hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তরবিয়ত ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন

লেখকঃ শামছুল হক ছিদ্দিক, নোমান আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১০৫
অবিচল থাকার ফলাফল ও ফজিলত
(১) যারা অবিচল থাকে তাদের কাছে রহমতের ফিরিশতার আগমন। আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন—

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا . ﴿فصلت : 30﴾

‘যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অত:পর অবিচল থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ন হয় ফিরিশ্তা এবং বলে, ‘তোমরা ভীত হয়োনা, চিন্তিত হয়োনা।’ [সূরা হা-মীম- সাজদাহ : ৩০-৩২] আল্লাহ আরো বলেন—

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ .

‘যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অত:পর অবিচল থাকে তাদের কোন ভয় নেই তারা দু:খিত ও হবে না।’ [সূরা আহকাফ : ১৩]

(২) জান্নাতে প্রবেশ করা। আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন—

وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ . ﴿فصلت : 30﴾

‘এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার জন্য আনন্দিত হও।’ [সূরা হা-মীম- সাজদাহ : ৩০] আল্লাহ আরো বলেন—

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ . أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ . ﴿الأحقاف : 14- 13﴾

‘যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অত:পর অবিচল থাকে তাদের কোন ভয় নেই তারা দু:খিত ও হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে তারা যা করত তার পুরস্কার স্বরূপ।’ [সূরা আহকাফ : ১৩]

(৩) ফিরিশতাদের বন্ধুত্ব অর্জন তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা লাভ। যারা অবিচল থাকে ফিরিশতারা তাদের বলবে—

نَحْنُ أَوْلِيَاؤُكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآَخِرَةِ . ﴿فصلت : 31﴾

‘আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে এবং আখিরাতে।’ [সূরা হা-মীম- সাজদাহ : ৩১]

ইবনু কাসীর রহ. এ আয়াতের তাফসীরে উলেখ করেন, ‘অবিচল ঈমানদারকে মৃত্যুকালে ফরিশতারা উপস্থিত হয়ে বলবে : ‘আমরা পার্থিব জীবনে তোমাদের বন্ধু ছিলাম, আল্লাহর নির্দেশে সর্বদা তোমাদের সং&গ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করেছি, বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেছি এমনিভাবে পরকালে তোমাদের বন্ধু হিসেবে থাকব, কবরে তোমাদের একাকীত্ব দূর করব, কিয়ামতের সময় তোমাদের সাথে থাকব, হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশের সময় তোমাদের শান্তি ও নিরাপত্তা দেব, পুলসিরাত পার করে তোমাদের জান্নাতে পৌছে দেব।’ [তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/১১৭]

(৪) আল্লাহ তাআলার দয়া ও ক্ষমা লাভ : যেমন তিনি বলেছেন—

نُزُلًا مِنْ غَفُورٍ رَحِيمٍ . ﴿فصلت : 32﴾

‘এটা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়ন।’ [সূরা হা-মীম- সাজদাহ : ৩২]

এ আয়াতের তাফসীরে শায়খ সা’দী রহ. বলেছেন : ‘এ মহা পুরস্কার ও স্থায়ী সুখ-শান্তি এবং মেহমানদারী হল সেই পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি পাপসমূহ ক্ষমা করেছেন। সৎকাজের সামর্থ দিয়েছেন। অত:পর সৎকর্মগুলোকে কবুল করেছেন।’ [তাইসিরুল কারিমির রহমান ফি তাফসিরে কালামিল মান্নান। পৃ : ৬৯৪]

(৫) জীবিকার সচ্ছলতা : আল্লাহ তাআলা বলেন :—

وَأَنْ لَوِ اسْتَقَامُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ لَأَسْقَيْنَاهُمْ مَاءً غَدَقًا . لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَمَنْ يُعْرِضْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِ يَسْلُكْهُ عَذَابًا صَعَدًا . ﴿الجن : 16-17﴾

‘তারা যদি সত্যপথে অবিচল থাকত তাদেরকে আমি প্রচুর বারি বর্ষনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতাম। যা দ্বারা আমি তাদের পরীক্ষা করতাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের স্মরণ হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে দু:সহ শাস্তিতে প্রবেশ করাবেন।’ [সূরা জিন : ১৬-১৭]

এ আয়াতের অর্থ হল যারা ঈমান আনবে ও এর উপর অবিচল থাকবে আমি তাদেরকে অঢেল সম্পদ ও জীবিকায় প্রাচুর্যতা দান করব। আরো দান করব প্রচুর বৃষ্টি, কারণ, আল্লাহর অনুগ্রহ ও জীবিকা মূলত বৃষ্টির ভেতর-ই। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-

وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ مِنْ رَبِّهِمْ لَأَكَلُوا مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ أَرْجُلِهِمْ مِنْهُمْ أُمَّةٌ مُقْتَصِدَةٌ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ سَاءَ مَا يَعْمَلُونَ ﴿المائدة : 66﴾

‘যদি তারা তওরাত-ইঞ্জিল এবং তাদের প্রতি অবতীর্ণ বিধান বাস্তবায়ন করত, তাহলে তারা মাথার উপর ও পায়ের নিচ হতে জীবিকা ভোগ করত। হ্যাঁ, তাদের কতক মধ্যম পন্থি। তাবে তাদের অনেকেই অসৎ কর্মাব্যস্ত-অবাধ্য-ফাসেক। [মায়েদা : ৬৬] অন্যত্র বলেন—

وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آَمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴿الأعراف : 96﴾

‘যদি সে গ্রামবাসীরা ইমান গ্রহণ করত ও তাকওয়ার ব্রত নিত, আমরা তাদের উপর আসমান-জমিনের বরকতের দ্বারসমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু না-তারা মিথ্যারোপ করেছে, আমিও তাদের কুকর্মের কারণে যমের ধরা-ধরেছি। [আরাফ : ৬৯]

(৬) পথভ্রষ্ঠ হওয়ার খেতাব থেকে মুক্তি পাওয়া :

ইহুদী ও খৃষ্টানগন সৎপথ লাভ করেছিল কিন্তু তারা এর উপর অবিচল থাকতে পারেনি। পরিণতিতে আল্লাহ তাদের বিভ্রান্ত ও ক্রোধনিপতিত বলে আখ্যা দিয়ে আমাদেরকে প্রার্থনা শিক্ষা দিয়েছেন ‘আমরা যেন তাদের মত না হই।’ যেমন আমরা সালাতে বলি—

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ . صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ . ﴿الفاتحة : 6-7﴾

‘আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথ নয় যারা ক্রোধনিপতিত ও পথভ্রষ্ঠ। [ফাতেহা : ৬-৭]

(৭) আল্লাহর ক্রোধ হতে নাজাত : এরশাদ হচ্ছে-

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ . صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ .

‘আমাদেরকে সোজা পথ দেখান। আপনার অনুগ্রহ প্রাপ্ত বান্দাদের অনুসৃত পথ। তাদের পথ নয় যারা আপনার বিরাগ ভাজন-ক্রোধক্লিষ্ট ও পথভ্রষ্ঠ। [ফাতেহা : ৬-৭]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন