hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

১০
৭. এক সাথে সিয়াম রাখা ও ভঙ্গ করা
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:‎

«الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ والفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ والأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ» .

“সেদিন সাওম,তোমরা যেদিন সাওম পালন করবে, সেদিন ইফতার, তোমরা যেদিন ইফতার করবে, সেদিন কুরবানি, তোমরা যেদিন কুরবানি করবে”। তিরমিযী, তিনি বলেছেন: হাদীসটি হাসান, গরীব।

‎আবু দাউদের এক বর্ণনায় আছে:

«وَفِطْرُكُمْ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَأَضْحَاكُمْ يَوْمَ تُضَحُّونَ» .

“তোমাদের ইফতার, যেদিন তোমরা ইফতার করবে, তোমাদের কুরবানী, যেদিন তোমরা কুরবানী করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩২৪; তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৬৬০; দারাকুতনি: (২/১৬৪); আব্দুর রায্‌যাক, হাদীস নং ৭৩০৪; ইসহাক, হাদীস নং ৪৯৬।]‎

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:‎

«الفِطْرُ يَوْمَ يُفْطِرُ النَّاسُ، وَالأَضْحَى يَوْمَ يُضَحِّي النَّاسُ»

“ইফতার, যেদিন মানুষ ইফতার করে, কুরবানি, যেদিন মানুষ কুরবানী করে”।‎ [তিরমিযী, হাদীস নং ৮০২, তিনি বলেছেন এ সনদে হাদীসটি হাসান, গরীব ও সহীহ। ইসহাক, হাদীস নং ১১৭২।]

শিক্ষা ও মাসায়েল:

‎এক. এ হাদীস ইসলামি শরী‘আতের সৌন্দর্য ও সহজতার প্রমাণ বহন করে, মানুষ যা করতে পারবে না, তার ওপর তা চাপিয়ে দেওয়া হয় নি। ইবাদতের সময় নির্ধারণে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি তথা চোখে দেখার উপর নির্ভর করা হয়েছে।

দুই. ইসলামী শরী‘আত একতার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে, যেমন সে মুসলিমদেরকে এক সাথে সাওম রাখা, ভঙ্গ করা ও একসাথে ঈদ উৎযাপনের নির্দেশ দিয়েছে।

তিন. চাঁদ দেখায় শর‘ঈ পদ্ধতি অনুসরণ করা অথবা চাঁদ দেখায় বাঁধার কারণে ত্রিশ দিন পূর্ণ করার পর যদি মাসের শুরু-শেষ ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ক্ষমাযোগ্য। হাফেয ইবন আব্দুল-বার রহ. বলেন, “সকল ‎‎ ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, যদি যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ভুলের কারণে দশতারিখে ওকুফে আরাফা করে, তবে তা যথেষ্ট হবে। তদ্রূপ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।আল্লাই ভালো জানেন”। [আত-তামহিদ: (১৪/২৫৬), শাইখ ইবন বায রহ. বলেছেন: “শরঈভাবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে যদি মানুষ ভুল করে, তাহলে তারা সাওয়াব পাবে ও পুরস্কৃত হবে”। মাজমু ফাতাওয়া ও রাসায়েল: (১৫/১৩৩)।]‎

‎চার. এসব হাদীস প্রমাণ করে যে, ঈদ হওয়ার জন্য সবার এক হওয়া জরুরি।যদি কেউ একা ঈদের চাঁদ দেখে তার জন্য জরুরি সবার সাথে ঈদ করা। সে সবার সাথে সাওম রাখবে, ভঙ্গ করবে ও কুরবানি করবে। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “এ থেকে প্রমাণিত হয়, একা চাঁদ প্রত্যক্ষকারীর ওপর চাঁদ দেখার বিধান বর্তায় না, সাওম রাখা ও ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে সে অন্যদের মতো”। [তাহযিবুস সুনান: (৬/৩১৭)।]

এ থেকে বলা যায়, কেউ যদি একা চাঁদ দেখে, তাহলে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, সে একা সাওম রাখবে না, বরং মানুষের সাথে সাওম রাখবে। তার বিধান অন্যান্য মানুষের ন্যায়, এ হাদীস থেকে তাই বুঝে আসে”। [দেখুন: ফাতাওয়া সাদিয়াহ: (২১৬), মাজমু ফাতাওয়া ও রাসায়েল: (১৫/৭২-৭৩)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন