hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তরবিয়ত ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন

লেখকঃ শামছুল হক ছিদ্দিক, নোমান আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

৫৫
জবান বা বাকশক্তি
মানুষের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামতরাজীর মধ্য থেকে আল্লাহ মানুষকে তার শরীরের যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহদান করেছেন তা অন্যতম। সে তার ইচ্ছামতো নিজের প্রয়োজনের মুহূর্তে এগুলোকে ব্যবহার করতে পারে। এবং তার প্রতি কারো এহসান ছাড়াই সে এগুলোকে তার প্রভুর আনুগত্যে নিয়োজিত করতে পারে। এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহ থেকে বাকশক্তি একটি। এটি একটি গুরুত্ব পূর্ণ হাতিয়ার। সক্রিয় অস্ত্র। এর মাধ্যমে মানুষ তার ইচ্ছা অভিলাষ ব্যক্ত করে থাকে। এবং তার অভীপ্সা, আকাঙ্ক্ষা পূরণে তা ব্যবহার করতে পারে। সে তার মাধ্যমে কথা বলে আহবান করে, এবং তার মধ্যমেই নিজের চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করে। তার মধ্যমে স্বীয় প্রভুর কালাম পাঠ করে এবং তার জিকির করে। এবং এর মধ্যমে মানুষ অপরকে নসিহত উপদেশ, দিকনির্দেশনা ও পথ প্রদর্শন করে। এবং সৎকাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করে ইত্যাদি।

বাকশক্তির গুরুত্ব, সংরক্ষণ ও তাকে সমূহ প্রকারের অকল্যাণ ও অমঙ্গলের জন্য ব্যবহার থেকে সতর্কীকরণ সম্পর্কে কোরআন ও সুন্নায় অনেক আলোচনা এসেছে, মানুষ যে বাকশক্তির মাধ্যমে কথা বলে তার গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ . ﴿ق : 18﴾

‘(ক্ষুদ্র একটি শব্দ সে উচ্চারণ করে না, যা সংরক্ষণ করার জন্যে একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার সাথে নিয়োজিত থাকে না। [সূরা ক্বাফ : ১৮।]

سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا . ﴿آل عمران : 181﴾

‘তারা যা কিছু বলে তা আমি (তাদের হিসেবের খাতায়) লেখে রাখব। [আল-ইমরান : ১৮১।] এবং তিনি বলেন

إِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُمْ مَا لَيْسَ لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمٌ . ﴿النور : 15﴾

‘তোমরা এ (মিথ্যা)কে নিজেদের মুখে মুখে প্রচার করছিলে, নিজেদের মুখ দিয়ে এমন সব কথা বলে যাচ্ছিলে যে ব্যাপারে তোমাদের ফেতনা কিছুই জানা ছিল না, তোমরা একে একটি তুচ্ছ বিষয় মনে করছিলে, কিন্তু তা ছিল আল্লাহর কাছে একটি গুরুতর বিষয়। [আননূর : ১৫]

আল্লাহ তাআলা জবানকে উত্তম পন্থায় ব্যবহারের কিছু দিক নির্দেশনা সুস্পষ্ট করেছেন।

لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا﴿النساء : 114﴾

‘এদের অধিকাংশ গোপন সলাপরামর্শের ভেতরেই কোনো কল্যাণ নিহিত থাকে নেই। তবে যদি কেই এর দ্বারা কাউকে কোনো দান খয়রাত, সৎকাজ ও অন্যের লক্ষ্যে যদি কেউ, আর আল্লাহ তাআলা র সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কেউ এসব কাজ করে তাহলে অতি শীঘ্রই আমি তাকে মহা পুরস্কার দেবো। [আননেসা : ১১৪] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শব্দের গভীর প্রভাব বিস্তার সম্পর্কে বলেন,

إن الرجل ليتكلم بالكلمة ما يتبين فيها يزل بها في النار أبعد ما بين المشرق والمغرب .

‘মানুষ যে শব্দ ব্যবহার করে কথা বলে তার মাধ্যমে সে জাহান্নামে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বে নিক্ষিপ্ত হবে।

অতএব, মানুষের জন্য সমুচিত হল তার বাকশক্তিকে সংরক্ষণ করা। এবং কেবল মাত্র সত্যও শাশ্বত কথা ছাড়া ভিন্ন কোন কথা না বলা যথা: আল্লার জিকির। এবং তার পবিত্রতম গ্রন্থ পাঠ করা। মানুষের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করা, তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শক করাও উপকারী ঘটনা, মুবাহ কথা বার্তা ইত্যাদি। বাকশক্তির প্রভাবে বিশেষ গুরুত্বে কারণেই ইসলাম মানুষের উপর তাকে সঠিক পন্থা ও কল্যাণময় পদ্ধতিতে ব্যবহারের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এতটুকু সক্ষম না হলেও ন্যূনতম চুপ থাকার মাধ্যমে তাকে হেফাজত করা। এবং অর্থহীন বিষয়ে বাক্যব্যয় না করা। সহিহাইনে উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا أو ليصمت .

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত কল্যাণের কথা বলা অথবা চুপ থাকা।

মুয়ায ইবনে জাবালের রা. হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অবহিত করেছেন, কোন বস্ত্ত জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নামে থেকে দূরে রাখবে। এবং কল্যাণের দরজাসমূহ ও তার খুঁটি, মীসচুড়া কী তা জানিয়েছেন। অত:পর তিনি তাকে বলেছেন,

ألا أخبرك بملاك ذلك كله، قال معاذ : قلت : بلى يا نبي الله، فأخذ بلسانه فقال : ( كف عليك هذا ) فقلت : يا نبي الله، وإنا لمؤاخذون بما نتكلم به، فقال صلى الله عليه وسلم :( ثكلتك أمك يا معاذ، وهل يكب الناس في النار على وجوههم-أو على مناخرهم-إلا حصائد ألسنتهم ).

‘আমি কি তোমাকে এসব কিছুর নিয়ন্ত্রক কি বলব না? মু‘য়ায বললেন, অবশই হে আল্লাহর নবী! অত:পর তিনি তার জিহবা ধরলেন, বললেন তোমার উপর কর্তব্য হল একে সংযত রাখা। অত:পর আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী ! আমরা যে সাধারণত: কথাবার্তা বলি সে ব্যাপারেও কি হিসেবের মুখোমুখি হব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে মু‘আয ! তোমার মা অযথা কষ্ট স্বীকার করেছেন। মানুষকে নিজ চেহারা কিংবা গর্দানে ভর করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে কে ?-তাদের জবানের কৃত উপার্জন ছাড়া!’ ’তিরমিজি বর্ণনা করেছেন,

أن سفيان بن عبد الله الثقفي-رضي الله عنه-سأل النبي صلى الله عليه وسلم فقال : ما أخوف ما تخاف عليّ؟ فأخذ بلسان نفسه ثم قال :( هذا ).

যে সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ আসসাকাফি রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রশ্ন করলেন, আমি আমার বিষয়ে সবচে বেশি ভয় করেন? অতঃপর তিনি জিহবা স্পর্শ করলেন এবং বললেন, ‘এটা’।

অতএব যে মুসলমান দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তি ও অকল্যাণ কামনা করে তার উপর দায়িত্ব হল যে তার কথাকে সুষমামন্ডিত করবে এবং জিহবা কে সংযত, সংরক্ষণ করবে। কেননা অল্পকিছু কথাও তাকে কখনো দুনিয়াও আখেরাতে ধ্বংসাত্মক পরিণাম ও ভয়াবহ ফলাফলে র দিকে টেনে নিয়ে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন