hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তরবিয়ত ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন

লেখকঃ শামছুল হক ছিদ্দিক, নোমান আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

৯০
(৭) সর্বদা আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করা.—
আল্লাহ রাববুল আলামীন তার নিকট ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য মানুষকে উৎসাহ ও নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুরূপ, নবীগণও মানুষকে ইস্তেগফারের নির্দেশনা দিয়েছেন, উদ্দীপিত করেছেন বিপুলভাবে। নূহ আ.-এর ইস্তেগফারের আলোচনা পবিত্র কোরআনে উলেখ করা হয়েছে। নূহ আ. বলতেন :—

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا . ﴿ سورة نوح : 28﴾

‘হে আমার প্রতিপালক ! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং যারা ঈমানদার হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ; আর যালিমদের বেলায় বৃদ্ধি কর ধ্বংস ও বিলোপ।’ [সূরা নূহ : ২৮।]

অপরদিকে, মূসা আ. এর ইস্তেগফারের কথা আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে উলেখ করেছেন এভাবে:—

إِنْ هِيَ إِلَّا فِتْنَتُكَ تُضِلُّ بِهَا مَنْ تَشَاءُ وَتَهْدِي مَنْ تَشَاءُ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ . ﴿الأعراف : 155﴾

‘এ তো শুধু তোমার পরীক্ষা, যা দ্বারা তুমি যাকে ইচ্ছা বিপথগামী কর আর যাকে ইচ্ছা দান কর হেদায়েতের আলো। তুমিই তো আমাদের অভিভাবক; সুতরাং, আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি দয়া কর আর ক্ষমাশীলদের মধ্যে তুমিই শ্রেষ্ঠ।’ [সূরা আল-আ’রাফ : ১৫৫।]

ইব্রাহীম আ. এর ক্ষমা ও ইস্তেগফারের আলোচনা উলেখ করে কোরআনে এসেছে :—

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ . ﴿سورة إبراهيم : 41﴾

‘হে আমার প্রতিপালক ! যে দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সে দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মুমিনগণকে ক্ষমা করে দিও।’ [সূরা ইবরাহীম : ৪১।]

পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ার সাথে সাথে ইস্তেগফার করা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—

إن المؤمن إذا أذنب كانت نكتة سوداء في قلبه، فإن تاب ونزع واستغفر صقل قلبه، وإن زاد زادت، حتى يعلو قلبه ذاك الرأن الذي ذكر الله عز وجل في القرآن ( كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ). ﴿المطففين : 14﴾ رواه الترمذي (3334)

মুমিন ব্যক্তি যখন কোন পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তখন তার হৃদয়ে একটি কালো দাগ পড়ে। যখন সে তওবা করে, ফিরে আসে, এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে, তখন তার অন্তরাত্মা পরিস্কার হয়ে যায়, মুছে যায় সে কালো দাগের স্মৃতি। পাপ বেড়ে গেলে অন্তরের কাল দাগও বেড়ে যায়। পরিণতিতে তার হৃদয় ঢেকে যায় প্রবল অন্ধকারাচ্ছন্নতায়। এটা সেই মর্চে, যার কথা আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এভাবে বলেছেন, ‘কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মর্চে ধরিয়েছে।’ [সূরা মুতাফফিফীন : ১৪। তিরমিযী : ৩৩৩৪।]

ইস্তেগফার এবাদতের একটি মহোত্তম অংশ। তাই সালাত আদায়ের পর ইস্তেগফার করতে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে :—

عن ثوبان رضي الله عنه قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا انصرف من صلاته استغفر ثلاثا . وقال : اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام . رواه مسلم (591) وفي حديث آخر يا ذا الجلال والإكرام . رواه مسلم (592)

ছাওবান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাত শেষ করতেন তিন বার আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) বলতেন। [মুসলিম-৫৯১।]

পবিত্র হজ আদায়কালে ইস্তেগফার করার জন্য আল্লাহ রাববুল আলামীন নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন :—

ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

‘অত:পর লোকেরা যেখান হতে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান হতে প্রত্যাবর্তন করবে। আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, বস্ত্তত আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা বাকারা : ১৯৯।]

ইসলামী শরিয়তে যে সকল যিকির-আযকারের প্রমাণ মিলে, সালাতের বইরে কিংবা ভিতরে ; তার মধ্যে ইস্তেগফার একটি গুরুত্বপূর্ণ যিকির। হাদিসে এসেছে:—

عن عائشة رضى الله عنها أنها قالت : كان النبي صلى الله عليه وسلم يكثر أن يقول في ركوعه وسجوده ( سبحانك اللهم ربنا وبحمدك اللهم اغفرلي ).

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকু ও সেজদাতে বেশী করে বলতেন, হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ ! তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি তোমার প্রসংশা করছি, হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। তিনি কোরআনের আয়াতের শিক্ষায় এ কাজটি করতেন। [বোখারি : ৮১৭। মুসলিম-৪৮৪।]

عن أبي هريرة رضى الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول في سجوده : اللهم اغفرلي ذنبي كله، دقـه وجله، أولـه وآخره، علانيته وسره . رواه مسلم (483)

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদাবস্থায় বলতেন: ‘হে আল্লাহ! আমার সকল পাপ; ছোট ও বড়, সূচনা ও সমাপ্তি, প্রকাশ্য ও গোপন—ক্ষমা করে দাও। [মুসলিম-৪৮৩।] সালাতের বাইরে দিবা-রাত্রির যিকিরের মধ্যেও ইস্তেগফার রয়েছে। হাদিসে এসেছে—

عن شداد بن أوس عن النبي صلى الله عليه وسلم : سيد الاستغفار أن تقول : اللهم أنت ربي، لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك، وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت، أعوذ بك من شر ما صنعت، أبوء لك بنعمتك عليّ، وأبوء بذنبي، فاغفرلي، فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت . قال : ومن قالها من النهار موقنا بـها، فمات من يومه قبل أن يمسي، فهو من أهل الجنة، ومن قالها من الليل وهو موقن بـها ، فمات قبل أن يصبح، فهو من أهل الجنة . رواه البخاري (5831)

সাদ্দাদ বিন আউস রা. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, ‘শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনার বাক্য) হল, তুমি এভাবে বলবে, হে আল্লাহ ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বুদ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আর আমি তোমার বান্দা। তোমার সাথে কৃত ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতির উপর আমি আমার সাধ্যমত অটল রয়েছি। আমি যা কিছু করেছি তার অপকারিতা হতে তোমার আশ্রয় নিচ্ছি। আমার প্রতি তোমার যে নিআ’মত তা স্বীকার করছি। আর স্বীকার করছি তোমার কাছে আমার অপরাধ। তুমি আমাকে ক্ষমা কর। তুমি ছাড়া আর কেউ ক্ষমা করতে পারে না।'

যে ব্যক্তি সকালে দৃঢ় বিশ্বাসে এটা পাঠ করবে, সে যদি ঐ দিনে সন্ধ্যার পূর্বে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভূক্ত হবে। আর যদি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে সন্ধ্যায় পাঠ করে, আর সকাল হওয়ার পূর্বে সে ইন্তেকাল করে, তাহলে সে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।’ [বোখারি : ৫৮৩১।] রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি-বেশি ইস্তেগফার করতেন। আবু হুরাইরা : বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—

والله إني لاستغفر الله وأتوب إليه في اليوم أكثر من سبعين مرة . رواه البخاري (6307)

‘আল্লাহ তাআলার শপথ ! আমি দিনে সত্তর বারের বেশী আল্লাহর নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ [বোখারি : ৬৩০৭।] ইবনে উমর রা. বলেন—

إن كنا لنعد لرسول الله ... في المجلس الواحد مائة مرة : رب اغفر لي وتب عليّ إنك أنت التواب الرحيم . رواه أبوداود (1516) ،وابن ماجه (3814) ، وصححه الألباني في صحيح سنن ابن ماجه (3075).

একদিন এক মজলিসে আমরা গণনা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একশত বার বলেছেন, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা কবুল করুন। আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। [আবু দাউদ : ১৫১৬।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন