hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

২৫
২২তম অধ্যায়: তাওহীদের হেফাযত ও শিরকের সকল পথ বন্ধ করার ক্ষেত্রে নবী মুস্তাফা সাহাবী এর অবদান
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ . ( التوبة : ১২৮)

‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল আগমন করেছেন।’’ (তাওবা: ২৮)

২। সাহাবী আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

لا تجعلوا بيوتكم قبورا، ولا تجعلوا قبري عيدا، وصلوا عليّ،

فإن صلاتكم تبغلني حيث كنتم .

‘‘তোমাদের ঘরগুলোকে তোমরা কবর বানিও না, আর আমার কবরকে ঈদে পরিণত করো না। আমার উপর তোমরা দরূদ পড়ো। কারণ তোমরা যেখানেই থাকোনা কেন, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়। (আবু দাউদ)

৩। আলী ইবনুল হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একজন লোককে দেখতে পেলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পাশে

ব্যাখ্যা

তাওহীদের হেফাজত ও শিরকের পথ রুদ্ধ করার ক্ষেত্রে

মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অবদান

যে ব্যক্তি এ অধ্যায়ে উপস্থাপিত কুরআন ও সুন্নাহর উক্তিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে সে অবশ্যই এমন তথ্যের সন্ধান পাবে যা তাওহীদের বিশ্বাসকে শক্তিশারী করে এবং তার উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করে। সাথে সাথে কুরআন সুন্নাহলব্ধ জ্ঞান যে সব বিষয়ে তাকে অমূল্য পাথেয় যোগাবে সেগুলো হচ্ছে, আল্লাহর নৈকট্য লাভ, ভয়-ভীতি

একটি ছিদ্র পথে প্রবেশ করে সেখানে কিছু দোয়া-খায়ের করে চলে যায়। তখন তিনি ঐ লোকটিকে এধরনের কাজ নিষেধ করে দিলেন। তাকে আরো বললেন, ‘‘আমি কি তোমার কাছে সে হাদীসটি বর্ণনা করব না, যা আমি আমর পিতার কাছ থেকে শুনেছি এবং তিনি শুনেছেন আমার দাদার কাছ থেকে, আর আমার দাদা শুনেছেন রাসূল সাহাবী এর কাছ থেকে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

لا تتخذوا قبري عيدا، ولا بيوتكم قبورا، فإن تسليمكم ليبلغني أين كنتم . ( رواه فى المختارة )

‘‘তোমরা আমার কবরকে ঈদে [মেলায়] পরিণত করো না আর তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। তোমরা যেখানেই থাকোনা কেন তোমাদের সালাম আমার কাছে পৌঁছে যায়’’

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১। সূরা তাওবার لقد جاءكم رسول من أنفسكم আয়াতের তাফসীর।

২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় উম্মতকে কবর পূজা তথা শিরকী গুনাহর সীমারেখা থেকে বহুদূরে রাখতে চেয়েছেন।

ও আশা-আকাংখার ভিত্তিতে একমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন, তাঁরই করুণা ও দয়া লাভের ক্ষেত্রে শক্তি সঞ্চয় এবং তা অর্জনের জন্য চেষ্টা সাধনা করা, সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্তি অর্জন, যে কোন দিক থেকে সৃষ্টির সাথে সম্পর্কহীন হওয়া অথবা কোন সৃষ্টির ব্যাপারে সীমালংঘন না করা, জাহেরী ও বাতেনী আমলগুলো পরিপূর্ণরূপে সম্পন্ন করা, বিশেষ করে উবুদিয়্যাতের প্রাণ শক্তি তথা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পূর্ণ খুলুসিয়াত অর্জন করা।

এর মোকাবেলায় [অর্থাৎ শিরকের যাবতীয় পথ বন্ধ করার জন্য] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সব কথা ও কাজ নিষিদ্ধ করেছেন যার মধ্যে মাখলুকের ব্যাপারে শরিয়তের সীমালংঘন নিহিত রয়েছে।

মুশরিকদের সাথে সামঞ্জস্যমূলক কোন কাজ করতে তিনি নিষেধ করেছেন। কারণ, এ জাতীয় কাজ মুশরিক হওয়ার দিকে মানুষকে আহবান জানায়।

তিনি এমন সব কথা ও কাজকে নিষেধ করেছেন যার মধ্যে মানুষকে শিরকের

৩। আমাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মমত্ববোধ, দয়া, করুণা এবং আমদের ব্যাপারে তার তীব্র আগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

৪। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যিয়ারত সর্বোত্তম নেক কাজ হওয়া সত্বেও বিশেষ উদ্দেশ্যে তাঁর কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছেন।

৫। অধিক যিয়ারত নিষিদ্ধ করেছেন।

৬। ঘরে নফল ইবাদত করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

৭। ‘‘কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে না’’ এটাই সালাফে-সালেহীনের অভিমত।

৮। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরস্থানে নামায কিংবা দরূদ না পড়ার কারণ হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর পঠিত দরূদ ও সালাম দূরে অবস্থান করে পড়লেও তাঁর কাছে পৌঁছানো হয়। তাই নৈকট্য লাভের আশায় কবরস্থানে দরূদ পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।

৯। ‘আলমে বরযখে’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে তাঁর উম্মাতের আমল দরূদ ও সালামের মধ্যে পেশ করা হয়।

দিকে আকৃষ্ট করার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি এ কাজ করেছেন তাওহীদের হেফাজত ও সংরক্ষণের স্বার্থে।

এমন সব কার্যকারণকেও তিনি নিষেধ করেছেন যা মানুষকে শিরকের দিকে ধাবিত করে। আর এ কাজটি তিনি করেছেন মোমিনদের প্রতি তাঁর মমত্ব ও করুণানুভূতির কারণে। যাতে করে মুমিনরা যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হয়েছে তা অর্জন করতে পারে তথা পূর্ণ কল্যাণ ও শান্তি লাভের জন্য যাতে তারা আল্লাহর [উদ্দেশ্যে] জাহেরী ও বাতেনী ইবাদত পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে পারে।

এসব বিষয়ের যথেষ্ট দৃষ্টান্ত ও প্রমাণাদি রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন