hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদের মর্মকথা

লেখকঃ আব্দুর রহমান বিন নাসের সাদী

১৩
১০ম অধ্যায়: গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করা
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿১৬২﴾ لَا شَرِيكَ لَهُ ( الأنعام : ১৬২-১৬৩)

‘‘আপনি বলুন, ‘‘আমার সালাত, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ [সবই] আল্লাহ রাববুল আলামীনের উদ্দেশ্যে নিবেদিত, যার কোন শরিক নেই’’ (আনআম : ১৬২)

২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ﴿২﴾ ( الكوثر : ২)

‘‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানী করুন। (আল-কাউসার : ২)

৩। আলী রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘‘রাসূল সাহাবী চারটি বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছেন,

(ক) لعن الله من ذبح لغير الله

‘‘যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে (পশু) যবেহ করে তার উপর আল্লাহর লা’নত।’’

(খ) لعن الله من لعن والديه

‘‘যে ব্যক্তি নিজ পিতা- মাতাকে অভিশাপ দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত।’’

ব্যাখ্যা

গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে [পশু] যবেহ করা নিঃসন্দেহে শিরক। কেননা নামাজের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ যেমন সুস্পষ্ট তেমনি আল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করার ব্যাপারেও তাঁর নির্দেশ দ্ব্যর্থহীন। আল্লাহ তাআলা তাঁর মহাগ্রমে২০১৯ বিভিন্ন স্থানে পশু যবেহ করার বিষয়টি নামাজের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন।

(গ) لعن الله من آوى محدثا

‘‘যে ব্যক্তি কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত।’’

(ঘ) لعن الله من غير منار الأرض

‘‘যে ব্যক্তি জমির সীমানা [চিহ্ণ] পরিবর্তন করে তার উপর আল্লাহর লা’নত’’। (মুসলিম)

৪। তারিক বিন শিহাব কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন :

دخل الجنة رجل فى ذباب، ودخل النار رجل فى ذباب، قالوا : وكيف ذلك يا رسول الله ؟ قال : مر رجلان على قوم لهم صنم لا يجوزه أحد حتى يقرب له شيئا، فقالوا لأحدهما : قرب، قال : ليس عندي شيء أقرب، قالوا له : قرب ولو ذبابا، فقرب ذبابا فخلوا سبيله، فدخل النار، وقالوا للآخر : قرب، فقال : ما كنت لأقرب لأحد شيئا دون الله عز وجل، فضربوا عنقه، فدخل الجنة . ( رواه احمد )

‘‘এক ব্যক্তি একটি মাছির ব্যাপারে জান্নাতে প্রবেশ করেছে। আর এক ব্যক্তি একটি মাছির ব্যাপারে জাহান্নামে গিয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, এমনটি কিভাবে হলো? তিনি বললেন, ‘দু’জন লোক এমন একটি কওমের নিকট দিয়ে যাচ্ছিল যার জন্য একটি মূর্তি নির্ধারিত ছিল। উক্ত মূর্তিকে কোন কিছু নযরানা বা উপহার না দিয়ে কেউ সে স্থান অতিক্রম করতোনা। উক্ত কওমের লোকেরা দু’জনের একজনকে বলল, ‘মূর্তির জন্য তুমি কিছু নযরানা পেশ করো’। সে বলল,

এ কথা যখন প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করা একটি মহৎ ইবাদত ও আনুগত্যের অন্তর্ভূক্ত, তখন গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করা শিরকে আকবার, যা মানুষকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে দেয়ার মত অপরাধ।

শিরকে আকবারের সীমা এবং যে তাফসীর শিরকের বিভিন্ন প্রকার ও শ্রেণীকে একত্রিত করেছে [ অর্থাৎ শিরকে আকবরের সীমা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দ্বারা যা বুঝা যায়]

‘নযরানা দেয়ার মত আমার কাছে কিছুই নেই’ তারা বলল, ‘অন্ততঃ একটা মাছি হলেও নযরানা স্বরূপ দিয়ে যাও’। অতঃপর সে একটা মাছি মূর্তিকে উপহার দিলো। তারাও লোকটির পথ ছেড়ে দিলো। এর ফলে মৃত্যুর পর সে জাহান্নামে গেলো। অপর ব্যক্তিকে তারা বলল, ‘‘মূর্তিকে তুমিও কিছু নযরানা দিয়ে যাও। সে বলল, ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নৈকট্য লাভের জন্য আমি কাউকে কোন নযরানা দেইনা’ এর ফলে তারা তার গর্দান উড়িয়ে দিলো। [শিরক থেকে বিরত থাকার কারণে] মৃত্যুর পর সে জান্নাতে প্রবেশ করল।’’ (আহমদ)

এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো জানা যায় :



১। قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي এর তাফসীর।



২। فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ এর তাফসীর ।

৩। প্রথম অভিশপ্ত ব্যক্তি হচ্ছে গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু যবেহকারী।

৪। যে ব্যক্তি নিজ পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত। এরমধ্যে এ কথাও নিহিত আছে যে তুমি কোন ব্যক্তির পিতা- মাতাকে অভিশাপ দিলে সেও তোমার পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেবে।

৫। যে ব্যক্তি বিদআতীকে আশ্রয় দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত। বিদআতী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে দ্বীনের মধ্যে এমন কোন নতুন বিষয় আবিস্কার

তার ফল হচ্ছে এই যে, বান্দার কোন প্রকার ইবাদত অথবা এর সামান্যতম অংশ গাইরুল্লাহর জন্য নিবেদিত করা শিরকে আকবরের অন্তর্ভুক্ত। তাই যে ধ্যান-ধারণা, কথা-বার্তা ও কাজ কর্ম শারে’ [শরীয়ত প্রণেতা] এর পক্ষ থেকে নির্দেশিত হয়েছে বলে প্রমাণিত সে গুলো এক আল্লাহর জন্য সম্পন্ন করার নামই হচ্ছে তাওহীদ, ঈমান ও ইখলাস।

পক্ষান্তরে এগুলো গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করার নামই হচ্ছে শিরক এবং কুফর। শিরকে আকবার নির্ণয়ের এ ব্যাপক মূলনীতি [যা থেকে কিছুই বাদ পড়েনি] গ্রহণ করা উচিত।

বা উদ্ভাবন করে, যাতে আল্লাহর হক ওয়াজিব হয়ে যায়। এর ফলে সে এমন ব্যক্তির আশ্রয় চায় যে তাকে উক্ত বিষয়ের দোষ ত্রুটি বা অশুভ পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

৬। যে ব্যক্তি জমির সীমানা বা চিহ্ণ পরিবর্তন করে তার উপর আল্লাহর লা’নত। এটা এমন চিহ্ণিত সীমানা যা তোমার এবং তোমার প্রতিবেশীর জমির অধিকারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে। এটা পরিবর্তনের অর্থ হচ্ছে, তার নির্ধারিত স্থান থেকে সীমানা এগিয়ে আনা অথবা পিছনে নিয়ে যাওয়া।

৭। নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর লা’নত এবং সাধারণভাবে পাপীদের উপর লা’নতের মধ্যে পার্থক্য।

৮। এ গুরুত্বপূর্ণ কাহিনীটি মাছির কাহিনী হিসেবে পরিচিত।

৯। তার জাহান্নামে প্রবশে করার কারণ হচ্ছে ঐ মাছি, যা নযরানা হিসেবে মূর্তিকে দেয়ার কোন ইচ্ছা না থাকা সত্বেও কওমের অনিষ্টতা হতে বাঁচার উদ্দেশ্যেই সে [মাছিটি নযরানা হিসেবে মূর্তিকে দিয়ে শিরকী] কাজটি করেছে।

১০। মোমিনের অন্তরে শিরকের [মারাত্মক ও ক্ষতিকর] অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ। নিহত [জান্নাতী] ব্যক্তি নিহত হওয়ার ব্যাপারে কি ভাবে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবির কাছে সে মাথা নত করেনি। অথচ তারা তার কাছে কেলমাত্র বাহ্যিক আমল ছাড়া আর কিছুই দাবি করেনি।

শিরকে আসগার হচ্ছে বান্দার এমন সব উপায় উপকরণ, যে গুলো কামনা-বাসনা, কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মের মাধ্যমে বান্দাকে শিরকে আকবারের দিকে ধাবিত করে যদিও তা ইবাদতের পর্যায়ে উপনীত হয়নি।

তাই তোমার উচিত শিরকে আকবার ও আসগারের মূলনীতির প্রতি দৃষ্টি রেখে চলা। কেননা এ জ্ঞান অত্র গ্রন্থটির বর্তমান অধ্যায়ের পূর্ব ও পরবর্তী অধ্যায়গুলো বুঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আর এর সাহায্যেই তুমি এমন সব বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবে যে সব বিষয়ে অধিক সংশয় ও দ্বিধা-দ্বন্ধের অবকাশ আছে।

১১। যে ব্যক্তি জাহান্নামে গিয়েছে সে একজন মুসলমান। কারণ সে যদি কাফের হতো তাহলে এ কথা বলা হতোনা دخل النار فى ذباب একটি মাছির ব্যাপারে সে জাহান্নামে প্রবেশ করেছে। [অর্থাৎ মাছি সংক্রান্ত শিরকী ঘটনার পূর্বে সে জান্নাতে যাওয়ার যোগ্য ছিল]

১২। এতে সেই সহীহ হাদিসের পক্ষে সাক্ষ্য পাওয়া যায়, যাতে বলা হয়েছে, الجنة أقرب إلى أحدكم من شراك نعله والنار مثل ذلك

‘‘জান্নাত তোমাদের কোন ব্যক্তির কাছে তার জুতার ফিতার চেয়েও নিকটবর্তী। জাহান্নামও তদ্রুপ নিকটবর্তী।’’

১৩। এটা জেনে নেয়া প্রয়োজন যে, অন্তরের আমলই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। এমনকি মূর্তি পূজারীদের কাছেও এ কথা স্বীকৃত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন