hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তরবিয়ত ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন

লেখকঃ শামছুল হক ছিদ্দিক, নোমান আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

২৮
মুক্তির পথ ও উপায়
মুসলমানকে শয়তানের প্রবেশ পথ সম্পর্কে জানতে হবে, এবং এও জানতে হবে এই কাজগুলো শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। যে ব্যক্তি ওজুতে তিন বারের অধিক ধৌত করে তার সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন—

فمن زاد فقد أساء وتعدى وظلم .

যে অতিরিক্ত করল সে মন্দ কাজ করল এবং জুলুম করল। [নাসায়ী : ১৪০, ইবনে মাজাহ : ৪২২। সহিহ নাসায়ী লিল আলবানি : ১৩৬]

অতএব সওয়াব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সে তিরস্কার ও দুর্ভোগের শিকার হবে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের এবাদত পালনের ক্ষেত্রে ভুল ও ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটতে পারে। তবে তা নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া জায়েজ নেই। যদি তা নিছক ধারণা হয়ে থাকে বা কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর পুনরাবৃত্তি ঘটে, অথবা যদি এমনটি এবাদতের পরে হয়ে থাকে। তাবে যদি মজবুত ভাবে সন্দিহান হয়ে থাকে যে, সে দুই সেজদা আদায় করেছে না এক সেজদা—এক্ষেত্রে তার কাছে যে ধারণাটি প্রাধান্য পাবে সেটাকেই গ্রহণ করবে। আর যদি কোন ধারণা প্রাধান্য না পায় তবে নিশ্চিত বিষয় তথা এক সেজদা হিসেবে আমল করবে। অত:পর দ্বিতীয় সেজদা আদায় করবে। তার নামাজের পূর্ণতা ও শয়তানের শাস্তি স্বরূপ এতটুকুই যথেষ্ট। [মুসলিম : ৫৭১] ওয়াসওসায় আক্রান্ত ব্যক্তির এতটুকু জানা যথেষ্ট যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কীভাবে ওজু ও গোসল করতেন। এবং কীভাবে আপন প্রভুর এবাদত করতেন ? তিনি এক মুদ দিয়ে ওজু করতেন। মুদ হল মধ্যম গড়নের ব্যক্তির দুই তালুর সমপরিমাণ ; এবং এক সা’ দিয়ে গোসল সারতেন। এক সা’ হল চার মুদের সমপরিমাণ। ফকিহ আলেমগণ মানুষের জন্যে বেঁচে থাকা কঠিন বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সহজ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেমন পথ-ঘাটের কাদা যা সাধারণত নাপাক থাকে তা থেকে কাপড় ধোয়া জরুরি নয়। এমনিভাবে ঘরের ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়া পানি—যদি সেখানে না-পাকি না থাকার সম্পর্কে জানা থেকে। ইসলামের বিধান হল সহজীকরণ ও অসুবিধা দূরীকরন—

يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ . ﴿البقرة : 185﴾

‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের (জীবন) আসান করে দিতে চান, আল্লাহ তাআলা কখনোই তোমাদের জন্য কঠোর করে দিতে চান না। [আর-বাকারা : ২৮৫]

وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ . ﴿الحج : 78﴾

এবং এ জীবন বিধানের ব্যাপারে তিনি তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি। [আল-হজ্জ : ৭৮] আর সর্বাধিক ক্ষতিকর ওয়াসওয়াসা ও সন্দেহ হচ্ছে যা আক্বীদা ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তাই এ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা জরুরি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—

يأتي الشيطان أحدكم فيقول : من خلق كذا؟ من خلق كذا؟ حتى يقول : من خلق ربك؟ فإذا بلغه فليستعذ بالله ولينته . رواه البخاري (3276) ، ومسلم (134).

তোমাদের কারো নিকট শয়তান এসে বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছেন ? ওটা কে সৃষ্টি করেছেন ? এভাবে এক পর্যায়ে সে জিজ্ঞাসা করে তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছেন ? যখন কেউ এ পর্যন্ত পৌঁছে যায় সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে এবং নিজেকে বিরত রাখবে। [বোখারী : ৩২৭৬। মুসলিম : ১৩৪] এসব ভাব-কল্পনা থেকে কেউই তেমন নিরাপদ নয়। সাহাবায়ে কেরাম রা.-ও এ জাতীয় কল্পনায় নিমজ্জিত হতেন। তাই তারা খুব ভয় পেতেন এবং এ বিষয়ে কোন কথাই বলতেন না। এবং তারা রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এ বলে অভিযোগ করতেন—

إنا نجد في أنفسنا ما يتعاظم أحدنا أن يتكلم به، قال : وقد وجدتموه؟ قالوا : نعم، قال ذاك صريح الإيمان . أخرجه مسلم (132) ، وفي رواية قال : الله أكبر، الحمد لله الذي رد أمره إلى الوسوسة . ابن حبان ( الإحسان 147) ، وصحح المحقق شعيب الأرناوط إسناده .

আমরা আমাদের হৃদয়ে এমন ভাব-কল্পনা অনুভব করি যা বলা আমাদের কেউ কেউ সাংঘাতিক মনে করে। তিনি বললেন, তোমরা এমন পেয়েছ ? তারা বলল হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটাই হচ্ছে সুস্পষ্ট ঈমান। ভিন্ন আরেক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, আল্লাহু আকবার ! সকল প্রশংসা ঐ সত্তার যিনি তার বিষয়কে ওয়াসওয়াসার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ [ইবনে হিববান : ইসান অধ্যায় : ১৪৭] এসব প্ররোচনা যখন মানুষের মনকে প্রভাবিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে সে কথা বলবে না এটাই প্রমাণ করবে যে শয়তান তার চক্রান্তে ব্যর্থ, অসফল হয়েছে। অত:পর মানুষ যখন এই ওয়াসওয়াসাকে প্রতিহত করবে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়ার মাধ্যমে, এবং জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ও সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় ও ঈমানকে নতুন করার মাধ্যমে অথবা আল্লাহর নিকট দোয়া ও শয়তানের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করার আবেদনের মাধ্যমে, তখন শয়তান তাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বরং তা তার ঈমান ও সওয়াব বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিগণিত হবে। অতএব সমস্ত প্রশংসা মহামহিম আল্লাহর জন্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন