hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

৬২
৫৯তম অধ্যায়
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

يَظُنُّونَ بِاللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ ظَنَّ الْجَاهِلِيَّةِ يَقُولُونَ هَلْ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ مِنْ شَيْءٍ قُلْ إِنَّ الْأَمْرَ كُلَّهُ لِلَّهِ ( آل عمران : ১৫৪)

‘‘তারা জাহেলি যুগের ধারণার মত আল্লাহ সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা পোষণ করে। তারা বলে, ‘আমাদের জন্য কি কিছু করণীয় আছে? [হে রাসূল ] আপনি বলে দিন, ‘সব বিষয়ই আল্লাহর ইখতিয়ারভূক্ত।’’ [আল-ইমরান . ১৫৪]

২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,

الظَّانِّينَ بِاللَّهِ ظَنَّ السَّوْءِ عَلَيْهِمْ دَائِرَةُ السَّوْءِ ( الفتح : ৬)

‘‘তারা [মুনাফিকরা] আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তারা নিজেরাই খারাপ ও দোষের আবর্তে নিপতিত।’’ (আল-ফাতাহ . ৬]

ব্যাখ্যা

আল্লাহ তাআলার বাণী .

يَظُنُّونَ بِاللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ ظَنَّ الْجَاهِلِيَّةِ

‘‘তারা আল্লাহ সম্পর্কে জাহেলি যুগের মত অসত্য ধারণা পোষণ করে।

আল্লাহ তাআলা নিজের নাম ও গুণাবলি [আসমা ও সিফাত] ও কামালিয়াত সম্পর্কে যেসব তথ্য জানিয়েছেন, বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত সে সব আসমা ও সিফাতগুলোকে বিশ্বাস না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ঈমান ও তাওহীদ পরিপূর্ণ হবে না। আল্লাহ তাআলা যেসব নাম, গুণাবলি এবং স্বীয় কামালিয়াতসহ অন্যান্য যে সব খবর দিয়েছেন, এতদ্ভিন্ন দ্বীনের সাহায্যের ব্যাপারে যে ওয়াদা করেছেন, এর সবগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান ব্যতীত বান্দার ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। আল্লাহ তাআলা হককে হক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে প্রমাণিত করবেন, এ বিশ্বাস ঈমানের অংশ। সাথে সাথে এ বিশ্বাস দ্বারা অন্তরের প্রশান্তি লাভ করাটাও ঈমানের অংশ। এর পরিপন্থী সব ধারণাই তাওহীদ বিরোধী জাহেলি

প্রথম আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনুল কাইয়্যিম বলেছেন, ظن এর ব্যাখ্যা এটাই করা হয়েছে যে, মুনাফেকদের ধারণা হচ্ছে আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূলকে সাহায্য করেন না। তাঁর বিষয়টি অচিরেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়েছে যে, নবী সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এর উপর যে সব বিপদাপদ এসেছে তা আদৌ আল্লাহর ফয়সালা, তাকদীর এবং হিকমত মোতাবেক হয়নি।

উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে যে, মুনফিকরা আল্লাহর হিকমত, তাকদীর, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্ণাঙ্গ রিসালত এবং সকল দ্বীনের উপর আল্লাহর দীন তথা ইসলামের বিজয়কে অস্বীকার করেছে। আর এটাই হচ্ছে সেই খারাপ ধারণা যা সূরা ‘ফাতহে’ উল্লেখিত মুনাফেক ও মুশরিকরা পোষণ করতো। এ ধারণা খারাপ হওয়ার কারণ এটাই যে, আল্লাহ তাআলার সুমহান মর্যাদার জন্য ইহা শোভনীয় ছিল না। তাঁর হিকমত প্রশংসা এবং সত্য ওয়াদার জন্যও উক্ত ধারণা ছিল বেমানান, অসৌজন্যমূলক।

যে ব্যক্তি মনে করে যে, আল্লাহ তাআলা বাতিলকে হকের উপর এতটুকু বিজয় দান করেন, যাতে হক অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে, অথবা যে ব্যক্তি আল্লাহর ফয়সালা, তাকদীরের নিয়মকে অস্বীকার করে, অথবা তাকদীর যে আল্লাহর হক মহা কৌশল এবং প্রশংসার দাবিদার এ কথা অস্বীকার করে, সাথে সাথে এ দাবিও করে যে, এসব আল্লাহ তাআলার নিছক অর্থহীন ইচ্ছামাত্র; তার এ ধারণা কাফেরদের ধারণা বৈ কিছু নয়। তাই জাহান্নামের কঠিন শাস্তি এ সব কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে।

ধ্যান- ধারণার অন্তর্ভুক্ত। কারণ, এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ, তাঁর কামালিয়াতের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন, তাঁর পরিবেশিত খবরের প্রতি মিথ্যা আরোপ এবং তাঁর কৃত ওয়াদার প্রতি সংশয় পোষণ। [এগুলো সবই ঈমান ও তাওহীদের পরিপন্থী]

অধিকাংশ লোকই নিজেদের [সাথে সংশ্লিষ্ট] বিষয়ে এবং অন্যান্য লোকদের বেলায় আল্লাহ তাআলার ফয়সালার ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা তাঁর আসমা ও সিফাত [নাম ও গুণাবলি] এবং তাঁর হিকমত ও প্রশংসা সম্পর্কে অবগত রয়েছে, কেবলমাত্র সেই আল্লাহর প্রতি এ খারাপ ধারণা থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

যে ব্যক্তি প্রজ্ঞা সম্পন্ন, বুদ্ধিমান এবং নিজের জন্য কল্যাণকামী, তার উচিত এ আলোচনা দ্বারা বিষয়টির অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করা। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি স্বীয় রব সম্পর্কে খারাপ ধারণা করে, তার উচিত নিজ বদ-ধারণার জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করা।

আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণকারী কোন ব্যক্তিকে যদি তুমি পরীক্ষা করো, তাহলে দেখতে পাবে তার মধ্যে রয়েছে তাকদীরের প্রতি হিংসাত্মক বিরোধিতা এবং দোষারোপ করার মানসিকতা। তারা বলে, বিষয়টি এমন হওয়া উচিত ছিল। এ ব্যাপারে কেউ বেশি, কেউ কম বলে থাকে তুমি তোমার নিজেকে পরীক্ষা করে দেখো, তুমি কি এ খারাপ ধারণা থেকে মুক্ত? কবির ভাষায় .

মুক্ত যদি থাকো তুমি এ খারাবি থেকে,

বেঁচে গেলে তুমি এক মহা বিপদ থেকে।

আর যদি নাহি পারো ত্যাগিতে এ রীতি,

বাঁচার তরে তোমার লাগি নাইকো কোন গতি।

এধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .

১। সূরা আল- ইমরানের ১৫৪ নং আয়াতের তাফসীর।

২। সূরা ‘‘ফাতাহ’’ এর ৬ নং আয়াতের তাফসীর।

৩। আলোচিত বিষয়ের প্রকার সীমাবদ্ধ নয়।

৪। যে ব্যক্তি আল্লাহর আসমা ও সিফাত, [নাম ও গুণাবলি] এবং নিজের জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত রয়েছে, কেবলমাত্র সেই আল্লাহর প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা থেকে বাঁচতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন