্দার এ আক্বীদা পোষণের নামই হচ্ছে রুবুবিয়্যাতের তাওহীদ।
৩। তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ বা ( توحيد العبادة ) একমাত্র আল্লাহ তাআলাকেই তাঁর সমগ্র সৃষ্টি জগতের উপর উলুহিয়্যাত এবং উবুদিয়্যাতের অধিকারী হিসেবে জানা এবং স্বীকার করা আর যাবতীয় ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর একত্বের প্রমাণদান। সাথে সাথে একমাত্র আল্লাহর জন্যেই ইবাদতকে নিরঙ্কুশ করা।
কাউকে শরিক করবে না, তাহলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন না।’’ আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি কি এ সুসংবাদ লোকদেরকে জানিয়ে দেব না? তিনি বললেন, তুমি তাদেরকে এ সুসংবাদ দিওনা, তাহলে তারা ইবাদত ছেড়ে দিয়ে [আল্লাহর উপর ভরসা করে] হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। (বুখারী ও মুসলিম)
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়:
১। জ্বিন ও মানব জাতি সৃষ্টির রহস্য।
২। ইবাদতই হচ্ছে তাওহীদ। কারণ এটা নিয়েই বিবাদ।
৩। যার তাওহীদ ঠিক নেই, তার ইবাদতও ঠিক নেই। এ কথার মধ্যে
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ ﴿৩﴾ এর অর্থ নিহিত আছে।
৪। রাসূল পাঠানোর অন্তর্নিহিত হিকমত বা রহস্য।
৫। সকল উম্মতই রিসালতের আওতাধীন ছিল।
৬। আম্বিয়ায়ে কেরামের দীন এক ও অভিন্ন।
৭। মূল কথা হচ্ছে, তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত ইবাদতের মর্যাদা অর্জন করা যায় না।
৮। আল্লাহর ইবাদত ব্যতীত আর যারই ইবাদত করা হয়, সেই তাগুত হিসেবে গণ্য।
৯। সালাফে-সালেহীনের কাছে সূরা আনআমের উল্লেখিত তিনটি মুহকাম আয়াতের বিরাট মর্যাদার কথা জানা যায়। এতে দশটি বিষয়ের কথা রয়েছে। এর প্রথমটিই হচ্ছে; শিরক নিষিদ্ধ করণ।
১০& সূরা ইস্রায় কতগুলো মুহকাম আয়াত রয়েছে। এবং তাতে
শেষোক্ত তাওহীদের জন্য প্রথমোক্ত উভয় প্রকারের তাওহীদই অনিবার্য। এ জন্যই প্রথমোক্ত উভয় প্রকার তাওহীদই শেষোক্ত তাওহীদের অন্তর্ভুক্ত। কেননা উলুহিয়্যাত এমন একটি ব্যাপক গুনের নাম, কামালিয়াত, রুবুবিয়্যাত এবং শ্রেষ্ঠত্বের সমস্ত গুণাবলি যার অন্তর্ভুক্ত। তাই তাঁর আজমত ও জালালত অর্থাৎ শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের গুণে এবং সৃষ্টির প্রতি তাঁর অপরিসীম করুণা ও মেহেরবানির গুণেই তিনি ইলাহ এবং মা’বুদ হওয়ার যোগ্য। তাঁর সিফাতে কামাল তথা পরিপূর্ণ গুণাবলি এবং একক রুবুবিয়্যাতের দাবি হচ্ছে, তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে ইবাদতের হকদার হতে পারে না।
আঠারোটি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ বিষয়গুলোর সূচনা করেছেন তাঁর বাণী-
১১। সূরা নিসার ‘আল- হুকুকুল আশারা’ [বা দশটি হক] নামক আয়াতের কথা জানা গেলো। যার সূচনা হয়েছে আল্লাহ তাআলার বাণী,
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا
এর মাধ্যমে। যার অর্থ হচ্ছে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, আর তাঁর সাথে কাউকে শরিক করো না।
১২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্তিমকালের অসিয়তের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন।
১৩। আমাদের উপর আল্লাহ তাআলার হক সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
১৪। বান্দা যখন আল্লাহর হক আদায় করবে, তখন আল্লাহ তাআলার উপর বান্দার হক সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
১৫। অধিকাংশ সাহাবীই এ বিষয়টি জানতেন না।
১৬। কোন বিশেষ স্বার্থে এলেম (জ্ঞান) গোপন রাখার বৈধতা।
১৭। আনন্দদায়ক বিষয়ে কোন মুসলিমকে খোশখবর দেয়া মুস্তাহব।
১৮। আল্লাহর অপরিসীম রহমতের উপর ভরসা করে আমল বাদ দেয়ার ভয়।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুনিয়াতে যত নবী-রাসূল আগমন করেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল এ তাওহীদের দিকেই মানুষকে আহবান করা। বইটির প্রণেতা এ অধ্যায়টিতে কুরআন ও সুন্নাহর যে সব উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেছেন, তা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টি জগৎকে তাঁরই ইবাদত করার জন্য এবং তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই হচ্ছে বান্দার উপর আল্লাহর ফরজকৃত অপরিহার্য হক বা অধিকার।
১৯। অজানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির الله ورسوله أعلم [অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে ভাল জানেন] বলা।
২০। কাউকে বাদ রেখে অন্য কাউকে জ্ঞান দানে বিশেষিত করার বৈধতা।
২১। একই গাধার পিঠে পিছনে আরোহণকারীর প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দয়া ও নম্রতা প্রদর্শন।
২২। একই পশুর পিঠে একাধিক ব্যক্তি আরোহণের বৈধতা।
২৩। মুআয বিন জাবাল রা. এর মর্যাদা।
২৪। আলোচিত বিষয়টির মর্যাদা ও মহত্ব।
যাবতীয় আসমানি গ্রন্থ এবং সমস্ত নবী ও রাসূল, এ তাওহীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং বিপরীত ধ্যান-ধারণা তথা শিরক ও অংশিবাদিতাকে নিষিদ্ধ করেছেন। বিশেষ করে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মহা গ্রন্থ আল কুরআন এ তাওহীদকে ফরজ করেছেন। দৃঢ়তার সাথে এর ঘোষণা দিয়েছেন এবং বলিষ্ঠ ভাষায় এর বর্ণনা দিয়েছেন। সাথে সাথে একথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এ তাওহীদ ব্যতীত কোন ইবাদত-বন্দেগি গ্রহণযোগ্য নয়। সকল আকলী [যুক্তি ভিত্তিক] নকলী [তথ্যগত] প্রান্তিক ও নফসী প্রমাণাদি এ তাওহীদেরই অপরিহার্যতার প্রমাণ পেশ করে।
অতএব, তাওহীদ হচ্ছে আল্লাহ তাআলার হক যা বান্দার উপর ওয়াজিব। তাওহীদ দ্বীনের সর্বশ্রেষ্ঠ বুনিয়াদ। সকল মূলনীতির মূল এবং আমলের ভিত্তি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/42/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।